1. mail.bizindex@gmail.com : newsroom :
  2. info@www.bhorerawaj.com : দৈনিক ভোরের আওয়াজ :
বৃহস্পতিবার, ০১ মে ২০২৫, ০৮:৫৩ অপরাহ্ন
সর্বশেষ :
“বাঁশখালীতে ৪ হাজার ইয়াবাসহ টেকনাফের মাদক কারবারি আটক: ব্যবহৃত মোটরসাইকেল জব্দ” হোমনায় মহান মে দিবস উপলক্ষে  বিএনপির বর্ণাঢ্য র‍্যালি  ড. মোহাম্মদ ইউনূস এর শুভ আগমনে বোয়ালখালীবাসীর পক্ষ থেকে হাজী মোহাম্মদ আলম ববির শুভেচ্ছা ও কৃতজ্ঞতা পুলিশ পরিচয়ে ঘরে প্রবেশ করে পরিবারের ৮ জনকে বেঁধে ছয়টি দোকান ঘর গুঁড়িয়ে দিয়ে মালামাল লুট করেছে দুর্বৃত্তরা রোদেলা দুপুরে পারকি সৈকতের বালুকাবেলায় কলম যোদ্ধারা,স্মৃতিময় এক মে দিবস! ড. মোহাম্মদ ইউনূসের দক্ষিণ চট্টগ্রাম সফর সিএমপি কমিশনার ও পাঁচ ওসি পেলেন আইজিপি ব্যাজ সাহস, দক্ষতা ও মানবিক পুলিশিংয়ের স্বীকৃতি আইজি পি ব্যাজ পেলেন ওসি আফতাব উদ্দিন চট্টগ্রাম উন্নয়ন আন্দোলনের সূচনালগ্নের সাহসী পুরুষ ব্যারিস্টার মনোয়ার হোসেন! দৃষ্টি আকর্ষণ

রুবিনা আকতার: এক মানবিক সাহসী জীবনের গল্প

মোঃ কামাল উদ্দিন
  • প্রকাশিত: বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫
  • ১৫৪ বার পড়া হয়েছে

রুবিনা আকতার: এক মানবিক সাহসী জীবনের গল্প”
মো. কামাল উদ্দিনঃ
তোমার সাথে দেখা হওয়ার কথা ছিল এক বিকেলে, যখন বৃষ্টির মৃদু ছোঁয়া আসবে, এবং সেই সময় কফির কাপ হাতে একান্তে আড্ডা দেবো। মেঘলা আকাশের নিচে, আমরা একে অপরকে এক গভীর সম্পর্কের কথায় বিনিময় করবো, অথচ সেই মুহূর্তের স্বপ্ন আজও বাস্তবে রূপ নেনি। তুমি আমাকে একুশের বইমেলায় আসার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলে, আর আমি আমার লেখা বইটি হাতে নিয়ে তোমার সামনে দাঁড়িয়ে অটোগ্রাফ দেবো, সে কথা মনে রেখেই আজও অপেক্ষা করছি। সময় চলে যাচ্ছে, কিন্তু আমাদের দেখা হয়নি। সেই দিনটি, যেটি একেবারে বিশেষ হতে পারতো, তা কেবল স্বপ্নের মতোই রয়ে গেছে। তবে, তাও কিছুটা বিশ্বাসের দিক থেকে মন থেকে ভুলতে পারি না যে কখন যেন ঠিক সেই দেখা হবে, যেখানে আমরা একে অপরকে নিঃসঙ্গতায়, ভালোবাসার মাধুর্যে ছুঁয়ে, এক অন্য সময়ের সন্ধানে একে অপরকে আবার পাবো। দেখা, যে দেখা কেবল মাত্র মিলনের নয়, অনুভূতির সেতুবন্ধনও। অতএব, অপেক্ষা করছি, কিছুটা বিষণ্ণতা নিয়েও, একসময় হয়তো সেই ভালোবাসার ছোঁয়া একসাথে গরম কফির কাপের মধ্যে একাত্ম হয়ে আসবে।
সকালের রৌদ্রছায়া কেবলই হালকা হয়ে উঠছিল যখন আমি প্রথমবারের মতো তাকে দেখলাম। বাটালি হিলের উঁচু পথ ধরে হাঁটতে হাঁটতে শীতের হাওয়া শুষে নেওয়ার এক বিশেষ মুহূর্তে, আমার চোখে পড়ল এক অদ্ভুত জাদুকরি দৃশ্য। আমার পায়ের কাছে একটা ফালি আলো ছড়িয়ে পড়ল, যেন সে নিজে অন্ধকার থেকে বেরিয়ে এসে পৃথিবীকে উজ্জ্বল করে তুলেছে। তাঁর পা দিয়ে মাটির স্পর্শ আর হাতে এক শিশুর হাত—সে চোখে দেখছিল মানবতার নতুন উদাহরণ। রুবিনা আকতার, নামটাই যেন এক অজানা রহস্য, এক জীবন্ত কবিতা।
রুবিনা আকতারকে প্রথম দেখার মুহূর্তটা আমার মনে আজও গেঁথে আছে। আমি জানি না, সে আমার জীবনে কোন অদৃশ্য শক্তির মাধ্যমে এসেছে, তবে সে যখন সামনে এসে দাঁড়াল, তখন আমার সমস্ত চিন্তা ও অনুভূতিগুলো এক মুহূর্তে অগোছালো হয়ে গেল। সবার মাঝে সে ছিল আলাদা। তার উপস্থিতি যেন এক অদৃশ্য শক্তি হয়ে সবকিছু পরিবর্তন করে দিয়েছিল। সে ছিল একজন নারী, যিনি জীবনকে নিজের হাতে আঘাত করে এক নতুন অর্থ খুঁজে পেয়েছিলেন। তার সংগ্রাম ছিল অবিরাম, তার কাজ ছিল অবিরাম, এবং তার প্রেম ছিল পরিপূর্ণ। সে একটি মানবিক ভূমিকায় নিজেকে আবদ্ধ রেখেছিল, আর সেই ভূমিকায় এক আলোকিত পথচলতি মানুষ হয়ে উঠেছিল। তার হৃদয়ের গহিনে অগাধ ভালোবাসা ছিল, যা নিজের জন্য নয়, পৃথিবীটাকে ভালোবাসতে শেখানোর জন্য। পথশিশুদের মা:
তার জীবন ছিল এক অসমাপ্ত গল্পের মতো, যেখানে প্রতিটি পাতা নতুনভাবে খোলা ছিল, আর প্রতিটি অধ্যায় ছিল এক নতুন প্রেরণা। রুবিনা আকতার শুরু করেছিলেন পথশিশুদের জন্য কাজ করার মাধ্যমে। তার ছোট ছোট পদক্ষেপগুলোই একসময় বিশাল এক আন্দোলনে পরিণত হয়েছিল। রুবিনা জানত, সমাজের এ অন্ধকার কোণে দাঁড়িয়ে থাকা শিশুগুলোর জীবনে আলো নিয়ে আসা সম্ভব নয়, যদি না নিজেকে সমাজের পরিবর্তনরূপে নির্মাণ করা হয়। সে নিজেই উদ্যোগী হয়ে তার বিশাল অবস্থান থেকে সরে এসেই পথশিশুদের জন্য কাজ করেছেন- অভিভাবক বিহীন শিশুদের অভিভাবকের ভুমিকায় অবতীর্ণ হয়ে
সেই জায়গা থেকেই তার জীবন সংগ্রামের শুরু। এই মানবতার
একেকটি দিন তার জন্য ছিল নতুন এক চ্যালেঞ্জ, কিন্তু সে ছিল অবিচল। একদিনও তার মনোবল ভেঙে যায়নি, সে জানত, পৃথিবীতে সুখী হওয়া সম্ভব, কিন্তু তা শুধু নিজের জন্য নয়, বরং পৃথিবীর অন্ধকার কোণগুলোকে আলোয় ভরিয়ে তোলার জন্য। সেই অন্যদের শৈশবের দুঃখ-দুর্দশা, অভাব-অনটন সে হৃদয়ে মেনে নিয়েছিল, কিন্তু তার চোখের দীপ্তি কখনো হারিয়ে যায়নি। তার ভিতরে ছিল এক আশার দ্যুতি, এক আলো, যা পৃথিবীকে নতুন করে চিনতে সাহায্য করেছিল- তার অনুপ্রেরণায় ভবিষ্যতের দিকে এগিয়েছে অনেক ঠিকানা বিহীন নারী-
এক অনন্য নারী: রুবিনা আকতার কোনো সাধারণ নারী ছিলেন না, তিনি ছিলেন এক রোমাঞ্চকর জীবনের প্রতিমূর্তি। তার জীবন ছিল এক অবিরাম অন্বেষণ, যেখানে প্রেম, শুদ্ধতা, সাহস আর নির্ভীকতার গল্প ছিল তার প্রতিটি পদক্ষেপে। তার চেহারার মায়াময়তা ছিল অপরিসীম। চোখের ভেতর সেই গভীরতা ছিল, যা প্রতিটি মানুষের হৃদয়ে ছোঁয়াচ্ছিল। তার হাসি ছিল সেই হাসি, যা কখনো হারানো যায় না, যা এক ধরনের অজানা শক্তি দিয়ে পৃথিবীকে একটি নতুন দৃষ্টিভঙ্গি দিয়েছিল।
তাঁর কথা, তাঁর চোখের ভাষা, তাঁর হাসি—সব কিছুই ছিল এক অপ্রকাশিত অনুভূতির মতো। সে যে কখন আমার মনের মধ্যে মনদিয়েছিল তা মনে নেই – তা মনে হলে এখনো আমার হৃৎপিণ্ডের গভীরে এক অজানা অনুভূতি সৃষ্টি হয়। রুবিনা আকতার একজন সাহিত্যপ্রেমী নারী, তারমধ্য যৌবনের বেদনারময় আকুতি ঝর্নার মতো কবিতার কথা শোনার মত মন রয়েছে।
তাতে সেই আমাকে নিজেই প্রতিনিয়ত প্রেরণা দিয়েথাকে। আমার লেখা নিয়ে তার আগ্রহ আছে প্রবল। তিনি আমাকে বলেছিলেন, ‘‘আপনার লেখায় একটি অন্যরকম জাদু আছে, যা আমি প্রতিটি শব্দে অনুভব করি।’’ তার এই কথাগুলো আমাকে আরো বেশি অনুপ্রাণিত করেছিল। বেশ কিছু
দিন পরে, তার কথা মনে করে আমার কলম এখনো নড়ে ওঠেছে। তাঁর শুদ্ধতা, তাঁর অনুপ্রেরণা—এইসব কথা কখনো বলা যাবে না। কিন্তু একটি অনুভূতি ছিল যা ছিল দৃঢ় এবং অপরিবর্তনীয়। সে যে আমাকে বা আমার লেখা পছন্দ করেছিল, তা আমি জানতাম না। কিন্তু তার মনের অগাধ সৌন্দর্য এবং হৃদয়ের গভীরতাও ছিল অমুল্য। অবিশ্বাস্য এক চিত্র:
আমি যখন রুবিনা আকতারকে দেখতাম হাঁটতে গিয়ে রোদ বিহীন প্রভাতে , তখন মনে হতো, সে যেন এক অদ্ভুত কল্পনার চরিত্র। তার সৌন্দর্য যেন এক মর্মস্পর্শী চিত্র, যা কখনো ভুলে যাওয়ার মতো নয়। তার হাসি, তার চোখের মায়া, আর তার কথা বলার ধরণ—সব কিছু ছিল চিরকালীন। মাঝে মাঝে আমার মনে হয়, সে কি কোনো অলৌকিক চরিত্র? তার প্রতিটি শব্দ একটি কবিতা, প্রতিটি শব্দ যেন একটি মিষ্টি গান।
তার এই সজীবতা, সৌন্দর্য, এবং হৃদয়ের দীপ্তি এমনকি তার বাহ্যিক চেহারার থেকেও অনেক গুণ বেশি মূল্যবান মনে হয়। তার সেই প্রগাঢ় ভালোবাসা যা পৃথিবীকে ভালোবেসে, মানুষের জন্য এক নতুন পৃথিবী তৈরি করেছিল। তার মতো একজন প্রেময়ী নারীর সান্নিধ্য পাওয়া, জীবনে এক অনন্য সৌভাগ্য। এক জীবন্ত প্রেরণা: জানিনা আমি কেন রুবিনা আকতারকে মনের মধ্যে এক জীবন্ত প্রেরণা হিসেবেই বেঁচে রাখি। তার জীবন, তার গল্প, তার ভালোবাসা, এবং তার অসমাপ্ত সংগ্রাম আমাকে প্রতিনিয়ত নতুন করে সাহস দেয়। আজও তার চোখের ভাষা আমার মধ্যে প্রতিধ্বনিত হয়। তাঁর সঙ্গে পরিচয় হওয়ার পরহতে, তার জীবনের গল্প যেন আমার হৃদয়ে গেঁথে আছে।
তার জীবন হচ্ছে এক অমূল্য কাব্য, যে কাব্যের প্রতিটি পঙক্তি আমার মনে এখনও অম্লান। তার নিঃস্বার্থ ভালোবাসা, তার মানবিকতা, এবং তার সাহসিকতা—এগুলো আমাকে তার উপর লিখতে শিখিয়েছে- কীভাবে একজন মানুষ হতে হয়, কীভাবে নিজের জীবনে একজন প্রকৃত মানবিকতার প্রতীক হতে হয়। আমি যদি বলি-রুবিনা আকতার, তোমার গল্প কখনো শেষ হবে না। তোমার জীবনের প্রতিটি মুহূর্ত, প্রতিটি পদক্ষেপ আমার কাছে চিরকালীন প্রেরণা হিসেবে রয়ে যাবে। তোমার মতো একজন মানবিক নারী কখনো ভুলে যাওয়ার মতো নয়। তোমার স্মৃতি আমার হৃদয়ের অন্ধকারে এক উজ্জ্বল নক্ষত্রের মতো চিরকাল জ্বলবে।
চলবে-

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২১৩১৪১৫১৬
১৭১৮১৯২০২১২২২৩
২৪২৫২৬২৭২৮  
© সমস্ত অধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট