বগুড়ার ধুনট উপজেলায় বিএনপি কার্যালয় ভাঙচুর এবং দলীয় নেতাকর্মীদের ওপর হামলার ঘটনায় দায়ের করা মামলার এজাহারভুক্ত এক আসামিকে ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। মামলার বাদী ও ধুনট উপজেলা শ্রমিকদলের সাধারণ সম্পাদক মোঃ আসাদুল ইসলাম এ ঘটনায় নিজে ও তার পরিবার চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলে অভিযোগ করেছেন।
তিনি জানান, ২০২৩ সালের ৭ জুন ধুনট পৌর এলাকায় বিএনপির একটি কর্মসূচি চলাকালে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা হঠাৎ করে হামলা চালিয়ে দলীয় কার্যালয় ভাঙচুর ও ককটেল বিস্ফোরণ করে। এতে বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী আহত হন। এ ঘটনায় ২০২৪ সালের ২৬ জানুয়ারি ধুনট থানায় স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা মুনজিল হোসেনসহ ৭৮ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করা হয়। মামলার ৩০ নম্বর আসামি মুনজিল হোসেন দীর্ঘদিন আত্মগোপনে থাকার পর সম্প্রতি এলাকায় ফিরে গোপনে সাংগঠনিক তৎপরতা শুরু করলে, বিষয়টি থানায় জানানো হয়। এরপর গত ২৩ জুলাই রাতে ধুনট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এলাকায় স্থানীয় জনতা ও বিএনপি নেতাকর্মীদের সহযোগিতায় পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে।এ সময় ধুনট উপজেলা যুবদলের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক মোহাম্মদ আলী জন, ছাত্রদল নেতা সাইদুজ্জামান নোমানসহ আরও কয়েকজন ঘটনাস্থলে গিয়ে গ্রেফতারকৃত আসামিকে ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন বলে অভিযোগ করেছেন মামলার বাদী আসাদুল ইসলাম। তবে জনতার বাধার মুখে তারা ব্যর্থ হয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তর্ক-বিতর্ক এবং হুমকি-ধামকির ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। আসাদুল ইসলাম আরও বলেন, ঘটনার পর থেকে মোহাম্মদ আলী জনসহ অভিযুক্তরা তাকে ও তার পরিবারকে প্রাণনাশের হুমকি, অপমান এবং গালিগালাজ করে আসছেন। তিনি অভিযোগ করেন, আমি মামলার বাদী হওয়ায় প্রতিনিয়ত ভয়ভীতি ও অপমানের শিকার হচ্ছি। মোহাম্মদ আলী জন বড় বড় আওয়ামী লীগ নেতাদের সঙ্গে ঘুরে বেড়িয়ে প্রভাব খাটাচ্ছে। তিনি প্রশাসনের কাছে অনুরোধ জানিয়ে বলেন, আমার দায়ের করা মামলার আসামিকে ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা এবং আমাকে হুমকি প্রদর্শনের বিষয়টি সুষ্ঠুভাবে তদন্ত করে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক। এ বিষয়ে ধুনট থানার সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, লিখিত অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।