চট্টগ্রামের বোয়ালখালী পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের পশ্চিম কধুরখীল এলাকায় জমি বিরোধের জেরে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে একজন আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় বোয়ালখালী থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।মামলার নম্বর: ১৫
মামলার তারিখ: ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪ অভিযোগ ও মামলা বিবরণ: বাদী মোহাম্মদ হোসাইন (৫০), পিতা- মৃত আব্দুল মোনাফ, অভিযোগে উল্লেখ করেন যে, তার বড় ভাই আব্দুস সালামের (৬০) সঙ্গে অভিযুক্তদের জমি সংক্রান্ত বিরোধ দীর্ঘদিন ধরে চলে আসছিল। ২৫ ডিসেম্বর রাত ১১টা ২৫ মিনিটে রহম আলী ফকিরের বাড়ির উঠানে আব্দুস সালামের ওপর হামলা চালানো হয়। অভিযুক্তরা দেশীয় অস্ত্র, লোহার রড, কিরিচ ও ধারালো দা নিয়ে সংঘবদ্ধভাবে আক্রমণ করে। হামলায় আব্দুস সালাম গুরুতর আহত হন এবং তার ভাতিজা আবু বকর সিদ্দিক (বাদশা) চোখে আঘাত পেয়ে মারাত্মকভাবে আহত হন। তাদের বাঁচাতে গেলে মো. ফারুক (৩৫) নামে আরেকজন আহত হন।
অভিযুক্তদের তালিকা:
১. মামুনুর রশিদ (৩৫) ,২. আমেনা বেগম (৪০),৩. এয়াকুব (৫২),৪. আব্দুর রশিদ (৩৮),৫. আব্দুল মজিদ (১৮),৬. মুরাদ (৩০)
৭. মনিরুর রশিদ (২৫),৮. নাজিম উদ্দীন (৬০),৯. জুবায়ের (২০),১০. সায়মন (১৮),১১. জাহেদু (২৫),১২. শিরিন (৩৫),
১৩. রিয়াজ (১৮),এছাড়া আরও ১৫-২০ জন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তির বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে।
আইনি ব্যবস্থা ও তদন্ত:
মামলায় দণ্ডবিধির ১৪৩, ৪৪৭, ৩২৩, ৩২৫, ৩২৬, ৩০৭, ৪২৭ এবং ৫০৬ ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে, যা বেআইনি জনতা, শারীরিক আঘাত, হত্যাচেষ্টা, সম্পত্তির ক্ষতি ও হুমকি প্রদানের অপরাধের আওতায় পড়ে।
তদন্তকারী কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে এবং ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত চলছে। পুলিশের তৎপরতা:
বোয়ালখালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) গোলাম সারোয়ার জানান, “এ ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতার করা হবে। এলাকায় শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে পুলিশ সর্বোচ্চ তৎপর রয়েছে।” স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, গোলাম সারোয়ার বোয়ালখালী থানার দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। বিশেষ করে জমি সংক্রান্ত বিরোধ এবং সামাজিক অপরাধ দমনে তিনি অত্যন্ত কঠোর ভূমিকা পালন করছেন। তার নেতৃত্বে পুলিশ দ্রুত অপরাধীদের গ্রেফতার ও শাস্তির আওতায় আনছে, যা এলাকাবাসীর মধ্যে নিরাপত্তার অনুভূতি তৈরি করেছে।
একজন স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, “ওসি গোলাম সারোয়ার সাহেব দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে বোয়ালখালীতে অপরাধের মাত্রা অনেকটাই কমে গেছে। পুলিশ সব সময় সজাগ রয়েছে এবং অভিযোগের পর দ্রুত ব্যবস্থা নিচ্ছে।” স্থানীয় প্রতিক্রিয়া:
এলাকাবাসীর দাবি, অভিযুক্তদের দ্রুত গ্রেফতার করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হোক। তারা আশা করছেন, বর্তমান পুলিশ প্রশাসনের কঠোর মনোভাবের কারণে ভবিষ্যতে এ ধরনের সংঘর্ষ ও অপরাধের ঘটনা কমে আসবে। ওসি গোলাম সারোয়ার দৈনিক ভোরের আওয়াজ ও The Daily Banner পত্রিকাকে জানান, পুলিশ অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে এবং খুব শিগগিরই অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা হবে।
প্রতিবেদকের মন্তব্য:
বোয়ালখালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) গোলাম সারোয়ারের এই উদ্যোগ নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয়। অনেক সময় সংঘর্ষ বা অপরাধ সংঘটিত হলেও ভুক্তভোগীরা নানা কারণে মামলা করতে পিছিয়ে যান—কখনও ভয়ে, কখনও সামাজিক চাপে, আবার কখনও হয়রানির আশঙ্কায়। কিন্তু এই ক্ষেত্রে ওসি গোলাম সারোয়ারের সক্রিয় ভূমিকা দেখিয়েছে, আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশের দায়িত্বশীলতা কতটা গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে।
অফিসার ইনচার্জ নিজেই যখন উদ্যোগ নিয়ে ভিকটিমদের খুঁজে বের করেন এবং তাদের পাশে দাঁড়িয়ে অভিযোগ দায়েরের পথ সুগম করেন, তখন তা শুধু আইনের প্রতি দায়বদ্ধতা নয়, বরং জনসেবার এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হয়ে দাঁড়ায়। বোয়ালখালী থানার বর্তমান আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতির পেছনে ওসি গোলাম সারোয়ারের এই মানবিক ও বিচক্ষণ ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। স্থানীয়দের মতামত অনুযায়ী, গোলাম সারোয়ারের নেতৃত্বে বোয়ালখালীতে অপরাধ প্রবণতা কমেছে এবং জনগণের মনে নিরাপত্তার অনুভূতি বৃদ্ধি পেয়েছে। বিশেষ করে জমি সংক্রান্ত বিরোধের মতো জটিল ও স্পর্শকাতর বিষয়ে পুলিশের এই সরাসরি হস্তক্ষেপ অনেক ক্ষেত্রে বড় ধরনের সংঘর্ষ বা প্রাণহানির ঘটনা প্রতিরোধে কার্যকর ভূমিকা রাখছে। এ ধরনের উদ্যোগ পুলিশের প্রতি সাধারণ মানুষের আস্থা বৃদ্ধি করবে এবং অপরাধের শেকড় উপড়ে ফেলতে সাহায্য করবে। থানার ওসির এই সক্রিয়তা ভবিষ্যতেও বজায় থাকবে বলে আশা করা যায়।