1. mail.bizindex@gmail.com : newsroom :
  2. info@www.bhorerawaj.com : দৈনিক ভোরের আওয়াজ :
শুক্রবার, ০২ মে ২০২৫, ১২:৫৩ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ :
“বাঁশখালীতে ৪ হাজার ইয়াবাসহ টেকনাফের মাদক কারবারি আটক: ব্যবহৃত মোটরসাইকেল জব্দ” হোমনায় মহান মে দিবস উপলক্ষে  বিএনপির বর্ণাঢ্য র‍্যালি  ড. মোহাম্মদ ইউনূস এর শুভ আগমনে বোয়ালখালীবাসীর পক্ষ থেকে হাজী মোহাম্মদ আলম ববির শুভেচ্ছা ও কৃতজ্ঞতা পুলিশ পরিচয়ে ঘরে প্রবেশ করে পরিবারের ৮ জনকে বেঁধে ছয়টি দোকান ঘর গুঁড়িয়ে দিয়ে মালামাল লুট করেছে দুর্বৃত্তরা রোদেলা দুপুরে পারকি সৈকতের বালুকাবেলায় কলম যোদ্ধারা,স্মৃতিময় এক মে দিবস! ড. মোহাম্মদ ইউনূসের দক্ষিণ চট্টগ্রাম সফর সিএমপি কমিশনার ও পাঁচ ওসি পেলেন আইজিপি ব্যাজ সাহস, দক্ষতা ও মানবিক পুলিশিংয়ের স্বীকৃতি আইজি পি ব্যাজ পেলেন ওসি আফতাব উদ্দিন চট্টগ্রাম উন্নয়ন আন্দোলনের সূচনালগ্নের সাহসী পুরুষ ব্যারিস্টার মনোয়ার হোসেন! দৃষ্টি আকর্ষণ

“সবুজের আড়ালে এক নির্ভীক অভিভাবক সাংবাদিক কাজী আবুল মনসুর”

মো. কামাল উদ্দিন
  • প্রকাশিত: রবিবার, ২৯ ডিসেম্বর, ২০২৪
  • ১০২ বার পড়া হয়েছে

“সবুজের আড়ালে এক নির্ভীক অভিভাবক সাংবাদিক কাজী আবুল মনসুর”
মো. কামাল উদ্দিনঃ
কোদালা চা বাগানের সবুজে ঘেরা পথ ধরে যখন নৌবিহারের বোট থেমে যায়, তখন নীরব প্রকৃতির বুক চিরে বয়ে চলা হালকা বাতাস এক অদ্ভুত সুরের ছন্দ তোলে। সেই সুরে মিশে যায় একটি নাম, এক কলম সৈনিকের পদধ্বনি—কাজী আবুল মনসুর। চট্টগ্রাম রিপোর্টার্স ফোরামের (সিআরএফ) প্রতিষ্ঠাকাল থেকে নেতৃত্বে থাকা এই মানুষটির জীবন যেন পরম নির্ভরতায় মোড়ানো একটি গল্প। পেশাদার সাংবাদিকতার কঠিন পথ পেরিয়ে, সাহসিকতা আর সততার মেলবন্ধনে গড়া এক মানবিক চরিত্রের প্রতিচ্ছবি তিনি।
সিআরএফ-এর সঙ্গে পথচলা কাজী আবুল মনসুরের সঙ্গে চট্টগ্রাম রিপোর্টার্স ফোরামের বন্ধন এক সুদৃঢ় অধ্যায়। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই তিনি সিআরএফ-এর সভাপতির আসন সামলাচ্ছেন নিপুণ দক্ষতায়। এমন এক নেতা, যিনি শুধু সংগঠনের দায়িত্ব পালনে সীমাবদ্ধ নন, বরং পেশাদার সাংবাদিকদের অভিভাবক হয়ে পাশে দাঁড়িয়েছেন সবসময়। জাতীয় দিবস, স্মরণীয় দিন বা বিনোদনমূলক আয়োজন—সব ক্ষেত্রেই তার উপস্থিতি নীরব প্রেরণার বাতিঘর হয়ে ওঠে। দীর্ঘ বছরের পর বছর ধরে চট্টগ্রামের সাংবাদিকদের বড় একটি অংশ যখন সাংগঠনিকভাবে কোথাও স্থান পাচ্ছিল না তখন এগিয়ে আসেন মনসুর ভাই। কথিত বড় সাংবাদিকদের ভীড়ে ছোট পরিসরে ক’বছর আগে চট্টগ্রাম রিপোর্টার্স ফোরাম গঠন করেন। গঠনের পর থেকে নানা সমস্যা। সাংবাদিকদের বিভিন্ন সংগঠনের মতো ফোরামকেও গুটি কয়েক সাংবাদিক নিজেদের মতো করে সাজাতে ব্যস্ত হয়ে উঠে। কিন্ত মনসুর ভাইয়ের কারনে তা আর হয়ে উঠেনি। তিনি সকল প্রকার মতের  উর্ধে উঠে যাত্রা শুরু করেন। ভাঙ্গা গড়া চললেও সংগঠনটি এখন অনেকটা শক্ত ভিত্তির উপর দাড়িয়ে গেছে।
গত ২৫ ডিসেম্বরের দিনটি ছিল অন্যরকম। কাজী আবুল মনসুর এবং আলীউর রহমানের নেতৃত্বে একঝাঁক সাংবাদিকদের নিয়ে চট্টগ্রাম রিপোর্টার্স ফোরামের বার্ষিক বনভোজনের আয়োজন হয়েছিল পরিপূর্ণ আনন্দের আমেজে। কোদালা চা বাগানের সবুজ পরিবেশ আর নৌবিহারের ভ্রমণ যেন এক অন্য জগতের দরজা খুলে দিয়েছিল। নৌকা ছুটছিল কর্ণফুলীর শান্ত জলে। সবার মুখে হাসির ঝিলিক, আর তার মাঝেই মনসুর ভাই যেন সেই আনন্দের কেন্দ্রবিন্দু। কৌতুক, গল্প আর নানা স্মৃতির ঝাঁপি খুলে বলার জন্য  সবাইকে মাতিয়ে তুলার প্রেরণা দিয়েছেন। একসময় বোট ভিড়ে কোদালা ইউনিয়নে। চা বাগানের সবুজের সমারোহে পা রাখতেই মনে হলো, প্রকৃতি যেন মনসুর ভাইয়ের মতোই শান্ত, ধীরস্থির কিন্তু অন্তর্নিহিত শক্তিশালী।
বাগানের ভেতরে এক কোণে দাঁড়িয়ে মনসুর ভাইকে দেখে মনে হচ্ছিল, তিনি যেন প্রকৃতিরই একজন। তার নিস্তব্ধ চাহনি আর উদার হাসি বলে দিচ্ছিল, তিনি কতটা আত্মবিশ্বাসী আর নিরঅহংকারী মানুষ। সবুজের আড়ালে দাঁড়িয়ে থাকা এই মানুষটি কেবল একজন সাংবাদিক নন, তিনি পেশাদার সাংবাদিকদের জন্য এক বিশাল ছাতা। পিকনিকের আমেজ ছাপিয়ে কাজী আবুল মনসুর হয়ে উঠেছিলেন সবার প্রেরণার প্রতীক। বিনোদনের এই আয়োজন যেমন ছিল প্রাণোচ্ছল, তেমনি মনসুর ভাইয়ের উপস্থিতি সবাইকে মনে করিয়ে দিয়েছিল পেশাদার সাংবাদিকতা কেমন হওয়া উচিত। সত্যের পথে অবিচল থেকে, নিঃস্বার্থভাবে কলম ধরে রাখার শিক্ষা যেন এই সবুজ চা বাগানেই তার কাছ থেকে পাওয়া গেল। কাজী আবুল মনসুর-সময়ের স্রোতে এক আলোকবর্তিকা, কাজী আবুল মনসুরের জীবন কেবল চট্টগ্রাম রিপোর্টার্স ফোরামের নেতৃত্বের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। তিনি একজন নীরব সংগ্রামী, যিনি অন্যায়ের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে থেকেছেন। নেতৃত্ব দিয়েছেন চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবেও। তিনি দীর্ঘ ৮ বছর চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সিনিয়র সহ-সভাপতি, সহ সভাপতি, নির্বাহী কমিটির সিনিয়র সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। পড়াশুনায়ও তিনি অনন্য মেধাবী। ১৯৮৩ সালে প্রথম বিভাগে এসএসসি, ১৯৮৫ সালে প্রথম বিভাগে এইচএসসি এবং ১৯৯২ সালে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজতত্ত্ব বিভাগ থেকে মেধা তালিকায় তৃতীয় হন। সাংবাদিকতায় তিনি জনকন্ঠে সিনিয়র রিপোর্টার, সমকালে ব্যুরো প্রধান, কালের কন্ঠের ব্যুরো প্রধান, আলোকিত বাংলাদেশের ব্যুরো প্রধান হিসেবে কাজ করেছেন। বর্তমানেও তিনি রিপোর্টিং নিয়ে সক্রিয়। প্রতিদিনের সংবাদের উপ সম্পাদক হিসেবে কাজ করে চলেছেন।
নিরঅহংকারী এই মানুষটি অন্যদের প্রেরণা জোগাতে পিছপা হননি কখনো। সিআরএফ-এর সাংগঠনিক বন্ধনকে আরও দৃঢ় করে সামনের দিকে অগ্রসর হচ্ছেন। কাজী আবুল মনসুর পেশাদার সাংবাদিকদের জন্য যেন এক আস্থার নাম। সবাই যখন বসে আছে, তখন একের পর এক স্মৃতিচারণে ব্যস্ত মনসুর ভাই। তার গল্পগুলো যেন জীবনের নানা বাঁককে ছুঁয়ে যায়। সেই গল্পে উঠে আসে তার সাংবাদিকতা জীবনের শুরুর দিকের নানা চ্যালেঞ্জ আর অভিজ্ঞতা। তার অভিজ্ঞতা থেকে পাওয়া শিক্ষা নতুন প্রজন্মের সাংবাদিকদের জন্য পথ দেখানোর আলোকবর্তিকা হয়ে ওঠে।
নির্ভীক কলম সৈনিক কাজী আবুল মনসুর শুধু চট্টগ্রাম রিপোর্টার্স ফোরামের সভাপতি নন, তিনি একজন নির্ভীক পথপ্রদর্শক। তার বিনয়, সরলতা আর দায়িত্ববোধ সংগঠনের সবাইকে একত্রিত করে রেখেছে। পিকনিকের শেষ লগ্নে, কোদালা চা বাগানের সেই ঝিরিঝিরি বাতাসে যখন নৌকা ফিরে আসছিল, তখন মনে হচ্ছিল এই সবুজের আড়ালে লুকিয়ে থাকা একজন অভিভাবকের উপস্থিতি খুবই প্রয়োজন ছিল, তিনি পিকনিকের আনুষ্ঠানিকতা শেষ হওয়ার আগেই শহরে চলে গেছেন, বিশেষ জরুরি কাজের কারণে আনন্দ উল্লাস ছেড়ে যেতে হলো।
সাংবাদিকতার জগতে, যেখানে প্রতিটি পদক্ষেপই এক নতুন চ্যালেঞ্জ, সেখানে কাজী আবুল মনসুরের মতো মানুষের উপস্থিতি যেন একটি আলোকবর্তিকা। তিনি শুধুই একজন নেতা নন, বরং এক জীবন্ত অনুপ্রেরণা। সাংবাদিকদের সংগঠন গঠন ও পরিণতির পথে তিনি যে সাহস, মেধা এবং কঠোর পরিশ্রম দিয়েছিলেন, তা আজ চট্টগ্রাম রিপোর্টার্স ফোরামের মতো শক্তিশালী একটি সংগঠনের জন্ম দিয়েছে। মনসুর ভাইয়ের নেতৃত্বে, সবকিছু যেন সহজ হয়ে ওঠে। যখন অন্যরা ঝুঁকির ভয়ে পিছু হটে, তখন তিনি শান্ত মন ও দূরদর্শিতায় সকলকে একত্রিত করেন। তার নিয়ন্ত্রণে, পেশাদার সাংবাদিকদের অঙ্গীকার কখনো শিথিল হয়নি, বরং আরও দৃঢ় হয়েছে। তিনি জানেন, প্রতিটি সিদ্ধান্তের পেছনে মেধা ও শৃঙ্খলা থাকা দরকার। তিনি সেই মেধা ও শৃঙ্খলাকে শান্তভাবে, সবসময় দক্ষতার সঙ্গে সবার মধ্যে ছড়িয়ে দেন। সাংবাদিকদের মতামত থেকে শুরু করে তাদের সংগঠনের পথচলা—প্রত্যেকটি বিষয়ে তিনি যে পরিমাণ দায়িত্বশীলতা দেখান, তা সহজে কারো পক্ষে অর্জন করা সম্ভব নয়। মনসুর ভাইয়ের নেতৃত্ব মানে শুধু নির্দেশনা নয়, বরং একটি ভালো সংগঠন গঠনের জন্য প্রয়োজনীয় সাহসিকতা, অভিজ্ঞতা এবং সবার প্রতি ভালোবাসা।কাজী আবুল মনসুর নামটি শুধু একজন সাংবাদিকের পরিচয় নয়, বরং তা চট্টগ্রামের পেশাদার সাংবাদিকদের জন্য এক নির্ভরতার প্রতীক। অনেকে যেখানে পদ ধরে রাখতে চান, সেখানে তিনি বেশ কয়েকবার চেষ্টা করেছেন সভাপতি হিসেবে নতুন কাউকে দায়িত্ব দিতে। কিন্ত ফোরামের সদস্যরাই মনসুর ভাইকে ছাড়তে চান না। মনসুর ভাইয়ের আগামীর পথচলা শুভ হোক। অনেক শুভকামনা।

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০৩১  
© সমস্ত অধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট