1. mail.bizindex@gmail.com : newsroom :
  2. info@www.bhorerawaj.com : দৈনিক ভোরের আওয়াজ :
মঙ্গলবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৫:০৫ অপরাহ্ন
সর্বশেষ :
শিবচরে মাদক রোধে ইউএনও’র কাছে স্মারকলিপি দিল উপজেলা বিএনপি ঘোড়াঘাটে ৩৪ টি পূজা মন্ডপে নগদ অর্থ প্রদান করেন ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন বৃহত্তর কুমিল্লাকে কুমিল্লা বিভাগ করার জন্য মানববন্ধন অনুষ্ঠিত! গাইবান্ধায় সেবামূলক ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচারের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত নবীনগরে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ এনে সংবাদ সম্মেলন নবীনগরে অফিসার্স ক্লাবের উদ্যোগে বিদায় সংবর্ধনা বোদায় দূর্গাপুজা উপলক্ষে প্রস্তুতিমূলক সভা অনুষ্ঠিত হালদায় বিষপ্রয়োগকারীদের তথ্য দিলেই পুরস্কার ঘোষণা আসন্ন শারদীয় দুর্গাপূজা উদযাপন উপলক্ষে গলাচিপায় প্রস্তুতিমূলক সভা অনুষ্ঠিত কালিহাতীর বল্লায় বিএনপির কর্মী সমাবেশ অনুষ্ঠিত

বালু কামালের শত কোটি টাকার সাম্রাজ্য: দুর্নীতি ও ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগ-

মো. কামল উদ্দিনঃ
  • প্রকাশিত: রবিবার, ৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

সময়ের সাধারণ বালু ব্যবসায়ী বালু কামাল বর্তমানে শত কোটি টাকার মালিক। তার এই উত্থান ও সমৃদ্ধির পেছনে রয়েছে চট্টগ্রামের মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরীর আশীর্বাদ ও সহায়তা। অভিযোগ রয়েছে, রেজাউল করিমের পৃষ্ঠপোষকতায় বালু ব্যবসায় অগাধ সম্পদ গড়ে তুলেছেন বালু কামাল। চলাফেরা করেন দামি গাড়িতে, রয়েছে কয়েকটি বহুতল ভবন।

২০১৬ সালে, যখন বালু মূল বালুর ব্যবসা হারিয়ে  কামাল প্রায় দেউলিয়া হয়ে পড়েছিলেন, সেই সময় নুর সিন্ডিকেটের বালুর ব্যবসায় অংশীদারিত্বের মাধ্যমে তার ভাগ্যের চাকা ঘুরে যায়। চট্টগ্রাম বন্দরের ১নং ব্লকের নোয়াপাড়া মৌজায় হালদা নদীর মোহনার পূর্বভাগে বালুর মহাল ইজারা নিয়ে ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন শুরু হয়। সেই সময়ে, কামালের আর্থিক অবস্থা অত্যন্ত নাজুক ছিল, দুই বউয়ের সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছিলেন।  নুর সিন্ডিকেটের পৃষ্ঠপোষকতায় বিনিয়োগ ছাড়াই (চার লক্ষ টাকার ভুয়া চেক জমা দিয়ে) রেজাউল করিম  অংশীদার হন।সেই সুবাদে  রেজাউল করিমের সাথে কামালের লেনদেন শুরু হয়।

নুর সিন্ডিকেটের অন্যান্য অংশীদারদের মতে, বালুর ব্যবসায় যোগ দেওয়ার পর রেজাউল করিম চৌধুরীর সাথে কামালের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে ওঠে। বালু চুরি থেকে শুরু করে বড় ধরনের চুরির মাধ্যমে রেজাউল করিম এবং কামাল বিপুল পরিমাণ অর্থ উপার্জন করেন। রেজাউল করিম হঠাৎ শেখ হাসিনার  আশীর্বাদে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র পদে আসীন হওয়ার পর থেকে কামালের ভাগ্যের দরজা খুলে যায়। কামাল তার দাপটে এলাকা দাপিয়ে বেড়াতেন, যে কারণে সাধারণ মানুষেরা কামালের  পাশে যাওয়ার সাহস হতো না।

কামালের নামে প্রতিষ্ঠিত ‘কামাল এন্টারপ্রাইজ’ সিটি করপোরেশনে টেন্ডার ছাড়াই শত শত কোটি টাকার কাজ পেয়ে যায়। বিশেষ করে চান্দগাঁও পুরাতন থানার সামনে নির্মিত সিটি করপোরেশনের স্পোর্টস টাওয়ারের কাজের ব্যাপক দুর্নীতি নিয়ে অভিযোগ উঠেছে। কামালের সকল টেন্ডার বিহীন কাজের ফাইল বিদ্যুৎগতিতে চলতো, সিটি কপোরেশন

অনেক সময় কাজ বাকি থাকলেও আগাম বিল পরিশোধ করা হতো। কারণ হিসেবে জানা যায়, কামালের ব্যবসার অঘোষিত অংশীদার ছিলেন রেজাউল করিমের স্ত্রী, যার মাধ্যমে টেন্ডার বিহীন কাজের লেনদেন সম্পন্ন হতো।

নুর সিন্ডিকেটের মতে, মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী এবং কামালের মধ্যে অর্থ ভাগাভাগির চুক্তি ছিল। রেজাউল করিমের কাছে নুর সিন্ডিকেট তাদের প্রায় ১০ কোটি টাকার পাওনা রয়েছে  এবং নুর সিন্ডিকেটের টাকায় কেনা বর্তমান কামালের হেফাজতে রক্ষিত বা কর্ণফুলী নদীতে পরিত্যক্ত চারটি

ড্রেজার উদ্ধার করতে প্রশাসনের আইনানুগ হস্তক্ষেপ কামনা করেছে নুর সিন্ডিকেটের মালিক নুর মোহাম্মদ ।

প্রশ্ন উঠছে:বালু কামালের হঠাৎ উত্থান এবং রেজাউল করিম চৌধুরীর সাথে তার সম্পর্কের প্রকৃতি নিয়ে। দুদকের মাধ্যমে কামালের সম্পদের উৎস ও রেজাউল করিমের স্ত্রীর ব্যাংক হিসাব তদন্ত করলে, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন এবং এর কর্মকর্তাদের সাথে যুক্ত দুর্নীতির আরও অনেক অজানা তথ্য উদঘাটিত হতে পারে। এখন বালু কামাল বিএনপির নেতা সাজার চেষ্টা করছে এবং ভুল তথ্য দিয়ে বিভ্রান্ত করছে বলে গোপন সূত্রে জানা গেছে।

সরকারের দুর্নীতি দমন কমিশনের উচিত এই সমস্ত অভিযোগের সুষ্ঠু তদন্ত করে জনসমক্ষে প্রকৃত সত্য তুলে ধরা।

 

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০  
© সমস্ত অধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট