চট্টগ্রাম বিভাগীয় ব্যুরো:
গত ৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, চান্দগাঁও থানাধীন মধ্যম মোবহরা এলাকার বাসিন্দা মোহাম্মদ জাবেদ হোসেন (৩৩) পারিবারিক সম্পত্তি নিয়ে বিরোধের জেরে প্রতিবেশীদের বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ এনে মামলা দায়ের করেছেন। মামলা নং ৭/২০২৪, জানুয়ারির শুরু থেকে জাবেদ হোসেনের পরিবার তাদের পৈতৃক ভিটায় পুরাতন বসতঘরের সংস্কার কাজ করছিলেন। এ নিয়ে প্রতিবেশী আলী হাসানসহ আরও তিনজনের সাথে বিরোধ দেখা দেয়। এজাহারে উল্লেখ করা হয়, ৪ ফেব্রুয়ারি বিকেল ৫টার দিকে আলী হাসানসহ কয়েকজন বেআইনীভাবে তাদের বসতঘরে প্রবেশ করে নির্মাণ কাজে বাধা দেয় এবং অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। প্রতিবাদ করলে তারা কোদালের ডাণ্ডা দিয়ে জাবেদ হোসেনের শরীরে ও মাথায় আঘাত করে গুরুতর জখম করে। জাবেদের ভাই, বোন ও মা এগিয়ে এলে তাদেরও মারধর করা হয় এবং প্রায় ১.৫ লাখ টাকার সম্পদ ভাংচুর করা হয়। এছাড়াও, জাবেদের ভাইয়ের স্ত্রীর ২০ হাজার টাকার অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল ছিনিয়ে নেওয়া হয়। পরে স্থানীয়দের সহায়তায় আহতদের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
উল্লেখ্য, মামলার প্রধান আসামি আলী হাসান এখনও পলাতক রয়েছেন। তার বিরুদ্ধে গত ১৯ অক্টোবর আরেকটি চাঁদাবাজির অভিযোগ দায়ের হয়, তবে রহস্যজনকভাবে চান্দগাঁও থানার পুলিশ তাকে এখনও গ্রেফতার করেনি, যা নিয়ে স্থানীয়দের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। সম্প্রতি, আসামিদের হুমকির কারণে মামলার বাদী থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি নং ৭৪৬, তারিখ ১৩/০৫/২০২৪) করেছেন। এরই মধ্য ১৯ অক্টোবর আসামিরা মেরামতের কাজ বাধা দিয়ে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। বাদী এ বিষয়ে চান্দগাঁও থানায় মামলা করতে গেলে তা রেকর্ড না হওয়ায় তিনি সিএমপির পুলিশ কমিশনার হাসিব আজিজের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশ কমিশনার ওসি আফতাব উদ্দিনকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেন। এদিকে, চাঁদাবাজির মামলা দায়েরের সম্ভাবনা দেখে পলাতক আসামি আলী হাসান দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে বলে জানা গেছে।