1. mail.bizindex@gmail.com : newsroom :
  2. info@www.bhorerawaj.com : দৈনিক ভোরের আওয়াজ :
শনিবার, ০৪ অক্টোবর ২০২৫, ০৫:৪৫ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ :
আজ শারদীয় দুর্গাপূজার মহাদশমী বগুড়ায় মুক্তিযুদ্ধের প্রজন্মদলের পুজা মন্ডপ পরিদর্শন ও ৩১ দফার গণসংযোগ কালিহাতীতে শারদীয় দুর্গোৎসবে ব্যারিস্টার সারওয়াত সিরাজ শুকলার পরিদর্শন! বান্দরবানের লামায় ৫ হাজার পিস ইয়াবা সহ গ্রেফতার ৪ কালাইয়ে জ্বিন চিকিৎসার নামে চলছে প্রতারণার রমরমা ব্যবসা মেলান্দহ মাদারগঞ্জ-৩ আসনে জনসভা করে প্রার্থিতা ঘোষণা করলেন সাদিকুর রহমান শুভ লাকসাম- মনোহরগঞ্জ সংসদীয় আসনে জনপ্রিয়তার শীর্ষে ডঃ একেএম জাহাঙ্গীর, কালিহাতীর নগরবাড়ীতে বিএনপির কর্মী সমাবেশে জনস্রোত, ধানের শীষের বিজয়ের অঙ্গীকার পাঁচবিবিতে সাংবাদিকের উপর হামলার আসামীদের গ্রেফতার ও সুষ্ঠু বিচারের দাবিতে মানববন্ধন কুমিল্লায় ৫ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে জামায়াতের সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল

নবীনগরে দীর্ঘদিন ধরে তালাবদ্ধ মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স!

মোঃ শওকত আলী নবীনগর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) 
  • প্রকাশিত: শুক্রবার, ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর পৌর এলাকার ৫ নং ওয়ার্ডে মাঝিকাড়ায় অবস্থিত মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সের নির্মাণ কাজ ২০২৩ সালে সমাপ্ত হয়। নির্মাণ কাজ সমাপ্তের দীর্ঘদিন হলেও এখনো তালাবদ্ধ তিন তলা দৃষ্টিনন্দন এ ভবন। এই কমপ্লেক্সের মধ্যেই নবীনগরের শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের নাম সম্বলিত স্মৃতি ফলকও নির্মিত হয়।
ভবনটির ১ম তলায় মার্কেট ও ২য় তলায় অফিসের জন্য ৬টি কক্ষ এবং তৃতীয় তলায় একটি সম্মেলন কক্ষ রয়েছে। ২০১২ সালে মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পরিকল্পনায় ৬৪ জেলার ৪২১টি উপজেলায় মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবন নির্মাণের জন্য ১ হাজার ১৯৯ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়। ২০১৫ সালের জুনে এই ভবনগুলোর নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও প্রকল্পের মেয়াদ দুই দফা বাড়িয়ে ২০২৩ সালের জুন পর্যন্ত বৃদ্ধি করে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর । প্রতিটি ভবনের নির্মাণে খরচ হয় ২ কোটি ৬০ লাখ টাকা। ২০২৪ সালে সারা দেশে ৩৪ টি মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স একসাথে উদ্বোধনের কথা থাকলেও এখন পর্যন্ত হয়নি। পৌর ভবন সংলগ্ন মুক্তিযোদ্ধা অফিসে স্থান সংকুলান ও আধুনিক সুযোগ-সুবিধা না থাকায় মুক্তিযোদ্ধারা কষ্ট করে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করেন। অথচ ২ কোটি ৬০ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত আধুনিক সুযোগ-সুবিধা সম্বলিত কমপ্লেক্স ভবনটি তালাবদ্ধ। দীর্ঘদিন ব্যহার না করায় ভবনটির জানালার কাঁচ ভাঙা। নিচ তলায় দোকানের সার্টার ভাঙা, কোথাও বৃষ্টির পানি জমে আছে। একমাত্র নলকূপটি ও চুরি হয়ে গেছে। মূল গেইট না থাকায় যে কেউ অবাধে চলাচল করতে পারে।
নীতিমালা অনুযায়ী এই ভবনের ভাড়া বাবদ আয় থেকে শতকরা ১৫% ব্যয় হবে মুক্তিযোদ্ধাদের কল্যাণে, বাকি ৮৫% জমা হবে সরকারি কোষাগারে। উদ্বোধনে বিলম্ব হওয়ায় ভবনটি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পাশাপাশি সরকার রাজস্ব হারাচ্ছে।
উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক ডেপুটি কমান্ডার সামসুল আলম বলেন, আমরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট ভবন বুঝে পাওয়ার দাবী জানালে তিনি জানান ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করে অচিরেই ভবন বুঝিয়ে দিবে।
এ বিষয়ে নবীনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার রাজিব চৌধুরী বলেন-“ভবনটি সংস্কারের পর শীঘ্রই উদ্বোধনের করে যথাযথ কর্তৃপক্ষকে বুঝিয়ে দেওয়ার জন্য চিঠি এসেছে , দ্রুত তা করা হবে”।

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

© সমস্ত অধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট