1. mail.bizindex@gmail.com : newsroom :
  2. info@www.bhorerawaj.com : দৈনিক ভোরের আওয়াজ :
শুক্রবার, ০২ মে ২০২৫, ০৮:১৯ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ :
“বাঁশখালীতে ৪ হাজার ইয়াবাসহ টেকনাফের মাদক কারবারি আটক: ব্যবহৃত মোটরসাইকেল জব্দ” হোমনায় মহান মে দিবস উপলক্ষে  বিএনপির বর্ণাঢ্য র‍্যালি  ড. মোহাম্মদ ইউনূস এর শুভ আগমনে বোয়ালখালীবাসীর পক্ষ থেকে হাজী মোহাম্মদ আলম ববির শুভেচ্ছা ও কৃতজ্ঞতা পুলিশ পরিচয়ে ঘরে প্রবেশ করে পরিবারের ৮ জনকে বেঁধে ছয়টি দোকান ঘর গুঁড়িয়ে দিয়ে মালামাল লুট করেছে দুর্বৃত্তরা রোদেলা দুপুরে পারকি সৈকতের বালুকাবেলায় কলম যোদ্ধারা,স্মৃতিময় এক মে দিবস! ড. মোহাম্মদ ইউনূসের দক্ষিণ চট্টগ্রাম সফর সিএমপি কমিশনার ও পাঁচ ওসি পেলেন আইজিপি ব্যাজ সাহস, দক্ষতা ও মানবিক পুলিশিংয়ের স্বীকৃতি আইজি পি ব্যাজ পেলেন ওসি আফতাব উদ্দিন চট্টগ্রাম উন্নয়ন আন্দোলনের সূচনালগ্নের সাহসী পুরুষ ব্যারিস্টার মনোয়ার হোসেন! দৃষ্টি আকর্ষণ

তারেক রহমানের আইনি জয়: ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় সব আসামি খালাস

মো. কামাল উদ্দিন
  • প্রকাশিত: রবিবার, ১ ডিসেম্বর, ২০২৪
  • ৯৭ বার পড়া হয়েছে

আইনি লড়াইয়ের তাপে ধরা পড়ে, অন্যায়ের মিথ্যা বেড়িয়ে আসে একে একে। তাঁরেক রহমানের নামে, দায়ী করেছিলো যে খেলা, আজ সে মিথ্যা হেরে গেছে, সত্য জয়ী হলো ফেরা!

বহুল আলোচিত ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার আপিলের রায়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ সব আসামি খালাস পেয়েছেন। একইসঙ্গে মামলার দ্বিতীয় অভিযোগপত্রকেও হাইকোর্ট অবৈধ ঘোষণা করেছেন। আজ ১ ডিসেম্বর, রোববার, বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের বেঞ্চ এই ঐতিহাসিক রায় প্রদান করেন। রায়ের সারসংক্ষেপ বেলা ১১টার কিছু আগে রায় পড়া শুরু হয়, যেখানে আদালত রাজনৈতিক উদ্দেশে দায়ের করা। অভিযোগপত্রের ভিত্তি নাকচ করেন এবং সব আসামিকে খালাস দেন। এর আগে, ২০১৮ সালের ১০ অক্টোবর বিচারিক আদালত তারেক রহমানসহ ১৯ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং লুৎফুজ্জামান বাবরসহ ১৯ জনকে মৃত্যুদণ্ড প্রদান করেছিলেন। আসামিপক্ষের আইনজীবীদের পক্ষ থেকে দীর্ঘদিন ধরেই দাবি করা হচ্ছিল যে, মামলাটি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। বিশেষ করে, তারেক রহমানের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও আইনি দুর্বলতায় ভরা।

মুফতি হান্নানের দ্বিতীয় জবানবন্দি: ষড়যন্ত্রের মূল ভিত্তি এই মামলার অন্যতম প্রধান ভিত্তি ছিল জঙ্গি নেতা মুফতি হান্নানের দ্বিতীয় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি, যা ভয়ভীতি প্রদর্শনের মাধ্যমে আদায় করা হয়েছিল বলে আসামিপক্ষের আইনজীবীরা আদালতে প্রমাণ করতে সক্ষম হন। মুফতি হান্নান নিজেই ২০১১ সালে এই স্বীকারোক্তি প্রত্যাহারের জন্য আবেদন করেছিলেন, যা আদালতে আমলে নেওয়া হয়নি।
অভিযোগপত্রের আইনি দুর্বলতা
২০০৪ সালে হওয়া এ মামলায় প্রথমে ২২ জনকে আসামি করে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়। পরে আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে অধিকতর তদন্তের ভিত্তিতে তারেক রহমানসহ আরও ৩০ জনকে সম্পূরক অভিযোগপত্রে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। তবে, এই অভিযোগপত্রটি ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে দাখিল না করে সরাসরি জজ আদালতে জমা দেওয়া হয়, যা ফৌজদারি কার্যবিধি অনুযায়ী গ্রহণযোগ্য নয়। আসামিপক্ষের আইনজীবী এসএম শাহজাহান ও শিশির মনির আদালতে জোরালোভাবে তুলে ধরেন যে, অভিযোগপত্রে তারেক রহমানের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য বা প্রমাণ নেই। বরং এটি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে তৈরি একটি ষড়যন্ত্রমূলক মামলা।
আইনি লড়াই ও ন্যায়বিচারের জয়
২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার মতো বর্বর ঘটনায় প্রকৃত অপরাধীদের আড়াল করে তারেক রহমানকে জড়ানোর এই প্রচেষ্টা ন্যায়বিচার ও আইনের শাসনের জন্য ছিল একটি বড় হুমকি। কিন্তু দীর্ঘ আইনি লড়াই শেষে আজ আদালত ন্যায়বিচারের পথেই রায় প্রদান করেছেন।
এই রায় প্রমাণ করেছে, সত্যকে চিরকাল দমিয়ে রাখা সম্ভব নয়। তারেক রহমানসহ সব আসামি আজ ন্যায়ের জয় পেয়েছেন। এই রায় কেবল তারেক রহমানের জন্য নয়, বরং বাংলাদেশের বিচারব্যবস্থার স্বচ্ছতা ও নিরপেক্ষতার একটি গুরুত্বপূর্ণ নজির হয়ে থাকবে।
মিথ্যা মামলার কিছু অপ্রিয় সত্যি কথা -তারেক রহমান: 

ভীতিকর ষড়যন্ত্র ও ন্যায়বিচারের সংকট ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট ভয়াবহ গ্রেনেড হামলা মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার পুত্র ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে জড়িয়ে দেওয়া একটি গভীর রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রেরই অংশ। মামলার প্রক্রিয়া, সাক্ষ্য-প্রমাণ, এবং আদালতের কার্যক্রম বিশ্লেষণ করলে স্পষ্ট হয় যে, তারেক রহমানকে এই মামলায় জড়ানো উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং ন্যায়বিচারের আদর্শ থেকে বহু দূরে। ১৬৪ ধারার স্বীকারোক্তি: ষড়যন্ত্রের মূল ভিত্তি
জঙ্গি নেতা মুফতি হান্নান এই মামলায় গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র হলেও তার বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণের জন্য দুই দফায় ১৬৪ ধারার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি নেওয়া হয়। প্রথমবার দেওয়া জবানবন্দিতে মুফতি হান্নান তারেক রহমানের সম্পৃক্ততার বিষয়ে কোনো বক্তব্য দেননি। কিন্তু দ্বিতীয়বার, ভয়ভীতি ও প্রলোভন দেখিয়ে তার কাছ থেকে স্বীকারোক্তি আদায় করা হয়, যেখানে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে তারেক রহমানের নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়। ২০১১ সালে মুফতি হান্নান তার দেওয়া দ্বিতীয় স্বীকারোক্তি প্রত্যাহারের জন্য দরখাস্ত করলেও সেটি আদালতে আমলে নেওয়া হয়নি। এ থেকেই বোঝা যায়, এই স্বীকারোক্তি কতটা অনৈতিকভাবে আদায় করা হয়েছিল। সাক্ষ্যপ্রমাণের দুর্বলতা এই মামলায় ৫১১ জন সাক্ষীর মধ্যে ২২৫ জন আদালতে সাক্ষ্য প্রদান করেছেন। তবে কারো সাক্ষ্যে তারেক রহমানের জড়িত থাকার বিষয়ে কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি। এমনকি যারা ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন, তাদের মধ্যেও কেবল মুফতি হান্নানের দ্বিতীয় স্বীকারোক্তিতে তারেক রহমানের নাম এসেছে, যা পরবর্তীতে প্রত্যাহারের আবেদন করা হয়।
অভিযোগপত্রে গোঁজামিল
২০১১ সালের ৩ জুলাই, মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আবদুল কাহ্হার আখন্দ নতুন করে তারেক রহমানসহ ৩০ জনের নাম যুক্ত করে ৫২ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। কিন্তু এই অভিযোগপত্রেও এমন কোনো প্রমাণ উপস্থাপন করা হয়নি, যা তারেক রহমানের সরাসরি সংশ্লিষ্টতা নিশ্চিত করে।
রাজনৈতিক প্রতিহিংসার প্রকট উদাহরণ এই মামলায় তারেক রহমানকে জড়িয়ে দেওয়া আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক প্রতিহিংসার একটি ভয়াবহ উদাহরণ। ২১ আগস্টের মতো একটি নির্মম ঘটনায় প্রকৃত দোষীদের আড়ালে রেখে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে দমন করার এই প্রক্রিয়া শুধু ন্যায়বিচারকেই প্রশ্নবিদ্ধ করেনি, বরং দেশের বিচার ব্যবস্থার ওপর জনগণের আস্থাও নষ্ট করেছে।
প্রকৃত সত্য তুলে ধরা জরুরি
জাতীয়তাবাদী শক্তি হিসেবে আমাদের দায়িত্ব প্রকৃত সত্য তুলে ধরা। প্রোপাগান্ডার রাজনীতি না করে তথ্য-উপাত্তের ভিত্তিতে নতুন প্রজন্মকে জানাতে হবে যে, কীভাবে তারেক রহমানকে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে এই মামলায় জড়ানো হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভ্রান্তিমূলক আলোচনা না করে সঠিক তথ্য উপস্থাপন করা হলে জনগণের মধ্যে ন্যায়বিচারের প্রত্যাশা এবং প্রকৃত সত্য জানার আগ্রহ সৃষ্টি হবে। তারেক রহমানকে যাবজ্জীবন দণ্ড দিয়ে আওয়ামী লীগ তাদের রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে দমন করতে চেয়েছে। কিন্তু সত্যকে চিরকাল আড়াল করে রাখা সম্ভব নয়। জনগণ একদিন বুঝবে, এই ষড়যন্ত্র শুধু তারেক রহমানের বিরুদ্ধে নয়, বরং এটি ছিল ন্যায়বিচারের বিরুদ্ধে একটি বড় আঘাত। তারেক রহমান: রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার ও আইনি লড়াইয়ে জয় বাংলাদেশের রাজনীতির প্রেক্ষাপটে তারেক রহমানের নাম বরাবরই বিতর্ক ও আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে। দীর্ঘ সময় ধরে তিনি রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হয়েছেন বলে মনে করেন তার দলের নেতাকর্মী ও আইন বিশেষজ্ঞরা। তার বিরুদ্ধে থাকা একাধিক মামলার অধিকাংশই রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে প্রমাণিত হয়েছে, যা আদালতের সাম্প্রতিক রায়গুলোতেও প্রতিফলিত।
২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলা: অভিযোগের ভিত্তিহীনতা
২০০৪ সালের ২১ আগস্ট ঢাকার বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে আওয়ামী লীগের সমাবেশে ভয়াবহ গ্রেনেড হামলার ঘটনায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নাম সম্পূর্ণভাবে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে জড়ানো হয়েছিল। সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার এবং পরবর্তীতে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে মামলার পুনঃতদন্ত করা হয়। আদালতে তারেক রহমানের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলো প্রমাণিত হয়নি। সম্প্রতি হাইকোর্টের রায়ে তারেক রহমানসহ সকল আসামিকে খালাস দেওয়া হয় এবং মামলার অভিযোগপত্রকে অবৈধ ঘোষণা করা হয়। অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলা: সত্যের অপলাপ
২০০৭ সালে সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়ে দায়ের হওয়া জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় তারেক রহমানের বিরুদ্ধে আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়েছিল। আদালতের পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে, মামলার ভিত্তি দুর্বল এবং প্রমাণিত নয়। দেশি-বিদেশি বিশেষজ্ঞরাও এ মামলাকে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার হাতিয়ার হিসেবে চিহ্নিত করেছেন।
জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদের মামলা ২০০৭ সালে তারেক রহমান ও তার স্ত্রী জুবাইদা রহমানের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ ছিল সম্পূর্ণ অনুমাননির্ভর। আদালতে এই মামলা নিয়ে বহুবার প্রশ্ন উঠেছে, এবং এর গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে আইনজ্ঞ মহলে সমালোচনা হয়েছে। অর্থপাচার মামলা: অভিযোগ থেকে মুক্তি সিঙ্গাপুরে অর্থপাচারের অভিযোগে দায়ের হওয়া মামলায় ২০১৩ সালে ঢাকার একটি আদালত তারেক রহমানকে খালাস দেন। তবে, একই মামলায় তারেকের ঘনিষ্ঠ বন্ধু গিয়াস উদ্দিন আল মামুনকে শাস্তি দেওয়া হয়, যা অভিযোগের ভিত্তিহীনতা আরও স্পষ্ট করে। মানহানি ও রাষ্ট্রদ্রোহের মামলার বাস্তবতা তারেক রহমানের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ ও মানহানির বেশ কিছু মামলাও দায়ের করা হয়েছে, যা একাংশ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। এসব মামলার অধিকাংশই দীর্ঘদিন ধরে ঝুলে আছে এবং আইনি প্রক্রিয়ায় দুর্বল বলে প্রমাণিত।
তারেক রহমান: রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার
তারেক রহমানের বিরুদ্ধে আনা মামলাগুলোর ভিত্তি বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, এগুলোর বেশিরভাগই রাজনৈতিক প্রতিহিংসার ফল। সাম্প্রতিক রায়ে তারেক রহমানের নির্দোষ প্রমাণিত হওয়া শুধু তার রাজনৈতিক জীবনের জন্য নয়, বাংলাদেশের বিচার ব্যবস্থার নিরপেক্ষতার জন্যও একটি গুরুত্বপূর্ণ উদাহরণ।
দেশে ফেরা ও ভবিষ্যৎ নেতৃত্বের প্রত্যাশা বিএনপির নেতাকর্মীরা এখন তারেক রহমানের দেশে ফেরার অপেক্ষায়। তারা বিশ্বাস করেন, তারেক রহমানের নেতৃত্বে দল আরও শক্তিশালী হয়ে উঠবে এবং বাংলাদেশে প্রকৃত গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হবে। সাম্প্রতিক রায়গুলো প্রমাণ করেছে, সত্যকে চাপা দিয়ে রাখা যায় না। তারেক রহমানের এই আইনি বিজয় শুধু তার নয়, বরং বাংলাদেশের জনগণের ন্যায়বিচারের জন্য একটি বড় অর্জন।
তারেক রহমান: রাজনৈতিক নেতৃত্বে উত্থান ও সংগঠকের পরিচয় তারেক রহমান, সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার প্রথম সন্তান, জন্মগ্রহণ করেন ১৯৬৫ সালের ২০ নভেম্বর। তার শৈশব ও শিক্ষাজীবন অত্যন্ত মেধাবী ও সংগঠকসুলভ নেতৃত্বের প্রতিফলন ঘটায়। তারেক রহমান প্রথমে বিএএফ শাহীন কলেজে পড়াশোনা শুরু করেন এবং পরবর্তীতে সেন্ট জোসেফ কলেজ, ঢাকা রেসিডেন্সিয়াল মডেল কলেজ, ও আদমজী ক্যান্টনমেন্ট কলেজে শিক্ষা সম্পন্ন করেন। তিনি মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শেষ করার পর ১৯৮৪ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আইন বিভাগে ভর্তি হন। পরে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগে স্থানান্তরিত হয়ে সেখানে পড়াশোনা করেন। তারেক রহমানের কর্মজীবনের শুরু ব্যবসা খাত দিয়ে। বস্ত্রশিল্প ও নৌ-যোগাযোগ খাতে সফলভাবে ব্যবসা পরিচালনার পাশাপাশি তিনি ধীরে ধীরে রাজনীতিতে সক্রিয় হন। পিতা জিয়াউর রহমান প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের বগুড়া জেলা কমিটির সদস্য হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে তার রাজনৈতিক জীবনের সূচনা হলেও এর আগে থেকেই তিনি দলের কার্যক্রমে সক্রিয় ছিলেন।
রাজনৈতিক কার্যক্রমে অংশগ্রহণ
১৯৯১ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে তারেক রহমান তার মা বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে সারা দেশে নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নেন। ২০০১ সালের নির্বাচনেও তিনি নির্বাচনী প্রচারণার নেতৃত্ব দেন। তার এই প্রচারণামূলক কার্যক্রম শুধু দলের জন্য কার্যকর ভূমিকা রাখেনি, বরং তারেক রহমানের দক্ষ সংগঠক হিসেবে পরিচিতি তৈরি করে। ২০০২ সালে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তাকে দলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। এই দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকেই তিনি দলকে আরও সংগঠিত করতে মাঠপর্যায়ের নেতাকর্মীদের সঙ্গে সরাসরি মতবিনিময় শুরু করেন। মূল সংগঠনসহ সহযোগী সংগঠন—যেমন জাতীয়তাবাদী যুবদল, জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল, ও স্বেচ্ছাসেবক দলের কার্যক্রমেও তার সক্রিয় অংশগ্রহণ ছিল প্রশংসনীয়। তিনি মাঠপর্যায়ে দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়মিত মতবিনিময় এবং তাদের পরামর্শ গ্রহণের মাধ্যমে তারেক রহমান দলের কর্মীদের মধ্যে অভূতপূর্ব প্রেরণা জাগিয়ে তুলতে সক্ষম হন। তার এসব কার্যক্রমের ফলে তিনি তরুণ নেতাকর্মীদের মাঝে শুধু প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধানমন্ত্রীর সন্তান হিসেবে নয়, একজন দক্ষ সংগঠক ও শক্তিশালী নেতা হিসেবে পরিচিতি লাভ করেন। তারেক রহমানের নেতৃত্বে তারুণ্যনির্ভর গণসংযোগ কার্যক্রম বিএনপিকে শক্তিশালী রাজনৈতিক ভিত্তি গড়ে তুলতে সহায়তা করেছে। তার অসাধারণ সাংগঠনিক দক্ষতা তাকে দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের গুরুত্বপূর্ণ স্তরে প্রতিষ্ঠিত করেছে এবং জাতীয় রাজনীতিতে একটি নতুন অধ্যায়ের সূচনা করেছে।

লেখকঃ

ব্যুরো প্রধান ও যুগ্ম সম্পাদক-দৈনিক ভোরের আওয়াজ এবং
The Daily Banner গবেষক ও টেলিভিশন উপস্থাপক।

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০৩১  
© সমস্ত অধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট