আজ ১২ অক্টোবর ২০২৪, চট্টগ্রাম ডায়াবেটিস জেনারেল হাসপাতালের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা তথাকথিত অবৈধ কমিটির সভাপতি জাহাঙ্গীর চৌধুরীর বিরুদ্ধে সরাসরি আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ এবং একটি স্থায়ী প্রশাসক নিয়োগের দাবিতে কঠোর প্রতিবাদ করেন। সকাল ৯টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত কর্মবিরতি পালন করে, কর্মীরা হাসপাতালের অভ্যন্তরে এবং প্রধান সড়কে প্রতিবাদী মিছিল করেন। তাদের দাবি একটাই—দুর্নীতি এবং অপশাসনের কবল থেকে এই হাসপাতালকে মুক্ত করতে হবে। প্রতিবাদী কর্মীরা জানান, “জাহাঙ্গীর চৌধুরী ও তার অনুগামীদের দ্বারা এই হাসপাতালটি দুর্নীতির কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে। প্রতিদিন নতুন নতুন আর্থিক কেলেঙ্কারি ও ক্ষমতার অপব্যবহারের ঘটনা সামনে আসছে। এই অবস্থা থেকে মুক্তির জন্য জেলা প্রশাসক এবং সিভিল সার্জনের সরাসরি হস্তক্ষেপ অত্যন্ত জরুরি। আমাদের দাবিগুলো পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাবো।”
হাসপাতালের নার্সদের মধ্যে একজন প্রতিবাদী বক্তব্যে বলেন, “চিকিৎসা সেবা ও হাসপাতালের সুষ্ঠু পরিচালনার জন্য যে আর্থিক সংস্থান প্রয়োজন, তা সঠিকভাবে ব্যবহার না করে ব্যক্তিগত স্বার্থে অপব্যবহার করা হচ্ছে। এই দুর্নীতি আমাদের প্রাত্যহিক কাজকর্মকেও বাধাগ্রস্ত করছে। আমরা জেলা প্রশাসকের কাছে আবেদন জানাই, দ্রুত এই অবৈধ কমিটি বাতিল করে একজন সৎ এবং দক্ষ প্রশাসক নিয়োগের মাধ্যমে আমাদের এই সংকটের সমাধান করুন।” কর্মচারীরা জানান, জাহাঙ্গীর চৌধুরী গ্রুপ বিভিন্নভাবে তাদের আন্দোলন দমাতে হুমকি-ধমকি দিয়েছে। তবুও, তারা তাদের ন্যায়সঙ্গত দাবি আদায়ের জন্য অবিচল। আন্দোলনের আয়োজকরা জানান, “আমাদের চট্টগ্রাম ডায়াবেটিস হাসপাতাল সাধারণ মানুষের সেবা দেওয়ার জন্য তৈরি করা হয়েছে। কিন্তু বর্তমানে এটি জাহাঙ্গীর চৌধুরী ও তার সহযোগীদের ব্যক্তিগত সম্পত্তিতে পরিণত হয়েছে। তাদের সকল দুর্নীতি রোধে এখনই ব্যবস্থা নেওয়া অত্যন্ত জরুরি।” হাসপাতালের সামনে উপস্থিত প্রতিবাদকারীদের সমর্থনে চট্টগ্রামের সাধারণ জনগণও একাত্মতা প্রকাশ করে বলেন, “ডায়াবেটিস হাসপাতাল হলো আমাদের চিকিৎসার মূল কেন্দ্র। এই প্রতিষ্ঠানটির উপর আমাদের নির্ভরশীলতা অপরিসীম। দুর্নীতির কারণে এই হাসপাতালটি ধ্বংস হতে দেওয়া যাবে না।”
এছাড়াও, আন্দোলনে অংশ নেওয়া বিভিন্ন কর্মীরা জোর দিয়ে বলেন যে, তাদের আন্দোলন শুধুমাত্র জাহাঙ্গীর চৌধুরীর অপসারণের জন্য নয়, বরং সামগ্রিকভাবে হাসপাতালের স্বচ্ছতা এবং দক্ষতা নিশ্চিত করার জন্য। তারা বলেন, “আমরা কোনো ব্যক্তিগত আক্রোশে মত্ত নই; আমাদের লক্ষ্য হলো হাসপাতালের উন্নতি ও চিকিৎসা সেবার মান উন্নত করা। প্রশাসন যদি আমাদের দাবিগুলোকে গুরুত্বের সাথে গ্রহণ না করে, তবে আমরা আন্দোলন আরও জোরালো করব।”