চট্টগ্রামের বোয়ালখালীতে দীর্ঘ দুই শতাধিক বছরের পুরনো পারিবারিক কবরস্থানের ওপর দিয়ে জোরপূর্বক হাঁটার রাস্তা তৈরির অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয় নজর মোহাম্মদ গোষ্ঠীর দাবি, ভূমি কর্মকর্তা কানিজ ফাতেমা একপাক্ষিকভাবে একটি মৌখিক নির্দেশ দিয়ে কবরস্থানের পবিত্রতা নষ্টের সুযোগ তৈরি করেছেন, যা এলাকাবাসীর মধ্যে চরম ক্ষোভের জন্ম দিয়েছে।
এ বিষয়ে নজর মোহাম্মদ গোষ্ঠীর পক্ষে মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন বিভাগীয় কমিশনারের বরাবরে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেন, চরণদ্বীপের ঐতিহ্যবাহী এই পারিবারিক কবরস্থানে তাদের পূর্বপুরুষসহ অন্তত চৌদ্দ গোষ্ঠীর সদস্যদের কবর রয়েছে। কিন্তু সম্প্রতি আব্দুল লতিফ গং নিজেদের সুবিধার জন্য এই কবরস্থানের ওপর দিয়ে চলাচলের রাস্তা তৈরি করতে চায়। অথচ তাদের যাতায়াতের জন্য বিকল্প রাস্তা রয়েছে।
অভিযোগে বলা হয়, লতিফ গংদের দাবির ভিত্তিতে কানিজ ফাতেমা কোনো ধরনের আইনগত যাচাই-বাছাই ছাড়াই তাদের পক্ষে অবস্থান নেন এবং শুনানি চলাকালে আবেদনকারীদের কথা শোনার কোনো সুযোগ না দিয়েই একতরফাভাবে কবরস্থানের ওপর দিয়ে হাঁটার রাস্তা করার মৌখিক নির্দেশ দেন। আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য হলো, শুনানির দিন (২৪ ফেব্রুয়ারি) লতিফ গং সন্ত্রাসীদের নিয়ে ভূমি অফিসে অবস্থান নেয় এবং অভিযোগকারী পক্ষকে ভয়ভীতি দেখিয়ে বাধা প্রদান করে।
স্থানীয়রা বলছেন, প্রশাসনের এমন পক্ষপাতমূলক সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন হলে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত লাগবে এবং এলাকায় রক্তক্ষয়ী সংঘাতের আশঙ্কা তৈরি হবে। এ ঘটনায় ইতোমধ্যে বোয়ালখালী থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি নং- ২৭৮, তারিখ- ০৬/০১/২০২৫) করা হয়েছে।
অভিযোগকারী মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন বলেন, “কবরস্থান আমাদের পূর্বপুরুষদের চিরনিদ্রার স্থান। এটি কোনোভাবেই চলাচলের রাস্তা হতে পারে না। কিন্তু ভূমি কর্মকর্তা কানিজ ফাতেমা নিরপেক্ষভাবে বিষয়টি দেখার পরিবর্তে লতিফ গংদের পক্ষে অবস্থান নিয়ে অবৈধভাবে সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দিতে চাচ্ছেন। তার এই ভূমিকা প্রশ্নবিদ্ধ এবং প্রশাসনের জন্যও বিব্রতকর।”
এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী অবিলম্বে এই অন্যায় সিদ্ধান্ত বাতিল এবং কানিজ ফাতেমার বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন। তারা হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, যদি কবরস্থানের পবিত্রতা রক্ষা না করা হয়, তবে এলাকাবাসী কঠোর আন্দোলনে যেতে বাধ্য হবে।
কবরস্থানের অভিযোগটি আমলে নিয়ে বিভাগীয় কমিশনার ড.মোঃ জিয়াউদ্দিন চট্টগ্রাম জেলাপ্রশাসক ফরিদা খানমকে বিষয়টি গুরুত্বসহকারে দেখার জন্য নির্দেশ প্রদান করেন, বিভাগীয় কমিশনার ও জেলাপ্রশাসক অত্যন্ত আন্তরিকতাসাথে অভিযোগ খানা আমলে নেন, এই অভিযোগের বিষয়ে বোয়ালখালী সহকারী কমিশনার ভুমি কানিজ ফাতেমা দৈনিক ভোরের আওয়াজকে উনার মৌখিক নির্দেশনার কথা স্বীকার করে বলেন- আমি বলেছি যেহেতু কবরস্থানের কিছু অংশ খাস খতিয়ানে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে সেহেতু এককভাবে কোন গোষ্ঠী তাদের পারিবারিক কবরস্থান হিসেবে পরিচিয় দিয়ে অন্যকাহাওকে ব্যবহার করার বাঁধা দিতে পারেনা কবরস্থানে তালা না লগিয়ে জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত রাখতে হবে, এখন থেকে এই কবরস্থান যেই কেউ ব্যবহার করতে পারবে, তিনি আরো বলেন যাঁরা পারিবারিক কবরস্থান হিসেবে বলে দাবী করছেন তাদের উচিত সরকারের খান খতিয়ানের বিরুদ্ধে মামলার করা।
প্রতিবেদকের বক্তব্য এই কবরস্হান দুইশত বছরের পুরানো এবং এই কবরস্থানের সাথে দুইশত পরিবারের দুহাজার মানুষ জড়িত,লতিফ গং অহেতুক ভাবে এই কবর স্হানের পবিত্রতা বিনষ্ট করার জন্য এই ধরনের মনগড়া সিদ্ধান্ত নিয়ে এলাকায় উপস্থিত ঘোলাটে করার চেষ্টা করছেন বলে অনু সন্ধানে প্রতিয়মান হয়, এই রমজান মাসে কবর স্হানের মতো একটি স্পষ্টকাতর জায়গা তা নিয়ে প্রশাসনের ভুল সিদ্ধান্তের কারনে যদি কোনধরনের ধর্মীয় সংঘাত হয় তার দায়-দায়িত্ব কেনে নেব।