1. mail.bizindex@gmail.com : newsroom :
  2. info@www.bhorerawaj.com : দৈনিক ভোরের আওয়াজ :
বৃহস্পতিবার, ০১ মে ২০২৫, ১০:৪৯ অপরাহ্ন
সর্বশেষ :
“বাঁশখালীতে ৪ হাজার ইয়াবাসহ টেকনাফের মাদক কারবারি আটক: ব্যবহৃত মোটরসাইকেল জব্দ” হোমনায় মহান মে দিবস উপলক্ষে  বিএনপির বর্ণাঢ্য র‍্যালি  ড. মোহাম্মদ ইউনূস এর শুভ আগমনে বোয়ালখালীবাসীর পক্ষ থেকে হাজী মোহাম্মদ আলম ববির শুভেচ্ছা ও কৃতজ্ঞতা পুলিশ পরিচয়ে ঘরে প্রবেশ করে পরিবারের ৮ জনকে বেঁধে ছয়টি দোকান ঘর গুঁড়িয়ে দিয়ে মালামাল লুট করেছে দুর্বৃত্তরা রোদেলা দুপুরে পারকি সৈকতের বালুকাবেলায় কলম যোদ্ধারা,স্মৃতিময় এক মে দিবস! ড. মোহাম্মদ ইউনূসের দক্ষিণ চট্টগ্রাম সফর সিএমপি কমিশনার ও পাঁচ ওসি পেলেন আইজিপি ব্যাজ সাহস, দক্ষতা ও মানবিক পুলিশিংয়ের স্বীকৃতি আইজি পি ব্যাজ পেলেন ওসি আফতাব উদ্দিন চট্টগ্রাম উন্নয়ন আন্দোলনের সূচনালগ্নের সাহসী পুরুষ ব্যারিস্টার মনোয়ার হোসেন! দৃষ্টি আকর্ষণ

চট্টগ্রামে জমি দখল নিয়ে আইনি বিরোধ: আদালতে চলমান মামলা ও সন্ত্রাসী কার্যকলাপের অভিযোগ

মোঃ কামাল উদ্দিন
  • প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ১৮ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫
  • ৯৭ বার পড়া হয়েছে

চট্টগ্রামে জমি দখল ও মালিকানা সংক্রান্ত এক আইনি বিরোধে আদালতে মামলা চলমান রয়েছে। চট্টগ্রাম জেলা আদালতের এডভোকেট মো. আজিম উদ্দীন তালুকদার (লাভলু) তার মক্কেল মোহাম্মদ একরাম ও মোহাম্মদ ওসমান গং-এর পক্ষ থেকে গত ১৪ ফেব্রুয়ারি দৈনিক পূর্বকোণ পত্রিকায় প্রকাশিত একটি বিজ্ঞপ্তির প্রতিবাদ জানিয়েছেন।

এ বিজ্ঞপ্তিতে জমি দখল সংক্রান্ত কিছু বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রকাশ করা হয়েছিল, যার জবাবে লাভলু বলেন, ‘‘আমাদের পক্ষ থেকে এ ধরনের তথ্য অস্বীকার করা হচ্ছে।’’ তিনি আরো জানান, মোহাম্মদ একরাম ও মোহাম্মদ ওসমান গং ইতোমধ্যে চট্টগ্রাম আদালতে জমির মালিকানা ও দখল সংক্রান্ত একটি মামলা দায়ের করেছেন, এবং তারা তাদের অধিকার প্রতিষ্ঠিত করতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।মোহাম্মদ একরাম ও মোহাম্মদ ওসমান গং-এর পক্ষ থেকে জানানো হয়, ২০২৪ সালের ১১ জুন জমির উপর একটি বায়নানামা দলিল স্বাক্ষরিত হয়েছিল। তবে জমির মালিকানা নিয়ে কিছু বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়েছে এবং এর জন্য মিথ্যা ও অসত্য তথ্য ছড়ানো হচ্ছে বলে তাদের দাবি। এছাড়াও, গত বছরের ১৭ সেপ্টেম্বর চকবাজার থানা এলাকায় মোহাম্মদ একরাম ও আনোয়ার হোসেন টিটু অপহরণের শিকার হয়েছিলেন বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে। ওই সময় তারা স্থানীয় একটি হোটেলে নাস্তা করতে গেলে, সন্ত্রাসীরা তাদের অপহরণ করে ৬ ঘণ্টা আটক রাখে। পরবর্তীতে পুলিশি তদন্তে ঘটনার সত্যতা প্রমাণিত হয়।মোহাম্মদ একরাম গং অভিযোগ করেন, আব্দুল মালেক গং তাদের থেকে ৪৩,৭৫,০০০/- টাকা আত্মসাৎ করেছেন এবং জমি দখল করতে প্রয়াস চালাচ্ছেন। সম্প্রতি ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ তারিখে জমি দখল করতে তাদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালানোর অভিযোগ ওঠে। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে তাদের থামিয়ে দেয়।এই আইনি বিরোধটি বর্তমানে চট্টগ্রাম আদালতে বিচারাধীন রয়েছে। আগামী ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ তারিখে মামলার পরবর্তী শুনানি অনুষ্ঠিত হবে। চট্টগ্রাম জজ কোর্টের এডভোকেট  মোঃ আজিম উদ্দীন তালুকদার (লাভলু) আইনগতভাবে মতামতের ভিত্তিতে এই প্রতিবাদটি নিউজ আকারে প্রকাশ করছি-

গত ১৪/০২/২০২৫ ইং তারিখে দৈনিক পূর্বকোণ পত্রিকায় প্রকাশিত এক বিজ্ঞপ্তিতে উল্লিখিত আইনগত প্রতিবাদ বিষয়ে, আমি, এম. এল.এল.বি (এডভোকেট), উক্ত বিষয়ে আমার মক্কেল মোহাম্মদ একরাম ও মোহাম্মদ ওসমান এর পক্ষ থেকে তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি।এতদ্বারা জানানো যাচ্ছে যে, উক্ত প্রতিবাদে উল্লেখিত জায়গার বি.এস. মালিকানা সম্পর্কে একটি বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রদান করা হয়েছে। মূলত, তৈয়ব আলী গং এবং পরবর্তীতে একরাম গং এবং ওসমান গং-এর মধ্যে সঠিক মালিকানা সম্পর্কিত চুক্তি ও আইনি কার্যক্রমে কোন ভুল বা অস্পষ্টতা থাকার বিষয়টি সরাসরি আমাদের পক্ষে নয়। আমাদের মক্কেল মোহাম্মদ একরাম ও মোহাম্মদ ওসমান, উভয়ই পশ্চিম বাকলিয়া, ডিসি রোড, হাফেজ আব্দুর রহমানের বাড়ি, থানা-চকবাজার, জেলা-চট্টগ্রাম এলাকার অধিবাসী, এবং তাদের মালিকানা সম্পর্কিত যেকোনো দাবিকে আইনি সঠিকতা দিয়ে ব্যাখ্যা করা হয়েছে। এছাড়া, ১১/০৬/২০২৪ ইং সালে, উক্ত জায়গার উপর একটি বায়নানামা দলিল সম্পাদিত হয় এবং একরাম গং-এর সহিত একটি আনরেজিস্ট্রার্ড চুক্তিপত্রও তৈরি হয়। এতে, মোঃ খায়রুল বশর প্রকাশ বাছেকের পক্ষ থেকে কিছু পরিমাণ অর্থ প্রদান করা হলেও পরবর্তীতে পুরো অর্থ পরিশোধে ব্যর্থ হন।

আমাদের পক্ষ থেকে এই বিষয়গুলো ইতিমধ্যেই আইনগতভাবে প্রতিকার চাওয়া হয়েছে এবং উক্ত জায়গার মালিকানা ও দখল সংক্রান্ত সমস্ত বিষয়ে মীমাংসা করার জন্য চট্টগ্রামের আদালতে মামলা চলমান রয়েছে।এমনকি, ইতোপূর্বে উল্লেখিত দাবিকৃত জায়গার বি,এস. মালিকানা নিয়ে কোনো বিভ্রান্তিকর প্রতিবেদন প্রেরণ করে কারো স্বার্থ ক্ষুণ্ণ করার প্রচেষ্টা হয়েছে, যা আমরা তীব্রভাবে প্রতিবাদ জানাচ্ছি। মোহাম্মদ একরাম ও মোহাম্মদ ওসমান গং এর পক্ষ থেকে সকলের নিকট অনুরোধ করছি, যেন এই বিষয়টি সঠিকভাবে আইনগত পদ্ধতিতে সমাধান করা হয় এবং ভুল তথ্য প্রকাশের বিষয়টি সংশোধন করা হয়। এতদ্বারা সর্বসাধারণের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, মোহাম্মদ একরাম এবং মোহাম্মদ ওসমান গং এর পক্ষ থেকে একে একে কিছু গুরুতর আইনগত বিষয় সংক্রান্ত প্রতিবেদন দেওয়া হয়েছে। উক্ত প্রতিবেদন সংশোধন করা হচ্ছে, বিশেষত মোহাম্মদ খায়রুল বশর প্রকাশ বাছেক গং এর সঙ্গে সম্পাদিত দলিলের ব্যাপারে সঠিক তথ্য উপস্থাপন করা হয়েছে। অনুগ্রহ করে পরবর্তী বিষয়গুলো মনে রাখা প্রয়োজন: প্রথমত, মোহাম্মদ একরাম গং এবং মোহাম্মদ খায়রুল বশর প্রকাশ বাছেক গং এর মধ্যে একটি অঙ্গীকার ছিল যে, বাকি অবশিষ্ট টাকা পরিশোধের পর মোহাম্মদ খায়রুল বশর প্রকাশ বাছেক উক্ত সম্পত্তির বি.এস. নামজারী সহ যাবতীয় কার্যাদি নিজ খরচে সম্পন্ন করবেন এবং উক্ত সম্পত্তি সংক্রান্ত ছাফ বিক্রয় কবলা সম্পাদন ও রেজিষ্ট্রি প্রদান করবেন। কিন্তু, পরবর্তীতে মোহাম্মদ খায়রুল বশর প্রকাশ বাছেক উক্ত জমির নামজারী ও অন্যান্য কাগজপত্র সৃজন করতে ব্যর্থ হন, ফলে ওসমান গং উক্ত সম্পত্তির কোন প্রকার ছাফ বিক্রয় কবলা দলিল সম্পাদন ও রেজিষ্ট্রি প্রদান করতে পারেননি। পরবর্তীতে, ৫ই আগস্ট ২০২৪ তারিখে দেশে রাজনৈতিক পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায়, উক্ত মোহাম্মদ খায়রুল বশর প্রকাশ বাছেক গং ওসমান গংকে জানান যে, পূর্ববর্তী ফ্যাসিস্ট সরকার দলীয় লোকদের জন্য তারা ওই সময়ের মধ্যে প্রয়োজনীয় কার্যাদি সম্পন্ন করতে পারেননি এবং বর্তমানে তারা উক্ত নামজারী এবং অন্যান্য কার্যাদি করতে সক্ষম নয়। পরবর্তী সময়ে, ওসমান গং কর্তৃক দেওয়া ১৫,০০,০০০/- (পনের লক্ষ) টাকা ফেরত প্রদান করার জন্য একটি বৈঠকের মাধ্যমে ২,০০,০০০/- (দুই লক্ষ) টাকা ফেরত প্রদান করা হয়, এবং মোহাম্মদ একরাম গং উক্ত টাকা আব্দুল মালেক গং-কে ফেরত প্রদান করেন।

পরে, মোহাম্মদ একরাম গং এবং আব্দুল মালেক গং সহ মোহাম্মদ খায়রুল বশর প্রকাশ বাছেক গং যৌথভাবে একটি আপোষ মীমাংসার চেষ্টা করেন। তবে, গত ১৭/০৯/২০২৪ তারিখে, আনুমানিক ১১.০০ ঘটিকার সময়, মোহাম্মদ একরাম ও আনোয়ার হোসেন টিটু যখন চকবাজার থানা এলাকার সবুজ হোটেল এ নাস্তা করতে যান, তখন আব্দুল মালেক তাদের দেখতে পান এবং তৎক্ষণাৎ মোঃ খায়রুল বশর প্রকাশ বাছেক গংকে অবহিত করেন। এরপর তারা মোহাম্মদ একরাম গং-কে অপহরণ করে পূর্ব ফরিদার পাড়া একটি পরিত্যক্ত জায়গায় নিয়ে গিয়ে সকাল ১১:৩০ থেকে বিকাল ৫:৩০ পর্যন্ত আটকে রাখেন এবং তাদের মোবাইল ফোন কেড়ে নিয়ে বন্ধ করে দেন।

এদিকে, বিকাল আনুমানিক ৩:০০ ঘটিকায়, মোহাম্মদ একরাম গং এর বাসায় কল করে চেক বই এবং ৫ লক্ষ টাকা দাবি করা হয়, এবং তার চাচাত ভাই মোহাম্মদ তৈয়ব আলী থেকে আব্দুল মালেক-এর দেওয়া ৩ কোটি টাকার চেক নিতে চাওয়া হয়। মোঃ একরাম গং এর ছেলে আব্দুল কাইয়ুম চন্দনপুরা গুলজার বেগম স্কুলের সামনে গিয়ে চেক বই এবং নগদ ৫ লক্ষ টাকা সহ ৪টি চেক, যার মধ্যে প্রতিটি চেকের অংকে ১০ লক্ষ টাকা উল্লেখ ছিল, আনোয়ার হোসেনকে বুঝিয়ে দেন। এই ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি এবং এর আইনগত প্রতিকার পেতে আদালতের দ্বারস্থ হতে বাধ্য হচ্ছি। এতদ্বারা সর্বসাধারণের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, মোহাম্মদ একরাম এবং মোহাম্মদ ওসমান গং-এর পক্ষ থেকে কিছু গুরুতর আইনগত বিষয় সংক্রান্ত প্রতিবেদন দেওয়া হয়েছে। উক্ত প্রতিবেদন সংশোধন করা হচ্ছে, বিশেষত মোহাম্মদ খায়রুল বশর প্রকাশ বাছেক গং-এর সাথে সম্পাদিত দলিলের ব্যাপারে সঠিক তথ্য উপস্থাপন করা হয়েছে।

পরবর্তী ঘটনার বিবরণ: মোহাম্মদ একরাম গং এর কাছ থেকে চেক বইয়ের ৪টি চেক ছিড়ে চেক বইটি নিয়ে মোহাম্মদ খায়রুল বশর প্রকাশ বাছেক গং নগদ ৫ লক্ষ টাকা এবং তাহার চাচাত ভাই মোহাম্মদ তৈয়ব আলী কে দেওয়া ৩ কোটি টাকার চেকসহ নিয়ে যায়। পরবর্তীতে সন্ধ্যা ৫:৩০ ঘটিকার সময় মোহাম্মদ একরাম গং-কে ছেড়ে দেওয়া হয়। পরবর্তী আইনি পদক্ষেপ: পরের দিন মোহাম্মদ একরাম গং কোর্টে মামলা দায়েরের জন্য আসলে তার এডভোকেট তাঁকে চান্দগাঁও থানায় একটি জিডি বা অভিযোগ দায়ের করতে পরামর্শ দেন। কিন্তু থানায় গিয়ে, ৩ ঘন্টা বাগবিতণ্ডার পর, থানার ভারপ্রাপ্ত ইনচার্জ তাঁকে জানান যে, জায়গা বা চেক সংক্রান্ত কোনও জিডি বা অভিযোগ এখন গ্রহণ করা যাচ্ছে না, তাই তাঁকে বিজ্ঞ আদালতে মামলা দায়ের করার পরামর্শ দেওয়া হয়।বিজ্ঞ আদালতে মামলা দায়ের: পরে মোহাম্মদ একরাম গং বিজ্ঞ আদালতে এসে সি.আর মামলা নং-৫২৫/২০২৪ ইং দাখিল করেন, যা মোহাম্মদ খায়রুল বশর প্রকাশ বাছেক এবং আব্দুল মালেক গং-এর বিরুদ্ধে দায়ের করা হয়। মাননীয় আদালত মামলাটি গ্রহণ করে পিবিআইকে বিষয়টি তদন্ত করে প্রতিবেদন জমা দিতে নির্দেশ দেন। পিবিআই তদন্ত: পিবিআই ঘটনাস্থল পূর্ব ফরিদা পাড়া গিয়ে তদন্ত করে এবং মোহাম্মদ রাজুর মোবাইল থেকে অপহরণ ঘটনার ১টি প্যান ড্রাইভ উদ্ধার করে। সকল তদন্তের পর পিবিআই সত্যতা পেয়ে বিজ্ঞ আদালতে প্রতিবেদন জমা প্রদান করেন। উক্ত মামলার পরবর্তী ধার্য্য তারিখ ১৯/০২/২০২৫।

আইনী হুমকি ও প্রতিকার: প্রতিবেদন সম্পর্কে আদালত অবহিত হলে, মোহাম্মদ খায়রুল বশর প্রকাশ বাছেক এবং আব্দুল মালেক গং তাদের অবৈধ কার্যক্রমের জন্য মামলা প্রত্যাহারের জন্য এবং কোনো ধরনের আইনী সহায়তা বা প্রচারণা না করার জন্য মোহাম্মদ একরাম গং ও তার পরিবারকে প্রাণনাশের হুমকি প্রদান করতে থাকে। এ ছাড়া, তারা চুক্তিপত্রের ভিত্তিতে জায়গাটি মোহাম্মদ একরাম গং থেকে জোর করে দখল করার হুমকি দিয়ে এলাকা ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে।শেষে: গত ১০/০২/২০২৫ তারিখে মোহাম্মদ খায়রুল বশর প্রকাশ বাছেক, আব্দুল মালেক এবং তাদের দলের সন্ত্রাসীরা ঐ জায়গা দখলের চেষ্টা করলে, মোহাম্মদ একরাম গং তা প্রতিহত করে এবং ৯৯৯ এ কল করে পরিস্থিতি জানান। এবং চকবাজার থানাকে অবহিত করা: পরবর্তীতে চকবাজার থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে মোহাম্মদ খায়রুল বশর প্রকাশ বাছেক গং-কে তাদের অবৈধ, অন্যায়, বেআইনী, সন্ত্রাসী, জবরদখলের কার্যক্রম থেকে বিরত থাকার জন্য নির্দেশ প্রদান করেন। পুলিশ কর্তৃক নির্দেশ পেয়ে উক্ত মোহাম্মদ খায়রুল বশর প্রকাশ বাছেক গং তাদের দলীয় সন্ত্রাসী প্রকৃতির লোকজন নিয়ে তৎক্ষণাৎ ওই স্থান ত্যাগ করেন। কিন্তু পরবর্তীতে, ১১/০২/২০২৫ ইং তারিখ রাত আনুমানিক ২:০০ ঘটিকার সময় আবারও এমদাদুল হক বাদশা এর নেতৃত্বে সন্ত্রাসী প্রকৃতির প্রায় ১০০/১৫০ জন লোক নিয়ে উক্ত জায়গায় উপস্থিত হয়ে অবৈধভাবে ত্রাস সৃষ্টি করে এবং জনগণকে আতঙ্কিত করে উক্ত জায়গাটি টিন দিয়ে ঘেরাও করে রাখে।

মোহাম্মদ একরাম গং দ্রুত ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে উক্ত কার্যক্রম সম্পর্কে ৯৯৯-এ কল করে চকবাজার থানাকে অবহিত করেন। চকবাজার থানা পুলিশ তৎক্ষণাৎ ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখতে পায় যে, এমদাদুল হক বাদশা গং উক্ত জায়গাটি টিন দিয়ে ঘেরাও করে রেখেছে। পুলিশের উপস্থিতিতে, এমদাদুল হক বাদশার ভাই এবং তার সহযোগী সন্ত্রাসী গোষ্ঠী সদস্যরা নিম্নলিখিত ব্যক্তিগণ ছিল: মোহাম্মদ আজাদ, মোহাম্মদ জাবেদ, নাযাম্মদ সাদান, মোহাম্মদ রায়হান (পিতা- আবদুল মাবুদ), মোহাম্মদ নুরুল আবছার, মোঃ হারুন, (পিতা- মৃত আবদুনা জব্বার), মোঃ ফাহিম, (পিতা- মোঃ ইলিয়াছ), মোঃ নোমান, (পিতা- আবদুর রহমান), মোঃ টাটু (যিনি সাবেক মেয়র আ.জ.ম নাছির উদ্দীন এর সহযোগী ও ক্যাডার ছিলেন),, মোঃ সুকানুও, মোঃ আরিফ (যারা আওয়ামী লীগের কুখ্যাত সন্ত্রাসী এবং চাঁদাবাজী, দখলবাজী ও নারী ঘটিত অপরাধে জড়িত ছিলেন), মোঃ হায়দার, (যিনি আওয়ামী লীগের ফ্যাসিস্ট সরকারের দোসর ছিলেন), মোঃ মঈন উদ্দিন, (যিনি ফজলে করিম এম.পি এর পক্ষে রাউজান এলাকায় চাঁদাবাজী ও অন্যান্য অপরাধ করতেন)। এই সন্ত্রাসী প্রকৃতির ব্যক্তিগণ, বিশেষ করে আবদুল মালেক, এমদাদুল হক বাদশা, এবং মোঃ রায়হান গং, বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হয়ে সাধারণ জনগণের জায়গা দখল থেকে শুরু করে সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালনা করছেন। তাদের এসব কর্মকাণ্ডে সাধারণ জনগণ অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে। আব্দুল মালেক গং এখনও পর্যন্ত সরকার নিষিদ্ধ পলিথিনসহ অন্যান্য অবৈধ ব্যবসায় মেতে আছে, যা স্থানীয় জনগণের জন্য এক বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এটি সংশোধিত এবং পূর্ণাঙ্গভাবে আইনি ভাষায় সজ্জিত লেখা।

এবং ব্যবসা পরিচালনা: আবদুল মালেক গং এবং তাদের সঙ্গীয় অন্যান্য সন্ত্রাসী লোকজনের সাথে মোহাম্মদ একরাম গং এর বাকবিতণ্ডা চলতে থাকলে, পুলিশ উভয় পক্ষকে ঝগড়া-বিবাদ থেকে বিরত থাকতে এবং তাদের নিজ নিজ কাগজপত্র নিয়ে থানায় আসতে বলে। ১১/০২/২০২৫ ইং তারিখ দুপুর ১২:০০ ঘটিকার সময় পুলিশ চলে যাওয়ার পর, উপরের উল্লিখিত সন্ত্রাসী গং এবং তাদের অন্যান্য সন্ত্রাসী প্রকৃতির লোকজন মোহাম্মদ একরাম গংকে হুমকি দেয় যে, যদি তারা উক্ত জায়গার টিন ও ঘেরাও সরানোর চেষ্টা করে, তবে তাদেরকে খুন করে ফেলা হবে। মোঃ আজিম উদ্‌দীন তালুকদার (এম.এ. এল.এল.বি, এডভোকেট, চট্টগ্রাম জজ কোর্ট) একরাম গং-এর ১২/০২/২০২৫ ইং তারিখের আইনগত প্রতিবাদ বিজ্ঞপ্তি প্রচারের পর, আবদুল মালেক এবং মোঃ খায়রুল বশর প্রকাশ বাছেক গং জানিয়ে দেয় যে, তারা ১৪/০২/২০২৫ ইং তারিখে আইনগত প্রতিবাদ প্রচার করেছে। উক্ত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে যে, ২৭/০৬/২০২৪ ইং তারিখে, আমার মক্কেল মোহাম্মদ একরাম গং এবং তৈয়ব আলী গং এর সাথে আবদুল মালেক গং এর ব্যাংকের বন্ধকী সম্পত্তি ৫৫.৫৩ শতক জমি বিক্রয় করার বিষয়ে একটি চুক্তিপত্র সম্পাদন করেন। এর মধ্যে উল্লেখ করা হয়েছে যে, আবদুল মালেক গং নগদে ১০,০০,০০০/- (দশ লক্ষ) টাকা দিয়ে চুক্তি সম্পাদন করেছিলেন, যা নোটারীকৃত রেজিস্ট্রি নং-১৯ ছিল এবং দখলসহ সম্পত্তি হস্তান্তরের কথা বলা হয়েছিল।

তবে এটি মিথ্যা, ভিত্তিহীন এবং বানোয়াটি কল্পকাহিনী, কেননা মোহাম্মদ একরাম গং উক্ত সম্পত্তির বি.এস. মালিক নন এবং বর্তমানে উক্ত সম্পত্তি নিয়ে মোহাম্মদ একরাম গং এবং তৈয়ব গং এর মধ্যে মাননীয় জজ কোর্ট, হাইকোর্ট ও সুপ্রিম কোর্টে মামলা বিচারাধীন রয়েছে। মোহাম্মদ একরাম গং এর পক্ষে এবং তৈয়ব গং এর বিপক্ষে সুপ্রীম কোর্ট পর্যন্ত ইনজেনশন বলবৎ রয়েছে। অতএব, কোনো অবস্থাতেই মোহাম্মদ একরাম গং আবদুল মালেক গং এর সাথে উক্ত সম্পত্তি নিয়ে কোনো রকম বিক্রয়, হস্তান্তর বা অন্য কোনো প্রকার চুক্তিপত্র সম্পাদন করতে পারবেন না। এর প্রমাণ স্বরূপ, মোহাম্মদ একরাম গং এবং তৈয়ব গং এর মধ্যে বিচারাধীন মামলার সাইনবোর্ড মোহাম্মদ একরাম গং এর জায়গায় বিদ্যমান রয়েছে, যা বিজ্ঞ আদালত কর্তৃক নিষেধাজ্ঞা বলবৎ থাকার কারণে উক্ত সম্পত্তির কোনো বিক্রয়, হস্তান্তর কিংবা অন্য কোনো প্রকার চুক্তিবদ্ধ হওয়া সম্ভব নয়। এছাড়া, মোহাম্মদ একরাম গং এবং ওসমান গং পরিবর্তিত জানিয়ে বলেন যে, আমাদের তিন ভাগের এক অংশের আরএস মালিক মোঃ তৈয়ব আলী গং এর সাথে যে চুক্তি সম্পাদিত হয়েছে, তা মিথ্যা এবং সৃষ্ট বানোয়াটি, যেখানে টাকা লেনদেনের বিষয়টি অস্বীকার করা হচ্ছে।তারিখ: ২৯/০২/২০২৫ বিষয়: মোহাম্মদ তৈয়ব আলী সম্পর্কিত অভিযোগ এবং মামলা উল্লেখ্য যে, মোঃ তৈয়ব আলী এর কথিত আত্মসাৎ সংক্রান্তে খুলশী থানার মামলা নং- ০২(১২)২৩ইং, জি.আর মামলা নং- ৩০৯/২৩ ইং মামলাটি একটি সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক মামলা। কারণ, বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের মন্ত্রী ড. হাসান মাহমুদ এর আক্রোশের স্বীকার হয়ে, উক্ত মোঃ তৈয়ব আলী এর বিরুদ্ধে ড. হাসান মাহমুদ এবং তার দলের সন্ত্রাসী মোঃ ইউছুফ, আব্দুল মালেক, মোঃ রাসেল ষড়যন্ত্রমূলকভাবে উক্ত মামলাগুলো দায়ের করেন। এই মামলাগুলোর মাধ্যমে মোঃ তৈয়ব আলী মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও কু-উদ্দেশ্যে প্রণোদিতভাবে হয়রানির শিকার হন এবং আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হন।এছাড়া, আব্দুল মালেক গং থেকে মোহাম্মদ একরাম গং যে ৪৩,৭৫,০০০/- (তেতাল্লিশ লক্ষ পঁচাত্তর হাজার) টাকা সম্পত্তির বিক্রয় বাবদ গ্রহণ করেছেন, তা একেবারে ভিত্তিহীন, বানোয়াটি এবং মিথ্যা। উক্ত আব্দুল মালেক গং এর কাছ থেকে ৪৩,৭৫,০০০/- (তেতাল্লিশ লক্ষ পঁচাত্তর হাজার) টাকা গ্রহণের কথা উল্লেখ করা হলেও, প্রকৃতপক্ষে মোহাম্মদ একরাম গং শুধুমাত্র ১৫,০০,০০০/- (পনের লক্ষ) টাকা গ্রহণ করেছেন এবং পরবর্তীতে ৫,০০,০০০/- (পাঁচ লক্ষ) টাকা প্রদান করার কথা ছিল। তবে, মোহাম্মদ একরাম গং সরল বিশ্বাসে তা গ্রহণ করলেও, পরবর্তীতে আব্দুল মালেক গং উক্ত ৫,০০,০০০/- (পাঁচ লক্ষ) টাকা প্রদান না করে আত্মসাৎ করেন। এছাড়া, আব্দুল মালেক গং এবং তাদের সন্ত্রাসী বাহিনী কর্তৃক মোহাম্মদ একরাম গং এর কাছে উক্ত সম্পত্তির দখল বুঝিয়ে নেয়ার কথা থাকলেও, প্রকৃতপক্ষে মাননীয় আদালত কর্তৃক পিবিআই কে উক্ত সম্পত্তির বিষয়ে পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত পূর্বক প্রতিবেদন প্রদান করার নির্দেশ দেওয়া হয়। তদন্তকারী সংস্থা পিবিআই ঘটনা তদন্ত করে এবং তাদের প্রতিবেদন মাননীয় আদালত এ জমা দেয়। প্রতিবেদনটি পাওয়ার পর, ক্ষুদ্ধ হয়ে আব্দুল মালেক গং তাদের সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে ১২/০২/২০২৫ ইং তারিখে রাতে ১০০-১৫০ সন্ত্রাসী নিয়ে উক্ত সম্পত্তি জবরদখল করতে আসে। তখন, মোহাম্মদ একরাম গং তৎক্ষণাৎ চকবাজার থানায় ৯৯৯ নম্বরে কল করে অবহিত করেন। চকবাজার থানা পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে উভয় পক্ষকে পরের দিন নিজেদের কাগজপত্রসহ থানায় আসার নির্দেশ দেয়।তবে, মোহাম্মদ একরাম গং তিনবার থানায় উপস্থিত হলেও, আব্দুল মালেক গং এবং এমদাদুল হক বাদশা সহ তাদের দলীয় সন্ত্রাসী বাহিনী থানায় উপস্থিত হননি।

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২১৩১৪১৫১৬
১৭১৮১৯২০২১২২২৩
২৪২৫২৬২৭২৮  
© সমস্ত অধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট