1. mail.bizindex@gmail.com : newsroom :
  2. info@www.bhorerawaj.com : দৈনিক ভোরের আওয়াজ :
শনিবার, ০৩ মে ২০২৫, ১০:৫৬ অপরাহ্ন
সর্বশেষ :
বাংলাদেশ জেলা ও বিভাগীয় ক্রীড়া সংগঠক অ্যাসোসিয়েশন এর এডহক কমিটির আত্মপ্রকাশ আইজিপি ব্যাজপ্রাপ্ত ওসি সোলাইমান: জনবান্ধব পুলিশিংয়ের অনন্য প্রতিচ্ছবি! বিশ্ব সংবাদ পত্রের স্বাধীনতা দিবস ও সংবাদ পত্র নিয়ে কিছু কথা! বাকলিয়া থানার আলোচিত ডাবল মার্ডারের প্রধান আসামি হাসান গ্রেফতার চট্টগ্রামে এনসিপির বিক্ষোভে উত্তাল জনসভার দাবি: আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করুন! আইজিপি ব্যাজে ভূষিত পাহাড়তলী থানার ওসি বাবুল আজাদ: নিষ্ঠা, নেতৃত্ব ও মানবিক পুলিশের উজ্জ্বল প্রতীক! চান্দগাঁও থানার ওসি আফতাব উদ্দিনকে আইজিপি ব্যাজ: নিষ্ঠা, পেশাদারিত্ব ও জনগণের আস্থার প্রতীক! কোতোয়ালি থানায় সাজাপ্রাপ্ত দুই পলাতক আসামী গ্রেফতার শেষ হলো দাওয়াতে ইসলামীর তিনদিনের চট্টগ্রাম বিভাগীয় ইজতেমা বালুকাবেলার আত্মঘোষণা: যেখানে সাংবাদিকতা হয়ে ওঠে প্রতিবাদের কবিতা

চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালের অনুদানের টাকা আত্মসাৎ: দুর্নীতির বৃত্তচক্র ভাঙার আহ্বান

মো. কামাল উদ্দিন
  • প্রকাশিত: সোমবার, ১১ নভেম্বর, ২০২৪
  • ২৬৩ বার পড়া হয়েছে

চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালে সরকারের অনুদান আত্মসাতের এক ভয়াবহ উদাহরণ সাম্প্রতিককালে আলোচিত হয়েছে। ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে সরকারী অনুদানের (জি ও বি গ্রান্ট) ৪র্থ কিস্তি ছাড়ের সময় তিন লক্ষ টাকা “বিবিধ খরচ” হিসেবে দেখিয়ে দুর্নীতির মাধ্যমে সেই অর্থ আত্মসাৎ করা হয়েছে। এই অর্থ সরাসরি নগদ পাঠানো হয় এস এ পরিবহন সার্ভিসের মাধ্যমে, যা সাধারণ সম্পাদক ও সভাপতির কাছে পৌঁছেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। কিন্তু এই তথাকথিত “বিবিধ খরচ” আসলে কী, তার সঠিক হিসাব কিংবা স্বচ্ছতা নেই। একবিংশ শতাব্দীতে দাঁড়িয়ে এ ধরনের কর্মকাণ্ডে জনমনে গভীর ক্ষোভের সৃষ্টি করেছে।

হাসপাতালের সাধারণ সম্পাদক এবং সভাপতির নেতৃত্বে একটি শক্তিশালী সিন্ডিকেট দীর্ঘদিন ধরে এখানে ক্ষমতায় থেকে নিজেদের স্বার্থসিদ্ধি করে চলেছেন। অভিযোগ রয়েছে, তাঁরা নির্বাচনে নিজেদের আধিপত্য কৌশলে ধরে রেখেছেন, যাতে তাঁদের ক্ষমতার মেয়াদ অব্যাহত থাকে। হাসপাতালের তহবিল পরিচালনা ও সরকারি অনুদান বরাদ্দের ক্ষেত্রে এই সিন্ডিকেট অবৈধ উপায়ে দুর্নীতি এবং অনিয়ম করে চলছে। যেকোনোভাবে “বিবিধ খরচ” দেখিয়ে অনুদানের টাকা তোলার নামে জনগণের অর্থ লুটপাট করা হচ্ছে। দুর্নীতির এই মর্মান্তিক উদাহরণে সাধারণ জনগণ হতবাক ও ক্ষুব্ধ। অনেকেই মনে করছেন, হাসপাতালটি একপ্রকার ব্যক্তিগত জমিদারবাড়িতে পরিণত হয়েছে, যেখানে সাধারণ সম্পাদক ও সভাপতি পদে থাকা ব্যক্তিরা সব ধরনের বিলাসবহুল সুবিধা ভোগ করছেন। হাসপাতালের গাড়ি সারাদিন তাঁদের কাজে ব্যবহৃত হয়, ঢাকায় যাতায়াতেও তাঁরা বিমানের সুবিধা পান। আরও চমকপ্রদ বিষয় হলো, ঢাকায় গোপনীয় লেনদেন ও নগদ অর্থপ্রাপ্তির জন্য এস এ পরিবহনের মাধ্যমে অর্থ আদান-প্রদানের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।

এই ঘটনার প্রকৃত সত্য বের করে আনতে এবং হাসপাতালটিকে রক্ষা করতে প্রয়োজন কঠোর তদন্ত। দৈনিক সকালের সময়, দৈনিক ভোরের আওয়াজ এবং ইংরেজি দৈনিক The Daily Banner-এর তদন্তে চাঞ্চল্যকর সব তথ্য প্রকাশিত হচ্ছে, যা জনসাধারণের সামনে তুলে ধরবে হাসপাতালের দায়িত্বপ্রাপ্তদের অপকর্মের বাস্তব রূপ। সময় এসেছে, যে সমাজসেবার নামে এই দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন তাঁরা সত্যিকার অর্থে দায়িত্ব পালন করবেন, নাকি পদত্যাগ করে প্রকৃত সমাজসেবকদের হাতে দায়িত্ব তুলে দেবেন। জীবন ও দাতা সদস্যদের উচিত এই পরিস্থিতির মোকাবিলা করা এবং হাসপাতাল পরিচালনা পরিষদে প্রকৃত সমাজসেবকরা যেন নেতৃত্বে আসতে পারেন তা নিশ্চিত করা। শুধুমাত্র তখনই এই প্রতিষ্ঠানটি জনগণের প্রতি আসল সেবাদান করতে পারবে এবং এ ধরনের দুর্নীতি থেকে মুক্ত হয়ে সমাজে একটি উদাহরণ স্থাপন করতে সক্ষম হবে। এখনই সময়, চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালের দুর্নীতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের বিচ্যুত করে প্রকৃত সেবক ও নিষ্ঠাবানদের দায়িত্বে নিয়ে আসার, যাতে জনগণের অর্থ জনগণের সেবায় ব্যবহৃত হয় এবং এই প্রতিষ্ঠানটি পুনরায় একটি সেবার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়।

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২১৩১৪১৫১৬
১৭১৮১৯২০২১২২২৩
২৪২৫২৬২৭২৮২৯৩০
© সমস্ত অধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট