1. mail.bizindex@gmail.com : newsroom :
  2. info@www.bhorerawaj.com : দৈনিক ভোরের আওয়াজ :
সোমবার, ০৪ অগাস্ট ২০২৫, ০৩:২১ অপরাহ্ন
সর্বশেষ :
‎পুলিশের প্রতিবেদনে উঠে এলো রংপুরের হিন্দু পাড়ার হামলার ঘটনার ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ শ্রীমঙ্গল থেকে ভুলে পঞ্চগড়ে, পরিবারকে ফিরে পেতে চায় ছোট্ট রিয়াদ নবীনগর পৌর শাখার ৫, ৬, ৭,নং ওয়ার্ডের কৃষক দলের উদ্যোগে দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত খুলনায়  অবৈধ পলিথিন বন্ধে পরিবেশ অধিদপ্তরের অভিযান টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে জুলাই যোদ্ধাদের সংবর্ধনা ভোটকেন্দ্রভিত্তিক সাংগঠনিক পুনর্বিন্যাসে জামায়াতের কৌশলী সম্মেলন: গলাচিপার উলানিয়ায় নেতাদের দৃঢ় অবস্থান টানা চতুর্থবারের মতো শ্রেষ্ঠ ট্রাফিক ইনস্পেক্টর নির্বাচিত হলেন লোহাগাড়ার গর্ব মোঃ হাসানুজ্জামান হায়দার পঞ্চগড়ে জুলাই হত্যার বিচার ও জুলাই সনদ ঘোষণার দাবিতে শিবিরের জুলাই দ্রোহ  হাটহাজারীতে ‘জাগৃতি’র উদ্যোগে ফ্রি চিকিৎসা ক্যাম্প,শাহ আনোয়ার (রহঃ) ফাউন্ডেশন চৌধুরীহাটে কিশোরীকে তুলে নিয়ে বিয়ে, সালিশে বাবাকে পিটিয়ে হত্যা: গ্রেফতার ২

পতাকার ইতিহাস ও প্রতীকী অর্থ: এক ঐতিহাসিক পর্যালোচনা

মোঃ কামাল উদ্দিন
  • প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ১৮ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫

পতাকার উৎপত্তি রহস্যময়, এবং কখন প্রথম পতাকা উত্তোলন করা হয়েছিল তার সময়কালও অজানা। আনুমানিক খ্রিস্টপূর্ব ৩৫০০ সালের প্রাক-রাজবংশীয় মিশরীয় মৃৎশিল্পে পতাকা-জাতীয় ভেক্সিলয়েডসহ জাহাজের উপস্থাপনা লক্ষ্য করা যায়। প্রাচীন ইতিহাসে যুদ্ধক্ষেত্রে ভেক্সিলয়েড ব্যবহার করা হতো, যার উৎপত্তিস্থল মিশর বা আসিরিয়া হতে পারে।
পতাকার উৎপত্তি যদিও অস্পষ্ট, তবে ইরানের শাহদাদে ব্রোঞ্জ নির্মিত প্রাচীনতম পতাকা পাওয়া গিয়েছিল, যার সময়কাল আনুমানিক খ্রিস্টপূর্ব ২৪০০। এই পতাকায় বসে থাকা একজন পুরুষ এবং তার সামনে নতজানু হয়ে দাঁড়িয়ে থাকা একজন নারী ছিল। এই দুজনের মাঝে একটি তারা ছিল। এই ধরনের নকশা অন্যান্য ইরানি ব্রোঞ্জযুগীয় শিল্পকর্মে পাওয়া যায়। খ্রিস্টপূর্ব ৫৫০ থেকে ৩৩০ অব্দে পারস্যে এক ধরনের পতাকার প্রচলন ছিল। যুদ্ধক্ষেত্রে সেনাদল সমন্বয়ের জন্য প্রথম পতাকা ব্যবহৃত হয়। মধ্যযুগে পতাকার ব্যাপক প্রচলন শুরু হয়, যা শুধুমাত্র রাষ্ট্রীয় প্রতীক হিসেবেই নয়, বিভিন্ন কাজে সমন্বয়ের জন্য নানা আয়তন, রঙ এবং নকশায় তৈরি করা হতো। ১৩শ শতাব্দীতে ডেনমার্কে রাষ্ট্রীয় পতাকার প্রচলন ঘটে, যা বিশ্বের সবচেয়ে পুরনো রাষ্ট্রীয় পতাকা হিসেবে বিবেচিত হয়। ১৬৩০ খ্রিস্টাব্দের পর পতাকা তৈরিতে লাল, নীল এবং সাদা রঙের ব্যবহার বৃদ্ধি পায়। ১৭৭৭ খ্রিস্টাব্দের ১৪ জুন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় পতাকা আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি লাভ করে। ১৭৯৪ খ্রিস্টাব্দে ফ্রান্সে জাতীয় পতাকার উদ্ভব ঘটে। ১৯৭১ খ্রিস্টাব্দের ২ মার্চ বাংলাদেশে প্রথম জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। ভারতে এই পতাকাটিকে সাধারণত “তেরঙা” বা “ত্রিবর্ণরঞ্জিত পতাকা” বলা হয়। পিঙ্গালি ভেঙ্কাইয়া, ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের “স্বরাজ” পতাকার ভিত্তিতে এই পতাকাটির নকশা প্রস্তুত করেন।
এটি আপনার দেয়া লেখাটি সংশোধন করা হয়েছে। পতাকার ইতিহাস অনেক পুরনো এবং এটি বিভিন্ন সভ্যতার বিকাশের সাথে সম্পর্কিত। পতাকা মূলত একটি প্রতীক হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে, যা সঙ্কেত, পরিচয়, এবং ঐতিহ্যের প্রতিফলন। তবে পতাকা ব্যবহার, এর অর্থ ও কার্যকারিতা পৃথিবীর বিভিন্ন সভ্যতায় সময়ের সাথে পাল্লা দিয়ে পরিবর্তিত হয়েছে।
পতাকার আরো ইতিহাসঃ
পতাকার ব্যবহার প্রাচীন সভ্যতার সময় থেকেই শুরু হয়েছিল। প্রাচীন মিশর, ব্যাবিলন, গ্রীস, রোম, এবং চীন সহ বহু সভ্যতার মধ্যে পতাকা বা প্রতীক ব্যবহৃত হতো। তবে আধুনিক পতাকা ব্যবহারের শুরু এবং এর ব্যবহারের মূল উদ্দেশ্য সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা পাওয়া যায় মধ্যযুগে। ১. প্রাচীন সভ্যতায় পতাকার ব্যবহারঃ
প্রাচীন মিশর, ব্যাবিলন, গ্রীস, এবং রোমে পতাকা বা অন্যান্য ধরণের সিগন্যালিং পদ্ধতি ব্যবহার করা হত। প্রাচীন মিশরে, রাজাদের একটি ধ্বনির মাধ্যমে বা পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে সৈন্যদের নির্দেশ দেওয়া হত। তবে তখন পতাকা মূলত সামরিক উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত হত, যুদ্ধের সময় শত্রুদের বিরুদ্ধে সম্মুখযুদ্ধে নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য।
২. মধ্যযুগে পতাকা ব্যবহারের প্রবর্তনঃ মধ্যযুগে পতাকা ব্যবহারের ধারণা আরও ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হতে শুরু করে। বিশেষ করে, ক্রুসেড (১১-১৩ শতক) এর সময়, খ্রিস্টানরা নিজেদের সেনাবাহিনীর পরিচয় তুলে ধরতে পতাকা ব্যবহার করত। এখানে পতাকাগুলি শুধু যুদ্ধের জন্যই ছিল না, বরং প্রভাব ও শক্তির প্রতীক হিসেবে ব্যবহৃত হতো।
৩. আধুনিক পতাকার উদ্ভবঃ
পতাকার আধুনিক ব্যবহার মূলত ১৭ শতক থেকে শুরু হয়। এই সময় থেকেই বিভিন্ন দেশের জাতীয় পতাকা ও প্রতীক উদ্ভাবিত হয়, এবং এটি প্রথমত দেশীয় পরিচয় হিসেবে ব্যবহার হতে শুরু করে। উদাহরণস্বরূপ, ১৬৯৫ সালে ডেনমার্ক বিশ্বের প্রথম আধুনিক জাতীয় পতাকা (ডেনমার্কের পতাকা) গ্রহণ করে। এরপর, ১৭৭৫ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পতাকা প্রথম ব্যবহৃত হয়, যা তার পরবর্তী সময়ে অন্যান্য দেশের জাতীয় পতাকার উদ্ভবের প্রেরণা হিসেবে কাজ করে।
পতাকা দিয়ে সংকেত দেখানোর আবিষ্কারঃ পতাকা দিয়ে সংকেত দেখানোর ইতিহাসেরও অনেক পুরনো। প্রাচীনকাল থেকেই, যুদ্ধের সময়ে কিংবা দূরবর্তী স্থান থেকে সংকেত প্রেরণ করার জন্য পতাকা ব্যবহার করা হত। এটি প্রধানত সেনাবাহিনীর মধ্যে যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে ব্যবহৃত হতো।
১. সম্ভাব্য আবিষ্কারকঃ
পতাকা দিয়ে সংকেত দেখানোর পদ্ধতি মূলত সৈন্যদের মধ্যে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতির মাধ্যমে এসেছে। সাধারণত, পুরনো সময়ের সৈন্যরা যুদ্ধে বা যুদ্ধের প্রস্তুতিতে পতাকা ব্যবহারের মাধ্যমে বিভিন্ন সংকেত পাঠাত। এটি মূলত সামরিক প্রধানদের মাথায় আসে, যারা বুঝতে পারতেন যে, দ্রুত ও নির্ভরযোগ্য সংকেত পৌঁছানোর জন্য পতাকা একটি কার্যকরী পদ্ধতি হতে পারে।
২. সমুদ্রযাত্রায় পতাকার ব্যবহারঃ
সমুদ্রযাত্রার ক্ষেত্রে পতাকা একটি অপরিহার্য ভূমিকা পালন করে। ১৮০০ শতকের শুরুর দিকে সমুদ্রযাত্রায় পতাকা দিয়ে সংকেত পাঠানোর পদ্ধতি ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হতে শুরু হয়। সমুদ্রবাণিজ্য এবং যুদ্ধের সময়, পতাকা বা নৌকা পতাকা ব্যবহারের মাধ্যমে শত্রুর অবস্থান, উদ্দেশ্য, বা বাহিনীর শক্তি জানানো হতো।
পতাকার উদ্ভাবক এবং সংকেত পদ্ধতির সৃষ্টিকারীঃ
কোন বিশেষ ব্যক্তি পতাকা ব্যবহার বা সংকেত প্রদানের পদ্ধতির উদ্ভাবক ছিলেন, তা বলা খুব কঠিন। তবে এর মূল বিকাশ হয়েছিল সামরিক প্রধানদের মধ্যে, যাদের মধ্যে কেউ কেউ এই সিস্টেমের প্রয়োগ করেছিলেন। ইতিহাসের বহু জাতি তাদের সেনাবাহিনীর জন্য পতাকা ব্যবহারের পদ্ধতি তৈরি করেছে, তবে এটিকে একটি মৌলিক “আবিষ্কার” হিসেবে গণ্য করা হয় না, বরং এটি ছিল একটি ধাপে ধাপে বিবর্তিত যোগাযোগ পদ্ধতি।
পতাকা দিয়ে সংকেত দেখানোর বিভিন্ন পদ্ধতিঃ
১. মোবাইল সিগন্যালিং (Flag Signalling) এটি একটি পুরনো পদ্ধতি, যেখানে পতাকার বিশেষ ধরনের ভঙ্গি দিয়ে সংকেত দেওয়া হত। যুদ্ধে, এক সৈন্য বা সেনানায়কের নির্দেশক্রমে পতাকা উপরে বা নিচে তোলার মাধ্যমে বিশেষ সংকেত পৌঁছানো হতো।
২. ইন্টারন্যাশনাল সিগন্যালিং (International Maritime Signal Flag) সমুদ্রযাত্রায় ব্যবহৃত পতাকা সিস্টেম বিশ্বের সকল নৌবাহিনীর জন্য একটি সাধারণ সংকেত ব্যবস্থা। একে “নৌকা পতাকা সিস্টেম” বলা হয়, যেখানে ২৬টি অক্ষরের জন্য পৃথক পতাকা আছে। প্রতিটি পতাকা একটি আলাদা শব্দ বা সংখ্যা নির্দেশ করে। পতাকা তার আদি ইতিহাসে সামরিক সংকেত বা পরিচয়ের প্রতীক হিসেবে ব্যবহৃত হলেও, বর্তমান সময়ে এটি একটি রাষ্ট্র, জাতি, ধর্ম, আন্দোলন বা দলগত পরিচয়ের বাহক হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। এটি একটি শক্তিশালী প্রতীক, যা বিভিন্ন সভ্যতার ইতিহাস, সংগ্রাম ও সাফল্যকে প্রতিফলিত করে। পতাকা দিয়ে সংকেত পাঠানো ও তার ব্যবহার যুগ যুগ ধরে চলতে থাকলেও, এর উদ্ভাবক বা প্রথম ব্যবহারকারী নির্দিষ্টভাবে চিহ্নিত করা কঠিন, কারণ এটি এক ধাপ ধাপ করে উন্নত হয়ে আসছে।
পতাকা ও প্রতীক এবং তাদের অর্থের মধ্যে একটি গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক প্রতীকত্ব রয়েছে। পতাকা বিভিন্ন দেশ, আন্দোলন, ধর্মীয় বা সামাজিক সংগঠন এবং বিভিন্ন ঘটনা বা সময়কালকে চিহ্নিত করার জন্য ব্যবহৃত হয়। প্রতিটি রঙ ও প্রতীকই কিছু বিশেষ ধারণা বা মূল্যবোধের প্রতিফলন, যা ঐ পতাকা প্রদর্শনকারী গোষ্ঠীর উদ্দেশ্য ও বিশ্বাসের সাথে সম্পর্কিত। নিম্নে বিভিন্ন রঙের পতাকা ও তাদের প্রতীকী অর্থ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো:
১. সাদা পতাকা – শান্তির প্রতীকঃ
সাদা পতাকা ইতিহাসে এক বিশেষ গুরুত্ব বহন করে, বিশেষ করে যুদ্ধের ক্ষেত্রে। এটি সাধারণত শান্তি, সমঝোতা, এবং যুদ্ধবিরতির প্রতীক হিসেবে ব্যবহৃত হয়। এর ব্যবহার এক প্রকার সংকেত দেয় যে, কোন এক পক্ষ যুদ্ধ থামানোর জন্য বা আলোচনা শুরু করার জন্য প্রস্তুত। উদাহরণস্বরূপ, প্রাচীনকালে যুদ্ধের সময় সৈন্যরা সাদা পতাকা উত্তোলন করে নিজেদের শান্তির ইচ্ছার প্রকাশ করত।এটি আজও বিশ্বব্যাপী যুদ্ধবিরতি বা আলোচনা শুরু করার জন্য ব্যবহৃত হয়।
২. কালো পতাকা – শোকের প্রতীক-কালো পতাকা সাধারণত শোক, মৃত্যু বা ক্ষতির প্রতীক হিসেবে ব্যবহৃত হয়। এটি বিশেষ করে এক নক্ষত্রগত ঘটনার কারণে শোক বা বেদনাকে চিহ্নিত করার জন্য প্রথাগতভাবে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। বহু সংস্কৃতিতে, বিশেষত পশ্চিমা সমাজে, কালো পতাকা শোক, দুঃখ, বা শোকজ্ঞাপন করার জন্য ব্যবহৃত হয়। যেমন, কোনো জাতীয় শোক দিবস বা প্রাকৃতিক দুর্যোগের পর এ পতাকা উত্তোলন করা হয়।
৩. লাল পতাকা – বিপ্লবের প্রতীকঃ
লাল পতাকা বিপ্লব, সংগ্রাম এবং স্বাধীনতার প্রতীক হিসেবে পরিচিত। এটি সাধারণত শ্রমিক আন্দোলন, সমাজতান্ত্রিক বা কমিউনিস্ট আন্দোলনের সাথে যুক্ত। রাশিয়ার বিপ্লবের সময় লাল পতাকার ব্যাপক ব্যবহার ছিল, যা এখনো বিভিন্ন বিপ্লবী সংগঠনের মধ্যে একটি শক্তিশালী প্রতীক হয়ে আছে। লাল পতাকা মুক্তি, রক্তের মূল্য, এবং সংগ্রাম ও সাহসের প্রতিনিধিত্ব করে।
৪. সবুজ পতাকা – ইসলামী ঐতিহ্যঃ সবুজ পতাকা ইসলামী ঐতিহ্যের একটি শক্তিশালী প্রতীক। ইসলাম ধর্মে সবুজ রঙের বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে এবং এটি পবিত্রতা, শান্তি, এবং নবী মুহাম্মদ (সা.) এর আদর্শের প্রতীক হিসেবে গণ্য হয়। সবুজ পতাকা প্রাথমিকভাবে মুসলিম দেশগুলোর জাতীয় পতাকায় ব্যবহৃত হয়, যেমন সৌদি আরবের পতাকায় সবুজ রঙ রয়েছে, যা ইসলামের সঙ্গে সম্পর্কিত।
৫. কমলা পতাকা – উৎসাহ ও উদ্দীপনাঃ কমলা রঙটি সাধারণত উজ্জ্বলতা, প্রাণশক্তি, উৎসাহ এবং উদ্দীপনার প্রতীক। কমলা পতাকা সাধারণত কোনো উৎসব, উদযাপন বা আনন্দের অবস্থাকে চিহ্নিত করতে ব্যবহৃত হয়। এটি ঐতিহ্যগতভাবে সমৃদ্ধি, সাফল্য, এবং নতুন উদ্যোগের প্রতীক। এটি একটি উজ্জীবিত এবং প্রাণবন্ত রঙ, যা আশা এবং নুতনত্বের প্রতীক হিসেবেও দেখা যায়।
৬. হলুদ পতাকা – আলোর প্রতীকঃ হলুদ পতাকা সাধারণত আলোর, জ্ঞান এবং জীবনের উজ্জ্বলতাকে প্রতিফলিত করে। এটি সুখ, সমৃদ্ধি এবং প্রগতি নির্দেশ করে। অনেক সংস্কৃতিতে হলুদ রঙ সৌভাগ্য এবং শান্তির প্রতীক হিসেবে বিবেচিত হয়। এই পতাকা উন্নতি, সৃজনশীলতা এবং নতুন দিগন্তের প্রতি দৃষ্টি নিবদ্ধ করে থাকে। বিশেষভাবে, হলুদ রঙ মানুষের আত্মবিশ্বাস এবং জীবনযাত্রার ইতিবাচকতা প্রকাশ করে।
৭. বেগুনি পতাকা – রাজকীয়তাঃ
বেগুনি রঙ ঐতিহাসিকভাবে রাজকীয়তা, মহিমা, এবং শক্তির প্রতীক হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে এসেছে। প্রাচীনকালে, বেগুনি রঙের কাপড় খুবই দামী ছিল এবং এটি শুধুমাত্র রাজা, সম্রাট বা উচ্চবংশীয় ব্যক্তিরাই পরিধান করতেন। বেগুনি পতাকা সাধারণত রাজকীয় এবং রাষ্ট্রীয় প্রভাব ও ক্ষমতার চিহ্ন হিসেবে ব্যবহৃত হয়। এটি পুরনো ঐতিহ্য এবং মহিমা প্রদর্শন করতে সাহায্য করে।
প্রতিটি পতাকা তার রঙ ও প্রতীকের মাধ্যমে একটি নির্দিষ্ট বার্তা প্রেরণ করে। সাদা পতাকা শান্তি, কালো পতাকা শোক, লাল পতাকা বিপ্লব, সবুজ পতাকা ইসলামিক ঐতিহ্য, কমলা পতাকা উৎসাহ, হলুদ পতাকা আলোর প্রতীক, এবং বেগুনি পতাকা রাজকীয়তার প্রতীক হিসেবে ব্যবহৃত হয়। এই পতাকাগুলি সমাজে বিভিন্ন আন্দোলন, ধর্মীয় বিশ্বাস, ঐতিহাসিক ঘটনা বা রাষ্ট্রীয় শক্তি চিহ্নিত করার জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
চলবে–

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

© সমস্ত অধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট