1. mail.bizindex@gmail.com : newsroom :
  2. info@www.bhorerawaj.com : দৈনিক ভোরের আওয়াজ :
বৃহস্পতিবার, ০১ মে ২০২৫, ০৮:৫৮ অপরাহ্ন
সর্বশেষ :
“বাঁশখালীতে ৪ হাজার ইয়াবাসহ টেকনাফের মাদক কারবারি আটক: ব্যবহৃত মোটরসাইকেল জব্দ” হোমনায় মহান মে দিবস উপলক্ষে  বিএনপির বর্ণাঢ্য র‍্যালি  ড. মোহাম্মদ ইউনূস এর শুভ আগমনে বোয়ালখালীবাসীর পক্ষ থেকে হাজী মোহাম্মদ আলম ববির শুভেচ্ছা ও কৃতজ্ঞতা পুলিশ পরিচয়ে ঘরে প্রবেশ করে পরিবারের ৮ জনকে বেঁধে ছয়টি দোকান ঘর গুঁড়িয়ে দিয়ে মালামাল লুট করেছে দুর্বৃত্তরা রোদেলা দুপুরে পারকি সৈকতের বালুকাবেলায় কলম যোদ্ধারা,স্মৃতিময় এক মে দিবস! ড. মোহাম্মদ ইউনূসের দক্ষিণ চট্টগ্রাম সফর সিএমপি কমিশনার ও পাঁচ ওসি পেলেন আইজিপি ব্যাজ সাহস, দক্ষতা ও মানবিক পুলিশিংয়ের স্বীকৃতি আইজি পি ব্যাজ পেলেন ওসি আফতাব উদ্দিন চট্টগ্রাম উন্নয়ন আন্দোলনের সূচনালগ্নের সাহসী পুরুষ ব্যারিস্টার মনোয়ার হোসেন! দৃষ্টি আকর্ষণ

ফজলে করিম চৌধুরী: রাউজানের কালো অধ্যায়

মো. কামাল উদ্দিন
  • প্রকাশিত: সোমবার, ৩ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫
  • ৮৮ বার পড়া হয়েছে

এবিএম ফজলে করিম চৌধুরীকে “শান্তির রোল মডেল” বলে প্রচার চালানো নিছক ইতিহাস বিকৃতির চেষ্টা। বাস্তবতা হলো, তার শাসনামলে রাউজান ছিল এক ভয়ংকর দমননীতির শিকার, যেখানে ভিন্নমতের জন্য জীবন দিতে হয়েছে বহু মানুষকে। তিনি রাউজানকে একটি দেওয়ালহীন কারাগারে পরিণত করেছিলেন, যেখানে তার অনুমতি ছাড়া কেউ কিছু করতে পারত না।
ফজলে করিম চৌধুরীর অপরাধের কিছু দিক:
সন্ত্রাস ও খুনের রাজনীতি: তার সময় রাউজানে শতাধিক রাজনৈতিক হত্যা হয়েছে। প্রতিপক্ষ দল, এমনকি তার দলের অভ্যন্তরীণ বিরোধীরাও রক্ষা পায়নি।প্রকাশ্যে গুলি করে খুন করা হতো, কেউ প্রতিবাদ করার সাহস করত না।
গুম ও ভয়ভীতি: তার নির্দেশে বহু মানুষ গুম হয়েছে, যাদের পরিবার এখনো তাদের সন্ধান পায়নি। বিরোধীদের উপর নির্যাতন চালিয়ে মুখ বন্ধ রাখা হতো। চাঁদাবাজি ও দখলদারিত্ব: ব্যবসায়ী, শিল্পপতি থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ পর্যন্ত তার বাহিনীর চাঁদাবাজির শিকার হয়েছে।
হাজারো কোটি টাকা মূল্যের সরকারি জমি ও সাধারণ মানুষের জায়গা দখল করেছে তার অনুসারীরা।
উন্নয়ন প্রকল্পেও তার অবৈধ হস্তক্ষেপ ছিল, যেখানে জনগণের টাকা লুটপাট হয়েছে। গণতন্ত্রহীনতা ও দমননীতি:
সংবাদমাধ্যম তার বিরুদ্ধে কিছু লিখতে পারত না, কারণ সাংবাদিকদেরও হুমকির মুখে পড়তে হতো। নির্বাচনে কারচুপি ও ভোট ডাকাতি তার সময়ে ছিল সাধারণ ঘটনা। ফজলে করিম চৌধুরীর বিরুদ্ধে আরও কিছু অভিযোগ:
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সন্ত্রাস: তার বাহিনী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে দলীয় ক্যাডারদের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে, ফলে ছাত্ররা পড়াশোনার পরিবেশ হারায়।
বিভক্তির রাজনীতি: জনগণকে বিভক্ত করে নিজের আধিপত্য বজায় রেখেছেন।
বিচারের বাইরে থাকা: এত অপরাধের পরও প্রশাসন তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারেনি, কারণ তিনি রাজনৈতিক ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন।
ইতিহাস বিকৃতির বিরুদ্ধে রাউজানের জনগণের প্রতিবাদ জরুরি- বর্তমানে কিছু মহল তার শাসনামলকে “স্বর্ণযুগ” বলে প্রচার চালাচ্ছে। কিন্তু রাউজানের মানুষ জানে, তার সময় তারা কতটা ভয়ের মধ্যে দিন কাটিয়েছে। ফজলে করিম চৌধুরী রাউজানের উন্নয়ন করেননি, বরং রাউজানকে সন্ত্রাসের মডেলে পরিণত করেছিলেন। উপযুক্ত শিরোনাম হতে পারে: ফজলে করিম চৌধুরী: রাউজানের আতঙ্কের রাজা
সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজির প্রতিচ্ছবি: ফজলে করিমের শাসন ফজলে করিমের শাসনামল: রাউজানের দেওয়ালহীন কারাগার ভয়ের সংস্কৃতি থেকে মুক্তি চায় রাউজান হত্যা ও হত্যাচেষ্টা মামলা-নুরুল আলম হত্যা মামলা: ২০২৪ সালের আগস্ট মাসে চট্টগ্রামের রাউজান উপজেলার নোয়াপাড়া ইউনিয়নের বাসিন্দা নুরুল আলম নুরুকে হত্যার অভিযোগে ফজলে করিম চৌধুরীসহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়। বিএনপি সমর্থককে হত্যাচেষ্টার মামলা: ২০১৫ সালে বিএনপি সমর্থক মোহাম্মদ সেলিমকে আটকের পর গুলি ও ছুরিকাঘাত করে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে ফজলে করিম চৌধুরী ও তৎকালীন ওসি প্রদীপ কুমার দাশসহ ৩৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়।
গুম ও নির্যাতন-গোপন আস্তানায় নির্যাতন: প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত ১৬ বছর ধরে রাউজানে শত শত মানুষ ফজলে করিম চৌধুরীর হাতে নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। তার নিজস্ব ক্যাডার বাহিনী মাটির নিচে গোপন ঘরে ভয়াবহ নির্যাতন চালাতো।
চাঁদাবাজি ও দখলদারিত্ব -জমি ও সম্পত্তি দখল: ফজলে করিম চৌধুরীর বিরুদ্ধে জমি ও সম্পত্তি দখলের অভিযোগও রয়েছে। তার অনুসারীরা সাধারণ মানুষের জমি ও ব্যবসা দখল করতেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।- আইন লঙ্ঘন ও পলায়নচেষ্টা অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশের চেষ্টা: ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরে ফজলে করিম চৌধুরীকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া সীমান্ত থেকে অবৈধভাবে ভারতে যাওয়ার চেষ্টা করার সময় আটক করা হয়। বিচার প্রক্রিয়া ও রিমান্ড- রিমান্ড ও গ্রেপ্তার: বিভিন্ন মামলায় ফজলে করিম চৌধুরীকে একাধিকবার রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। চট্টগ্রামের বিভিন্ন থানায় তার বিরুদ্ধে মোট ১০টি মামলা রয়েছে বলে জানা গেছে।”এখন রাতারাতি ফজলে করিম চৌধুরীকে নিরপরাধী সাধু বানানোর চেষ্টা করেছে–“” এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী। নিসন্দেহে রাউজানের সাধারণ মানুষের জন্য এক আস্থা ও ভরসার প্রকীত ছিলেন। দীর্ঘ অতীতে পুরো চট্টগ্রাম শুনে আসছে, জেনে আসছে, রাউজান একটি আ’ত’ঙ্কের উপজেলা। সন্ত্রাস ছিনতাই খু/ন গু/ম এগুলো দিয়েই মানুষ চিনতো রাউজান উপজেলাকে। কিন্তু ফরজে করিম সবকিছুকে মিথ্যা প্রমাণ করে একটি শান্তির রাউজান প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। যে রাউজান ছিল শান্তিতে সুন্দর অনেক এগিয়ে। রাউজান রোল মডেল ছিলেন ফজলে করিম চৌধুরী। উন্নত একটি রাউজান গড়ে তুলেছেন রাউজান বাসীর জন্য। যেখানে ছিল না কোন হানাহানি। হয়তো মানুষ বুঝতে পারিনি,ফজলে করিম রাউজান বাসীর জন্য কি ছিলেন। এখন রাউজানের মানুষ হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছে, ফজলে করিম চৌধুরীকে হারিয়ে তারা কতটা অসহায়,কতটা অনিরাপদ। ফজলে করিম যাওয়ার পর শান্তির রাউজান এখন সন্ত্রাসীদের আস্তানা। মুহুর্তেই মানুষকে প্রকাশ্যে গু/লি করে মে/রে ফেলা হচ্ছে। ছিনতাই ডাকা*তি এগুলো নিয়েই এখন রাউজান বাসীর বসবাস। রাউজান বাসের জন্য আশীর্বাদ ছিলেন এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী।”””ফজলে করিম চৌধুরী “এক নিষ্ঠুরতার প্রতীক, যার নামের ওপর শত শত থুথু”ফজলে করিম চৌধুরী—নামটি শুনলে রাউজানবাসীর মনে ওঠে এক আতঙ্কের স্মৃতি। এই মানুষটি ক্ষমতার জোরে হয়ে উঠেছিলেন এক দুর্ধর্ষ শাসক, যার অত্যাচারের কাহিনী শোনার মতো নয়, বরং মনে রাখতে হয়। শেখ হাসিনার আশীর্বাদে তিনি হয়ে উঠেছিলেন অপরাধ সাম্রাজ্যের এক শক্তিশালী শাসক, যার ভয়ংকর চেহারা ছিল অন্তরের চেয়ে বহিরঙ্গে বেশি ভীতিপ্রদ। নিজের গোপনীয় বাড়ীতে বসে আরামে সুন্দরী নারীদের সঙ্গে উল্লাসে মত্ত থাকতেন, চারদিকে ছড়িয়ে দিতেন অপরাধের ভয়ংকর রূপ।
শত শত কোটি টাকার অবৈধ সাম্রাজ্য ফজলে করিম চৌধুরী শুধুমাত্র ক্ষমতার দম্ভে সীমাবদ্ধ ছিলেন না; তার অপরাধের সাম্রাজ্য বহুদূর পর্যন্ত বিস্তৃত ছিল। নিজের ক্ষমতার অপব্যবহার করে তিনি হয়ে উঠেছিলেন শত শত কোটি টাকার মালিক, যা ছিল সাধারণ মানুষের রক্ত, ঘাম, এবং কষ্টের বিনিময়ে অর্জিত। তার অবৈধ সম্পদ এমন এক অন্ধকারের প্রতীক, যা সাধারণ মানুষের জীবনকে আরো দুর্বিষহ করে তুলেছিল। অবৈধ লেনদেন, দুর্নীতি, এবং জমি দখল তার অপরাধের মাত্রা আরও গভীর করেছিল। তিনি অবৈধ সম্পদের মালিকানায় নিজেকে জড়িয়ে ফেলেছিলেন, যা সাধারণ মানুষের প্রতি তার অবজ্ঞার প্রতীক। নিরীহ মানুষের আর্তনাদে ভরপুর তার পথ
তার ক্ষমতার ভয়াবহতায় কেঁপে উঠেছিল রাউজানের মাটি। হাজারো মানুষ তার হাতে নির্যাতিত হয়েছে, যারা আজো তাকে অভিশাপ দিয়ে যাচ্ছেন। ফজলে করিম নিজেকে চেঙ্গিস খানের মতো শক্তিশালী ভাবতেন; তার আদেশে খুনিরা নিরীহ মানুষকে কুপিয়ে কুপিয়ে হত্যা করত। স্থানীয় পুলিশও ছিল তার অত্যাচারের এক সহযোগী শক্তি, যারা মিথ্যা মামলায় নিরীহ মানুষকে আটকে রেখে করেছিল জীবনযাপন দুর্বিষহ। তার অত্যাচার এবং অপরাধের কাহিনীগুলো শুনলে মনে হয়, মানবতার শত্রু হিসেবে তিনি চেঙ্গিস খানকেও হার মানিয়েছেন। তার অপরাধের হাতে রক্ত লেগে আছে, যা কোনোদিন মুছে যাবে না।
ঘৃণার প্রতিমূর্তি আজ, যখন রাউজানের মানুষ তাকে মনে করে, তাদের মনে উঠে আসে ঘৃণা আর বিদ্রূপের প্রতীক। তার নামে থুথু নিক্ষেপ করা হয়, কারণ তিনি শুধু ক্ষমতার অপব্যবহার করেননি, তিনি মানুষের জীবনকে বিপর্যস্ত করে তুলেছিলেন। ক্ষমতার মত্তায় তিনি বুঝতে পারেননি যে দিন শেষে, সাধারণ মানুষ তার ওপর ঘৃণার থুথু নিক্ষেপ করবে। তার প্রতিটি অপকর্মের দাগ মানুষের মনে গভীরভাবে গেঁথে গেছে। তার অপরাধের জন্য আজও তার নাম শুনলে মানুষ মুখ ফিরিয়ে নেয়, তাদের অন্তরের ঘৃণার প্রতিফলন ঘটে। নিষ্ঠুরতার ইতিহাস ফজলে করিম চৌধুরীর শাসনকাল ছিল এক নির্দয় নিষ্ঠুরতার প্রতীক। তার শাসনে রাউজানবাসী মনে করেছিল, তারা কোনো দেওয়ালহীন কারাগারে বাস করছে। সাধারণ মানুষ যেন তার চোখের সামনে কেবলই জুলুম আর অত্যাচারের প্রতিক্রিয়া। তার ক্ষমতার বলি হয়ে অসংখ্য মায়ের বুক খালি হয়েছে, বাচ্চারা হারিয়েছে তাদের পিতাকে, স্ত্রী হারিয়েছে তাদের স্বামীকে। আজ তার অপরাধের বলি হয়ে যাওয়া মানুষের আত্মার আর্তনাদ ঘুরে ফিরে আসে।অপরাধীর পতন আজ তিনি একটি ছোট্ট কারাগারে শুয়ে আছেন, যেমন একদিন তার নির্দেশে অসংখ্য নিরীহ মানুষ বন্দী ছিল। তার অপরাধের প্রতিটি কাজের জন্য, তার উপর আজ এই নির্মম পরিণতি এসেছে। সে আর সেই ক্ষমতাবান মানুষ নয়, আজ তিনি শুধু একজন বন্দী। তার উপর আজো মানুষ থুথু নিক্ষেপ করে, এবং তারা মনে মনে আশা করে, তার মত অপরাধীর পতন যেন আরো গভীর হয়। তার নামে মানুষের অন্তরের ঘৃণা তার জন্য চিরস্থায়ী এক অভিশাপ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই গল্প শুধু ফজলে করিম চৌধুরীর নয়, এটি সেই সব অত্যাচারী শাসকদের জন্য একটি সতর্কবার্তা। ক্ষমতার দম্ভে মানুষ কতটা নীচে নামতে পারে, এবং সেই ক্ষমতার অভিশাপে তার পতন আসতে বাধ্য

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২১৩১৪১৫১৬
১৭১৮১৯২০২১২২২৩
২৪২৫২৬২৭২৮  
© সমস্ত অধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট