1. mail.bizindex@gmail.com : newsroom :
  2. info@www.bhorerawaj.com : দৈনিক ভোরের আওয়াজ :
শুক্রবার, ২৭ জুন ২০২৫, ০৭:৪৩ অপরাহ্ন
সর্বশেষ :
একটি ত্যাগের ইতিহাস, একটি আদর্শিক প্রতীক, একটি নেতৃত্বের দাবী মহসিন কাজী, সাহস, স্মৃতি ও সাংবাদিকতার শ্রেষ্ঠ প্রতীক এই দেশে কোন স্বৈরাচার ক্ষমতায় আসবেনা বললেন সাবেক শিবিরের আলা উদ্দীন কালিহাতীতে সবুজায়ণ সমাজ কল্যাণ সংস্থার সহযোগিতায় জোয়াইর ময়জিদ ও গোরস্থানে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি-২০২৫ শরীয়তপুরের ডামুড্যায় জেলেদের মাঝে বিনামূল্যে ছাগল বিতরণে অনিয়ম! বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির (বিএসপি) মহাসচিব বীর মুক্তিযোদ্ধা এডভোকেট আব্দুল আজিজ সরকারের স্মরণসভা অনুষ্ঠিত চট্টগ্রামের চেতনার দীপ্ত মশাল: দেশবিদেশে এক আলোকবর্তিকা ব্যারিস্টার মনোয়ার হোসেন খোকসায় তুচ্ছ ঘটনায় বৃদ্ধকে পিটিয়ে হত্যা: এলাকায় শোকের ছায়াঁ জুতার মালার কি রাষ্ট্রীয় উদ্বোধন! চট্টগ্রামের জাতিতাত্ত্বিক জাদুঘর:সংকটের আবরণে লুকানো এক সাংস্কৃতিক রত্ন

একটি ত্যাগের ইতিহাস, একটি আদর্শিক প্রতীক, একটি নেতৃত্বের দাবী

মোঃ কামাল উদ্দিন
  • প্রকাশিত: শুক্রবার, ২৭ জুন, ২০২৫

“কর্ণফুলী বিএনপির হাল ধরার জন্য যে নামটি আজ জনগণের মুখে মুখে—আব্দুল গফুর মেম্বার”
—একটি ত্যাগের ইতিহাস, একটি আদর্শিক প্রতীক, একটি নেতৃত্বের দাবী-

আব্দুল গফুর মেম্বার শুধুমাত্র একজন রাজনৈতিক নেতা নন, তিনি কর্ণফুলী উপজেলার মানুষের কাছে একজন আপনজন, একজন নিবেদিতপ্রাণ সমাজসেবক। তিনি যখন জনপ্রতিনিধির দায়িত্বে ছিলেন, তখন তাঁর মূল লক্ষ্য ছিল সাধারণ মানুষের জীবনে ইতিবাচক পরিবর্তন আনা। রাজনীতিকে তিনি দেখেছেন মানুষের সেবা করার সুযোগ হিসেবে, আর সেই সুযোগকে তিনি কাজে লাগিয়েছেন নিষ্ঠা ও আন্তরিকতার সঙ্গে।
স্থানীয় সমস্যাগুলোর মধ্যে জলাবদ্ধতা ছিল দীর্ঘদিনের ভোগান্তির অন্যতম কারণ। গফুর মেম্বার এই বিষয়টিকে অগ্রাধিকার দিয়ে কাজ শুরু করেন। তাঁর উদ্যোগে এলাকায় একাধিক কালভাট নির্মাণ হয়, যা এলাকার পানি নিষ্কাশনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। বর্ষাকালে যেসব জায়গা হাঁটুপানিতে ডুবে যেত, সেই এলাকাগুলো আজ অনেকটাই স্বস্তিতে আছে তার উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডের কারণে। এছাড়া রাস্তা-ঘাটের উন্নয়ন তিনি ছিলেন অত্যন্ত সক্রিয়। অনেক অবহেলিত গ্রামীণ সড়ক তার প্রচেষ্টায় মেরামত ও সংস্কার করা হয়েছে। চলাচলের অনুপযোগী রাস্তাগুলো তিনি স্থানীয় প্রশাসনের সহায়তায় পাকা করিয়েছেন, যাতে স্কুলগামী শিশু, রোগী কিংবা কৃষকেরা নির্বিঘ্নে চলাফেরা করতে পারে।তবে শুধু অবকাঠামোগত উন্নয়নেই নয়, তিনি মানুষের সুখ-দুঃখের সাথী ছিলেন বলেই এলাকায় তাঁর গ্রহণযোগ্যতা আজও অটুট। কেউ মৃত্যুবরণ করলে তার বাড়িতে সবার আগে পৌঁছাতেন গফুর মেম্বার, কেউ অসুস্থ হলে ওষুধ কিংবা হাসপাতাল নেয়ার দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নিতেন নিঃসংকোচে। আবার উৎসব-অনুষ্ঠানেও তার উপস্থিতি ছিল পরিবারের একজন সদস্যের মতো। একজন রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি হিসেবে তিনি কখনো দলবাজিতে জড়াননি। সব দলের, সব শ্রেণি-পেশার মানুষের পাশে থেকেছেন তিনি, কারণ তাঁর কাছে রাজনীতি ছিল মানুষের কল্যাণে কাজ করার একটি মাধ্যম। তাঁর নিরলস সেবামূলক কর্মকাণ্ডের কারণেই জনগণ তাকে শুধু একজন রাজনৈতিক নেতা হিসেবে নয়, একজন প্রকৃত সমাজসেবক হিসেবে চিহ্নিত করেছে। এই কারণেই আজও কর্ণফুলী উপজেলায় আব্দুল গফুর মেম্বার-এর নাম উচ্চারিত হয় শ্রদ্ধার সঙ্গে, ভালোবাসার সঙ্গে। তিনি প্রমাণ করেছেন, জনপ্রতিনিধিত্ব মানে কেবল কথা বলা নয়—তা হচ্ছে মানুষের সমস্যা নিজের সমস্যা হিসেবে দেখা এবং সমাধানে এগিয়ে আসা। সেই মানবিক, পরিশ্রমী আর আদর্শবান মুখই হলেন আব্দুল গফুর মেম্বার।বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের রাজনীতি আজ দুঃসময় অতিক্রম করছে। রাষ্ট্রযন্ত্রের নির্মমতা, মিথ্যা মামলা, গুম, গ্রেফতার আর অপপ্রচারের এক ভয়াবহ ছায়ায় বিএনপি যখন টিকে থাকার লড়াই লড়ছে, তখন প্রয়োজন হয়ে উঠেছে এমন কিছু সাহসী সৈনিকের, যারা আদর্শের জন্য জীবন দিতে পারে, কিন্তু মাথা নোয়ায় না। কর্ণফুলী থানার মাঠে, সংগঠনের প্রতিটি স্তরে, এমনই এক পরীক্ষিত, নির্যাতিত, কিন্তু অবিচল ব্যক্তিত্বের নাম—আব্দুল গফুর মেম্বার।১৯৭৯ সাল। শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান যখন জাতীয়তাবাদী চিন্তাধারার আলো ছড়িয়ে দিচ্ছেন সারা দেশে, তখন কর্ণফুলীর এক তরুণ মাটির ঘর থেকে বেরিয়ে দাঁড়িয়েছিলেন এই আদর্শের পাশে। তিনি ছিলেন না কোনো রাজ পরিবারের সন্তান, নয় কোনো পৃষ্ঠপোষকতার প্রতিনিধি—তিনি ছিলেন সাধারণ জনগণের সন্তান, কিন্তু ভেতরে বহন করতেন অসাধারণ এক দৃঢ়তা। তার নাম—আব্দুল গফুর মেম্বার।
শহীদ জিয়ার ডাকে সাড়া দিয়ে শুরু হয় তার রাজনীতির পথচলা। তার কাছে রাজনীতি মানে ছিল না পদ-পদবী; ছিল না ছবি টাঙানো বা মাইক ফাটানো স্লোগান; তার কাছে রাজনীতি মানে ছিল—আদর্শের পক্ষে থাকা, নির্যাতনের মুখেও দলের পতাকা শক্ত করে ধরে রাখা।
সংগঠন মানেই জীবন-গফুর মেম্বার ছিলেন না শুধুই একজন রাজনৈতিক কর্মী—তিনি ছিলেন একজন সংগঠক। চর লক্ষ্য ইউনিয়নকে বিএনপির দুর্গে পরিণত করেছেন তিনি নিজ হাতে। প্রতিটি ওয়ার্ডে কমিটি, নিয়মিত সাংগঠনিক বৈঠক, তরুণদের রাজনীতিতে সম্পৃক্তকরণ—এসব ছিল তার নিত্য দিনের কাজ। যারা রাতের আঁধারে ভয় পায়, তারা বুঝবে না, কত বড় সাহস লাগে ক্ষমতাসীন দলের চোখ রাঙানি উপেক্ষা করে রাজপথে দাঁড়াতে। শতবারের বেশি হয়রানি—তবু দল ছাড়েননি-আব্দুল গফুর মেম্বার তার জীবনের শ্রেষ্ঠ সময়টুকু ব্যয় করেছেন রাজনৈতিক নিপীড়নের ভিতর দিয়ে। র‌্যাব, পুলিশ, গোয়েন্দা—সব বাহিনীর হাতে বারবার গ্রেফতার হয়েছেন। তার বিরুদ্ধে ১০টিরও বেশি মিথ্যা মামলা ছিল, রাত-বিরাতে তল্লাশি চালানো হয়েছে তার ঘরে, পরিবার ছিল আতঙ্কে। কিন্তু তিনি কোন দিন কারো কাছে মাথা নত করেননি। দল ত্যাগ করেননি। আদর্শ বিসর্জন দেননি। এই দেশপ্রেমিক সৈনিকই দলের আসল সম্পদ। খালেদা জিয়ার মুক্তির আন্দোলনের প্রথম সারিতে-যখন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে আন্দোলন করাও ছিল “রাষ্ট্রদ্রোহ” বলে আখ্যায়িত, তখন কর্ণফুলীর রাজপথে সাহসী কণ্ঠে স্লোগান দিয়েছেন গফুর মেম্বার। থানা পুলিশ তাকে ভয় দেখাতে পারেনি, বরং তিনি নেতা-কর্মীদের উজ্জীবিত করে তুলেছেন। একজন প্রকৃত কর্মীর মতো সংগঠনকে আগলে রেখেছেন।তারেক রহমানের ৩১ দফা রূপরেখায় বাস্তব প্রয়োগ-আজ বিএনপির ভবিষ্যৎ রূপরেখা হলো তারেক রহমানের দেওয়া ৩১ দফা। গফুর মেম্বার সে কর্মসূচির বাস্তব প্রয়োগে থানা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে নিরলস পরিশ্রম করছেন। তিনি সংগঠনের ভবিষ্যৎ নেতৃত্ব তৈরি করছেন, রাজনৈতিক প্রশিক্ষণ দিচ্ছেন, দায়িত্বশীল কর্মীবাহিনী গড়ে তুলছেন। গফুর মেম্বার কেন সময়ের দাবি? আজ যখন কর্ণফুলী থানা বিএনপি পুনর্গঠনের দোরগোড়ায় দাঁড়িয়ে, তখন প্রয়োজন এমন একজন নেতার, যিনি শুধু পদ নয়, দায়িত্ব বুঝেন। যিনি নেতৃত্ব চান না, নেতৃত্ব দেন। গফুর মেম্বার এই প্রজন্মের জন্য এক অনন্য অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত। তার জীবনের প্রতিটি পর্ব দলকে উৎসর্গ করা। তিনি শত্রুতা মাথায় নিয়ে রাজনীতি করেছেন, কিন্তু দলকে একদিনও ছোট করেননি।তিনি শতবার থানায় গেছেন, কিন্তু আদর্শ থেকে এক পা পিছিয়ে যাননি।তিনি নেতা হওয়ার জন্য নয়, দলের সৈনিক থাকার গৌরব নিয়েই আজ নেতার চেয়েও বেশি জনপ্রিয়।
তৃণমূলের প্রাণের দাবি
আজ কর্ণফুলী বিএনপির সাধারণ কর্মীরা প্রশ্ন করেন—”আমাদের নেতা কে?”
উত্তর আসে: “গফুর মেম্বারই আমাদের নেতা।” কারণ, তিনি ছিলেন তাদের পাশে নির্যাতনের দিনে, সংগ্রামের রাতে।
তারা জানে—এই মানুষটি বিক্রি হবেন না, ভেঙে পড়বেন না, সরে যাবেন না।
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল শুধু শহীদ জিয়ার স্বপ্ন নয়, এটি হাজারো গফুর মেম্বারদের রক্ত, ঘাম আর অশ্রু দিয়ে গড়া সংগঠন। তাই এখন সময় এসেছে এই নিবেদিতপ্রাণ নেতাকে সম্মান জানানোর, তাকে সংগঠনের কেন্দ্রবিন্দুতে নিয়ে আসার। গফুর মেম্বার নেতৃত্বে এলে কর্ণফুলী বিএনপি আবার দাঁড়াবে মাথা উঁচু করে। আবার জাগবে তৃণমূলের সাহস।
তৃণমূলের কণ্ঠস্বর আজ স্পষ্ঠ
“আমরা গফুর মেম্বারকে চাই। এখনই চাই।”
-এই লেখা কর্ণফুলী থানা বিএনপির সর্বস্তরের নেতা-কর্মীদের অনুরোধে সাধারণ মানুষের পক্ষ থেকে জনস্বার্থে প্রকাশিত

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২১৩১৪১৫
১৬১৭১৮১৯২০২১২২
২৩২৪২৫২৬২৭২৮২৯
৩০  
© সমস্ত অধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট