ঢাকা বিমানবন্দর থেকে সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। জানা গেছে, তাকে ঢাকা মেট্রো-চ ৫২১১৬১ নাম্বারের একটি মাইক্রোবাসে করে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোট এ ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে। তারা অবিলম্বে চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর নিঃশর্ত মুক্তির দাবি জানিয়েছে। এ ঘটনার প্রতিবাদে জোটের পক্ষ থেকে সারা দেশের সকল জেলা ও উপজেলার সনাতনী সম্প্রদায়কে বিক্ষোভ সমাবেশের আহ্বান জানানো হয়েছে। চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সনাতনী সম্প্রদায়ের নেতা-কর্মীরা প্রতিবাদী বিক্ষোভ মিছিলের আয়োজন করছে। ২৫শে নভেম্বর সন্ধ্যায় হঠাৎ নগরীর চেরাগি পাহাড় মোড় সহ জামাল খান এলকায় চট্টগ্রামে সনাতনী হিন্দু সংগঠনের পক্ষ থেকে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক মানুষ প্রতিবাদ জানাতে রাস্তায় নেমেছেন। তারা এ ঘটনার দ্রুত সুরাহা এবং চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর মুক্তি নিশ্চিত করার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। এই ঘটনায় সনাতনী সম্প্রদায়ের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ বিরাজ করছে। তারা এটিকে তাদের ধর্মীয় ও সাংগঠনিক অধিকার হরণের গুরুতর প্রচেষ্টা বলে আখ্যায়িত করেছে। প্রতিবেদকের মন্তব্য চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে তুলে নেওয়ার ঘটনাটি সনাতনী সম্প্রদায়ের মধ্যে গভীর উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। এমন একটি সময়ে, যখন দেশে সকল ধর্মীয় সম্প্রদায়ের মধ্যে শান্তি ও সম্প্রীতির আহ্বান জানানো হচ্ছে, এ ধরনের ঘটনা সামাজিক বন্ধনকে নাড়া দিতে পারে।
বাংলাদেশের মতো বহুত্ববাদী রাষ্ট্রে এমন একটি ঘটনায় শুধু সনাতনী সম্প্রদায় নয়, সামগ্রিকভাবে সমাজের সকল অংশের প্রতিক্রিয়া প্রত্যাশিত। এর ফলে ধর্মীয় সহাবস্থানের নীতিতে আঘাত হানতে পারে। সরকারের পক্ষ থেকে চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর অবস্থান এবং এ ঘটনার প্রকৃত কারণ দ্রুত ব্যাখ্যা করা প্রয়োজন। অন্যথায়, এই ইস্যুটি বড় ধরনের গণআন্দোলনের রূপ নিতে পারে, যা দেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে। এদিকে, সনাতনী জাগরণ জোটের সারা দেশে বিক্ষোভের আহ্বান পরিস্থিতিকে আরও জটিল করতে পারে। কর্তৃপক্ষের উচিত দ্রুত ও নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে বিষয়টির সুরাহা করা, যাতে ধর্মীয় সম্প্রদায়গুলোর মধ্যে আস্থা বজায় থাকে এবং দেশের শান্তি বিঘ্নিত না হয়।