1. mail.bizindex@gmail.com : newsroom :
  2. info@www.bhorerawaj.com : দৈনিক ভোরের আওয়াজ :
বৃহস্পতিবার, ০১ মে ২০২৫, ০৯:২৬ অপরাহ্ন
সর্বশেষ :
“বাঁশখালীতে ৪ হাজার ইয়াবাসহ টেকনাফের মাদক কারবারি আটক: ব্যবহৃত মোটরসাইকেল জব্দ” হোমনায় মহান মে দিবস উপলক্ষে  বিএনপির বর্ণাঢ্য র‍্যালি  ড. মোহাম্মদ ইউনূস এর শুভ আগমনে বোয়ালখালীবাসীর পক্ষ থেকে হাজী মোহাম্মদ আলম ববির শুভেচ্ছা ও কৃতজ্ঞতা পুলিশ পরিচয়ে ঘরে প্রবেশ করে পরিবারের ৮ জনকে বেঁধে ছয়টি দোকান ঘর গুঁড়িয়ে দিয়ে মালামাল লুট করেছে দুর্বৃত্তরা রোদেলা দুপুরে পারকি সৈকতের বালুকাবেলায় কলম যোদ্ধারা,স্মৃতিময় এক মে দিবস! ড. মোহাম্মদ ইউনূসের দক্ষিণ চট্টগ্রাম সফর সিএমপি কমিশনার ও পাঁচ ওসি পেলেন আইজিপি ব্যাজ সাহস, দক্ষতা ও মানবিক পুলিশিংয়ের স্বীকৃতি আইজি পি ব্যাজ পেলেন ওসি আফতাব উদ্দিন চট্টগ্রাম উন্নয়ন আন্দোলনের সূচনালগ্নের সাহসী পুরুষ ব্যারিস্টার মনোয়ার হোসেন! দৃষ্টি আকর্ষণ

ফেরদৌসী আরা ও ফাহমিদা রহমান: নজরুল সংগীতের দুই অনন্য রাণি

মোঃ কামাল উদ্দিন
  • প্রকাশিত: রবিবার, ৯ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫
  • ৯৬ বার পড়া হয়েছে

“ওরে, একদিন আমাদের এই বাণী কি হবে,
স্বাধীনতার গান গেয়ে যে বিদ্রোহী জীবন গড়েছিলো।
তুমি তো সেই বীর, কবি নজরুল,
যার হাত ধরে চিরন্তন দুঃখের গান হয়ে উঠলো মুক্তির সুর!” যখন আমি ভাবি সংগীতের মহানায়কদের কথা,
যখন শুনি ফেরদৌসী আরা ও ফাহমিদা রহমানের কণ্ঠের সুর,
তখন মনে হয়, নজরুলের সেই অমলিন সুরের ধারা যেন
আজও তাঁদের কণ্ঠে বয়ে চলেছে,
যেন সেই কণ্ঠগুলোয় চিরকাল বিরাজমান তারই বাণী।
কবি নজরুল ইসলামের সঙ্গীত, তাঁর অসীম শক্তির প্রকাশ—
তার গানে ছিল বিদ্রোহ, ভালোবাসা, ও স্বাধীনতা,
তাঁর প্রতিটি শব্দে মিশে ছিল ক্ষুধার প্রতিবাদ,
আর তাঁর প্রতিটি সুরে বেজে উঠত পৃথিবীর সব শ্রেণির মানুষের দুঃখ।
তিনি জানতেন, গান হতে পারে এক শক্তিশালী অস্ত্র,
গান হতে পারে হৃদয়ের প্রতিধ্বনি,
গান হতে পারে বিপ্লবের এক অনির্বচনীয় চিহ্ন।

এই সংগীতের পথিকৃৎ, কবি নজরুল ইসলাম,
যিনি আমাদেরকে শিখিয়েছেন—শব্দ নয়,
শব্দের গভীরতা, সুর নয়,
সুরের আবেগ, অর্থ নয়,
অর্থের আদর্শ—এই সত্যকে তিনি গানে গানে প্রমাণ করেছেন।
তাঁর সঙ্গীতের গৌরব বয়ে চলেছে এখনো,
ফেরদৌসী আরা এবং ফাহমিদা রহমানের কণ্ঠে
এমন এক সুরের ধারা, যা হৃদয়কে জাগিয়ে তোলে।
যেন তাঁরা, দুই মহান শিল্পী,
প্রতিটি সুরে অশ্রুজল ও হাসির মিলনে
প্রকাশ করছেন কবি নজরুলের অমর সৃষ্টি। উপমহাদেশের সঙ্গীত জগতের দুটি অতি গুরুত্বপূর্ণ নাম, যাদের গান না শুনলে যেন মনই শান্তি পেত না। ফেরদৌসী আরা এবং ফাহমিদা রহমান, এই দুই মহীয়সী সংগীত শিল্পী আজও শ্রোতার মনে অমর। তাদের সংগীত শ্রোতাদের হৃদয়ে একটি স্থায়ী ছাপ রেখে গেছে। তাঁদের সুরের ঝংকার শুধু সংগীতপ্রেমীদের মুগ্ধই করেনি, বরং মানুষের আবেগ, অনুভূতি এবং সংস্কৃতির গভীরে প্রবাহিত হয়ে গেছে। এই দুটি নাম একে অপরের সঙ্গে যেমন সম্পৃক্ত, তেমনি একে অপরের গুণাবলী ও শৈলীর মধ্যে এক অভূতপূর্ব সংমিলন ঘটেছে। তাঁদের সংগীত জীবন, তাঁদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে কিছু কথা বলাই সময়ের দাবি। ফেরদৌসী আরা, বাংলাদেশের সংগীত ইতিহাসে এক অমূল্য রত্ন। তিনি একজন শিল্পী ছিলেন না, বরং নজরুল সংগীতের একটি পূর্ণাঙ্গ ধারার প্রতিনিধি। তাঁর কণ্ঠে যে অনুভূতি, যে গভীরতা এবং শুদ্ধতা রয়েছে, তা তাঁকে নজরুল সংগীতের অন্যতম সেরা কণ্ঠশিল্পী করে তোলে। ফেরদৌসী আরার গানের প্রতিটি কলি এমন এক অনুভূতির সৃষ্টি করে যে, শ্রোতা যেন এক অন্য পৃথিবীতে চলে যান। তাঁর গানে রোমান্স, বিরহ, প্রেম, সংগ্রাম এবং মুক্তির এক অদ্ভুত একতান ছিল, যা প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে শ্রোতাদের মধ্যে প্রবাহিত হয়ে আসছে। তাঁর গানে যে শুদ্ধতা এবং একাগ্রতা ছিল, তা আজও শ্রোতাদের মনকে মুগ্ধ করে। ফেরদৌসী আরা শুধু একজন সঙ্গীতশিল্পী ছিলেন না, তিনি ছিলেন নজরুলের গানের একটি জীবন্ত প্রতীক। তার কণ্ঠের মাধ্যমে নজরুলের মানবিকতা, প্রতিবাদের ভাষা, এবং সাম্যের সুর প্রতিধ্বনিত হয়ে ওঠে। ফাহমিদা রহমান, যিনি আশি দশক থেকে সেই গান গেয়ে নজরুল সংগীতের অঙ্গনে এক অসাধারণ শিল্পী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছেন, তার গানে রয়েছে এক গভীরতা ও শ্রুতিমধুরতা যা শ্রোতাদের হৃদয়ে দীর্ঘস্থায়ী প্রভাব ফেলে। আমি ১৯৯০ সাল থেকে তাকে চিনি জানি-তার গান শুনে আসছি এবং সেই সময় থেকেই আমি তাঁর সংগীতের এক নিবেদিত ভক্ত। তাঁর গানের মধ্যে যেমন একটি শৈল্পিক সৌন্দর্য রয়েছে, তেমনি সেখানে রয়েছে এক মানবিক অনুভূতির গভীরতা। তাঁর গানে এক ধরনের শান্তি এবং শক্তি রয়েছে, যা শ্রোতাদের মনকে প্রশান্তি দেয়।
ফাহমিদা রহমানের কণ্ঠে যে শুদ্ধতা এবং তীক্ষ্ণতা রয়েছে, তা নজরুলের গানকে আরও উচ্চতায় পৌঁছে দিয়েছে। তিনি শুধুমাত্র একজন শিল্পী ছিলেন না, বরং একজন মহৎ মানবিক ব্যক্তিত্বও। বিশেষ করে, অসংখ্য বেওয়ারিশ কুকুরের প্রতি তার দরদ এবং ভালোবাসা সত্যিই প্রশংসনীয়। তিনি কেবল গানে নয়, জীবনেও তার মানবিকতা দিয়ে অন্যদের জন্য একটি প্রেরণা হয়ে উঠেছেন। তাঁর এই দৃষ্টিভঙ্গি এবং ভালোবাসা সংগীতের মাধ্যমে প্রকাশ পায়, এবং শ্রোতারা এতে গভীরভাবে মুগ্ধ হন।
ফেরদৌসী আরা এবং ফাহমিদা রহমান—এই দুই শিল্পীর মধ্যে অনেক মিল থাকলেও তাদের গানের মধ্যে কিছু বৈশিষ্ট্যগত পার্থক্যও রয়েছে। ফেরদৌসী আরা যেখানে তার গানে এক ধরনের সজীবতা এবং উজ্জ্বলতা তৈরি করেছিলেন, সেখানে ফাহমিদা রহমান তার গানে আরও গভীর আবেগ এবং তীব্রতা নিয়ে এসেছেন। তবে দুটি ক্ষেত্রেই, নজরুলের গানের প্রতি তাঁদের শ্রদ্ধা এবং অনুরাগ ছিল অগাধ।
ফেরদৌসী আরা তার গানে যে শক্তি এবং উজ্জ্বলতা সৃষ্টি করেছেন, তা শ্রোতাদের মনকে শুদ্ধ এবং প্রশান্ত করে। অন্যদিকে, ফাহমিদা রহমানের গানে যে একধরনের আবেগ এবং অন্তর্দৃষ্টি রয়েছে, তা শ্রোতাদের হৃদয়ে গভীর প্রভাব ফেলে। এই দুই শিল্পী একে অপরের মধ্যে মিলিত হয়ে নজরুল সংগীতকে এক নতুন মাত্রায় পৌঁছে দিয়েছেন।
ফাহমিদা রহমান শুধু একজন মহান সংগীতশিল্পী ছিলেন না, তিনি ছিলেন একজন অগ্রণী মানবিক আদর্শের প্রতীক। বিশেষ করে, অসংখ্য বেওয়ারিশ কুকুরের প্রতি তার মমতা ও ভালোবাসা তাকে অন্যদের থেকে আলাদা করেছে। তিনি তার পোষা প্রাণীদের প্রতি যে অশেষ দরদ এবং ভালোবাসা দেখিয়েছেন, তা আজও মানুষের মনে অমলিন হয়ে রয়েছে। তাঁর এই মানবিক গুণাবলী শুধু সংগীতের মাধ্যমেই নয়, জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রেই ফুটে উঠেছে।
এই ধরনের শিল্পী এবং ব্যক্তিত্বরা আমাদের সমাজে এক নতুন প্রেরণা সৃষ্টি করেন। ফাহমিদা রহমানের জীবনে যেমন সংগীত ছিল, তেমনি তাঁর মানবিক দৃষ্টিভঙ্গিও ছিল অসীম। একজন শিল্পীর পেশাদারিত্বের পাশাপাশি তার মানবিক গুণাবলী সমাজের প্রতি এক ধরনের দায়বদ্ধতা তৈরি করে, যা আমাদের সকলকে ভালোবাসা, সহানুভূতি এবং মানবিক মূল্যবোধের প্রতি শ্রদ্ধাশীল করে তোলে।ফেরদৌসী আরা, বাংলাদেশের প্রখ্যাত নজরুল সংগীত শিল্পী, সঙ্গীতের অঙ্গনে এক উজ্জ্বল নাম। তাঁর কণ্ঠে ধ্বনিত হয় নজরুলের অমর সুর, আর এই সুরের মাধ্যমে তিনি শ্রোতাদের হৃদয়ে গেঁথে গেছেন অবিনশ্বর একটি স্থান। তাঁর জীবন কাহিনী এক অক্লান্ত সাধনার গল্প, যা আমাদের শেখায় শিল্পের প্রতি নিষ্ঠা, ভালোবাসা ও একাগ্রতা।
ফেরদৌসী আরার পিতা, এ.এইচ.এম. আবদুল হাই এবং মাতা, মোশাররেফা বেগম, দুই জনেই উচ্চশিক্ষিত এবং সংস্কৃতিমনা ছিলেন, যা ফেরদৌসী আরার জীবনে সঙ্গীতের প্রতি আগ্রহ জন্মানোর মূল কারণ ছিল। তাঁর শৈশবকাল থেকেই পরিবারের পরিবেশ ছিল সঙ্গীতের পীঠস্থান। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইতিহাসে অনার্স এবং স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন, তবে সঙ্গীতের প্রতি তাঁর গভীর ভালোবাসা ছিল একেবারে আলাদা। বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নকালে নজরুল সংগীতের প্রতি তাঁর আগ্রহ ক্রমশই বেড়ে ওঠে এবং পরবর্তীতে তিনি এই ধারাকে পেশাদার হিসেবে গ্রহণ করেন।
ফেরদৌসী আরা একাধারে একজন সংগীতজ্ঞ এবং শিক্ষিকা। বাংলাদেশ বেতার ও বাংলাদেশ টেলিভিশনে তাঁর নিয়মিত উপস্থিতি তাঁকে সঙ্গীতপ্রেমীদের কাছে জনপ্রিয় করে তোলে। নজরুল সংগীতের সাথে সঙ্গীতশিক্ষার সংমিশ্রণ তাঁর কর্মজীবনকে সার্থক করেছে। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে খণ্ডকালীন অধ্যাপনা করেন এবং নজরুল ইনস্টিটিউটে নজরুল সংগীতের প্রশিক্ষক হিসেবে কাজ করেছেন। সঙ্গীত অনুষ্ঠান উপস্থাপনা, লেখালেখি, সিনেমার প্লে-ব্যাক গাওয়া এবং বিভিন্ন সঙ্গীত প্রতিযোগিতায় বিচারকের দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। সঙ্গীতের প্রতি তাঁর গভীর শ্রদ্ধা ও নৈতিকতার পরিচায়ক ছিল তাঁর বিচরণ, যা তাকে শিল্পী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে।

অথচ ফেরদৌসী আরার সঙ্গীতজীবন শুধুমাত্র তার কণ্ঠে সীমাবদ্ধ ছিল না। ২০০০ সালে ঢাকার মোহাম্মদপুরস্থ হুমায়ুন রোডে তিনি প্রতিষ্ঠা করেন ‘সুরসপ্তক’, এক সঙ্গীত প্রতিষ্ঠান যেখানে উচ্চাঙ্গ সঙ্গীত ও নজরুল সংগীতের চর্চা হয়। এই প্রতিষ্ঠানটি সঙ্গীতের প্রতি তাঁর নিষ্ঠা ও ভালোবাসার আরেকটি প্রমাণ, যেখানে তিনি প্রজন্মের পর প্রজন্মের ছাত্র-ছাত্রীদের নজরুল সংগীতের সঠিকতা ও শুদ্ধতা শেখান।
ফেরদৌসী আরার ব্যক্তিগত জীবনও অনুকরণীয়। তিনি বিখ্যাত চিকিৎসক ড. রফিকুল মুহাম্মেদ এর সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন, যিনি একজন মানবিক ও সমাজসেবক। তাঁর সংসারও সঙ্গীত ও মানবিকতায় পরিপূর্ণ। তাঁর জীবনে, যেমন সঙ্গীত, তেমনি পোষা প্রাণী এবং পশুদের প্রতি তাঁর অসীম দরদ রয়েছে, যা তাঁর মানবিক দৃষ্টিভঙ্গির একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। ফেরদৌসী আরা আজকের দিনে একজন জীবন্ত কিংবদন্তী, যিনি নজরুল সংগীতের অমর সুরকে শ্রোতাদের মাঝে সঞ্চারিত করেছেন। তাঁর কণ্ঠে যে সুরের যাদু, তা কেবল গানের সীমানা ছাড়িয়ে মন ও মস্তিষ্ককে স্পর্শ করে। একজন শিল্পী হিসেবে তাঁর অবদান অসীম। সুরসপ্তক প্রতিষ্ঠানে সঙ্গীত শিক্ষা, তার সঙ্গীত অনুষ্ঠানগুলো এবং নজরুল সংগীতের প্রতি তার অবিচল নিষ্ঠা তাঁকে এক অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছে। ফেরদৌসী আরার কণ্ঠে আজও বেজে ওঠে নজরুলের গান, যেন সুরের মধ্যে জীবন্ত হয়ে ওঠে সেই ঐতিহাসিক সময়ের প্রতিবাদী ও সংগ্রামী চেতনা। তাঁর সংগীত প্রতিটি সুরে গাথা, তাঁর জীবন প্রতিটি পদক্ষেপে বিশুদ্ধতা ও শ্রদ্ধা। ফাহমিদা রহমান, একজন স্বনামধন্য পেশাদার নজরুল সংগীত শিল্পী, যার জীবনে নজরুলের সঙ্গীতের প্রতি অগাধ ভালোবাসা এবং শ্রদ্ধা প্রতিটি সুরে প্রতিফলিত হয়। তাঁর বাবা, উপমহাদেশের বিখ্যাত নজরুল সংগীত শিল্পী এবং নজরুল গবেষক, ছিলেন জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের অত্যন্ত কাছের একজন মানুষ। কাজী নজরুল ইসলামের সান্নিধ্য এবং তাঁর সংগীতের প্রতি গভীর ভালোবাসা ফাহমিদার জীবনে অমোঘ প্রভাব ফেলেছিল, যার প্রতিফলন তাঁর সঙ্গীতশিল্পে স্পষ্ট।
ফাহমিদা রহমানের বড় বোন, ফরিদা করিমও একজন বিখ্যাত নজরুল সংগীত শিল্পী। ফরিদা করিমের কণ্ঠেও যেমন নজরুলের গান সুরেলা হয়ে উঠেছে, তেমনি তাঁর শিল্পীসত্তাও নজরুল সংগীতের ইতিহাসে এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। ফরিদা করিম বাংলাদেশের অন্যতম শ্রেষ্ঠ নজরুল সংগীত শিল্পী হিসেবে পরিচিত। তাঁদের পরিবারের সঙ্গীতের ঐতিহ্য এবং নজরুলের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা তাঁদের প্রতিটি সুরে জীবন্ত হয়ে ওঠে, যা সঙ্গীতপ্রেমীদের মনোজগতে চিরকাল স্মৃতিরূপে গেঁথে থাকে।

ফাহমিদা রহমান এবং ফরিদা করিম—এই দুই দিকপাল শিল্পী আজও নজরুল সংগীতের শুদ্ধতা এবং তার ঐতিহ্য ধরে রাখার কাজ করে যাচ্ছেন, তাঁদের সুরের মাধ্যমে নজরুলের গান পৃথিবীজুড়ে ছড়িয়ে যাচ্ছে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২১৩১৪১৫১৬
১৭১৮১৯২০২১২২২৩
২৪২৫২৬২৭২৮  
© সমস্ত অধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট