1. mail.bizindex@gmail.com : newsroom :
  2. info@www.bhorerawaj.com : দৈনিক ভোরের আওয়াজ :
শনিবার, ০৩ মে ২০২৫, ০৮:২৩ অপরাহ্ন
সর্বশেষ :
বাংলাদেশ জেলা ও বিভাগীয় ক্রীড়া সংগঠক অ্যাসোসিয়েশন এর এডহক কমিটির আত্মপ্রকাশ আইজিপি ব্যাজপ্রাপ্ত ওসি সোলাইমান: জনবান্ধব পুলিশিংয়ের অনন্য প্রতিচ্ছবি! বিশ্ব সংবাদ পত্রের স্বাধীনতা দিবস ও সংবাদ পত্র নিয়ে কিছু কথা! বাকলিয়া থানার আলোচিত ডাবল মার্ডারের প্রধান আসামি হাসান গ্রেফতার চট্টগ্রামে এনসিপির বিক্ষোভে উত্তাল জনসভার দাবি: আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করুন! আইজিপি ব্যাজে ভূষিত পাহাড়তলী থানার ওসি বাবুল আজাদ: নিষ্ঠা, নেতৃত্ব ও মানবিক পুলিশের উজ্জ্বল প্রতীক! চান্দগাঁও থানার ওসি আফতাব উদ্দিনকে আইজিপি ব্যাজ: নিষ্ঠা, পেশাদারিত্ব ও জনগণের আস্থার প্রতীক! কোতোয়ালি থানায় সাজাপ্রাপ্ত দুই পলাতক আসামী গ্রেফতার শেষ হলো দাওয়াতে ইসলামীর তিনদিনের চট্টগ্রাম বিভাগীয় ইজতেমা বালুকাবেলার আত্মঘোষণা: যেখানে সাংবাদিকতা হয়ে ওঠে প্রতিবাদের কবিতা

জীবন রূপান্তরের ছয়টি মহাসূত্র

মো. কামাল উদ্দিন
  • প্রকাশিত: বুধবার, ২ অক্টোবর, ২০২৪
  • ১৫৬ বার পড়া হয়েছে

৬টি উপদেশ যা জীবনকে বদলে দেবে

১. যখন একা থাকো, চিন্তাকে নিয়ন্ত্রণ করো।

২. যখন বন্ধুদের সাথে থাকো, জিভাকে নিয়ন্ত্রণ করো। ৩. যখন অনেক রাগ হবে, উত্তেজনাকে নিয়ন্ত্রণ করো। ৪. যখন মানুষের মধ্যে থাকবে, আচরণ নিয়ন্ত্রণ করো।

৫. যখন বিপদে পড়বে, আবেগ নিয়ন্ত্রণ করো।

৬. যখন আল্লাহ সফলতা দেবে, অহংকার নিয়ন্ত্রণ করো–

আমরা কথায় অনেক কিছু করি, অনেক কিছু বলি। আমাদের প্রতিদিনের কথা বার্তায় আমরা অনেক বড় বড় স্লোগান দিয়ে থাকি, কিন্তু বাস্তবতায় ব্যক্তিগত জীবনে অনেক কিছুই করি না। এই অমিলের কারণে আমাদের মাঝে নানা ধরণের বিভ্রান্তি ও ভুল পথে চলার প্রবণতা দেখা দেয়।প্রতিটি মানুষের জীবনে কিছু মূলনীতি বা উপদেশ খুব প্রয়োজন। জীবনের সঠিক পথে চলতে হলে আমাদের কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় মেনে চলা উচিত। এই ছয়টি উপদেশ, যা আমি এখানে উল্লেখ করতে চাই, তা সত্যিই আমাদের জীবনকে রূপান্তরিত করতে পারে। কিন্তু প্রশ্ন হলো, আমরা কি সত্যিই এই উপদেশগুলোকে আমাদের জীবনে মেনে চলতে পারি? হ্যাঁ, না পারাটাই স্বাভাবিক।

আজ আমি এই ছয়টি কথার উপর আলোচনা করে কিছু গুরুত্বপূর্ণ ভাবনা শেয়ার করতে চাই:
সচেতনতা: প্রথমেই আমাদের সচেতন হতে হবে। জীবনযাত্রার প্রতিটি ক্ষেত্রে আমাদের চিন্তা-ভাবনা ও আচরণের প্রভাব ফেলে। সচেতনতা আমাদেরকে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে সহায়তা করে।

জীবনে ধৈর্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যখন আমাদের সামনে বাধা আসে, তখন ধৈর্য ধরে সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত। এটি আমাদের সংকট মোকাবিলায় সাহায্য করবে। আমাদের উদ্দেশ্য ও চিন্তাভাবনা স্পষ্ট রাখতে হবে। স্বচ্ছতা আমাদের সম্পর্ক ও কর্মে বিশ্বাসযোগ্যতা সৃষ্টি করে, জীবনের বিভিন্ন ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার ঠিক করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কোন বিষয়গুলোকে আগে গুরুত্ব দেব, সেটি আমাদের সফলতার পথে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।

প্রত্যেকটি কাজের জন্য একটি সময়সীমা নির্ধারণ করা উচিত। এটি আমাদেরকে ফোকাসড রাখতে এবং কাজগুলো সম্পন্ন করতে সাহায্য করে।

আমাদের ক্রমাগত শেখার ও উন্নতির প্রচেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে। শিক্ষা ও উন্নয়ন আমাদেরকে নতুন সুযোগের দিকে নিয়ে যায়। এই ছয়টি উপদেশ আমাদের জীবনের গঠনমূলক পরিবর্তন আনতে সহায়তা করতে পারে। তবে, প্রশ্ন হলো, আমরা কি এগুলো আমাদের জীবনে বাস্তবায়িত করতে পারছি? এই বিষয়ের প্রতি আমাদের মনোযোগ দেয়া উচিত।
আমাদের এই উপদেশগুলোকে জীবনে মেনে চলার চেষ্টা করা উচিত, কারণ এগুলো আমাদেরকে আরও সুসংহত, সুশৃঙ্খল এবং সফল হতে সাহায্য করবে। বাস্তবতার সঙ্গে আমাদের কথার মধ্যে সমন্বয় স্থাপন করলে, আমরা সত্যিই আমাদের জীবনের রূপান্তর ঘটাতে পারবো। আজ আমি সেই
জীবন বদলে দেওয়ার ছয়টি উপদেশ নিয়ে আরো বিস্তারিত কথা বলবো, এক গভীরতর পর্যালোচনা
মানুষের জীবন বৈচিত্র্যে ভরপুর। এই বৈচিত্র্যের মধ্যেই নিহিত থাকে জীবনকে রূপান্তরিত করার অগণিত উপায়। কখনও মনের একান্ত কৌতূহল, কখনও সমাজের দাবি, কখনও আত্মার তীব্র আকাঙ্ক্ষা আমাদের প্রতিনিয়ত চালিত করে। কিন্তু জীবনের জটিলতার সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে হলে নিয়ন্ত্রণ জরুরি। আত্মনিয়ন্ত্রণ, চিন্তার নিয়ন্ত্রণ, আচরণের নিয়ন্ত্রণ—এই নিয়ন্ত্রণগুলো জীবনের প্রতিটি ধাপেই গুরুত্বপূর্ণ। জীবনকে বদলে দেওয়ার এই ছয়টি উপদেশের বিশ্লেষণই আমাদের শেখায়, কিভাবে জীবনের প্রতিটি মুহূর্তকে সঠিকভাবে পরিচালনা করা যায়।

১. যখন একা থাকো, চিন্তাকে নিয়ন্ত্রণ করো
একাকীত্বের সময় আমাদের চিন্তাগুলো বিস্তৃতভাবে ছড়িয়ে পড়ে। একা থাকা মানে কখনও আমাদের মনের সাথে একান্ত সময় কাটানো, নিজের চিন্তার ভেতর ডুব দেওয়া। কিন্তু এই সময়ে মন হয় ভীষণ চঞ্চল—একদিকে হতাশা, অন্যদিকে ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তা। চিন্তাশক্তি যখন অবাধে ঘুরে বেড়ায়, তখন তা অবসাদ বা দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। এখানে নিয়ন্ত্রণ মানে হলো আমাদের চিন্তার গতি ঠিক রাখা। আমরা যদি নেতিবাচক চিন্তার চক্রে আটকে যাই, তবে তা আমাদের ক্ষতি করবে। কিন্তু চিন্তাকে গঠনমূলক করে তুলতে পারলে, আমরা নতুন সম্ভাবনার দ্বার খুলে দিতে পারি।
উদাহরণস্বরূপ:
ধরা যাক, আপনি একটি কঠিন সময় পার করছেন, এমন মুহূর্তে যদি আপনি নিজেকে নেতিবাচক ভাবনার মধ্যে হারিয়ে ফেলেন, তবে সমস্যা আরও ঘনীভূত হবে। কিন্তু যদি আপনি পরিস্থিতির মধ্য থেকে শিক্ষা গ্রহণের চেষ্টা করেন, তাহলে নিজেকে নতুন করে আবিষ্কার করতে পারবেন। সৃষ্টিশীল চিন্তা সেই মন্ত্র, যা একাকীত্বকে সাফল্যের সিঁড়ি হিসেবে গড়ে তুলতে পারে।২. যখন বন্ধুদের সাথে থাকো, জিভাকে নিয়ন্ত্রণ করো বন্ধুত্ব একটি মূল্যবান সম্পর্ক, যা একে অপরের প্রতি আস্থা ও ভালবাসায় গড়ে ওঠে। কিন্তু মজার ছলে বা কৌতুক করতে গিয়ে কখনও এমন কিছু কথা বেরিয়ে যেতে পারে, যা অন্যের মনে গভীরভাবে আঘাত হানে। ভাষার শক্তি অত্যন্ত বিশাল, এবং এর প্রভাবও সুদূরপ্রসারী। ভুল শব্দ ব্যবহারের কারণে সুদৃঢ় বন্ধুত্বেও ফাটল ধরতে পারে। তাই আমাদের উচিত কথাবার্তায় সতর্কতা অবলম্বন করা।
উদাহরণস্বরূপ:
মনে করুন, বন্ধুরা মিলে একটি আড্ডায় বসেছেন, সেখানকার কথাবার্তায় মজা করতে গিয়ে যদি কেউ ব্যক্তিগতভাবে কিছু বলে, যা অপরকে ছোট করে, তবে সেই বন্ধুত্বের মধ্যেও দূরত্ব সৃষ্টি হবে। আমরা যখন কথা বলি, তখন ভাবতে হবে—কথাগুলো যেন সমালোচনা বা আঘাত না হয়, বরং ভালোবাসা ও সম্মানের প্রতিফলন হয়। ৩. যখন রাগ হবে, উত্তেজনাকে নিয়ন্ত্রণ করো রাগ এমন একটি শক্তিশালী আবেগ, যা সঠিক ভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলে তা আমাদের ভেতরে ধ্বংসাত্মক হয়ে উঠতে পারে। রাগ হলে মানুষের চিন্তার ক্ষমতা প্রায়শই মলিন হয়ে যায়, এবং তৎক্ষণাৎ আমরা এমন কিছু সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলি, যা পরবর্তীতে আমাদের অনুশোচনার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। উত্তেজনা নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষমতা থাকলে আমরা রাগের মাঝেও শান্ত থাকতে পারি এবং সঠিকভাবে পরিস্থিতি সামাল দিতে পারি।
উদাহরণস্বরূপ:
আপনি কোনো অফিস মিটিংয়ে রাগান্বিত হয়ে চিৎকার করে ফেললেন। পরে ভাবলেন যে আপনি অতিরিক্ত প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছেন। যদি সেই মুহূর্তে নিজেকে সামলাতে পারতেন, তবে পরিস্থিতি এতটা খারাপ হতো না। রাগের ওপর নিয়ন্ত্রণ আনা মানেই নিজের উপর নিয়ন্ত্রণ আনা, যা সাফল্যের পথে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
৪. যখন মানুষের মধ্যে থাকো, আচরণ নিয়ন্ত্রণ করো
সামাজিক পরিবেশে আমাদের আচরণ আমাদের পরিচয়ের প্রতিফলন। একজন মানুষ কেমন তা তার আচরণেই বোঝা যায়। তাই মানুষের মধ্যে যখন আমরা থাকি, তখন আমাদের আচরণের প্রতিটি দিকের প্রতি নজর দিতে হবে। শিষ্টাচার, ভদ্রতা, সহানুভূতি—এই গুণগুলোই একজন মানুষকে মানুষের মধ্যে আলাদা করে তুলে ধরে।
উদাহরণস্বরূপ:
কোনো সামাজিক অনুষ্ঠানে যদি আমরা নিজেকে সংযত রাখি, অন্যদের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করি এবং সতর্ক আচরণ করি, তবে আমাদের প্রতি মানুষের মনোভাবও ইতিবাচক হবে। সম্পর্কগুলো দীর্ঘস্থায়ী করার মূল মন্ত্র হলো আমাদের আচরণ। মানবিক গুণাবলি এবং নম্রতা সামাজিক জীবনকে সমৃদ্ধ করে তোলে।
৫. যখন বিপদে পড়বে, আবেগ নিয়ন্ত্রণ করো
জীবনে বিপদ আসবেই, এটাই বাস্তবতা। কিন্তু বিপদে পড়ে আবেগপ্রবণ হলে আমরা সঠিকভাবে কাজ করতে পারি না। বিপদে পড়লে আবেগ নয়, যুক্তি এবং ধৈর্যই মূলমন্ত্র হওয়া উচিত। সঙ্কটময় মুহূর্তে আবেগের পরিবর্তে ঠান্ডা মাথায় চিন্তা করতে পারলে আমরা পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে পারি এবং সংকট কাটিয়ে উঠতে সক্ষম হই।
উদাহরণস্বরূপ:
একটি জরুরি পরিস্থিতিতে হঠাৎ আতঙ্কিত হয়ে পড়লে তা সমাধানের বদলে সমস্যা বাড়ায়। কিন্তু আবেগ নিয়ন্ত্রণ করে যুক্তির আলোকে সমস্যা সমাধান করলে সেটি সহজেই মোকাবেলা করা যায়। বিপদে সংযম দেখাতে পারাই একজন প্রকৃত নেতার গুণ।
৬. যখন আল্লাহ সফলতা দেবে, অহংকার নিয়ন্ত্রণ করো সফলতা আসার পর মানুষ প্রায়ই অহংকারী হয়ে ওঠে। মনে হয়, এই সফলতা শুধু তারই কৃতিত্ব, এবং অন্যদের কথা বা অনুভূতির গুরুত্ব দেয় না। অথচ সফলতার সঠিক মূল্যায়ন তখনই হয়, যখন সেই কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা হয়। আল্লাহ আমাদের জীবনে যেকোনো সফলতা দান করলে, তা নিয়ে অহংকার না করে বিনয়ী থাকা উচিত। অহংকার আমাদের সম্পর্ক এবং পরবর্তী সাফল্যের পথে সবচেয়ে বড় বাধা হয়ে দাঁড়ায়।
উদাহরণস্বরূপ: আপনার পেশাগত জীবনে বড়ো একটি অর্জন এলো, এবং আপনি সেটি উদযাপন করলেন। তবে আপনি যদি এই অর্জনকে অহংকারে রূপান্তরিত করেন, তবে তা একসময় আপনার প্রতি নেতিবাচক মনোভাব তৈরি করতে পারে। কিন্তু আপনি যদি বিনয়ী থাকেন এবং অন্যদের অবদানকেও স্বীকার করেন, তাহলে সফলতার পরিধি আরও প্রসারিত হবে।
জীবন একটি দীর্ঘ, জটিল এবং চমৎকার যাত্রা। এই যাত্রায় প্রতিটি পদক্ষেপে আমরা যদি নিজেদের নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারি—চিন্তা, ভাষা, আচরণ, আবেগ এবং অহংকার—তবে আমাদের জীবন সত্যিই বদলে যাবে। এই ছয়টি উপদেশ আমাদের মনে করিয়ে দেয় যে জীবনের প্রতিটি পর্বই শিক্ষার একেকটি ধাপ। আমরা যদি সঠিকভাবে নিয়ন্ত্রণের শিল্প আয়ত্ত করতে পারি, তবে জীবনের প্রতিটি সাফল্য, প্রতিটি চ্যালেঞ্জ আমাদের উন্নতির সোপানে রূপান্তরিত হবে।
আমি জানিনা আজকের আমার এই লেখাটা আপনাদের কার কতটুকু ভালো লেগেছে- বর্তমান দেশের বাস্তবতা নিয়ে ভাবতে গিয়ে এই লেখাটি লিখলাম-
লেখকঃ সাংবাদিক গবেষক টেলিভিশন উপস্থাপক ও মহাসচিব-চট্টগ্রাম নাগরিক ফোরাম।

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২
১৩১৪১৫১৬১৭১৮১৯
২০২১২২২৩২৪২৫২৬
২৭২৮২৯৩০৩১  
© সমস্ত অধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট