1. mail.bizindex@gmail.com : newsroom :
  2. info@www.bhorerawaj.com : দৈনিক ভোরের আওয়াজ :
বৃহস্পতিবার, ০১ মে ২০২৫, ০৯:১৯ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ :
মুরাদনগরে চাচার উপর ভাতিজার হামলা; বাড়িঘর ভাংচুর কুষ্টিয়ায় ব্জ্রপাতে কৃষক ও ট্রলি চালকের মৃ’ত্যু মানবিকতার অভাবে উৎপলের মৃত্যু: গার্মেন্টস খাতে আর কত জীবন ঝরবে! ১৯৯১-এর সেই বিভীষিকাময় ২৯ এপ্রিল: চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে স্মরণে আলোকচিত্র প্রদর্শনী ও স্মৃতিচারণ” আলোর দীপ্তি: এক নারী শিক্ষকের জীবনচিত্র আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন সহায়তা সংস্থার চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিটি অনুমোদিত — ফরহাদুল হাসান সভাপতি, সাহেদ চৌধুরী সাধারণ সম্পাদক প্যাকেজ ব্যবসার আড়ালে পতিতাবৃত্তি, চোলাই মদ ও অস্ত্র সরবরাহে ওয়াসীমের অপরাধ সাম্রাজ্য! চট্টগ্রামে ওয়াসার পানিতে কেচু! জনস্বাস্থ্যের হুমকি, নাগরিক ফোরামের জরুরি হস্তক্ষেপের আহ্বান! হামিদচরে শোকের ছায়া: কিশোর গ্যাংয়ের অমানবিক আগ্রাসন চট্টগ্রামে চোরাচালানবিরোধী অভিযানে ১৪টি বিদেশি স্বর্ণের বারসহ গ্রেপ্তার ১

আমার জীবনের নীরব আলোকবর্তিকা

মো. কামাল উদ্দিন
  • প্রকাশিত: শনিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২৪
  • ৮৯ বার পড়া হয়েছে

আমার পরিচয় একজন লেখক ও সাংবাদিক হিসেবে, কিন্তু এই পরিচয়ের আড়ালে লুকিয়ে আছে একজন নারীর অসীম ত্যাগের গল্প। তিনি আমার স্ত্রী, সেলিনা আকতার। আমাদের জীবনের পথচলা শুরু হয়েছিল ১৯৯৪ সালের ২৫ জানুয়ারি, প্রেমের বাঁধনে জড়িয়ে। সেই সময় হয়তো ভেবেছিলাম, সংসারজীবন শুধুই একটি রোমান্টিক গল্প। কিন্তু আজ বুঝতে পারি, এটি আসলে ছিল একটি নীরব লড়াই, যা তিনি একা হাতে সামলে চলেছেন।
আমাদের দাম্পত্যের ৩০ বছরের দীর্ঘ পথচলায় সেলিনার মনের কথা আমি কতটুকু বুঝতে পেরেছি? তাঁর হাসির আড়ালে লুকিয়ে থাকা অজস্র বেদনার কাহিনি কি আমি জানি? সংসার গড়ে তোলার এই যাত্রায় কত শতবার তিনি মান-অভিমান করেছেন, অভিযোগ করেছেন। কিন্তু তাঁর অনুযোগের শব্দগুলো অনেক সময় হয়তো আমার ব্যস্ততার শব্দে ঢাকা পড়ে গেছে।
এক অজানা বেদনার গল্প
আমাদের প্রথম সন্তান—যে পুত্রসন্তানের মুখ দেখার জন্য আমরা অধীর হয়ে অপেক্ষা করছিলাম, তার জীবন থেমে যায় জন্মের মাত্র ১৮ ঘণ্টার মাথায়। ডাক্তারের ভুল চিকিৎসায় আমাদের প্রথম সন্তানকে হারানোর বেদনা আমাদের দু’জনকেই এক কঠিন শোকের মধ্যে ফেলে দেয়। কিন্তু সেলিনা সেই শোককে নিজের মধ্যে লুকিয়ে রাখেন, সংসারের দায়িত্ব থেকে কখনো পিছু হটেননি। তিনি আমাকে সান্ত্বনা দিয়েছেন, যখন আমি নিজেই শোকের ভারে ভেঙে পড়েছিলাম।

পরে আমাদের একমাত্র ছেলে বড় হয়ে নিজের ইচ্ছায় বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নেয়। এতে হয়তো তাঁর মনের গভীরে আঘাত লেগেছিল, কিন্তু তিনি তা কখনো প্রকাশ করেননি। নিজের অনুভূতিকে আড়ালে রেখে তিনি সবকিছু মেনে নিয়েছেন, যেন সংসারের শান্তি বজায় থাকে।

তাঁর অসীম ত্যাগ

সেলিনার শরীরে আটবার ওপারশপন হয়েছিল,
সেই জটিল দুরারোগ্য ব্যাধির সঙ্গে লড়াই করেছেন। প্রতিটি চিকিৎসার সময় তাঁর শরীর দুর্বল হয়ে পড়ত, কিন্তু তবুও তিনি সংসারের প্রতি একটুও অবহেলা করেননি। অসুস্থ শরীর নিয়েও তিনি আমাদের দুই মেয়ে ও ছেলেকে বড় করেছেন। সন্তানদের পড়াশোনা থেকে শুরু করে সংসারের প্রতিটি খুঁটিনাটি কাজ তিনি সামলেছেন।
আমার বোন, যিনি আমাদের পরিবারেরই অংশ, তাঁকেও সেলিনা নিজের মেয়ে হিসেবে দেখেছেন। প্রতিদিনের রান্না, সন্তানদের দেখাশোনা, বাড়ির বড়দের যত্ন নেওয়া—সবকিছুই তিনি করেছেন একাগ্রতা আর নিঃস্বার্থ ভালোবাসায়।
একজন গৃহিণী নাকি আরও কিছু?আমরা সাধারণত একজন গৃহিণীকে “হাউসওয়াইফ” বলে একটি সীমিত পরিচয়ের মধ্যে আটকে রাখি। কিন্তু সেলিনা এই পরিচয়ের বাইরেও অনেক বেশি কিছু। তিনি আমার জীবনের একমাত্র মানুষ, যিনি সবসময় আমাকে বুঝেছেন, আমাকে ভালোবেসেছেন। আমার লেখালেখির প্রতিটি ধাপে তাঁর নিঃশব্দ সহযোগিতা রয়েছে।

লেখার জন্য আমি যখন রাত জেগে কাজ করেছি, তিনি নিঃশব্দে এক কাপ চা নিয়ে এসে পাশে বসেছেন। আমার ব্যস্ততার সময় তিনি একাই পুরো সংসার সামলেছেন। অথচ, এই অবদানের জন্য তিনি কখনো কোনো স্বীকৃতি দাবি করেননি।
তাঁর না-পাওয়ার গল্প
সেলিনার জীবনে অনেক না-পাওয়ার গল্প জমে আছে। নিজের স্বপ্নগুলো হয়তো সংসারের প্রয়োজনে তিনি বিসর্জন দিয়েছেন। জীবনে হয়তো অনেক কিছু করার ইচ্ছা ছিল তাঁর, কিন্তু আমার সাফল্যের জন্য, আমাদের সংসারের জন্য তিনি নিজেকে আড়ালে রেখেছেন। তবুও তাঁর কোনো অভিযোগ নেই।

আমার জীবনের স্থিতি
আমার সাংবাদিকতা ও লেখালেখির জীবনে সেলিনা ছিলেন আমার সবচেয়ে বড় সহায়ক। যখন কঠিন সময় এসেছে, তাঁর একটুকু উৎসাহ আমাকে এগিয়ে যেতে সাহায্য করেছে। কিন্তু আমি কি তাঁর মনের গভীরে লুকানো কথাগুলো কখনো শুনেছি? হয়তো না। আজ এই কথা লিখতে গিয়ে আমি উপলব্ধি করছি—তিনি শুধু আমার স্ত্রী নন, তিনি আমার জীবনের স্থিতি, আমার ভিত্তি।
তাঁর মনের কথা
সেলিনা কখনো বলেননি, তাঁর মনে কী আছে। হয়তো তিনি চান, আমি তাঁকে আরও বেশি সময় দিই, তাঁর কথাগুলো শুনি। হয়তো তিনি চান, আমি তাঁর প্রতিটি ত্যাগের জন্য ধন্যবাদ জানাই। কিন্তু আমি জানি, তাঁর সবচেয়ে বড় চাওয়া হলো আমাদের সংসার সুখী থাকুক, সন্তানরা ভালো থাকুক।
আজ, আমি এই লেখার মাধ্যমে বলতে চাই—সেলিনা, তুমি শুধু আমার স্ত্রী নও। তুমি আমার জীবনের প্রতিটি সাফল্যের পেছনের নায়িকা। তোমার ত্যাগ, ভালোবাসা, আর সহযোগিতার জন্য আমি চিরকাল কৃতজ্ঞ। তুমি আমাকে নতুন করে শিখিয়েছো, ভালোবাসা কেবলই শব্দ নয়, এটি হলো কাজ, ত্যাগ আর দায়িত্বের প্রতিচ্ছবি।
সেলিনা আকতার—তোমার জন্য কোনো শব্দই যথেষ্ট নয়। কিন্তু তোমার প্রতি আমার ভালোবাসা চিরন্তন। সেই ভালোবাসার মানুষের মন বুঝি না-বুঝতে চাইনা তাদের জীবন সংগ্রামের কথা।
আমরা সবাই কর্মজীবী নারীকে শুধু জীবন সংগ্রামী বলি,একজন গৃহনী যে কত বড় জীবন সংগ্রামী তা আমার এই লেখাতেই বুঝতে পারবে সহজে-
একজন গৃহিণী: পরিবারের এক নিরলস কর্মযোদ্ধা
“আপনি হাউজওয়াইফ, না ওয়ার্কিং ওম্যান?”—প্রশ্নটি শুনতে সহজ, কিন্তু এর উত্তর কি একেবারেই সাদামাটা? একজন নারী, বিশেষ করে যিনি পরিবার সামলান, যাকে আমরা গৃহিণী বলি, তাঁর কাজ আর দায়িত্বের পরিধি কি শুধু এই দুই শব্দের মধ্যে ধরা যায়?
যে মাকে এ প্রশ্ন করা হয়েছিল, তিনি মাথা উঁচু করে বলেছিলেন, “এর উত্তর এতটা ছোট নয় যে এক কথায় বলা যায়।” তারপর তিনি যা বললেন, তাতে উপস্থিত সবাই চুপ হয়ে গেলেন।
“আমি যখন বাড়ির দরজা পাহারা দিই, তখন আমিই দারোয়ান।
সকালে যখন পরিবারের সবার জামাকাপড় ধুয়ে ইস্ত্রি করি, তখন আমিই ধোপা।
পরিবারের পছন্দমতো খাবার বানিয়ে টেবিলে তুলে দিই, তখন আমিই রাঁধুনি।
বাচ্চাদের পড়ার সময় পাশে বসে যত্ন নিই, তখন আমি শিক্ষিকা।
বাড়ির বয়স্করা অসুস্থ হলে সেবা করি, তখন আমিই নার্স।
স্কুটি চালিয়ে বাচ্চাকে স্কুল, কোচিং কিংবা খেলার মাঠে নিয়ে যাই, তখন আমিই ড্রাইভার।
স্বামীর ক্লান্ত মনে সান্ত্বনা আর ভালোবাসা এনে দিই, তখন আমি তার প্রেমিকা।
পরিবারের সবার জন্য পুষ্টির হিসাব করি, তখন আমি পুষ্টিবিদ।
আমি একাই এত কাজ করি, অথচ আমার কোনো বেতন নেই, কোনো ছুটি নেই, কোনো অবসর নেই। তবুও আমি আছি, থাকব—যতদিন বাঁচি।”
গৃহিণী: যিনি পরিবারকে এগিয়ে নেন নীরবে
আমরা যে কেবল পুরুষরা নই, পুরো সমাজই মনে করে যে একজন গৃহিণীর কাজ সীমাবদ্ধ। আমরা ভাবি, তিনি শুধু বাড়িতে থাকেন আর ছোটখাটো কাজ সামলান। কিন্তু আদতে, একটি পরিবার দাঁড়িয়ে থাকে তাঁর শ্রম, ত্যাগ আর ভালোবাসার ওপর। তিনি একাধারে পরিবারের রাঁধুনি, সেবক, বন্ধু, শিক্ষক, পরামর্শদাতা, এমনকি অভিভাবকও।
একজন গৃহিণীর কাজের হিসাব দিলে কী দাঁড়ায়?
যদি একজন রাঁধুনিকে দৈনিক বেতন দিতে হয়, তাহলে কত হবে?
যদি একজন নার্সকে অসুস্থ বাড়ির লোকের দেখাশোনার জন্য রাখা হয়, তাহলে তার কত খরচ?
যদি একজন ড্রাইভার রাখেন, যার কাজ শুধু পরিবারের সদস্যদের এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় নিয়ে যাওয়া, তার জন্য মাসিক বেতন কত হবে?
একজন গৃহিণী এই সব দায়িত্ব সামলান, কিন্তু তাঁর কোনো অবসর নেই, কোনো প্রভিডেন্ট ফান্ড নেই। পরিবারকে এগিয়ে নিয়ে যেতে যে পরিমাণ শারীরিক এবং মানসিক শ্রম তিনি দেন, তা নিঃসন্দেহে অনন্য।
কাজের স্বীকৃতি: যা তাঁরা খুব কমই পান
আমরা প্রায়ই বলি, একজন পুরুষই পরিবারের প্রধান। তিনি রোজগার করেন, তাই তাঁর গুরুত্ব সবচেয়ে বেশি। কিন্তু একজন গৃহিণী যেভাবে পরিবারকে আগলে রাখেন, সেটার কোনো তুলনা হয় না।
তাঁর স্বীকৃতি?
তাঁর অবদানের স্বীকৃতি হয়তো কয়েকটি মিষ্টি কথা বা প্রশংসায় সীমাবদ্ধ।
তাঁর কাজের বিনিময়ে কখনো কোনো বেতন নেই।
তাঁর কর্মঘণ্টার কোনো নির্দিষ্ট সময় নেই—দিন রাত সবসময় তাঁকে প্রস্তুত থাকতে হয়।
তাঁর কাজে ভুল হলে তাঁকে শুনতে হয় নানা কথা, কিন্তু সফল হলে সেটা সাধারণত সবার চোখ এড়িয়ে যায়। গৃহিণী নন, তিনি পরিবারের অলরাউন্ডার
তাহলে কি আমরা বলব, গৃহিণী মানেই ঘরে বসে থাকা? একদমই নয়। তিনি ওয়ার্কিং ওম্যান—তবে তাঁর কর্মস্থল শুধু তাঁর ঘর। তিনি তাঁর পরিবারের জন্য যেটুকু করেন, তার মূল্যায়ন কোনো পেশাগত পরিচয়ে সম্ভব নয়।
একজন গৃহিণী কোনো এক পেশার মধ্যে সীমাবদ্ধ নন। তিনি একাধারে অনেক দায়িত্ব পালন করেন। একদিকে মায়ের মতো ভালোবাসা দিয়ে সন্তানদের আগলে রাখেন, অন্যদিকে স্ত্রী হয়ে স্বামীর জীবনে শুশ্রূষা আর শান্তি এনে দেন। তিনি পরিবারের অভিভাবক, রক্ষক, সেবিকা, এবং সর্বোপরি সেই শক্তি, যার ওপর একটি পরিবারের সব সদস্য নির্ভরশীল।
সমাজের দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তনের প্রয়োজন আমাদের সমাজের দৃষ্টিভঙ্গি বদলানো দরকার। গৃহিণীর কাজকে ছোট করে দেখা মানে তাঁর শ্রম আর ভালোবাসাকে অবমূল্যায়ন করা। তাঁদের কাজের স্বীকৃতি শুধু পরিবারে নয়, সমাজেও দিতে হবে।
একজন গৃহিণী কখনো ‘শুধু গৃহিণী’ নন। তিনি পরিবারের স্তম্ভ। তাঁর পরিশ্রম, তাঁর ত্যাগ, আর তাঁর ভালোবাসার ওপর একটি পরিবার দাঁড়িয়ে থাকে। আর তাই, তাঁকে সম্মান জানানোর পাশাপাশি তাঁর অবদানের সঠিক মূল্যায়ন করা আমাদের দায়িত্ব।
তাই, “হাউজওয়াইফ” নয়, একজন গৃহিণী হলেন “পরিবারের পরিচালিকা, রক্ষক এবং অভিভাবক।” সেই রক্ষক
আমার জীবনের প্রতিধ্বনি
সেলিনা, তোমার সাথে আমার যাত্রা শুরু হয়েছিল শুধু ভালোবাসার জন্য। তখন বুঝিনি, ভালোবাসার সঙ্গে সঙ্গে তুমি আমার জীবনের প্রতিটি শূন্যস্থান পূর্ণ করবে। তোমার ত্যাগের হিসেব রাখিনি কখনো, তবে আজ বুঝি—তোমার ত্যাগ আর ভালোবাসার শক্তিতেই আমি দাঁড়িয়ে আছি।
তুমি শুধু একজন স্ত্রী নও। তুমি একটি পরিবারের স্তম্ভ, আমাদের সন্তানদের জীবনের প্রথম শিক্ষিকা, আমাদের সম্পর্কের সেতু। তোমার নিঃশব্দ ত্যাগের কাছে আমার সব অর্জন তুচ্ছ মনে হয়। সন্তান হারানোর অশেষ বেদনা, শারীরিক অসুস্থতা, পরিবারের বিভিন্ন সংকট—তুমি সবকিছুকে অবলীলায় মেনে নিয়েছো। কিন্তু আমি কি তোমার সেই নির্ভরতার জায়গা হতে পেরেছি, যেটা তুমি চেয়েছিলে?
তোমার মন হয়তো কখনো বলেছে—”আমি কি কোনোদিন পূর্ণ স্বীকৃতি পেয়েছি?” আমি জানি, আমি বহুবার সেই স্বীকৃতি দিতে ব্যর্থ হয়েছি। তবু তুমি আমায় ছেড়ে যাওনি। তুমি হয়তো রাগ করেছো, কষ্ট পেয়েছো, চোখের জল ফেলেছো—কিন্তু তোমার ভালোবাসার বাঁধ কখনো ভাঙতে দাওনি।
তুমি আমার লেখা প্রতিটি লাইনের পেছনের প্রেরণা। তুমি আমার জীবনের সেই চিত্রকলা, যার প্রতিটি রঙ নিখুঁত। তোমার ভালোবাসা আমাকে শিখিয়েছে দায়িত্বের অর্থ, তোমার ত্যাগ আমাকে শিখিয়েছে ধৈর্যের গভীরতা।
তুমি হয়তো কখনো প্রকাশ করো না, কিন্তু আমি জানি, তোমার হৃদয়ে জমে আছে অনেক না-পাওয়ার বেদনা। আমার কাজের প্রতি একাগ্রতা, আমার ব্যস্ততা, আমার লেখার জন্য তুমিই হয়তো নিজের চাওয়া-পাওয়াগুলো বিসর্জন দিয়েছো। কিন্তু সেলিনা, আমি যদি সত্যিকার অর্থে কিছু লিখে থাকি, তবে তার প্রতিটি শব্দে তোমার অবদান অমলিন।
আজ, আমি কেবল একটাই কথা বলতে চাই:
তুমি শুধু আমার জীবনের সঙ্গী নও, তুমি আমার জীবনের প্রতিধ্বনি। তোমার ভালোবাসা আর ত্যাগের সুরই আমাকে জীবনের প্রতিটি কঠিন মুহূর্ত পার করতে সাহায্য করেছে। যদি আবার জন্ম পাই, আবারও তোমার সঙ্গ চাইব।
তোমার ভালোবাসা অমূল্য, সেলিনা। তোমার প্রতি আমার ঋণ কখনো শোধ করতে পারব না। তুমি আছো বলেই আমি আছি, তুমি আছো বলেই আমার জীবন পূর্ণ। তুমি আমার জীবনের অনন্তকালীন কবিতা, তোমার ত্যাগ আর ভালোবাসাই আমার জীবনের মহাকাব্য।

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২১৩১৪১৫১৬
১৭১৮১৯২০২১২২২৩
২৪২৫২৬২৭২৮২৯৩০
© সমস্ত অধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট