1. mail.bizindex@gmail.com : newsroom :
  2. info@www.bhorerawaj.com : দৈনিক ভোরের আওয়াজ :
শুক্রবার, ২০ জুন ২০২৫, ১১:৫১ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ :
কেশবপুরে প্রকাশ্যে যুবদল কর্মীকে পিটিয়ে হত্যা! সবুজসহ তিনজন আটক, এলাকায় উত্তেজনা! শওকত আলম শওকত ও হাজী মোঃ আবু আকতার বোয়ালখালী বিএনপির অগ্রসৈনিক ওসি বাবুল আজাদের নেতৃত্বে থানার লুণ্ঠিত অস্ত্র উদ্ধার চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশে চারবারের সেরা ওসি আফতাব উদ্দিন দিলরুবা খানম : বহুমাত্রিক প্রতিভায় দীপ্ত এক মানবিক শিল্পী সাংবাদিকতা নাকি ব্যবসা? পেশার পবিত্রতা আজ প্রশ্নবিদ্ধ! প্রধান উপদেষ্টার বরাবর চট্টগ্রাম নাগরিক ফোরামের স্মারকলিপি প্রদান সাংবাদিকের বিভ্রান্তিকর পরিচয় ব্যবহার: চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের প্রতিবাদ বক্তা ও বক্তৃতা নিয়ে কিছু অপ্রিয় কথা ঢাকা সাভারের বিরুলিয়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান সুজন কারাগারে আত্মহত্যা

১৯৯১-এর সেই বিভীষিকাময় ২৯ এপ্রিল: চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে স্মরণে আলোকচিত্র প্রদর্শনী ও স্মৃতিচারণ”

মোহাম্মদ ইব্রাহিম
  • প্রকাশিত: বুধবার, ৩০ এপ্রিল, ২০২৫

চট্টগ্রাম, ২৯ এপ্রিল:
১৯৯১ সালের ২৯ এপ্রিল—বাংলাদেশের উপকূলীয় ইতিহাসের এক কালো দিন। ভয়াল ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাসে লক্ষ প্রাণ হারিয়েছিল, ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছিল উপকূলের জনপদ। সেই হৃদয়বিদারক স্মৃতিকে স্মরণ করে আজ মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব প্রাঙ্গণে আয়োজিত হয় এক বিশেষ আলোকচিত্র প্রদর্শনী ও স্মৃতিচারণ সভা।
সকাল ১০টায় আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মাননীয় মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন। সভাপতিত্ব করেন চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের অন্তর্বর্তীকালীন কমিটির সদস্য সচিব জাহিদুল করিম কচি।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন স্মৃতিচারণ করে জানান, “১৯৯১ সালে আমি সদ্য চিকিৎসক পাস করেছি। তখন ঘূর্ণিঝড়ের তাণ্ডবে চট্টগ্রামের আনোয়ারা, বাটিয়ারি, চন্দনাইশ, কুতুবদিয়া, সন্দ্বীপসহ উপকূলীয় এলাকায় যে মানবিক বিপর্যয় নেমে এসেছিল, তা ভাষায় প্রকাশ করা কঠিন। খাবার, বিশুদ্ধ পানি ও ওষুধের অভাবে মানুষ হাহাকার করছিল। আমি স্যালাইন ও ওষুধ নিয়ে দুর্গত এলাকায় ছুটে গিয়েছিলাম।”
তিনি বলেন, “তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে এবং চট্টগ্রামের সাংসদ আবদুল্লাহ আল নোমান সাহেবের তত্ত্বাবধানে ত্রাণ কার্যক্রম দ্রুত শুরু হয়। সেই সময় সাংবাদিকদের ভূমিকা ছিল অত্যন্ত প্রশংসনীয়। দুর্গত এলাকার করুণ চিত্র তুলে ধরেছিলেন বলেই দেশ-বিদেশ থেকে সহায়তা এসে পৌঁছেছিল দ্রুত।”
ডা. শাহাদাত প্রয়াত সাংবাদিক ও দুর্যোগে নিহত সকলের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং জীবিত সাংবাদিকদের সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করেন। পাশাপাশি, নগরীর পরিবেশ রক্ষায় ১০ হাজার বৃক্ষরোপণের ঘোষণা দেন।
আলোকচিত্র প্রদর্শনীতে তুলে ধরা হয় ১৯৯১ সালের সেই বিভীষিকাময় দুর্যোগের চট্টগ্রাম অঞ্চলের হৃদয়স্পর্শী কিছু ছবি। ছবিগুলোতে দেখা যায়, পানির নিচে তলিয়ে যাওয়া জনপদ, ঘরহারা মানুষদের খোলা আকাশের নিচে মানবেতর জীবন, বিধ্বস্ত ঘরবাড়ি ও মৃতদেহে পরিপূর্ণ চারপাশ।
বিশেষজ্ঞদের মতে, ওই ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাসে প্রায় ১ লাখ ৩৮ হাজার মানুষ প্রাণ হারান, এবং প্রায় ১ কোটি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হন। ধ্বংস হয় কয়েক হাজার ঘরবাড়ি, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, হাসপাতাল ও যোগাযোগব্যবস্থা। সন্দ্বীপ, মহেশখালী, কুতুবদিয়া, পতেঙ্গা, আনোয়ারা ও বাঁশখালীর ক্ষয়ক্ষতি ছিল ভয়াবহ মাত্রায়।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের প্রতিনিধি, দুর্যোগের প্রত্যক্ষদর্শী সাংবাদিক ও সচেতন নাগরিকবৃন্দ। তাঁরা সবাই ২৯ এপ্রিলের ভয়াবহতা স্মরণ করে বলেন, “এই স্মৃতি শুধু কষ্টের নয়, এটি আমাদের জন্য এক শিক্ষা। দুর্যোগপ্রবণ এই দেশে আমাদের প্রস্তুত থাকতে হবে আরও সচেতন ও সংগঠিতভাবে।”
চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের এ উদ্যোগ একদিকে যেমন অতীত স্মৃতিকে সম্মান জানায়, তেমনি ভবিষ্যতের জন্য এক বার্তা দেয়—প্রাকৃতিক দুর্যোগকে মোকাবিলা করতে চাই সহমর্মিতা, সংহতি ও সতর্কতা

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২১৩
১৪১৫১৬১৭১৮১৯২০
২১২২২৩২৪২৫২৬২৭
২৮২৯৩০  
© সমস্ত অধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট