1. mail.bizindex@gmail.com : newsroom :
  2. info@www.bhorerawaj.com : দৈনিক ভোরের আওয়াজ :
বৃহস্পতিবার, ০১ মে ২০২৫, ০৯:৩০ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ :
মুরাদনগরে চাচার উপর ভাতিজার হামলা; বাড়িঘর ভাংচুর কুষ্টিয়ায় ব্জ্রপাতে কৃষক ও ট্রলি চালকের মৃ’ত্যু মানবিকতার অভাবে উৎপলের মৃত্যু: গার্মেন্টস খাতে আর কত জীবন ঝরবে! ১৯৯১-এর সেই বিভীষিকাময় ২৯ এপ্রিল: চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে স্মরণে আলোকচিত্র প্রদর্শনী ও স্মৃতিচারণ” আলোর দীপ্তি: এক নারী শিক্ষকের জীবনচিত্র আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন সহায়তা সংস্থার চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিটি অনুমোদিত — ফরহাদুল হাসান সভাপতি, সাহেদ চৌধুরী সাধারণ সম্পাদক প্যাকেজ ব্যবসার আড়ালে পতিতাবৃত্তি, চোলাই মদ ও অস্ত্র সরবরাহে ওয়াসীমের অপরাধ সাম্রাজ্য! চট্টগ্রামে ওয়াসার পানিতে কেচু! জনস্বাস্থ্যের হুমকি, নাগরিক ফোরামের জরুরি হস্তক্ষেপের আহ্বান! হামিদচরে শোকের ছায়া: কিশোর গ্যাংয়ের অমানবিক আগ্রাসন চট্টগ্রামে চোরাচালানবিরোধী অভিযানে ১৪টি বিদেশি স্বর্ণের বারসহ গ্রেপ্তার ১

বুদ্ধিজীবী হত্যা দিবস: আত্মত্যাগের অমলিন স্মৃতি

মো. কামাল উদ্দিন
  • প্রকাশিত: শনিবার, ১৪ ডিসেম্বর, ২০২৪
  • ৫৮ বার পড়া হয়েছে

১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর, বুদ্ধিজীবী হত্যা দিবস, বাংলাদেশের ইতিহাসের এক ভয়ঙ্কর, শোকাবহ এবং গৌরবময় দিন। আজ থেকে ৫৩ বছর আগে, এই রাতে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী, তাদের সহযোগী রাজাকারদের সহায়তায়, আমাদের জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের, আমাদের বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করেছিল। তাঁদের হত্যাকাণ্ড শুধু ব্যক্তিগত ক্ষতি ছিল না, বরং একটি জাতির মেধা, সংস্কৃতি, শিক্ষা এবং মুক্তির চিন্তা-চেতনার ওপর আঘাত ছিল। তারা হত্যা করেছিল আমাদের চিন্তা-ধারা, দেশপ্রেম, শিক্ষা এবং স্বাধীনতার সকল শক্তিকে।
স্বাধীনতার মাত্র দুই দিন আগে এই হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছিল, যখন পুরো জাতি মুক্তিযুদ্ধের শেষ মুহূর্তে পৌঁছে গিয়েছিল। পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী জানত, মুক্তিযুদ্ধের মঞ্চে যদি এসব বুদ্ধিজীবীরা থাকে, তবে তারা কখনোই তাদের শাসন ব্যবস্থা ধরে রাখতে পারবে না। তাই, তারা আমাদের বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করে, সমাজের মূল শক্তি এবং বুদ্ধিমত্তাকে দমন করতে চেয়েছিল। শহীদ বুদ্ধিজীবীদের অবদান বুদ্ধিজীবীরা ছিলেন মুক্তিযুদ্ধের অদৃশ্য সৈনিক, যারা যুদ্ধ না করেও আমাদের সমাজে স্বাধীনতার বীজ বপন করেছিলেন। তারা ছিলেন আমাদের জাতির মেধা, চিন্তা, দর্শন এবং সংস্কৃতির মূল স্তম্ভ। দেশের শ্রেষ্ঠ মেধাবী, লেখক, শিল্পী, গবেষক, শিক্ষক, সাংবাদিক, চিকিৎসক, এবং অন্যান্য সৃজনশীল মানুষ এই হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছিলেন। তাঁদের মধ্যে ছিলেন সেলিনা হোসেন, অধ্যাপক গাজীুল হক, রফিকুল ইসলাম, ড. মুনীর চৌধুরী, ফজলুল হক, সেলিনা আফরোজ, এবং আরও অসংখ্য গুণীজন। তারা শুধুমাত্র লেখক, শিল্পী বা গবেষক ছিলেন না, তারা ছিলেন জাতির মেধা ও জ্ঞানের অমূল্য রত্ন। বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ডের উদ্দেশ্য পাকিস্তানি বাহিনী ও তাদের সহযোগী রাজাকাররা জানতো যে, বাঙালি জাতির মেধাবী নেতারা ও বুদ্ধিজীবীরা জাতির মুক্তি সংগ্রামে একটি অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে। যদি তাদের মুছে ফেলা যায়, তবে বাঙালি জাতির আত্মবিশ্বাসে আঘাত হানতে পারবে, তারা স্বাধীনতার সংগ্রাম থেকে সরে আসবে। কিন্তু তারা ভুলে গিয়েছিল যে, একজন জাতির সৃজনশীল শক্তি কখনো একেবারে ধ্বংস হয় না। বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করার মাধ্যমে পাকিস্তানি বাহিনী বাঙালি জাতির অগ্রগতিকে থামাতে চেয়েছিল, কিন্তু ইতিহাসের সেই অন্ধকার রাতের পরও, বাঙালি জাতি আরও শক্তিশালী হয়ে উঠেছিল।
বুদ্ধিজীবী হত্যার পরবর্তী প্রভাব বুদ্ধিজীবীদের হত্যার পর দেশের মেধা এবং মননের যে ক্ষতি হয়েছিল, তা সহজে পূর্ণ করা সম্ভব ছিল না। তবে তাদের আত্মত্যাগ এবং জীবনযাত্রা আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রামে এক নতুন দিশা দেখিয়েছিল। যাঁরা তাদের হত্যা করেছিল, তারা জাতির হৃদয়ে গেঁথে থাকা তাদের আদর্শ এবং মূল্যবোধ মুছে ফেলতে পারেনি। বুদ্ধিজীবীদের অমূল্য অবদান আমাদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও সংগ্রামের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে রয়ে গেছে। তাদের স্মৃতি আমাদের পথ প্রদর্শক, আমাদের শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক ভিত্তির অটুট সংরক্ষণ।
আজকের দিন: শ্রদ্ধা ও আত্মত্যাগের স্মরণ আজ, ১৪ ডিসেম্বর, বুদ্ধিজীবী হত্যা দিবসে আমরা তাদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানাচ্ছি। এই দিনে, আমরা তাদের ত্যাগ ও আত্মত্যাগের কথা স্মরণ করি, যাদের আত্মহত্যার মাধ্যমে দেশের মুক্তির পথ মসৃণ হয়েছিল। তাদের শূন্যতা আজও আমাদের মনে গভীর দাগ রেখে গেছে, তবে তাদের অবদান কখনো মুছে যাওয়ার নয়। আজকের দিনে, আমরা তাদের সংগ্রামের অবদানকে স্যালুট জানিয়ে নিজেদের সংকল্পের পুনর্ব্যক্তি করি, যেন তাদের আদর্শ কখনো বিস্মৃত না হয়।
স্বাধীনতার সংগ্রামে যারা বুকের তাজা রক্ত দিয়েছে, তাদের অবদান স্বীকার করে, আমাদের উচিত এই দেশের উন্নতি ও শান্তির পথে এগিয়ে যাওয়া, যাতে তাদের আত্মত্যাগের মূল্য কোনো দিন বৃথা না যায়। আমরা একটি নতুন প্রজন্ম তৈরি করতে পারি, যারা তাদের শ্রেষ্ঠত্ব ও আত্মত্যাগের দিকে অঙ্গীকারাবদ্ধ থাকবে, যাতে তাদের রক্তের ওপর নির্মিত স্বাধীন দেশে সুখী, সমৃদ্ধ, এবং শান্তিপূর্ণ জীবন গড়ে ওঠে। আজকের এই দিনে, আমরা একসাথে উঠে দাঁড়াই, শপথ নেয়া যে, আমাদের বুদ্ধিজীবীদের স্মৃতি এবং তাঁদের আদর্শের মাধ্যমে, আমরা একটি শক্তিশালী, স্বাধীন, এবং আত্মমর্যাদাশীল জাতি হিসেবে এগিয়ে যাবো। তাদের অবদান ইতিহাসের পাতায় চিরকাল অমর হয়ে থাকবে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০৩১  
© সমস্ত অধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট