1. mail.bizindex@gmail.com : newsroom :
  2. info@www.bhorerawaj.com : দৈনিক ভোরের আওয়াজ :
বৃহস্পতিবার, ০১ মে ২০২৫, ০৯:৪৫ অপরাহ্ন
সর্বশেষ :
“বাঁশখালীতে ৪ হাজার ইয়াবাসহ টেকনাফের মাদক কারবারি আটক: ব্যবহৃত মোটরসাইকেল জব্দ” হোমনায় মহান মে দিবস উপলক্ষে  বিএনপির বর্ণাঢ্য র‍্যালি  ড. মোহাম্মদ ইউনূস এর শুভ আগমনে বোয়ালখালীবাসীর পক্ষ থেকে হাজী মোহাম্মদ আলম ববির শুভেচ্ছা ও কৃতজ্ঞতা পুলিশ পরিচয়ে ঘরে প্রবেশ করে পরিবারের ৮ জনকে বেঁধে ছয়টি দোকান ঘর গুঁড়িয়ে দিয়ে মালামাল লুট করেছে দুর্বৃত্তরা রোদেলা দুপুরে পারকি সৈকতের বালুকাবেলায় কলম যোদ্ধারা,স্মৃতিময় এক মে দিবস! ড. মোহাম্মদ ইউনূসের দক্ষিণ চট্টগ্রাম সফর সিএমপি কমিশনার ও পাঁচ ওসি পেলেন আইজিপি ব্যাজ সাহস, দক্ষতা ও মানবিক পুলিশিংয়ের স্বীকৃতি আইজি পি ব্যাজ পেলেন ওসি আফতাব উদ্দিন চট্টগ্রাম উন্নয়ন আন্দোলনের সূচনালগ্নের সাহসী পুরুষ ব্যারিস্টার মনোয়ার হোসেন! দৃষ্টি আকর্ষণ

শেখ সাদীর জীবনের অমূল্য উপদেশ: ১৫টি শিক্ষণীয় বাণী যা আপনার জীবন বদলে দিতে পারে

মো. কামাল উদ্দিন
  • প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ২১ জানুয়ারী, ২০২৫
  • ২৩০ বার পড়া হয়েছে

শেখ সাদী, একজন মহান ইসলামী কবি এবং সাহিত্যিক, যাঁর সাহিত্যকর্ম প্রাচ্য এবং পাশ্চাত্যের সীমানা ছাড়িয়ে পাঠক সমাজের হৃদয়ে স্থায়ী অবস্থান অর্জন করেছে। ১২শ শতকের এক উজ্জ্বল নক্ষত্রের মতো তিনি এসেছিলেন এবং তাঁর সৃষ্টি ছিল মানবতার চিরন্তন মন্ত্র। তাঁর কবিতা ও গল্পসমূহ আধুনিক যুগেও প্রাসঙ্গিক, কারণ তাঁর লেখায় মানবতা, নৈতিকতা এবং দয়ার শিক্ষা প্রতিফলিত হয়েছে।
শেখ সাদী-এর জীবনের শুরু হয়েছিল ইরানের শিরাজ শহরে, যেখানে তিনি তাঁর প্রাথমিক শিক্ষা লাভ করেন এবং সেখানেই তিনি সাহিত্য ও দর্শনের অমূল্য রত্নে আত্মসমर्पণ করেন। তাঁর লেখনির ধরন ছিল সরল, সুরুচিপূর্ণ এবং গভীর, যা পাঠকদের সহজেই আকর্ষণ করত। তাঁরা বলেছিলেন, “বিশ্বে এমন কিছু নেই যা সাদীর কলমে স্পর্শিত হয়নি।”
তাঁর অন্যতম বিখ্যাত কাব্যগ্রন্থ গুলিস্তান (গোলাবের বাগান) এবং বুস্তান (বাগান) এখনো পৃথিবীজুড়ে পাঠিত হয়। গুলিস্তান এর মধ্যে রয়েছে তাঁর জীবনের শিখনসমূহ, যা মানবিক দৃষ্টিভঙ্গি এবং সহানুভূতির মর্ম উপলব্ধি করায় পাঠককে। আর বুস্তান, যেখানে রয়েছে মানুষের নৈতিক শিক্ষা ও শাসনবিধি, সমাজের আদর্শ নীতি।
শেখ সাদী তাঁর সাহিত্যকর্মের মাধ্যমে মানুষের মাঝে অশান্তির পরিবর্তে শান্তি, বুদ্ধিমত্তার পরিবর্তে অবিচলিত সত্য, এবং অবহেলা থেকে প্রেমের দিকে এগিয়ে চলার পথ নির্দেশ করেছেন। তার লেখনীতে, প্রতিটি গল্প, প্রতিটি শ্লোক, প্রতিটি পঙক্তি যেন এক চিরন্তন মন্ত্র হয়ে থাকে, যা আজও যুগযুগান্তরের পরিপ্রেক্ষিতে গুরুত্বপূর্ণ। তিনি আমাদের শিখিয়েছেন, জীবনের প্রতি দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন করলেই, পৃথিবী পরিবর্তিত হতে পারে। তাঁর কাজ এবং জীবন আমাদের প্রেরণা দেয়, আর শেখ সাদীর এই অমর শিল্পের মাধ্যমে আমরা অগ্রসর হতে পারি মানবিকতার পথে। মহাকবি শেখ সাদী, যিনি ফার্সি গদ্যের একজন মহান
রক্ষাকারী, তাঁর অমূল্য বাণী এবং উপদেশের মাধ্যমে সারা পৃথিবীকে এক গভীর মানবিক দৃষ্টিভঙ্গি উপহার দিয়েছেন। তাঁর এই উপদেশগুলো জীবনের অমুল্য রত্ন, যা আমাদের জীবনের পথপ্রদর্শক হতে পারে। নিচে শেখ সাদীর ১৫টি বিখ্যাত উপদেশ তুলে ধরা হলো, যা প্রতিটি মানুষকে আত্মোন্নয়নে সাহায্য করবে এবং তাদের জীবনকে বদলে দেবে। ১. তিন জনের নিকট কখনো গোপন কথা বলিও না
(ক) স্ত্রীলোক, (খ) জ্ঞানহীন মূর্খ, (গ) শত্রু- শেখ সাদী আমাদের সাবধান করেন যে, গোপন কথা কখনো এমন মানুষদের কাছে বলা উচিত নয়, যারা সেই তথ্য মূল্যায়ন করতে সক্ষম নন কিংবা যারা আপনার শত্রু। স্ত্রীরা, মূর্খরা এবং শত্রুরা কখনোই আপনার গোপন বিষয়গুলো বোঝার ক্ষমতা রাখে না। ফলে, গোপন কথাগুলো সবার কাছে প্রকাশ না করাই বুদ্ধিমানের কাজ। ২. অকৃতজ্ঞ মানুষের চেয়ে কৃতজ্ঞ কুকুর শ্রেয়-
এখানে শেখ সাদী বলছেন, অকৃতজ্ঞ মানুষের চেয়ে কৃতজ্ঞ কুকুর অনেক ভালো। কুকুর তার মালিকের প্রতি আনুগত্য ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে, কিন্তু অকৃতজ্ঞ মানুষ আমাদের দেওয়া ভালোবাসা ও সহায়তা মূল্যায়ন করতে জানে না। তাই, কৃতজ্ঞতার মধ্যে জীবনের সত্যিকারের সুখ ও শান্তি লুকিয়ে থাকে।
৩. আমি আল্লাহকে সবচেয়ে বেশী ভয় পাই, তার পরেই ভয় পাই সেই মানুষকে যে আল্লাহকে মোটেই ভয় পায় না-
শেখ সাদী বলেন, আল্লাহকে ভয় করা আমাদের প্রথম কর্তব্য, কারণ তিনি আমাদের সৃষ্টি ও সৃষ্টির পালনকর্তা। তবে, যেসব মানুষ আল্লাহকে ভয় করেন না, তারা অন্যদের জন্যও ক্ষতিকর হতে পারে। তাঁদের কাছে, আমাদের নিজেদের নিরাপত্তা সম্পর্কে সচেতন থাকতে হয়।
৪. এমনভাবে জীবনযাপন করে যেন কখনো মরতে হবে না, আবার এমনভাবে মরে যায় যেন কখনো বেচেই ছিল না-
জীবনের প্রতি শেখ সাদীর দৃষ্টিভঙ্গি অত্যন্ত গভীর। তিনি বলেন, আমাদের উচিত এমনভাবে জীবন যাপন করা যেন মৃত্যুর চিন্তা না থাকে, কিন্তু যখন মৃত্যু আসবে, তখন এমনভাবে মরতে হবে যেন পৃথিবী ও আমাদের অস্তিত্ব একে অপরের থেকে আলাদা হয়ে গেছে। এই উপদেশ আমাদের জীবনের নৈতিকতা ও আত্মত্যাগের পথে চলার উৎসাহ দেয়।
৫. হিংস্র বাঘের উপর দয়া করা নিরীহ হরিণের উপর জুলুম করার নামান্তর
এই বাণীতে শেখ সাদী আমাদের জানান, শক্তিশালী কিংবা ক্ষতিকর প্রাণীর প্রতি সহানুভূতি দেখানো উচিত নয়, যেমন আমরা নিরীহ প্রাণীর প্রতি দয়ালু হতে চাই। তাই আমাদের উচিত একে অপরের প্রতি মানবিকতা ও সহানুভূতি প্রদর্শন করা, তবে শত্রু কিংবা ক্ষতিকর ব্যক্তির প্রতি নয়।
৬. যে সৎ, নিন্দা তার কোন অনিষ্ট করতে পারে না
সততা হলো একটি শক্তিশালী গুণ যা কোনো নিন্দা বা অপপ্রচারে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে না। সৎ মানুষ কখনো নিন্দার শিকার হলে, তাতে তার কোনো ক্ষতি হয় না, বরং তার সত্যতা এবং ভালো কাজ তার জন্য সবার মাঝে আরো শ্রদ্ধা লাভ করে।
৭. প্রতাপশালী লোককে সবাই ভয় পায় কিন্তু শ্রদ্ধা করে না-শেখ সাদী বলেন, ক্ষমতা ও প্রতাপশালী লোকদের মানুষ ভয় পায়, কিন্তু তাদের প্রতি প্রকৃত শ্রদ্ধা থাকে না। শক্তি আর শ্রদ্ধা দুটি আলাদা বিষয়। প্রকৃত শ্রদ্ধা সেই ব্যক্তির জন্য যা তার আচার-ব্যবহার, মানবিকতা এবং সহানুভূতির মাধ্যমে অর্জিত হয়।
৮. দেয়ালের সম্মুখে দাঁড়িয়ে কথা বলার সময় সতর্ক হয়ে কথা বলো-আপনি কখনো জানবেন না, দেয়ালের পেছনে কে আপনার কথাগুলো শুনছে। তাই আমাদের উচিত প্রতিটি কথা বলার সময় সতর্ক থাকা, কারণ সেই কথা বা তথ্য অন্যদের কাছে চলে যেতে পারে যাদের উদ্দেশ্য হয়তো ভালো নয়।
৯. মুখের কথা হচ্ছে থুথুর মত, যা একবার মুখ থেকে ফেলে দিলে আর ভিতরে নেওয়া সম্ভব নয়-
মুখ থেকে বলা কথাগুলো একবার বের হয়ে গেলে তা আর ফিরে পাওয়া সম্ভব নয়। একবার যদি কোনো কথা ভুল করে বলে ফেলি, তা কখনোই ফিরে নেয়া যায় না। তাই, শেখ সাদী পরামর্শ দেন, কথা বলার সময় সাবধানে ভাবনা-চিন্তা করা উচিত।
১০. মন্দ লোকের সঙ্গে যার উঠা বসা, সে কখনো কল্যাণের মুখ দেখবে না-
যাদের চরিত্র মন্দ, তাদের সঙ্গে উঠাবসা করলে জীবনে কখনো ভালো ফলাফল পাওয়া যায় না। শেখ সাদী আমাদের সতর্ক করেন, খারাপ মানুষের সঙ্গ থেকে বিরত থাকা উচিত, কারণ তাদের প্রভাব আমাদের জীবনে কল্যাণের বদলে কেবল ক্ষতি আনবে।
১১. দুই শত্রুর মধ্যে এমনভাবে কথাবার্তা বল, তারা পরস্পরে মিলে গেলেও যেন তোমাকে লজ্জিত হতে না হয়-
দুটি শত্রুর মধ্যে কূটনৈতিকভাবে কথা বলুন, যেন তারা একে অপরের সাথে লড়াই করতে গিয়ে আপনাকে অস্বস্তিতে না ফেলে। এর মাধ্যমে আপনি একদিকে শান্তি বজায় রাখতে পারবেন, অন্যদিকে নিজের মর্যাদা রক্ষা করবেন।
১২. বাঘ না খেয়ে মরলেও কুকুরের মতো উচ্ছিষ্ট মুখে তুলে না-
শেখ সাদী এই উপদেশে বলেন, নিজের মর্যাদা রক্ষা করুন। এক্ষেত্রে তিনি কুকুরের মতো উচ্ছিষ্ট খাবারের প্রতি আকর্ষণকে অভিশাপ হিসেবে দেখছেন, যা আমাদের আত্মসম্মানকে ক্ষুণ্ন করে। ১৩. ইহ-পরকালে যাহা আবশ্যক তাহা যৌবনে সংগ্রহ করিও-
আপনার জীবনের প্রাথমিক সময়ে সৎ কাজ, ধর্ম, নীতি ও আধ্যাত্মিকতার প্রতি মনোযোগী হয়ে জীবন গঠন করুন। ইহ-পরকালে যা কিছু প্রয়োজন, তা যৌবনকালেই অর্জন করুন।
১৪. কোন কাজেই প্রমাণ ছাড়া বিশ্বাস করিও না-
কোনো কিছু বিশ্বাস করার আগে তার প্রমাণ থাকা প্রয়োজন। অন্ধ বিশ্বাস কখনোই সঠিক নয়, কারণ প্রমাণ ছাড়া আমাদের সিদ্ধান্তে ভুল হতে পারে।
১৫. অজ্ঞের পক্ষে নীরবতাই হচ্ছে সবচেয়ে উত্তম পন্থা-
অজ্ঞতা থেকে মুক্তি পেতে চুপ থাকা সবচেয়ে উত্তম পন্থা। শেখ সাদী বলেন, নীরবতা অজ্ঞতার বিরুদ্ধে একটি শক্তিশালী অস্ত্র, যা মানুষকে নিজের সীমাবদ্ধতা বুঝতে সাহায্য করে।
শেখ সাদীর এই মূল্যবান উপদেশগুলি আমাদের জীবনে অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করে। তাঁর বাণী আমাদের সঠিক পথে চলতে, মানবিক মূল্যবোধ বজায় রাখতে এবং নিজেদের উন্নতি করতে সহায়তা করবে।
শেখ সাদীর উপদেশ মানলে উপকারিতা এবং না মানলে ক্ষতির বিশদ বিশ্লেষণ
শেখ সাদীর এই ১৫টি উপদেশ শুধুমাত্র নৈতিকতা, আধ্যাত্মিকতা এবং সঠিক জীবনযাপনের দিকনির্দেশনা নয়, এগুলো আমাদের দৈনন্দিন জীবনের সমস্যাগুলো মোকাবিলা করার কার্যকরী পন্থাও বটে। প্রতিটি উপদেশ মেনে চলা আমাদের জীবনের মান উন্নত করতে সাহায্য করবে, আর এগুলো উপেক্ষা করলে আমরা ক্ষতির সম্মুখীন হবো। নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো:
১. তিন জনের নিকট কখনো গোপন কথা বলিও না
উপকারিতা:
গোপন কথা সঠিক মানুষের কাছে রাখা হলে তা নিরাপদ থাকবে এবং আপনার সম্মান অক্ষুণ্ন থাকবে। এ উপদেশ মানলে আপনি বিশ্বাসঘাতকতা থেকে রক্ষা পাবেন।
ক্ষতি:
যদি মূর্খ, শত্রু বা এমন কাউকে গোপন তথ্য বলুন, তারা তা আপনার বিরুদ্ধে ব্যবহার করতে পারে। এতে আপনার জীবন, সম্পর্ক ও নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়তে পারে।
২. অকৃতজ্ঞ মানুষের চেয়ে কৃতজ্ঞ কুকুর শ্রেয় উপকারিতা:
কৃতজ্ঞ মানুষের সাথে সম্পর্ক গড়লে তারা আপনার প্রতি সদয় থাকবে এবং আপনাকে সম্মান করবে। এটি পারস্পরিক সম্পর্ককে দৃঢ় করে।
ক্ষতি:
অকৃতজ্ঞ মানুষের প্রতি দয়া করলে তারা আপনার প্রতি অবহেলা করবে এবং সুযোগ নিয়ে ক্ষতি করতে পারে।
৩. আল্লাহকে ভয় করা এবং আল্লাহকে ভয় না করা মানুষের ভয় উপকারিতা:
যে আল্লাহকে ভয় করে, সে ন্যায়পরায়ণ হয় এবং অন্যের ক্ষতি করে না। এই উপদেশ মানলে আপনি সৎ ও নিরাপদ মানুষদের সঙ্গ পাবেন।
ক্ষতি:
যারা আল্লাহকে ভয় পায় না, তাদের কাছে নৈতিকতা নেই। তাদের বিশ্বাস করলে আপনি প্রতারিত ও ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারেন।
৪. জীবন যাপন ও মৃত্যুর প্রস্তুতি
উপকারিতা:
এই উপদেশ মানলে আপনি জীবনে সঠিক উদ্দেশ্য ও নৈতিক জীবনযাপন করবেন। মৃত্যুর পরও আপনার কাজ ও নীতি মানুষের মধ্যে স্মরণীয় হয়ে থাকবে।
ক্ষতি:
এটি উপেক্ষা করলে জীবন অকারণ ও লক্ষ্যহীন হয়ে যাবে। মৃত্যুর পর আপনার অবদান ভুলে যাবে মানুষ। ৫. হিংস্র বাঘের উপর দয়া করা নিরীহ হরিণের উপর জুলুম করার নামান্তর
উপকারিতা:
শত্রুকে সহানুভূতি না দেখালে আপনি ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা পাবেন। নিরীহ ও দুর্বলদের প্রতি সদয় হলে আপনি সবার শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা অর্জন করবেন।
ক্ষতি:
হিংস্র ও শত্রুদের প্রতি দয়া দেখালে তারা সুযোগ নিয়ে আপনাকে আঘাত করবে। নিরীহদের প্রতি অবিচার করলে সমাজে আপনার প্রতি ঘৃণা সৃষ্টি হবে।
৬. সৎ মানুষকে নিন্দা আঘাত করতে পারে না
উপকারিতা:
আপনি সততার পথে থাকলে আপনার প্রতি মানুষের বিশ্বাস ও সম্মান বাড়বে। নিন্দা আপনার সাফল্যে কোনো প্রভাব ফেলতে পারবে না।
ক্ষতি:
অসৎ হলে নিন্দা ও সমালোচনায় আপনার সম্মান নষ্ট হবে এবং জীবনে অগ্রগতি বাধাগ্রস্ত হবে। ৭. প্রতাপশালী লোক ভয় পায়, শ্রদ্ধা করে না
উপকারিতা:
শ্রদ্ধা অর্জনের জন্য নম্র ও মানবিক হওয়া প্রয়োজন। এ উপদেশ মানলে আপনি প্রকৃত বন্ধু ও সমর্থন পাবেন।
ক্ষতি:
শক্তি বা প্রতাপ দিয়ে মানুষকে ভয় দেখালে তারা দূরে সরে যাবে এবং আপনার পক্ষে কেউ থাকবে না।
৮. দেয়ালের সম্মুখে কথা বলার সময় সতর্ক হও
উপকারিতা:
এটি মানলে আপনার ব্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষিত থাকবে এবং অন্যরা আপনার কথা নিয়ে গোপনে ষড়যন্ত্র করতে পারবে না।
ক্ষতি:
আপনার অসতর্ক কথাবার্তা শত্রুর কাছে গেলে তা আপনার বিরুদ্ধে ব্যবহার হতে পারে। এতে ক্ষতির আশঙ্কা বাড়বে।
৯. মুখের কথা থুথুর মতো, যা আর ফেরানো যায় না

উপকারিতা:
কথা বলার আগে ভেবে বললে সম্পর্ক উন্নত হবে এবং ভুল বোঝাবুঝি এড়ানো যাবে।
ক্ষতি:
অপরিণামদর্শী কথা বললে তা আর ফেরানো সম্ভব নয়। এটি সম্পর্ক নষ্ট এবং অপমানিত হওয়ার কারণ হতে পারে।
১০. মন্দ লোকের সঙ্গে ওঠা-বসা করলে কল্যাণ হবে না

উপকারিতা:
ভালো মানুষের সঙ্গ আপনার চরিত্র উন্নত করবে এবং সাফল্য আনবে।
ক্ষতি:
খারাপ সঙ্গ আপনাকে খারাপ কাজে প্রলুব্ধ করবে এবং জীবন ধ্বংস করবে।
১১. দুই শত্রুর মধ্যে কথাবার্তা এমনভাবে বলো যেন তারা মিললেও লজ্জিত না হতে হয়
উপকারিতা:
কৌশলী কথা বললে আপনি সম্পর্ক ও মর্যাদা বজায় রাখতে পারবেন।
ক্ষতি:
উদ্বেগহীনভাবে কথা বললে শত্রুদের মিত্রতা আপনাকে বিব্রতকর অবস্থায় ফেলতে পারে।
১২. বাঘ না খেয়ে মরলেও কুকুরের মতো উচ্ছিষ্ট মুখে তুলে না

উপকারিতা:
আত্মমর্যাদা রক্ষার শিক্ষা পাবেন এবং আপনার প্রতি মানুষের শ্রদ্ধা বাড়বে।
ক্ষতি:
আত্মসম্মান হারালে জীবনে সঠিক পথ খুঁজে পাওয়া কঠিন হবে।
১৩. যৌবনে ইহ-পরকালের জন্য প্রয়োজনীয় জিনিস সংগ্রহ করো
উপকারিতা:
যৌবনে অর্জিত জ্ঞান ও দক্ষতা ইহকাল ও পরকালে কাজে লাগবে।
ক্ষতি: যৌবনকাল অবহেলা করলে ভবিষ্যতে দুঃখ ও আফসোস ছাড়া কিছু থাকবে না।
১৪. প্রমাণ ছাড়া বিশ্বাস করিও না
উপকারিতা:
প্রমাণ খুঁজে সত্য যাচাই করলে আপনি প্রতারণা থেকে বাঁচতে পারবেন।
ক্ষতি:
অন্ধ বিশ্বাস প্রতারণার শিকার হওয়ার সম্ভাবনা বাড়িয়ে তুলবে।
১৫. অজ্ঞের নীরবতাই উত্তম
উপকারিতা:
নীরবতা আপনাকে আত্মোপলব্ধি করতে সাহায্য করবে। অজ্ঞতা দূর করতে জ্ঞান অর্জনে মনোযোগী হতে পারবেন।
ক্ষতি:
অযথা কথা বলে নিজেকে অপ্রস্তুত বা বিব্রতকর পরিস্থিতিতে ফেলে দিতে পারেন।
শেখ সাদীর এই উপদেশগুলো জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে পথপ্রদর্শক। এগুলো মানলে আমরা আত্মউন্নয়ন করতে পারি, সম্পর্ক ভালো রাখতে পারি এবং সমাজে মর্যাদাপূর্ণ স্থান অর্জন করতে পারি। কিন্তু এগুলো অমান্য করলে আমরা নিজেদের এবং আমাদের চারপাশের মানুষদের জন্য ক্ষতির কারণ হয়ে উঠতে পারি। তাই এই উপদেশগুলোকে আমাদের জীবনের মন্ত্র হিসেবে গ্রহণ করা উচিত

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২
১৩১৪১৫১৬১৭১৮১৯
২০২১২২২৩২৪২৫২৬
২৭২৮২৯৩০৩১  
© সমস্ত অধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট