1. mail.bizindex@gmail.com : newsroom :
  2. info@www.bhorerawaj.com : দৈনিক ভোরের আওয়াজ :
সোমবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২:০৭ অপরাহ্ন
সর্বশেষ :
বাংলাদেশের পাসপোর্টধারী সকল প্রবাসীদের নিবন্ধন ও ভোট গ্রহণের দাবিতে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত নিরাপদ সড়ক চাই সফল সামাজিক সংগঠন তারেক রহমান ফিরতে চাইলে একদিনেই ট্রাভেল পাস দেওয়া সম্ভব ঘোড়াঘাটে ব্যাটারি চালিত ইজিবাইক চালক সীমিত গঠন ও বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনা করে দোয়া অনুষ্ঠিত শ্রীমঙ্গলে ১১মাস ধরে ঘরবন্দী এক পরিবার লামায় ট্রাক্টর মোটর সাইকেল মুখোমুখি সংঘর্ষ, নিহত ১ আহত ৪ চট্টগ্রাম কক্সবাজার মহাসড়ক ব্লকেড, ৬ লেনে উন্নীতকরণের দাবি রূপগঞ্জ উপজেলা প্রেসক্লাবের সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা ও  আলোচনা সভা  গৌরনদীতে বিএনপি’র আঞ্চলিক কার্যালয়ে রহস্যজনক অগ্নিকাণ্ড গাইবান্ধা, ক্রয়কৃত জমি জোরপূর্বক দখলের চেষ্টা হত্যার হুমকি থানায় অভিযোগ 

জীবন থেকে মৃত্যু পর্যন্ত: মানবতার এক অনন্য প্রতিচ্ছবি মোহাম্মদ আকতার হোসাইন

প্রতিবেদকের নাম:
  • প্রকাশিত: সোমবার, ১০ মার্চ, ২০২৫

জীবনের আলো থেকে মৃত্যুর অন্ধকার পর্যন্ত, মানুষের প্রয়োজনে নিরলস কাজ করে চলেছেন মোহাম্মদ আকতার হোসাইন। চট্টগ্রামের বোয়ালখালীর এই নিঃস্বার্থ সমাজকর্মী কেবল একজন পেশাদার কবর খননকারী নন, তিনি একই সঙ্গে মানবতার সেবক, রক্তদাতা এবং অসহায় মানুষের আশ্রয়দাতা। জীবনের প্রতি মোহহীন এই মানুষটি মৃত্যুর ঘর তৈরি করেন নিখুঁত হাতে, আবার সেই হাতই বাড়িয়ে দেন জীবন বাঁচানোর প্রয়োজনে।
সাহায্যের হাত নিয়ে দরিদ্র মানুষের দুয়ারেঃ
রমজান মাসে যখন সমাজের বিত্তশালীরা নিজেদের ইফতার আয়োজনে ব্যস্ত, তখন আকতার হোসাইন এক অন্য লড়াইয়ে ব্রতী। প্রতিদিন ইফতার সামগ্রী হাতে দরিদ্র মানুষের ঘরে ঘরে পৌঁছে যান তিনি। অভাবী শিশুর মুখে হাসি ফোটানো, বৃদ্ধা মায়ের হাতে খাবার তুলে দেওয়া—এসবই তার স্বাভাবিক কাজের অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তার এই নিঃস্বার্থ প্রচেষ্টায় সমাজের বিত্তবানদেরও এগিয়ে আসা উচিত, যাতে আরও বেশি অসহায় মানুষ এই সহায়তা পেতে পারে।
মৃত্যুর শেষ ঠিকানার প্রস্তুতকারীঃ
মানুষের জীবনের চূড়ান্ত সত্য হলো মৃত্যু। অথচ সেই অনিবার্য যাত্রার শেষ ঠিকানার প্রস্তুতি নেওয়ার কথা খুব কম মানুষই ভাবে। আকতার হোসাইন সেই বিরল ব্যক্তিদের একজন, যিনি পেশাদার কবর খননকারী। যখন কেউ মারা যায়, তখন পরিবারের লোকজন শোকে বিহ্বল থাকেন, জানাজা ও দাফনের প্রস্তুতি নিতে ব্যস্ত থাকেন—ঠিক তখনই আকতার নীরবে নিজের কাজ শুরু করেন। নিখুঁতভাবে কবর খনন করে মৃতের শেষ আশ্রয় নিশ্চিত করেন। তার কাছে সবসময় প্রস্তুত থাকে কবর খননের প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম। দিনের আলো হোক বা রাতের অন্ধকার, জানাজার ধ্বনি শোনার সঙ্গে সঙ্গে তিনি ছুটে যান কবরস্থানে।
জীবন বাঁচানোর সংগ্রামে এক নির্ভরযোগ্য নামঃ
আকতার হোসাইন শুধু মৃত্যুর জন্য কবর প্রস্তুত করেন না, তিনি মৃত্যুর বিরুদ্ধে লড়তেও প্রস্তুত থাকেন। নিয়মিতভাবে তিনি রক্ত সংগ্রহ করেন, মুমূর্ষু রোগীদের জন্য রক্তদাতা খুঁজে বের করেন, হাসপাতালে ছুটে যান, রোগীর স্বজনদের সঙ্গে থেকে জীবন বাঁচানোর সংগ্রামে সহায়তা করেন। তার এই নিঃস্বার্থ মানবসেবার কাজ অসংখ্য মানুষের জীবন রক্ষা করেছে। এক হাতে কবর খনন করেন, অন্য হাতে রক্ত সংগ্রহ করেন—এমন ব্যতিক্রমী মানবসেবক সমাজে সত্যিই বিরল।
সমাজের সহায়তা প্রয়োজনঃ আকতার হোসাইনের মতো মানুষের পাশে দাঁড়ানো আমাদের সবার দায়িত্ব। সমাজের বিত্তবানরা যদি তার এই মহৎ কাজের দিকে একটু নজর দেন, তবে অনেক সুবিধাবঞ্চিত মানুষ আরও ভালোভাবে ইফতার পাবে, আরও মুমূর্ষু রোগী বেঁচে যাবে, আর হয়তো মৃত্যুর পর আমাদেরও সেই চিরস্থায়ী ঘরটি আরও যত্নের সঙ্গে তৈরি হবে।
আকতার হোসাইন নীরবে কাজ করে যান, কোনো স্বীকৃতি বা প্রশংসার প্রত্যাশা ছাড়াই। কিন্তু তার এই নিঃস্বার্থ সেবাকে আমরা অবহেলা করতে পারি না। মানবতার এই নিঃশব্দ সৈনিককে উত্সাহিত করা, তার পাশে দাঁড়ানো মানেই সমাজকে আরও সুন্দর করা। আসুন, আমরা সবাই তার কাজে সহায়তা করি, তার মানবিক উদ্যোগের প্রসার ঘটাই, যাতে জীবন থেকে মৃত্যু—প্রত্যেকটি ধাপে অসহায় মানুষের পাশে তিনি আরও শক্তভাবে দাঁড়াতে পারেন।

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

© সমস্ত অধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট