1. mail.bizindex@gmail.com : newsroom :
  2. info@www.bhorerawaj.com : দৈনিক ভোরের আওয়াজ :
শুক্রবার, ০২ মে ২০২৫, ০৬:৫৬ অপরাহ্ন
সর্বশেষ :
শেষ হলো দাওয়াতে ইসলামীর তিনদিনের চট্টগ্রাম বিভাগীয় ইজতেমা বালুকাবেলার আত্মঘোষণা: যেখানে সাংবাদিকতা হয়ে ওঠে প্রতিবাদের কবিতা চট্টগ্রামের সাংবাদিকদের ঐক্য উৎসব পারকি সৈকতে গড়লো অভূতপূর্ব দৃষ্টান্ত পুলিশ হেফাজতে মৃত্যু মাওলানা রইস উদ্দিন হত্যার বিচার দাবিতে আনোয়ারায় বিক্ষোভ ও সড়ক অবরোধ! “বাঁশখালীতে ৪ হাজার ইয়াবাসহ টেকনাফের মাদক কারবারি আটক: ব্যবহৃত মোটরসাইকেল জব্দ” হোমনায় মহান মে দিবস উপলক্ষে  বিএনপির বর্ণাঢ্য র‍্যালি  ড. মোহাম্মদ ইউনূস এর শুভ আগমনে বোয়ালখালীবাসীর পক্ষ থেকে হাজী মোহাম্মদ আলম ববির শুভেচ্ছা ও কৃতজ্ঞতা পুলিশ পরিচয়ে ঘরে প্রবেশ করে পরিবারের ৮ জনকে বেঁধে ছয়টি দোকান ঘর গুঁড়িয়ে দিয়ে মালামাল লুট করেছে দুর্বৃত্তরা রোদেলা দুপুরে পারকি সৈকতের বালুকাবেলায় কলম যোদ্ধারা,স্মৃতিময় এক মে দিবস! ড. মোহাম্মদ ইউনূসের দক্ষিণ চট্টগ্রাম সফর

তারা শুধু মানুষ ছিল… ফিলিস্তিনের এক নদীর নাম কান্না

মোঃ কামাল উদ্দিন
  • প্রকাশিত: সোমবার, ৭ এপ্রিল, ২০২৫
  • ৩৬ বার পড়া হয়েছে

ঘুম ভাঙে না রিমার মা’র। পাঁচ বছরের যে শিশুটি রাতে তার বুকে মাথা রেখে ঘুমিয়েছিল, ভোরবেলা তাকে আর খুঁজে পাওয়া যায়নি ধ্বংসস্তূপের নিচে। একটা মিসাইল এসে কেড়ে নিয়েছে একটা ঘুমন্ত শিশুর নিঃশ্বাস। সে কোনো সৈনিক ছিল না। তার হাতে ছিল না পাথরও। ছিল শুধু একটা ক্ষয়ে যাওয়া টেডি বিয়ার। ইসরায়েল বলবে—”আত্মরক্ষা করেছি”।
ফাতেমা বেগমকে যখন ধ্বংসস্তুপের নিচ থেকে টেনে বের করা হলো, তখনও তিনি ছেলেকে বাঁচানোর জন্য বুকের মধ্যে আঁকড়ে ধরে ছিলেন। ছেলেটি নিঃশ্বাস নিচ্ছিল না। মৃত্যুর পরও এক মা বুক ছাড়েনি। সে জানত, যুদ্ধ কেবল বোমা দিয়ে হয় না, মায়েদের বুকেও যুদ্ধ চলে। মৃত্যুর পরও সেই যুদ্ধ থামে না।
পৃথিবীর মানচিত্রে যে জায়গাটার নাম গাজা, সেখানে শিশুরা রাতে ঘুমুতে যায় দোয়া পড়ে—not “Good night”—বরং “হে আল্লাহ, কাল সকালে যেন চোখ মেলে পৃথিবীটা দেখতে পারি।” নির্বিকার বিশ্ব বিবেকের সামনে তারা মানুষ নয়, তারা সংখ্যামাত্র। “আজ ২১ জন নিহত”, “৬ শিশু মারা গেছে”—সংখ্যার নিচে চাপা পড়ে যায় ছেঁড়া খেলনার কান্না, কচি আঙুলে আঁকা স্বপ্ন, রক্তমাখা স্কুলব্যাগ।ইসরায়েল যখন যুদ্ধবাজ ড্রোন ছাড়ে আকাশে, তখন কেউ টের পায় না, নিচে একটা মেয়ে তার ছোট ভাইয়ের পায়ে কিস করে বলছে—”ভয় পেয়ো না, আমি পাশে আছি”। সে জানে না, কিছুক্ষণের মধ্যেই মাটির নিচে তাদের জায়গা হবে পাশাপাশি।পৃথিবীর বড় বড় রাজধানীগুলো আলোয় ঝলমল করে যখন, গাজার বিদ্যুৎহীন, খাদ্যহীন অন্ধকারের মধ্যে এক বাবা মোমবাতির আলোয় ছেলের লাশের মুখ দেখে বলে—”তুই কষ্ট পাইছিস রে…?” মানবতার কী অপরাধ ছিল ফিলিস্তিনে জন্ম নেওয়া?
তারা স্বাধীনতা চায়নি, তারা শুধু চেয়েছিল একটু শান্তি। একটু বেঁচে থাকার অবকাশ। একটু রুটি, একটু জল, একটু নিরাপদ আকাশ। তারা চায়নি রাজনীতি, যুদ্ধ, অথবা আগ্রাসন—তারা শুধু মানুষ ছিল।তাদের রক্তে যখন শহরের দেয়াল রাঙা হয়, তখন প্রশ্ন ওঠে—পৃথিবী কি সত্যিই মানুষদের জায়গা? এই লেখাটি সেইসব শিশুদের জন্য, যারা আর কখনও খেলবে না। সেইসব মায়েদের জন্য, যারা সন্তানের লাশ কাঁধে নিয়ে হাঁটে নিঃশব্দ পথে। সেইসব বাবাদের জন্য, যারা কাঁদে না, শুধু ফ্যালফ্যাল করে তাকিয়ে থাকে শূন্য চোখে।ফিলিস্তিন কাঁদছে, কিন্তু তার কান্না শুনে না কেউ।তবু লিখি। কারণ কলম থামলে ইতিহাস একচোখা হয়ে যায়।

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২১৩
১৪১৫১৬১৭১৮১৯২০
২১২২২৩২৪২৫২৬২৭
২৮২৯৩০  
© সমস্ত অধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট