মৌলভীবাজার প্রতিনিধি;
মৌলভীবাজারে বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতী হয়ে বিপৎসীমার ওপরে থাকা মনু ও কুশিয়ারা নদীর পানি কমতে শুরু করেছে। সোমবার (২৪ জুন) বিকেলে মৌলভীবাজার জেলায় বৃষ্টিপাত না হওয়ায় বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতী হয়েছে।
গত কয়েকদিনের ভারি বর্ষণ, উজানের পাহাড়ি ঢল ও নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় সাত উপজেলার প্রায় ৪০টি ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল প্লাাবিত হয়ে বন্যা হয়েছে। একইসাথে ধলাই নদীর তিনটি পুরোনো ভাঙন দিয়ে পানি লোকালয়ে প্রবেশ করছে। গ্রামীন রাস্তা ডুবে যোগাযোগ ব্যবস্থা ব্যহত হচ্ছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন পানিবন্দী প্রায় আড়াই লাখ মানুষ। অনেকে বাড়ি ঘর ছেড়ে পরিবার নিয়ে আশ্রয়কেন্দ্রে উঠেছেন।
এদিকে মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, জেলায় মোট ২০৫টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। বন্যা উপদ্রæত এলাকা বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ পরিস্থিতিতে ২৪০টি ১০ লিটার পরিমাপের বোতল ও ৬৫ হাজার পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট সরবরাহ করা হয়েছে। এ ছাড়া জি আর চাল ৪২২ টন ও ২ লাখ ৮৭ হাজার ৫০০ নগদ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। ৪৬৫ প্যাকেট ও শুকনো খাবার ও ১২০০ প্যাকেট রান্না করা খাবার সরবরাহ করা হয়েছে
পানি উন্নয়ন বোর্ড নির্বাহী প্রকৌশলী জাবেদ ইকবাল বলেছেন, মৌলভীবাজারে গত দুই দিন ধরে বৃষ্টি কম হয়েছে। এছাড়া উজানে বৃষ্টিপাত কম হওয়ায় জেলার নদনদীর পানি কমতে শুরু করেছে। তবে নদীর ঝুকিপূর্ন স্পটগুলোতে বালু ভর্তি বস্তা ও মাটি দিয়ে ঝুঁকিমুক্ত রাখার কাজ চলমান রয়েছে।
জেলা প্রশাসক ড. উর্মি বিনতে সালাম জানান, জেলার সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি মনিটরিংয়ে রয়েছে। পানিবন্দি এলাকার মানুষের সাহায্যে আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে। যাদের বাড়ীতে বেশি পানি এমন প্রায় ১৫ শত পরিবার আশ্রয় কেন্দ্রে উঠেছেন। শুকনো খাবার ও চাল দেয়া হচ্ছে তাদের। এছাড়াও পানি বিশুদ্ধ করন ট্যাবলেট বিতরন করা হচ্ছে।
মৌলভীবাজার-৩ আসনের সংসদ সদস্য মোহাম্মদ জিল্লুর রহমান বলেন, মৌলভীবাজার সদর ও রাজনগরের বন্যাদুর্গত এলাকা পরিদর্শন করেছি। কয়েকটি আশ্রয়কেন্দ্রের বন্যাদুর্গত মানুষের সঙ্গে কথা বলেছি। প্রতিটি আশ্রয়কেন্দ্র ও বন্যাদুর্গত এলাকার জন্য প্রয়োজনীয় ও পর্যাপ্ত ত্রাণের মজুদ আছে। ইতোমধ্যে বিতরণ কার্যক্রম চলছে।