“পুলিশ হবে ক্ষমতার নয়, জনতার: চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার হাসিব আজিজের প্রত্যয়”চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের নবযোগদানকৃত কমিশনার, বিজ্ঞ, চৌকস, সত, এবং নিষ্ঠাবান হিসেবে পরিচিত হাসিব আজিজ সাহেবের সাথে আমার সৌজন্য সাক্ষাৎকালে তিনি আমাকে অত্যন্ত আন্তরিকভাবে গ্রহণ করেন। আমি জীবনে বহু পুলিশের কর্মকর্তার সাথে ঘনিষ্ঠতা করেছি, কিন্তু হাসিব আজিজ সাহেবের মতো এত অমায়িক পুলিশ কমিশনার আর দেখিনি। উনার মধ্যে আমি এমন একজন নেতৃত্বদাতা দেখতে পেয়েছি, যিনি সত্যিকার অর্থে জনসেবার মানসিকতা ধারণ করেন। তিনি আমার লেখা প্রশংসা করে বলেন, “কামাল সাহেব, বিগত সময়ে আমাদের পুলিশদের কার্যকলাপ ও চরিত্র সম্পর্কে বলার কিছু নেই। এখন থেকে পুলিশ হবে ‘জনতার’, ‘ক্ষমতার’ নয়। এই জনতার পুলিশকে দেশ ও জাতির স্বার্থে সর্বত্র সহযোগিতা করতে হবে। সমাজের সকল অপকর্মের বিরুদ্ধে পুলিশকে সোচ্চার থাকতে হবে।” মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা ও নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনুস সাহেবের নেতৃত্বে রাষ্ট্র পরিচালনায় সাধারণ মানুষের পাশাপাশি লেখক ও সাংবাদিকদের যথাযথ ভূমিকা থাকার কথা উল্লেখ করেন। তিনি আমার বিভিন্ন পত্রিকায় লেখা পুলিশের বিভিন্ন অপকর্মের প্রতিবেদনকে বিশেষভাবে উল্লেখ করেন, বিশেষ করে জাতীয় দৈনিক “সকালের সময়”, “দৈনিক ভোরের আওয়াজ”, এবং জাতির ইংরেজি পত্রিকা “The Daily Banner”-এর সংবাদগুলোকে সময়োপযোগী বলে আখ্যায়িত করেন।
হাসিব আজিজ সাহেব আমাকে অনুরোধ করেন যেন আমি পুলিশ বাহিনীর গঠনমূলক উন্নয়ন এবং বিভিন্ন অনিয়মের বিরুদ্ধে আরও বেশি করে প্রতিবেদন প্রকাশ করি। তিনি মনে করেন, গণমাধ্যমের স্বাধীন কণ্ঠস্বর সমাজের জন্য অপরিহার্য এবং সত্য উদ্ঘাটনের ক্ষেত্রে নির্ভীক সাংবাদিকতার কোন বিকল্প নেই।
পুলিশ কমিশনার হাসিব আজিজ আমাকে বলেন, “আমাদের পুলিশ বাহিনী যদি সত্যিকারের জনতার পুলিশ হতে চায়, তাহলে তাদের স্বচ্ছতা, জবাব দিহিতা, এবং সাধারণ মানুষের প্রতি শ্রদ্ধাশীল আচরণকে অগ্রাধিকার দিতে হবে। যারা এর ব্যতিক্রম করবে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে আমরা কখনো পিছপা হব না।”আমি চট্টগ্রাম উন্নয়ন আন্দোলনের রূপকার ব্যারিস্টার মনোয়ার হোসেনের উপর রচিত “অদম্য মনোয়ার” বইটি এবং “দৈনিক ভোরের আওয়াজ” ও “The Daily Banner” পত্রিকা তাকে উপহার দিলে তিনি সেগুলো আন্তরিকতার সাথে গ্রহণ করেন। তার মতে, আমাদের সমাজে গঠনমূলক পরিবর্তনের জন্য প্রয়োজন সঠিক দৃষ্টিভঙ্গি এবং নিষ্ঠাবান প্রচেষ্টা।
আমি পুলিশ কমিশনার হাসিব আজিজের সফলতা কামনা করলে তিনি বলেন, “আগে যেসব পুলিশ দুর্নীতি ও ঘুষের সাথে জড়িত ছিল, তাদের বিরুদ্ধে এবং বর্তমানে যারা নতুন দায়িত্ব নিয়ে কাজ করছে, তাদের যদি কোনো অসংগতি দেখা যায়, আপনার সাহসী লেখনি অব্যাহত রাখবেন।” পুলিশ কমিশনার হাসিব আজিজের এই বক্তব্য থেকে পরিষ্কার বোঝা যায়, তিনি সত্যিই একটি সৎ ও জনবান্ধব পুলিশ বাহিনী গঠনের লক্ষ্যে কাজ করছেন, যেখানে ক্ষমতা নয়, জনতার সেবা হবে তাদের মূল আদর্শ। তিনি চান যে পুলিশের প্রতি জনমানুষের আস্থা এবং বিশ্বাস আবার ফিরে আসুক, এবং এই লক্ষ্যে তিনি পুলিশ বাহিনীতে অভ্যন্তরীণ শুদ্ধি অভিযান পরিচালনা করবেন।
আসলে, হাসিব আজিজের মতো নিষ্ঠাবান এবং ন্যায়পরায়ণ কর্মকর্তারা আমাদের সমাজের জন্য আশীর্বাদস্বরূপ। তাদের মতো নেতৃত্বে যদি পুলিশ বাহিনী পরিচালিত হয়, তবে এ দেশের মানুষ অবশ্যই একটি নিরাপদ ও সুষ্ঠু সমাজ পাবে, যেখানে জনগণের অধিকার রক্ষা এবং সুশাসনের পথ সুগম হবে।