1. mail.bizindex@gmail.com : newsroom :
  2. info@www.bhorerawaj.com : দৈনিক ভোরের আওয়াজ :
শুক্রবার, ০২ মে ২০২৫, ০৯:০২ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ :
“বাঁশখালীতে ৪ হাজার ইয়াবাসহ টেকনাফের মাদক কারবারি আটক: ব্যবহৃত মোটরসাইকেল জব্দ” হোমনায় মহান মে দিবস উপলক্ষে  বিএনপির বর্ণাঢ্য র‍্যালি  ড. মোহাম্মদ ইউনূস এর শুভ আগমনে বোয়ালখালীবাসীর পক্ষ থেকে হাজী মোহাম্মদ আলম ববির শুভেচ্ছা ও কৃতজ্ঞতা পুলিশ পরিচয়ে ঘরে প্রবেশ করে পরিবারের ৮ জনকে বেঁধে ছয়টি দোকান ঘর গুঁড়িয়ে দিয়ে মালামাল লুট করেছে দুর্বৃত্তরা রোদেলা দুপুরে পারকি সৈকতের বালুকাবেলায় কলম যোদ্ধারা,স্মৃতিময় এক মে দিবস! ড. মোহাম্মদ ইউনূসের দক্ষিণ চট্টগ্রাম সফর সিএমপি কমিশনার ও পাঁচ ওসি পেলেন আইজিপি ব্যাজ সাহস, দক্ষতা ও মানবিক পুলিশিংয়ের স্বীকৃতি আইজি পি ব্যাজ পেলেন ওসি আফতাব উদ্দিন চট্টগ্রাম উন্নয়ন আন্দোলনের সূচনালগ্নের সাহসী পুরুষ ব্যারিস্টার মনোয়ার হোসেন! দৃষ্টি আকর্ষণ

মাসুদ রানা: সবুজের স্বপ্ন দেখা এক নির্ভীক সৈনিক

মো. কামাল উদ্দিন
  • প্রকাশিত: রবিবার, ২৯ ডিসেম্বর, ২০২৪
  • ১৪৭ বার পড়া হয়েছে

“মাসুদ রানা: সবুজের স্বপ্ন দেখা এক নির্ভীক সৈনিক
– ১৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে এ্যাড ভিশন বাংলাদেশের গল্প’

সবুজের যোদ্ধা, দূর করে ধূসর,
মাসুদ রানার হাতে ফুটে আশার ভোর। গাছের ছায়ায় গড়ে তুলেন স্নেহের ছাদ, প্রাণে শহর হাসে, প্রকৃতি পায় স্বস্তির সাধ।
পরিবেশ রক্ষা একটি সংগ্রাম, আর এই সংগ্রামের নির্ভীক এক সৈনিকের নাম মাসুদ রানা। চট্টগ্রামের অলিগলিতে, পাহাড়ি পথের ধুলোর মাঝে কিংবা কর্ণফুলীর তীরে—সব জায়গাতেই তাঁর পরিচিতি একজন নিবেদিত পরিবেশপ্রেমী হিসেবে। গত ১৭ বছর ধরে তিনি অক্লান্ত পরিশ্রম করে গড়ে তুলেছেন এ্যাড ভিশন বাংলাদেশ—একটি সংগঠন, যা শুধু গাছ লাগায় না, একটি সবুজ ও সুন্দর বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখে।
আমি মাসুদ রানাকে খুব কাছ থেকে দেখেছি। তাঁর সংগঠনের জন্ম হয়েছিল আমার অফিসের এক কোণে, যেখানে কয়েকজন তরুণ উদ্যোক্তা বসে তাঁদের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার নকশা তৈরি করছিলেন। সেই নকশা আজ বাস্তবে রূপ নিয়েছে, চট্টগ্রামের পথে পথে মাসুদ রানার পায়ের ছাপ রেখে গেছে। স্বপ্নের বীজ বপন ২০০৭ সালের এক দুপুরে মাসুদ রানা আমার অফিসে বসে বলেছিলেন—”চট্টগ্রাম শহরটা যেন দিন দিন ধূসর হয়ে যাচ্ছে। এখানে যে পরিমাণ গাছপালা কাটা হচ্ছে, সেটা পরিবেশের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। কিছু একটা করতে হবে!” তাঁর সেই কথাগুলো কেবল অভিযোগ ছিল না, বরং একটি আন্দোলনের সূচনা। পরিবেশ রক্ষার জন্য তাঁর সেই উদ্বেগ থেকে জন্ম নেয় এ্যাড ভিশন বাংলাদেশ। প্রথম দিকে কিছু স্কুল ও কলেজে গিয়ে গাছ লাগানোর উদ্যোগ নিয়েছিলেন তাঁরা। সাথে ছিল কিছু উৎসাহী তরুণ, যাঁরা একই স্বপ্ন দেখেছিলেন।
প্রথম পদক্ষেপ: গাছ লাগানোর উৎসব প্রথম বড় আয়োজনটি ছিল নগরের একটি স্কুলের প্রাঙ্গণে। ছোট্ট একটি সবুজ উৎসব আয়োজন করা হয়েছিল, যেখানে শিক্ষার্থীরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশ নিয়েছিল। মাসুদ রানা নিজ হাতে গাছের চারা লাগিয়েছিলেন এবং বলেছিলেন—”এই গাছটি একদিন বিশাল বৃক্ষে পরিণত হবে, আর সেই বৃক্ষ ছায়া দেবে হাজারো মানুষকে।” তারপর থেকে প্রতি বছরই বিভিন্ন জায়গায় এমন উৎসব হয়েছে। চট্টগ্রামের ব্যস্ত সড়ক থেকে শুরু করে পাহাড়ের কোণায়, এমনকি কর্ণফুলীর পাড়ে গিয়ে মাসুদ রানা এবং তাঁর দল বৃক্ষরোপণ করেছেন। পরিবেশের সৈনিক: নিঃস্বার্থ সংগ্রাম মাসুদ রানা শুধু গাছ লাগিয়ে থেমে থাকেননি। যখন কর্ণফুলী নদী দখল ও দূষণের মুখে পড়েছিল, তখন তিনিই প্রথম এর বিরুদ্ধে কণ্ঠ তুলেছিলেন। তাঁর নেতৃত্বে ‘কর্ণফুলী রক্ষা আন্দোলন’ গড়ে ওঠে, যেখানে বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন এবং পরিবেশপ্রেমীরা অংশগ্রহণ করেন। তিনি প্রায়ই বলতেন—”নদী আর গাছ কেবল প্রকৃতির অংশ নয়, এটি আমাদের জীবনরেখা।” তাঁর এই চেতনা থেকে জন্ম নিয়েছে বহু প্রকল্প। ‘গ্রীণ স্কুল ক্যাম্পেইন’ থেকে শুরু করে ‘পরিবেশ সচেতনতা কর্মসূচি’—সব জায়গায় তিনি সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। মানবিক দিক: মানুষের পাশে মাসুদ রানা এ্যাড ভিশন শুধু পরিবেশ বিষয়ক সংগঠন নয়, এটি মানবসেবার প্রতীকও বটে। মাসুদ রানা বিভিন্ন দুর্যোগে মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন। শীতকালে তিনি শীতবস্ত্র বিতরণ করেছেন পাহাড়ি গ্রামে, যেখানে অন্য কোনো সংগঠন সহজে পৌঁছায়নি।


বিশেষ করে, ২০১৬ সালে চট্টগ্রামে বন্যার সময় তিনি এবং তাঁর সংগঠনের সদস্যরা ত্রাণ নিয়ে ছুটে গিয়েছিলেন দুর্গম এলাকায়। তাঁদের অক্লান্ত পরিশ্রমে শত শত পরিবার সহায়তা পেয়েছিল। গ্রীণম্যান এ্যাওয়ার্ড: স্বীকৃতির মঞ্চ মাসুদ রানা মনে করেন, সমাজের সকল স্তরের মানুষকে পরিবেশ রক্ষায় এগিয়ে আসতে হবে। এই চিন্তা থেকেই তিনি চালু করেন ‘গ্রীণম্যান এ্যাওয়ার্ড’। এটি এমন একটি পুরস্কার, যা পরিবেশ রক্ষায় অবদান রাখা ব্যক্তিদের সম্মান জানায়। প্রথমবার এই পুরস্কার পেয়েছিলেন লায়ন সৈয়দ মোঃ মোরশেদ হোসেন, যিনি চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালের প্রেসিডেন্ট। একজন আদর্শবাদী মানুষ মাসুদ রানার ব্যক্তিত্ব অত্যন্ত অনুপ্রেরণামূলক। তাঁর হাসিমুখ, পরিশ্রমী মনোভাব এবং অক্লান্ত ধৈর্য দেখে অনেকেই মুগ্ধ হয়। তিনি কখনো নিজের প্রচেষ্টার জন্য বাহবা চাননি, বরং সবসময় বলেছেন—”আমি শুধু আমার দায়িত্ব পালন করছি।” এ্যাড ভিশনের প্রতিটি কর্মসূচি, সভা বা উৎসবে মাসুদ রানার উপস্থিতি থাকে নীরবে, কিন্তু তাঁর উপস্থিতিই যেন দলটির মূল চালিকাশক্তি। তাঁর কাছ থেকে তরুণরা নেতৃত্ব শেখে, দায়িত্বশীলতা শেখে।
ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে যাওয়া চমাসুদ রানা স্বপ্ন দেখেন একটি সবুজ বাংলাদেশ গড়ার। তাঁর নেতৃত্বে এ্যাড ভিশন বাংলাদেশ এখন সারা দেশে কাজ শুরু করেছে। আগামী দিনগুলোতে তিনি চট্টগ্রামের বাইরে আরও বড় পরিসরে কাজ করার পরিকল্পনা করছেন। তাঁর বিশ্বাস, এ্যাড ভিশন একদিন সারা বাংলাদেশের মানুষের হৃদয়ে স্থান করে নেবে। মাসুদ রানা কেবল একজন ব্যক্তি নন; তিনি এক আন্দোলনের নাম। তাঁর নিঃস্বার্থ প্রচেষ্টা এবং অসীম ধৈর্য চট্টগ্রামের পরিবেশ উন্নয়নে নতুন দিগন্ত খুলে দিয়েছে। আমরা ভাগ্যবান, যে তাঁর মতো একজন মানুষ আমাদের সঙ্গে রয়েছেন, যিনি সবুজকে ভালবাসেন, প্রকৃতিকে রক্ষা করতে জানেন এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য একটি সুন্দর পৃথিবী গড়ার স্বপ্ন দেখেন। “সবুজে বাঁচি, সবুজে বাঁচাই, নগর প্রাণ সবুজে সাজাই” – এই স্লোগানটি শুধু কথার ফুলঝুরি নয়; এটি এক দীর্ঘ পথচলার প্রতিচ্ছবি। সতেরো বছর আগে চট্টগ্রামের একঝাঁক পরিবেশপ্রেমী তরুণের হাত ধরে যাত্রা শুরু করেছিল এ্যাড ভিশন বাংলাদেশ। উদ্দেশ্য ছিল পরিবেশ রক্ষা, মানুষের পাশে দাঁড়ানো এবং সবুজের বার্তা ছড়িয়ে দেওয়া। আজ সতেরো বছরের এই অভিযাত্রা শুধু সময়ের মাইলফলক নয়, বরং এটি একটি সমৃদ্ধ অধ্যায়, যেখানে প্রতিটি বছর লেখা হয়েছে সাফল্যের অক্ষরে। একটি ছোট শুরু, বিশাল স্বপ্ন ২০০৭ সালের এক বিকেলে চট্টগ্রাম শহরের একটি ছোট রুমে বসে যখন এ্যাড ভিশনের পথচলার নকশা আঁকা হচ্ছিল, তখন কেউ ভাবেনি এই সংগঠন একদিন দেশের শীর্ষস্থানীয় পরিবেশ উন্নয়ন সংস্থাগুলোর মধ্যে একটি হয়ে উঠবে। মাসুদ রানা, যার অক্লান্ত পরিশ্রম এবং সুদূরপ্রসারী চিন্তাধারা এ্যাড ভিশনকে আজকের অবস্থানে নিয়ে এসেছে, সেই প্রথম স্বপ্ন দেখেছিলেন একটি সবুজ নগরের। তার পাশে ছিলেন আরও কয়েকজন নিবেদিতপ্রাণ তরুণ, যারা শুধু পরিবেশ সচেতনতা নয়, বরং সমাজের সুবিধাবঞ্চিত মানুষের জন্যও কাজ করতে আগ্রহী ছিলেন। প্রথম সাফল্যের পদধ্বনি শুরুটা হয়েছিল ছোট ছোট গাছ লাগিয়ে। নগরের বিভিন্ন স্কুল, কলেজ এবং অফিসের সামনের খালি জায়গায় চারা রোপণ করে তাঁরা প্রথম জনসচেতনতা তৈরির কাজ শুরু করেন। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে মানুষের অংশগ্রহণ বেড়েছে। ক্রমান্বয়ে উদ্যোগটি ছড়িয়ে পড়ে পুরো চট্টগ্রাম শহর এবং আশেপাশের এলাকায়।
২০১০ সালে চট্টগ্রাম ক্লাবের সামনে আয়োজিত ‘সবুজ উৎসব’ ছিল সংগঠনের প্রথম বড় ইভেন্ট। সেই উৎসবে কয়েক হাজার গাছের চারা বিতরণ করা হয়েছিল, যা সেই সময়ের জন্য ছিল এক অনন্য উদ্ভাবন। মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করেছিল এবং সেই দিনই এ্যাড ভিশন বুঝতে পেরেছিল – তারা ঠিক পথেই রয়েছে। পরিবেশ উন্নয়নের পাশাপাশি মানবসেবা
পরিবেশ রক্ষা এবং উন্নয়নের পাশাপাশি এ্যাড ভিশন বাংলাদেশ মানবসেবার ক্ষেত্রেও রেখেছে অনন্য অবদান। শীতার্ত মানুষের মধ্যে শীতবস্ত্র বিতরণ, বন্যার্তদের মাঝে ত্রাণসামগ্রী প্রদান এবং সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের জন্য শিক্ষাসামগ্রী বিতরণ – এ সবই এ্যাড ভিশনের কর্মতালিকার অংশ। বিশেষ করে, ২০১৬ সালের কর্ণফুলী নদীর বন্যার সময় এ্যাড ভিশনের স্বেচ্ছাসেবকরা দিনরাত পরিশ্রম করে প্রায় ১০ হাজার মানুষের কাছে ত্রাণসামগ্রী পৌঁছে দেয়। সেবার কর্মযজ্ঞ দেখে চট্টগ্রামের মানুষ আজও এ্যাড ভিশনকে মনে রেখেছে কৃতজ্ঞচিত্তে।
গ্রীণম্যান এ্যাওয়ার্ড: সম্মান আর গৌরবের বার্তা ২০১৮ সালে এ্যাড ভিশন বাংলাদেশ প্রথমবারের মতো চালু করে ‘গ্রীণম্যান এ্যাওয়ার্ড’। এটি এমন একটি স্বীকৃতি, যা পরিবেশ উন্নয়নে অবদান রাখা ব্যক্তিদের সম্মানিত করে। প্রথম বছরেই এই পুরস্কার গ্রহণ করেন চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালের প্রেসিডেন্ট লায়ন সৈয়দ মোঃ মোরশেদ হোসেন।
এই পুরস্কার শুধু একজন ব্যক্তিকে সম্মানিত করার জন্য নয়, বরং এটি সমাজের অন্যান্যদের উৎসাহিত করতে চালু করা হয়েছিল। আজ পর্যন্ত ৩০ জন ব্যক্তি এবং ১০টি প্রতিষ্ঠান গ্রীণম্যান এ্যাওয়ার্ড পেয়েছে, যা প্রমাণ করে যে পরিবেশ উন্নয়নে সমাজের প্রতিটি স্তরের মানুষের অবদান রয়েছে। চলমান প্রকল্প এবং ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা বর্তমানে এ্যাড ভিশন বাংলাদেশ কাজ করছে বেশ কিছু দীর্ঘমেয়াদি প্রকল্প নিয়ে। এর মধ্যে রয়েছে—গ্রিন স্কুল ক্যাম্পেইন: যেখানে স্কুলের শিক্ষার্থীদের পরিবেশ সচেতন করে গড়ে তোলা হচ্ছে।
নদী রক্ষা আন্দোলন: কর্ণফুলী নদীকে দূষণমুক্ত করতে চলছে নিয়মিত পরিষ্কার অভিযান। শহরের দেয়াল চিত্রায়ন প্রকল্প: নগরের দেয়ালগুলোতে পরিবেশ বিষয়ক শিল্পকর্ম আঁকা হচ্ছে, যা মানুষকে সচেতন করতে সাহায্য করছে, ভবিষ্যতে চট্টগ্রামকে একটি পরিবেশবান্ধব নগরীতে রূপান্তর করার পরিকল্পনা রয়েছে এ্যাড ভিশনের। তারা বিশ্বাস করে যে, চট্টগ্রাম শুধু একটি বাণিজ্যিক নগরী নয়; এটি একদিন পরিবেশগত দিক থেকেও দেশের শ্রেষ্ঠ নগরী হয়ে উঠবে।
সাফল্যের সতেরো বছর: কিছু ব্যক্তিগত উপলব্ধি
এ্যাড ভিশন বাংলাদেশের মহাসচিব মাসুদ রানা বলেন—
“এই সতেরো বছরে আমরা অনেক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছি, কিন্তু কখনো থেমে যাইনি। মানুষ এবং প্রকৃতি আমাদের কাজের শক্তি। আমরা শুধু গাছ লাগাই না, আমরা স্বপ্ন লাগাই।” তাই আমাদের কাজ থেমে নেই এবং থামবেও না।” সতেরো বছরের পথ চলায় এ্যাড ভিশন বাংলাদেশ কেবল একটি সংগঠন নয়, বরং এটি একটি আন্দোলন। একে কেন্দ্র করে হাজারো মানুষ পরিবেশের প্রতি তাদের ভালোবাসা এবং দায়িত্ববোধ প্রকাশ করছে। “সবুজে বাঁচি, সবুজে বাঁচাই” – এই শপথের আলোকে এ্যাড ভিশন বাংলাদেশ আগামীতে আরও দূর এগিয়ে যাবে, সবুজের পরিধি ছড়িয়ে পড়বে দেশের প্রতিটি প্রান্তে। কারণ সবুজ মানে জীবন, সবুজ মানে আশা।
এ্যাড ভিশন বাংলাদেশের ১৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন পরিবেশ উন্নয়ন ও স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা এ্যাড ভিশন বাংলাদেশ এর ১৭ বছর পূর্তি উপলক্ষে আগামী ৩০ ডিসেম্বর ২০২৪, সোমবার সন্ধ্যা ৬টায় চট্টগ্রাম ক্লাবের বিপরীতে কুক আউট রেস্টুরেন্টে আয়োজন করা হয়েছে বিশেষ আলোচনা সভা, গাছের চারা ও শীতবস্ত্র বিতরণ, গ্রীণম্যান এ্যাওয়ার্ড প্রদান, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও নৈশভোজ।
প্রধান অতিথি ও উদ্বোধক প্রধান অতিথি: জনাব মুহাম্মদ আনোয়ার পাশা, অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক), চট্টগ্রাম। উদ্বোধক: জনাব আলহাজ্ব মোঃ আবদুল আজিজ, চেয়ারম্যান, ন্যাশনাল এনভায়রনমেন্ট এন্ড হিউম্যান রাইটস ফাউন্ডেশন।
বিশেষ অতিথিবৃন্দ: জনাব মোঃ সাইদুল ইসলাম – পরিচালক, বিভাগীয় পাসপোর্ট ও ভিসা অফিস, চট্টগ্রাম। জনাব লায়ন সৈয়দ মোঃ মোরশেদ হোসেন – প্রেসিডেন্ট, চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতাল। জনাব মোঃ কামাল উদ্দিন – যুগ্ম সম্পাদক, দৈনিক ভোরের আওয়াজ ও দি ডেইলি ব্যানার। জনাব মুহাম্মদ ইউসুফ – নির্বাহী পরিচালক (প্রযুক্তি), বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশন।
জনাব এম.এ. সবুর – মহাব্যবস্থাপক, ফুলকলি ফুড প্রোডাক্টস লি. জনাব মোঃ হেলাল উদ্দিন সিকদার – বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সমাজসেবী।
সভাপতি: জনাব মোঃ সাজেদুল আলম চৌধুরী মিল্টন, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান, এ্যাড ভিশন বাংলাদেশ। অনুষ্ঠানের প্রধান কার্যক্রম: গাছের চারা বিতরণ: নগর সবুজায়নে উৎসাহিত করতে বিনামূল্যে চারা বিতরণ। শীতবস্ত্র বিতরণ: শীতার্তদের মাঝে শীতবস্ত্র প্রদান। গ্রীণম্যান এ্যাওয়ার্ড: পরিবেশ রক্ষায় বিশেষ অবদানের জন্য সম্মাননা প্রদান। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও নৈশভোজ।
আমন্ত্রণ ও অংশগ্রহণের আহ্বান উক্ত অনুষ্ঠানে আপনি/আপনারা সাদরে আমন্ত্রিত। পরিশেষে বলি– সবুজে সাজাই পৃথিবীর ক্যানভাস, আগামী প্রজন্ম পাবে নতুন আশ্বাস। নদী-আকাশ রাখি স্বচ্ছ আর নীল, গাছের ছায়ায় গড়ি সোনালী কিলোমিটার।
দূষণহীন হোক ধরা, প্রাণে ভরে হাসি, এ্যাডভিশন বাংলাদেশ—ভবিষ্যৎ গড়ার আশা ভাসি।

লেখকঃ যুগ্ন সম্পাদক ও চট্টগ্রাম বিভাগের ব্যুরো প্রধান দৈনিক ভোরের আওয়াজ এবং ইংরেজি দৈনিক the daily banner,গবেষক, সাহিত্যিক, টেলিভিশন উপস্থাপক ও মহাসচিব চট্টগ্রাম নাগরিক ফোরাম।

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০৩১  
© সমস্ত অধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট