দেখতে দেখতে দুই বছর অতিবাহিত হয়েগেছে, মাসলেম ভাই আমাদের কাছ থেকে চিরতরে বিদায় নেওয়ার সময়টি। গত ২০২৩ সালের এই ফেব্রুয়ারি ৬ তারিখে
মোসলেম উদ্দিন আহমেদ মৃত্যু বরণ করেছেন, জননেতা প্রয়াত মোসলেম উদ্দিনের আত্মার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এই বরেণ্য রাজনৈতিক, বীর মুক্তিযোদ্ধা বঙ্গবন্ধুর আদশের পরিক্ষিত সৈনিক হিসেবে পরিচিত, চট্টগ্রাম বোয়ালখালী আাসনের নির্বাচিত সাংসদ, দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের আমৃত্যু সভাপতি, দেশ, বিদেশের সুপরিচিত, আমার একাত্ব প্রিয় মানুষ বাংলাদেশ আওয়ামী নীণের চট্টগ্রামের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ র্ণ ভূমিকা পালনকারি রাজনৈতিক অভিভাবক মোসলেম উদ্দিনের উপর আমার এই সামান্য লেখাটি উনার মতির প্রতি শ্রদ্ধাজানিয়ে উপস্থাপন করছি।। । মোসলেম ভাইকে সরাসরি চিনেছি বিধান ১৯৮৬ সালে দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের প্রথম যখন তিনি সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়ে, আওয়ামী লীগের রাজনীতির কর্মসূচী নিয়ে এরশাদ বিরোধী আন্দোলনের নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন তখন থেকেই। এর পর আমার সু ভাগ্য হয়েছিল উনার সাথে কাজ করার, উনি যখন নানখান বাজার ওয়ায়ের কাউশিনার তখন তিনি উনারদের শহরের পৈত্রিক বাড়ি নানগান বায়ার হাই নোদেন রোডের মুখে বসবাস করতেন, আমি তখন উনার বাসার পাশে হাই নেদেন রোডের মুখে আমাদের ডেইজি প্রিন্টিং এন্ড প্যাকেজিং (লেখাপড়ার পাশাপাশি। পরিচালনা করতাম, সেই সুবাদে তাঁর সাথে আমার সখ্যতা গড়ে উঠে। এর পর আমার প্রিয় নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা চট্টল বন্ধু এস এম জামান উদ্দিন ও ব্যারিস্টার মনোয়ার হোসেন এর নেতৃত্বে যখন বৃহত্তর চট্টগ্রাম উন্নয়ন গণ সংগ্রাম কমিটি ১৯৮৮ সালের ১৬ই আগস্টে প্রতিষ্ঠিত হয়, তখন সংগ্রাম কমিটির আন্দোলন জোরদার করতে কর্মসুচী নিয়ে কাজ করতে গিয়ে মোসলেম উদ্দিনের সাথে এস এম জামাল উদ্দিন এর বদৌলতে সরাসরি চট্টগ্রাম উন্নয়ন নিয়ে রাজপথে থাকার অনেক স্মৃতি রয়েছে। চলার পথে এই বরেণ্য রাজনৈতিক নেতার আসংখ্য বার সান্নিধ্য গেয়েছি। বিশেষ করে ৯১ সাথে বিএনপি ক্ষমতায় আসার পর যখন হুমায়ুন জহির আততায়ীর গুলিতে নিহত হন, সেই হুমায়ুন জহির হত্যা মামলায় চট্টগ্রামে সিংহ পুরুষ, আক্তারুজ্জামান চৌধুরী বাবু ভাইকে জড়িয়ে দেন, তখন আমরা তার প্রতিবাদে যোদ্ধার হয়ে স্বান্দোলন করেছিলাম। একটি সময়ে আক্তারুজ্জামান চৌধুরী বাবু ভাইয়ের পক্ষে কাজ করার জন্য এবং বাবু ভাইয়ের মামলা প্রতআহার করার আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়ার সময় মোসলেম ভাইয়ের ব্যতীত সিনিয়র অন্য কোন নেতা রাজপথে এগিয়ে আসেননি। এক পর্যায়ে আমরা বৃহত্তর চট্টগ্রাম উন্নয়ন সংগ্রাম কমিটির উদ্যোগে, বাবু ভাইয়ের মামলা প্রত্যাহার করাসহ উনাকে দেশে ফিরে আনার জন্য সরকারের কাছে দাবী জানিয়ে কর্মসূচী ঘোষণা করেছিলাম । আমি তখন ছাত্র সংগ্রাম কমিটির কেন্দ্রীয় সভাপতি, সেই সুবাদে আমি যখন চট্টগ্রামে পৃথকভাবে শিক্ষা বোর্ড প্রতিষ্ঠার দাবী সহ ১০ দফা নাবী নিয়ে বিগত ১৯৯৪ সালের পহেলা জুন চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের অস্থায়ী জামান খান কার্যলয় হতে সংবাদ সম্মোনের মাধ্যমে সরকারকে এক মাসের সময় দিয়ে, ১৯৯৪ যাদের ৯ ই জুলাই চট্টগ্রামে অর্ধদিবস হরতান পাননের ঘোষণা দিয়েছিলাম, তখন সেই দাবীর মধ্যে আজারজ্জামান চৌধুরী বাবু ভাইয়ের মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবীও ছিলো। তখন কিন্তু বাবু ভাই ভারতে পানিয়ে আছেন, আমার নেতৃত্বে সেই ছাত্র আন্দোলন এস এম আমান উদ্দিন এর সক্রিয় সহযোগিতা পাওয়া পাশাপাশি বাবু ভাইয়ের পক্ষে এই মোসলেম ভাইকে আমরা কাছে পেয়েছি। তবে আমার আন্দোলন জোরদার করার শুন্য তখনকার ছাত্র লীগ নেতা বর্তমান দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের শ্রম বিষয় সম্পাদক খুরশিদ আনামকে কাছে পেয়েছি। খুরশিদ ভাইসহ আমি অসংখ্য কর্মসূচী পালন করেছি। আমরা হরতালের সমর্থনে চট্টগ্রাম শহীদ মিনারে জনসভাসহ যেসব সভার আয়োজন করেছি সব ওলো সভাতে মোসলেম ভাইকে পেয়েছি। তখন আমাকে বাবু ভাইয়ের মামলা নিয়ে কর্মসূচি পালনের কৈফিয়ত চেয়ে পুলিশ প্রশাসন অনেক বিরক্ত করেছিনো এবং হরতাল পালনের সময় ও হরতালের আগেরদিন নিফলেট বিলি করাকালিন আমার অসংখ্য চনতা কর্মিকে পুলিশ গ্রেফতার করেছিলেন। ভারত থেকে বাবু ভাই প্রতিদিন রয়মাণ ভাইয়ের ৬১১৯৪০ টেলিফোনের মাধ্যমে কথা করতেন, তা আমি বিগত সময়ের অনেকবার লিখেছি। এই মোসলেম ভাইয়ের সাথে স্মৃতিময় সব কথা অল্পতে নিখে শেষ করা যাবেনা। আমি উনার সাথে বহুবার ঢাকায় অবস্থান করেছি, আমি দেখেছি তিনি কতটুকু জনবান্ধব নেতা ছিলেন। উনি যখন মঈন উদ্দিন খান বাদলের পক্ষে ২০১৮ সালে নির্বাচন করার জন্য নির্বাচনের অাণের দিন সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার এ-র সাথে বৈঠক বযতে গিয়েছিলেন কিন্তু এই গোপনীয় বৈঠকে তিনি আমাকে সাথে রেখেছেন। তা এখনো অনেক কথা অজানা রয়ে গেছে। সেই মোসলেম ভাইকে নিয়ে আমি আমার উপস্থাপনায় বাংলা টিভিতে একাধিক টকশো করেছিলাম, যা আজ স্মৃতি হয়ে আছে। উনার সম্পদনায় যাহসী ঠিকানা নামে একটি ম্যাগাজিন প্রকাশিত হতো আমি ঐ ম্যাগাজিনে ২০০৪ সালে প্রথম লিখেছিলাম সর্বনাশা আগস্ট ও বঙ্গবন্ধু নামে তথ্য ভিত্তিক এবং স্বাবেগ মিশানো বিবেকতাড়িত লেখাটি এর পর উনার পরামর্শে বোয়ালখালী ও আমার জন্মস্থান চরণদ্বীপের ইতিহাস লিখে ছিলাম, আমার লেখা লেখি শুরু বিগত ৮৭ সাল থেকে হলে-ও আমি কিন্তু বোয়ালখালী এবং চরণদ্বীপ নিয়ে নিখেছি ২০০৪ সালে এসে, তা-ও মোসলেম ভাইয়ের পরামর্শের বদৌলতে। মঈন উদ্দিন খান বাদল ভাই মারা যাওয়ার পর উপ নির্বাচনে দলিয় নমিনেশন নেওয়া জন্য তিনি যখন ঢাকায় ছিলেন তখন আমি এবং মনত্বর আলম পাল্লী নাই একসাথে উনার সাথে ছিলাম, বোয়ালখালী থেকে ঢাকায় যাওয়া সবাইকে পাল্লী ভাইয়ের বসুন্ধরা বাসা থেকে রান্না করে ছোটেলে নিয়ে রাতের বেলায় সবাই খাওয়ানোর কথাগুলো এখনো মনে পরে। মোসলেম ভাইয়ের নমিনেশন যখন ফাইনাল হলো, তখন আমি ঢাকা গণভবনের সামনে
থেকে সরাসরি লাইফ বক্তব্য দিয়েছিলাম। নমিনেশন নিয়ে মোসলেম ভাইয়ের সাথে আমরা তিনজন একসাথে বিমানে করে চট্টগ্রাম এসেছি। এরপর উনার নির্বাচনি প্রচারের আমি অসংখ্য নাইফ ভিডিও চেড়েছি এবং সময়ের আলো পত্রিকায় বড় করে একটি আমি আবেদন মুলক লেখা লিখেছিলাম, তা আজ ইতিহাসের অংশ হয়ে বেঁচে আছে। নির্বাচনের একাধিক মিছিলে আমি অংশ নিয়েছিলাম। নির্বাচনের রাতে আমরা দলবদ্ধ হয়ে এই ধরনের শীতের রাতে উনার কধুরখীল গ্রামের বাড়ীতে অবস্থান করে সকালে বিভিন্ন ভোট কেন্দ্র পরিদর্শন পূর্বক সারাদিন বোয়ালখালীতে কেটে সন্ধ্যার সময় শহরে চলে আসার কথা মনে পড়ে। মোসলেম ভাইয়ের সাথে আমার শেষ দেখা এবং শেষ ছবি তোলা হয়েছিল বোয়ালখালীতে ব্যারিস্টার মনোয়ার হোসেন এ-র নব নির্মিত বাড়ী উদ্বোধন ও মেজবানের সময়। তিনি ঐ দিন বোয়ালখালী উপজেলার পুরাতন ভবন ভেঙে নতুন ভবনের ভিতি সহাপন করেছিলেন, আজ কিন্তু বোয়ালখালী উপজেলা ভবন নির্মিত হয়ে যাচ্ছে কিন্তু মোসলেম ভাই আমাদের মাঝে বেঁচে নেই। চীনার মৃত্যুর আগে কালুরঘাট সেতু নিয়ে তিনি যথেষ্ট কাজ করেছিলেন, চট্টগ্রামে যখন প্রধান মন্ত্রী এসেছিলেন, তখন তিনি কালুরঘাট সেতু বাস্তবায়নে দাবি প্রধান মন্ত্রী কাছে কোলে ধরেছিলেন। আমরা চট্টগ্রাম নাগরিক ফোরামের পক্ষ থেকে মোসলেম ভাইয়ের ছবি ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এবং বঙ্গবন্ধুর ছবিসহ দিয়ে ব্যারিস্টার মনোয়ার হোসেন এর নেতৃত্বে কালুরঘাট সেতু বাস্তবায়নের দাবীকে জনদাবী হিসাবে পরিনত করে ছিলাম। মোসলেম ভাই মরণব্যাধি ক্যানসারের আক্রান্ত হয়ে গত বছর ৬ ই ফেব্রুয়ারি ঢাকা এভার কেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন। উনার মৃত্যুতে পুরো চট্টগ্রামে শোকের ছায়া নেমে স্বাসে। আমরা উনার মৃত্যুর পর চট্টগ্রাম নাগরিক ফোরাম এ-র পক্ষ থেকে চট্টগ্রাম শহর ও বোয়ালখালীতে অসংখ্য শোক ব্যনার দিয়েছিলাম। ব্যারিস্টার মনোয়ার হোসেন লন্ডন থেকে আযার পর আমরা নগরী গরীব উলাহ শাহ মাজার সংলগ্ন কবরস্থানে উনার কবর জিয়ারত ও ফুলের শ্রদ্ধা জানিয়েছিলাম। তিনি এখন যেখানে শোয়ে আছেন, সেই মাজারের তিনি দীর্ঘ বছর খাদেম হিসেবে দায়িত্ব পানন করেছেন এবং মাজারের খেদমত করেছেন আমরা চট্টগ্রাম নাগরিক ফোরামের উদ্যোগে একটি বড় আকারে শোকসভার আয়োজন করেছিলাম। আজ দেখতে দেখতে একবছর অতিবাহিত হয়ে গেছে মোসলেম ভাইয়ের চলে যাওয়া। আমি উনার উপর স্মৃতিময় চোখার সাথে উনার সংক্ষিপ্ত জীবন কাহিনী তোলে ধরছি মোছলেম উদ্দিন আহমদ চট্টগ্রাম জেলার বোয়ালখালী উপজেলার অন্তর্গত বোয়ালখালী পৌরসভার পশ্চিম কদুরখীল গ্রামের কাজী মোহাম্মদ নকী বাড়ীতে ১৯৪৯ ইংরেজি ১ হেলা জুন, তারিখে এক সমস্রান্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম মরহুম মোশার রফ উদ্দিন আহমদ ও মাতার নাম মরহুমা রওশন আরা বেগম। ১৯৬৭সানে চট্টগ্রাম সরকারি মুসলিম হাইস্কুল থেকে এস,এস,সি পরীক্ষায় হয়ে চট্টগ্রাম সরকারি কর্মাস কলেজে উচ্চ মাধ্যমিক শ্রেনীতে ভর্তি হন। উন্ড কলেজে থেকে ১৯৬৮ সালে এইচ, এস, সি এবং সালে স্নাতক ডিগ্রী নাভ করেন। স্নাতকোত্তর শ্রেনীতে পড়াশুনার জন্য চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি হন ১৯৭৬ সালে কৃতিত্বের সাথে স্নাতকোত্তর ডিগ্রী অর্জন করেন। চট্টগ্রাম সরকারি মুসলিম হাইস্কুলে পড়াশুনা করার সময় বাঙালি জাতীয়তাবাদী আদর্শে উদ্বুদ্ধ হয়ে ১৯৬৬ সালে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান ছাত্রলীগে যোগদান করেন। ছাত্রলীগে যোগদান করেই তিনি সংগঠনের সকল কর্মকান্ডে অংশগ্রহণ করতে থাকেন। ফলশ্রুতিতে তিনি অল্পসময়ের মধ্যেই ছাত্রলীগের একজন একনিষ্ঠ ও নিবেদিতপ্রান সার্বক্ষণিক কর্মী হিসেবে নিজেকে গড়ে তোলেন। পর্যায়ক্রমে তিনি ছাত্রলীগের কাতারের নেতা হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেন। তিনি ১৯৬৯ সালে চট্টগ্রাম কমার্স কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি ও চট্টগ্রাম শহর ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচিত হন। ১৯৭০ সালে চট্টগ্রাম শহর ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। পরবর্তীতে ১৯৭২ সালে চট্টগ্রাম শহর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। সভাপতি ছিলেন জসিম উদ্দিন আহমদ খান। অ্যাডভোকেট)। মোছলেম উদ্দিন আহমদ ১৯৬৬ সালের ৬ দফা আন্দোলন, ১৯৬৬ এর গনজাগরণ, ১৯৬৯ সালের গণঅভ্যুত্থান, ১৯৭০ সালের ঐতিহাসিক সাধারন নির্বাচন, ১৯৭১ সালে মহান নেতা বঙ্গবন্ধু ঘোষিত পাকিস্তানি উপনিবেশিক শাসনের বিরুদ্ধে সর্বাত্মক অসহযোগ আন্দোলন ও ১৯৭১ সালে বঙ্গবন্ধুর আহবানে সাড়া দিয়ে মহান মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন। মুক্তিযুদ্ধের সূচনালগ্নে ছাত্রনেতা হিসেবে মুক্তিযুদ্ধেকে সংগঠিত করতে ব্যাপক ভূমিকা পালন করেন। চট্টগ্রাম স্টেশন রোডস্থ রেস্ট হাউজে ১৯৭১ সালের ২৫ মাছের পর বায়নি ইপিআর, বাঙালি আনসার, বাঙালি পুলিশ, বাঙালি সেনাবাহিনীর সদস্যরা যারা মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিল যে সমস্ত মুক্তিযোদ্ধাদের অন্য তিনি ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে অস্ত্র, কাপড় চোপড় ও খাদ্য সংগ্রহের কাজে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করে। সময় চট্টগ্রাম শহরের অধিকাংশ এলাকা তখন মুক্তিযোদ্ধাদের দখলে। বাঙালিরা দেশীয় অস্ত্র শস্ত, নাঠি, বল্লাম, তীর ধনুক নিয়ে, এমন কি মরিচের গুড়া নিয়ে বাঙালি মহিলারা নিজ এলাকার রাস্তায়, বাসার ছাদে দালানের কোণায়, অবস্থান, গ্রহণ করে হানাদার পাকিস্তানি বাহিনীর মোকাবেলা করার জন্য অসীম মনোবল ও সাহস নিয়ে প্রতিরোধ যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে। পাকিস্তানি কমান্ডোদের অতর্কিত আক্রমণে জামালখান এলাকার চেরাগী পাহার মোড়ে শহীদ হন দীপক, জাফর ও বদরুজ্জামানের মাত বীর মুক্তিযোদ্ধারা, আর এমনি এক কমান্ডো বাহিনীর হাতে মুক্তিযুদ্ধের প্রথম দিকে গ্রেপ্তার হন ছাত্রলীগ নেতা, মহিউদ্দিন চৌধুরী, মোসলেম উদ্দিন আহমদ ও মোঃ ইউনুন। দীর্ঘ আড়াইমাস তারা চট্টগ্রাম কারাগারে বন্দী ছিলেন। কারাগারে বন্দী থাকাকালীন তাদের মাথায় এল এক দুঃসাহসিক চিন্তা। কীভাবে কারাগার থেকে পালানো যায়। তারা পাগল সেজে কারাগার থেকে বের হয়ে গেলেন। কারাগার থেকে পালানোর পর আবারো দেশকে শত্রু মুক্ত করার জন্য যুদ্ধ করেন, যাদের মধ্যে মোসলেম উদ্দিন ছিল অন্যতম। মোসলেন উদ্দিন শুধু একজন রাজনীতিবিদ নন। তিনি একজন সৃজনশীল প্রতিভার অধীকারী বাড়ি। ছাত্রাজীবন থেক তিনি সাহিত্য চর্চার সাথে যুক্ত ছিলেন। ১৯৭০ সালে জয় বাঙলা নামে একটি সাময়িকী তার সম্পাদনা প্রাকাশিত হয়। এছাড়াও চট্টগ্রাম থেকে প্রকাশিত সাপ্তাহিক সাহসী ঠিকানার তিনি সম্পাদক। তিনি একজন সার্বক্ষনিক রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব। চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা যুবলীগের সভাপতির দায়িত্বও তিনি পালন করেন। পরবর্তীতে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামীলীগের রাজনীতিতে তিনি সম্পৃক্ত হন। ১৯৬৬ সাল হইতে ২০১২ সাল পর্যন্ত দীর্ঘদিন তিনি চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। বর্তমানে তিনি চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। ২০২০ সানের ১৩ জানুয়ারীতে চট্টগ্রাম ৮ আসনের উপ- নির্বাচনে আওয়ামীলীগের দলীয় মনোনয়ন দিয়েছেন। স্ত্রী শিরিন আহমদ ও চার মেয়ে নিয়ে তার পরিবার। তিনি বর্তমানে খুলশী থানার অধীনে নামলখান বাজারস্থ হিলসাইড আবাসিক এলাকায় রওশন ইমন টাওয়ারে
স্থায়ীভাবে বসবাস করতেন। আমি আবার মোসলেম ভাইয়ের আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি, আগামীতে আরো বিস্তারিত চীখবো ইনশাআল্লাহ।
লেখকঃ সাংবাদিক, সাহিত্যিক, গবেষক, টেলিভিশন উপস্থাপক ও মহাসচিব চট্টগ্রাম নাগরিক ফোরাম। Email-Kamaluddin 47@gmail.com