1. mail.bizindex@gmail.com : newsroom :
  2. info@www.bhorerawaj.com : দৈনিক ভোরের আওয়াজ :
সোমবার, ০৪ অগাস্ট ২০২৫, ০৮:৪২ অপরাহ্ন
সর্বশেষ :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া আইসক্রিম ফ্যাক্টরিতে ভোক্তা অধিকার অভিযান তলবী সভা অবৈধ ঘোষণা: গাইবান্ধা জেলা বাস-মিনিবাস শ্রমিক ইউনিয়নে নেতৃত্ব নিয়ে দ্বন্দ্ব-2 ‎পলাশবাড়ীতে যৌথবাহিনীর অভিযানে ফেনসিডিল ও নগদ টাকাসহ মাদক কারবারি আটক ‎ঘোড়াঘাটে মন্ডল ডেইরি ফার্ম ও ডেইরী হাবের কার্যক্রম পরিদর্শন করেন জেলা প্রশাসক ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ৬৩ মণ ভারতীয় গরুর মাংস জব্দ, আটক ২ শহর পেরিয়ে ভয়ংকর কিশোরগ্যাং কালচারে এখন মিরসরাইয়ে গোবিন্দগঞ্জে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের নৈতিকতা উন্নয়নে উপকরণ সামগ্রী বিতরণ গলাচিপা-কলাগাছিয়া সড়কের করুণ দশা, উপেক্ষিত জনদুর্ভোগ উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মোহাম্মদ আলম ববিকে আসামি করায় ব্যাপক ক্ষোভ নীলফামারীতে বিদেশি ফল রাম্বুটান চাষাবাদ করে সাফল নারী কৃষি উদ্যোক্তা খাদিজা আক্তার

আইনের রক্ষক যখন নিজেই আক্রান্ত: এক ভয়ংকর বার্তা

মো.কামাল উদ্দিন
  • প্রকাশিত: শনিবার, ১১ জানুয়ারী, ২০২৫

দেশজুড়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের ওপর একের পর এক নৃশংস হামলা আমাদের উদ্বিগ্ন করছে। সম্প্রতি চট্টগ্রামের কোতোয়ালি থানার সাবেক অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বর্তমান সিআইডি কুমিল্লাতে দায়িত্ব
মো. নেজাম উদ্দিনের ওপর হামলা, মাদারীপুরের জাজিরা থানার ওসি মো. আল-আমিনের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার, নেত্রকোনার দুর্গাপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. শফিকুল ইসলামকে কুপিয়ে হত্যা—এই ঘটনাগুলো আমাদের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির ভয়াবহ অবনতির ইঙ্গিত দেয়।
এই ঘটনা শুধু বিচ্ছিন্ন কোনো অপরাধ নয়—এগুলো রাষ্ট্রের নিরাপত্তা ব্যবস্থার প্রতি এক বড় চ্যালেঞ্জ। পুলিশ বাহিনী, যারা জনগণের জান-মাল রক্ষার দায়িত্বে নিয়োজিত, তারাই যদি আজ নিরাপত্তাহীনতায় ভোগেন, তাহলে সাধারণ মানুষের অবস্থা কী হতে পারে? বিচারহীনতার সংস্কৃতি ও অপরাধীদের দুঃসাহস
এই ধরনের ঘটনায় মূল সমস্যা হচ্ছে বিচারহীনতার সংস্কৃতি। অপরাধীরা যদি বারবার পুলিশের ওপর হামলা চালিয়েও পার পেয়ে যায়, তাহলে তারা আরও বেশি বেপরোয়া হয়ে ওঠে। কিছু ক্ষেত্রে রাজনৈতিক আশ্রয়-প্রশ্রয়, সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর দৌরাত্ম্য, দুর্বল তদন্ত ব্যবস্থা এবং অপরাধ দমনে প্রশাসনিক ব্যর্থতা দায়ী।
বাংলাদেশে অতীতে আমরা দেখেছি, অনেক পুলিশ সদস্য সন্ত্রাসীদের হাতে নিহত হয়েছেন, কিন্তু অধিকাংশ ক্ষেত্রেই এসব ঘটনার সুষ্ঠু বিচার হয়নি। অনেক সময় তদন্ত প্রক্রিয়া দীর্ঘ হয়, অপরাধীরা নানা উপায়ে ছাড় পেয়ে যায়, আর ততদিনে নতুন নতুন অপরাধ মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মনোবল ভাঙার শঙ্কা এই ধরনের ঘটনা শুধু পুলিশের জন্য হুমকি নয়, বরং পুরো সমাজের জন্য অশনিসঙ্কেত। পুলিশের মনোবল ভেঙে গেলে তারা আর আগের মতো দক্ষতার সাথে কাজ করতে পারবে না। এতে সাধারণ মানুষের জান-মালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা কঠিন হয়ে পড়বে। অপরাধীরা বুঝতে পারবে যে, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী দুর্বল—ফলে তারা আরও বড় অপরাধে লিপ্ত হতে সাহস পাবে। সমাধানের পথ কী? এই পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে আসার জন্য জরুরি কিছু পদক্ষেপ নিতে হবে:
দ্রুত ও কার্যকর তদন্ত: প্রতিটি ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্ত করে প্রকৃত দোষীদের চিহ্নিত করতে হবে এবং দ্রুত বিচার নিশ্চিত করতে হবে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নিরাপত্তা জোরদার: পুলিশের জন্য উন্নত নিরাপত্তা ব্যবস্থা, আধুনিক অস্ত্র ও প্রশিক্ষণ দেওয়া প্রয়োজন। বিচারহীনতার অবসান: অপরাধীদের রাজনৈতিক, সামাজিক, বা অর্থনৈতিক পরিচয় যাই হোক না কেন, আইনের আওতায় আনতে হবে। সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধি: জনগণের মধ্যে পুলিশের প্রতি আস্থা ও সহযোগিতার মনোভাব তৈরি করতে হবে, যাতে তারা অপরাধীদের বিরুদ্ধে পুলিশের পাশে দাঁড়ায়। প্রশাসনিক সংস্কার: দুর্নীতিগ্রস্ত পুলিশ কর্মকর্তাদের চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে, যাতে বাহিনীর প্রতি মানুষের আস্থা ফেরে।আইনের রক্ষকেরাই যদি অনিরাপদ হন, তাহলে পুরো সমাজের নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়ে। সাম্প্রতিক এই ঘটনাগুলোকে হালকাভাবে নেওয়া যাবে না। প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও জনগণকে একসাথে কাজ করতে হবে, যেন এই ধরনের হামলা বন্ধ হয় এবং অপরাধীরা শাস্তি পায়। নতুবা, সামনে আরও ভয়াবহ পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হবে, যা রাষ্ট্রের ভিত নাড়িয়ে দিতে পারে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

© সমস্ত অধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট