1. mail.bizindex@gmail.com : newsroom :
  2. info@www.bhorerawaj.com : দৈনিক ভোরের আওয়াজ :
শুক্রবার, ০২ মে ২০২৫, ০৪:২০ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ :
“বাঁশখালীতে ৪ হাজার ইয়াবাসহ টেকনাফের মাদক কারবারি আটক: ব্যবহৃত মোটরসাইকেল জব্দ” হোমনায় মহান মে দিবস উপলক্ষে  বিএনপির বর্ণাঢ্য র‍্যালি  ড. মোহাম্মদ ইউনূস এর শুভ আগমনে বোয়ালখালীবাসীর পক্ষ থেকে হাজী মোহাম্মদ আলম ববির শুভেচ্ছা ও কৃতজ্ঞতা পুলিশ পরিচয়ে ঘরে প্রবেশ করে পরিবারের ৮ জনকে বেঁধে ছয়টি দোকান ঘর গুঁড়িয়ে দিয়ে মালামাল লুট করেছে দুর্বৃত্তরা রোদেলা দুপুরে পারকি সৈকতের বালুকাবেলায় কলম যোদ্ধারা,স্মৃতিময় এক মে দিবস! ড. মোহাম্মদ ইউনূসের দক্ষিণ চট্টগ্রাম সফর সিএমপি কমিশনার ও পাঁচ ওসি পেলেন আইজিপি ব্যাজ সাহস, দক্ষতা ও মানবিক পুলিশিংয়ের স্বীকৃতি আইজি পি ব্যাজ পেলেন ওসি আফতাব উদ্দিন চট্টগ্রাম উন্নয়ন আন্দোলনের সূচনালগ্নের সাহসী পুরুষ ব্যারিস্টার মনোয়ার হোসেন! দৃষ্টি আকর্ষণ

“চট্টগ্রামের নতুন পুলিশ সুপার মো. সাইফুল ইসলাম সানতু: জনবান্ধব ও দূরদর্শী নেতৃত্বের প্রতিচ্ছবি”

মো. কামাল উদ্দিনঃ
  • প্রকাশিত: বুধবার, ৮ জানুয়ারী, ২০২৫
  • ১৮৫ বার পড়া হয়েছে

চট্টগ্রামের এসপি মো. সাইফুল ইসলাম সানতু-

এক নতুন প্রত্যাশার আলো,

বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী আজ এক দ্বিধাবিভক্ত বাস্তবতার মধ্যে দিয়ে চলছে। একদিকে জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দায়িত্ব, অন্যদিকে ক্ষমতার অনুগত থেকে সরকারি নির্দেশ বাস্তবায়নের চাপে পড়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী আজ সাধারণ মানুষের আস্থার সংকটে পড়েছে। অতীতের অনেক ঘটনার দিকে তাকালে দেখা যায়, কখনো পুলিশের নির্লজ্জ পক্ষপাত, কখনো সরকারকে খুশি করার জন্য আন্দোলন দমানোর নামে রক্তপাত, আবার কখনো নিজেদের দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে পুলিশের সদস্যরাই হয়ে উঠেছে নির্মমতার শিকার।

ঠিক এই সংকটময় সময়ে, চট্টগ্রামের নতুন পুলিশ সুপার (এসপি) মো. সাইফুল ইসলাম সানতু যেন এক ব্যতিক্রমী আলোর দ্যুতি ছড়িয়ে আমাদের সামনে আসছেন। একজন পুলিশ কর্মকর্তা কেমন হওয়া উচিত, একজন সেবক পুলিশ কেমন করে জনতার বন্ধু হয়ে ওঠে, তার বাস্তব উদাহরণ হতে পারেন তিনি। আমাদের প্রত্যাশা, তিনি পুলিশ বাহিনীর হারানো গৌরব ফিরিয়ে আনতে পারবেন এবং সত্যিকারের জনগণের রক্ষক হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করবেন। অন্ধ আনুগত্য বনাম মানবিক পুলিশিং আমরা এমন এক সময়ের সাক্ষী, যখন পুলিশের ভূমিকা নিয়ে সাধারণ মানুষের মনে দ্বন্দ্ব তৈরি হয়েছে। একদিকে কিছু অসাধু পুলিশ সদস্যের অনৈতিক কর্মকাণ্ড, অন্যদিকে পক্ষপাতমূলক আচরণ পুলিশের ভাবমূর্তিকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। আমরা দেখেছি, কতিপয় পুলিশ সদস্য যখন ক্ষমতাসীনদের খুশি করতে মরিয়া, তখন রাজপথে আন্দোলনরত মানুষ পাখির মতো গুলিতে ঝরে পড়েছে। আবার সেই একই পুলিশ সদস্যদের কেউ কেউ নিরপরাধ হয়েও গণরোষের শিকার হয়েছে, গণপিটুনিতে মারা গেছে। ওসি নিজামের মতো কর্মকর্তার করুণ পরিণতি আমাদের চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে, জনগণ যখন ক্ষুব্ধ হয়, তখন ক্ষমতার দম্ভ কিচ্ছু কাজে আসে না। কিন্তু এর মধ্যেই কিছু ব্যতিক্রমী পুলিশ কর্মকর্তা আছেন, যারা মানুষের জন্য কাজ করেন, ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় আত্মনিয়োগ করেন। চট্টগ্রামের নবনিযুক্ত পুলিশ সুপার মো. সাইফুল ইসলাম সানতু তাদের মধ্যে একজন হবেন বলে আমরা আশাবাদী। তিনি যদি সত্যিকারের দায়িত্বশীল, সৎ ও জনবান্ধব পুলিশিং নিশ্চিত করতে পারেন, তবে পুলিশের প্রতি সাধারণ মানুষের আস্থা ফিরতে শুরু করবে। টাঙ্গাইল থেকে চট্টগ্রাম: সফলতার ধারাবাহিকতা বজায় রাখার প্রত্যাশা এসপি মো. সাইফুল ইসলাম সানতু টাঙ্গাইল জেলার পুলিশ সুপার হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে তার নিষ্ঠা, সততা ও দক্ষতা দিয়ে বেশ সুনাম কুড়িয়েছেন। তার মানবিক আচরণ, বিচক্ষণতা এবং অপরাধ দমনে কঠোর অবস্থান তাকে পুলিশের ভেতরেই একজন অনুকরণীয় নেতা হিসেবে পরিচিত করেছে।

বিশেষ করে করোনা মহামারির সময় তিনি অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেন। মাঠপর্যায়ের পুলিশ সদস্যরা যখন ভয় ও অনিশ্চয়তার মধ্যে কাজ করছিলেন, তখন তিনি তাদের পাশে দাঁড়িয়েছেন। আক্রান্ত পুলিশ সদস্যদের সুচিকিৎসা ও সহায়তা নিশ্চিত করেছেন। এটি প্রমাণ করে, তিনি শুধু একজন প্রশাসক নন, একজন মানবিক কর্মকর্তা। চট্টগ্রামের মতো একটি জটিল ও চ্যালেঞ্জিং এলাকায় তার নিয়োগ নিঃসন্দেহে তাৎপর্যপূর্ণ। এখন দেখার বিষয়, তিনি কেমন করে এই মহানগরীর আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় তার দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা কাজে লাগান। জনগণের আস্থা ফেরানোর লড়াই বাংলাদেশের সাধারণ মানুষ পুলিশের প্রতি তাদের প্রত্যাশা কখনোই হারায়নি। তারা চায়, পুলিশ তাদের পাশে থাকবে, তাদের সুরক্ষা দেবে, বিচার নিশ্চিত করবে। কিন্তু বারবার তারা হতাশ হয়েছে, পুলিশের কিছু অসৎ সদস্যের কারণে।

এখন চট্টগ্রামবাসী চায়, এসপি মো. সাইফুল ইসলাম সানতু সেই আস্থার প্রতীক হয়ে উঠবেন। তিনি যদি সৎ ও সাহসী নেতৃত্ব দিতে পারেন, তবে তার অধীনস্থ থানাগুলোয় দুর্নীতির লাগাম টানা সম্ভব হবে। থানার ওসিরা আর ক্ষমতার ছত্রছায়ায় অন্যায় কাজ করতে সাহস পাবেন না। সাধারণ মানুষ বিচার পাবে, হয়রানির শিকার হবে না। তার দায়িত্ব নেয়ার পর থেকেই চট্টগ্রামের থানাগুলোতে এক ধরনের সতর্কতা এসেছে। ওসিরা নড়েচড়ে বসেছেন। এটিই তার নেতৃত্বের প্রাথমিক সাফল্যের ইঙ্গিত দেয়। এখন সময় তার সামনে আরও বড় চ্যালেঞ্জ রাখবে—সত্যিকারের আইনশৃঙ্খলা রক্ষার চ্যালেঞ্জ, জনতার বন্ধু হয়ে ওঠার চ্যালেঞ্জ।

সাংবাদিক ও পুলিশ: সত্যের পক্ষে ঐক্যবদ্ধ থাকার সময়

একজন সাংবাদিক হিসেবে আমি মনে করি, পুলিশ ও গণমাধ্যমের মধ্যে সুসম্পর্ক থাকাটা অপরিহার্য। গণমাধ্যম সত্য প্রকাশ করে, অন্যদিকে পুলিশ সত্য প্রতিষ্ঠা করে। কিন্তু যখন পুলিশ সত্যকে ধামাচাপা দিতে চায়, তখনই তারা জনতার শত্রুতে পরিণত হয়। এসপি সাইফুল ইসলাম সানতু যদি সত্য ও ন্যায়বিচারের পক্ষে থাকেন, তবে তিনি অবশ্যই সাংবাদিকদের বন্ধু হবেন। তার প্রশাসনের প্রতিটি কর্মকাণ্ড স্বচ্ছ থাকলে, সাংবাদিকদের দমিয়ে রাখার কোনো প্রয়োজন থাকবে না। বরং পুলিশের ভালো কাজগুলো আরও বেশি মানুষের কাছে পৌঁছবে। আমি আশাবাদী, তিনি এই সম্পর্ককে ইতিবাচকভাবেই দেখবেন এবং পুলিশ-সাংবাদিক সম্পর্ক আরও মজবুত করবেন। একজন ভালো পুলিশ অফিসারের জন্য উৎসাহ

আমাদের পুলিশ বাহিনীতে ভালো অফিসারের সংকট নেই, কিন্তু তারা সবসময় নিজেকে প্রকাশের সুযোগ পান না। অনেক সময় রাজনৈতিক চাপ, ঊর্ধ্বতনদের অযাচিত হস্তক্ষেপ ও সৎ থাকতে না পারার বাধ্যবাধকতা একজন যোগ্য পুলিশ কর্মকর্তাকে দমিয়ে রাখে। কিন্তু ইতিহাস বলে, যারা সত্যিকারের দেশপ্রেমিক, যারা জনগণের জন্য কাজ করতে চান, তারা সব প্রতিকূলতাকে জয় করতে পারেন। এসপি মো. সাইফুল ইসলাম সানতুর প্রতি আমাদের প্রত্যাশা সেই জায়গা থেকেই। আমরা চাই, তিনি এমন এক উদাহরণ সৃষ্টি করুন, যা দেখে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের পুলিশ কর্মকর্তারা অনুপ্রাণিত হবে।

ন্যায়বিচার ও সুশাসনের প্রত্যাশা

চট্টগ্রামের নতুন পুলিশ সুপারকে ঘিরে সাধারণ মানুষের অনেক প্রত্যাশা। আমরা চাই, তিনি এমন একজন পুলিশ অফিসার হিসেবে কাজ করবেন, যার নাম সাধারণ মানুষ শ্রদ্ধার সঙ্গে উচ্চারণ করবে।

তিনি পুলিশের হারানো ভাবমূর্তি ফিরিয়ে আনতে পারবেন কি না, তা সময়ই বলে দেবে। তবে আমরা, যারা একজন সৎ ও জনবান্ধব পুলিশ অফিসারের অপেক্ষায় আছি, তারা আশাবাদী। আমরা চাই, তিনি পক্ষপাতহীন থেকে, সত্য ও ন্যায়বিচারের পক্ষে থেকে, পুলিশ বাহিনীর সুনাম পুনরুদ্ধারে নেতৃত্ব দেবেন। আমাদের পুলিশের মধ্যে যদি আরও বেশি সাইফুল ইসলাম সানতুর মতো কর্মকর্তা থাকত, তাহলে হয়তো আজ সাধারণ মানুষ পুলিশের নাম শুনলেই ভয় পেত না, বরং আস্থার সঙ্গে বলত—”পুলিশই জনতার বন্ধু!”

নতুন দায়িত্বে চৌকস ও মানবিক পুলিশ কর্মকর্তা চট্টগ্রাম জেলার নতুন পুলিশ সুপার (এসপি) হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন মো. সাইফুল ইসলাম সানতু। তিনি ২৭তম বিসিএস পুলিশ ক্যাডারের একজন চৌকস, নিষ্ঠাবান ও দক্ষ কর্মকর্তা। তার নিয়োগ চট্টগ্রাম জেলার আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে সংশ্লিষ্ট মহল মনে করছে। দায়িত্ব গ্রহণের প্রথম দিন থেকেই তিনি পেশাদারিত্ব ও মানবিকতা দিয়ে পুলিশ বাহিনীর হারানো গৌরব ফিরিয়ে আনার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন। ২০২৪ সালের ৩০ ডিসেম্বর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের পুলিশ-১ শাখার উপসচিব আবু সাঈদ স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে তাকে চট্টগ্রামের পুলিশ সুপার হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। ২০২৫ সালের ৫ জানুয়ারি তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে চট্টগ্রাম জেলার পুলিশ সুপার কার্যালয়ে দায়িত্বভার গ্রহণ করেন।

দায়িত্ব গ্রহণের সময় চট্টগ্রাম জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা তাকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান। এরপর পুলিশের একটি চৌকস দল তাকে গার্ড অব অনার প্রদান করে। দায়িত্ব নেওয়ার পর তিনি পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের বিভিন্ন সেকশন পরিদর্শন করেন এবং অফিসার ও ফোর্সদের উদ্দেশে পেশাদারিত্ব বজায় রেখে দায়িত্ব পালনের নির্দেশনা প্রদান করেন।

টাঙ্গাইল থেকে চট্টগ্রাম: সফলতার ধারাবাহিকতা

এসপি মো. সাইফুল ইসলাম সানতু এর আগে টাঙ্গাইল জেলার পুলিশ সুপার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। সেখানে তিনি ন্যায়পরায়ণতা, সৎ পুলিশিং এবং জনবান্ধব কার্যক্রমের মাধ্যমে প্রশংসিত হয়েছেন। তার নেতৃত্বে টাঙ্গাইল জেলা পুলিশ মাদক নিয়ন্ত্রণ, কিশোর গ্যাং দমন, যানজট নিরসন, সাইবার অপরাধ দমন ও কমিউনিটি পুলিশিং কার্যক্রমে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। বিশেষ করে করোনা মহামারির সময় তিনি পুলিশের ফ্রন্টলাইন সদস্যদের জন্য নানাবিধ সেবামূলক কার্যক্রম গ্রহণ করেন। করোনায় আক্রান্ত পুলিশ সদস্যদের সুচিকিৎসা, মনোবল চাঙ্গা রাখা এবং প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদানে তার উদ্যোগ বাহিনীর ভেতরে প্রশংসিত হয়েছিল। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়নে কঠোর অবস্থান চট্টগ্রাম জেলার মতো একটি গুরুত্বপূর্ণ ও চ্যালেঞ্জিং জায়গায় এসপি মো. সাইফুল ইসলাম সানতুর নিয়োগ নিঃসন্দেহে তাৎপর্যপূর্ণ। দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই তিনি জেলার সকল থানার অফিসার ইনচার্জদের (ওসি) সতর্ক ও সক্রিয় হতে নির্দেশনা দিয়েছেন।

তিনি স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন, চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ দুর্নীতি ও স্বজনপ্রীতিমুক্ত থাকবে এবং ন্যায়বিচার ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় নিরলসভাবে কাজ করবে। তার নেতৃত্বে জেলার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়ন, অপরাধ নিয়ন্ত্রণ এবং জনবান্ধব পুলিশিং নিশ্চিত হবে বলে সংশ্লিষ্ট মহল আশাবাদী।

সাংবাদিকদের প্রতি সহানুভূতিশীল ও জনবান্ধব মনোভাব এসপি মো. সাইফুল ইসলাম সানতু শুধু একজন দক্ষ প্রশাসকই নন, তিনি সাংবাদিকবান্ধব একজন পুলিশ কর্মকর্তা হিসেবেও পরিচিত। গণমাধ্যমের সঙ্গে সমন্বয় রেখে অপরাধ দমন, দুর্নীতির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ এবং তথ্যপ্রবাহকে স্বচ্ছ রাখার বিষয়ে তিনি সবসময়ই গুরুত্ব দিয়ে থাকেন।

চট্টগ্রামে দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকেই তিনি গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখে পুলিশ ও সাধারণ জনগণের মধ্যে পারস্পরিক আস্থা তৈরি করতে কাজ করছেন। তার মতে, সত্য প্রকাশে গণমাধ্যমের ভূমিকা অপরিহার্য, এবং পুলিশ-সাংবাদিক সম্পর্ক যত স্বচ্ছ হবে, অপরাধ দমন ততটাই সহজ হবে।

চট্টগ্রামের ওসিদের নতুন বার্তা: দায়িত্ব পালনে সতর্কতা ও নিষ্ঠা

তার যোগদানের পর থেকেই চট্টগ্রাম জেলার সকল থানার ওসিরা নড়েচড়ে বসেছেন। পুলিশ বিভাগে শৃঙ্খলা ফেরানো, অপরাধ নিয়ন্ত্রণ ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে তিনি কড়া নজরদারি শুরু করেছেন।

তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, কোনো ধরনের অনিয়ম, দুর্নীতি কিংবা দায়িত্বে অবহেলা সহ্য করা হবে না। জনগণের নিরাপত্তা ও সেবা নিশ্চিত করতে তিনি তৃণমূল পর্যায়ের পুলিশ সদস্যদেরও কার্যকরভাবে নিয়ন্ত্রণের নির্দেশ দিয়েছেন।

জনগণের প্রত্যাশা: চট্টগ্রামে নিরাপত্তা ও শান্তির পরিবেশ তৈরি

এসপি মো. সাইফুল ইসলাম সানতুর নেতৃত্বে চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ জনগণের আস্থা অর্জন করতে পারবে বলে সাধারণ মানুষ আশাবাদী। তার দক্ষতা, বিচক্ষণতা, সততা ও কঠোর পরিশ্রম চট্টগ্রামের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাবে বলে মনে করা হচ্ছে।

চট্টগ্রামের মানুষ আশা করছেন, তিনি টাঙ্গাইলে অর্জিত সাফল্যের ধারাবাহিকতা বজায় রেখে চট্টগ্রামকেও একটি নিরাপদ ও সুশৃঙ্খল শহরে পরিণত করবেন। তার মানবিক দৃষ্টিভঙ্গি, দায়িত্বশীলতা এবং নিষ্ঠা পুলিশ বিভাগের প্রতি সাধারণ জনগণের আস্থা ফেরাতে সহায়ক হবে।

চট্টগ্রামে দায়িত্বগ্রহণের পর থেকেই তার প্রশাসনিক কার্যক্রমের গতি বেড়েছে। জনগণের প্রত্যাশা, তার নেতৃত্বে চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ একটি সুশৃঙ্খল, দুর্নীতিমুক্ত ও জনবান্ধব বাহিনী হিসেবে কাজ করবে।

 পুলিশের গৌরব পুনরুদ্ধারের এক অনন্য যোদ্ধা

মো. সাইফুল ইসলাম সানতুর মতো যোগ্য, মেধাবী ও নিষ্ঠাবান পুলিশ কর্মকর্তার নেতৃত্বে চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ এক নতুন অধ্যায়ে প্রবেশ করতে চলেছে। পুলিশ বাহিনীর হারানো গৌরব পুনরুদ্ধার, দুর্নীতিমুক্ত প্রশাসন গঠন এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়নে তার ভূমিকা স্মরণীয় হয়ে থাকবে বলে আশা করা হচ্ছে। তার কঠোর পরিশ্রম, স্বচ্ছতা, জনবান্ধব নীতি ও সাংবাদিকবান্ধব মনোভাব চট্টগ্রামের সাধারণ জনগণের মধ্যে নতুন আশার সঞ্চার করেছে। তার যোগ্য নেতৃত্বে চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ সত্যিকারের জনগণের বন্ধু হয়ে উঠবে, এমনটাই প্রত্যাশা সবার।

লেখকঃ যুগ্ম সম্পাদক ও চট্টগ্রাম বিভাগীয় ব্যুরো প্রধান-দৈনিক ভোরের আওয়াজ ও  The Daily banner, এবং গবেষক ও টেলিভিশন উপস্থাপক।

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২
১৩১৪১৫১৬১৭১৮১৯
২০২১২২২৩২৪২৫২৬
২৭২৮২৯৩০৩১  
© সমস্ত অধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট