বাটালি হীলে দাদা-দিদির সাথে হাঁটতে হাঁটতে–
বাটালি হীলে শতায়ু অঙ্গনে,
জীবন চলে এক মৃদু সুরে,
দাদা ও দিদি, দুটি প্রাণ,
যতটা দূর, ততটাই কাছে।
হাঁটতে হাঁটতে যে পথের ছবি,
স্মৃতির মাঝে হয়ে ওঠে রঙিন,
তাদের ভদ্রতা, অমায়িকতা,
মনকে শান্তি দেয়, শুদ্ধ করে হৃদয়। মিলমিশে যেন এক অসীম বন্ধন, তাদের একে অপরের মাঝে যতটা দূর, ততটাই কাছে, অলক্ষ্যে ভরে ওঠে সম্পর্কের সীমানা। আমার চোখে যেন মধুর রূপ, এঁদের মধ্যে যেন কোনো বিভেদ নেই,একদম সরল, একদম নিরহঙ্কার, তাদের প্রাণের পরিপূর্ণতা দেখে,কিছুটা হিংসাও আসে মনে। দাদা, আমার লেখার শখের বন্ধু, যাঁর মনের গভীরে থাকে সোনালী প্রজ্ঞা,
একটি লেখা, এক একটি শব্দ,
তাঁর কাছে হয়ে ওঠে জীবন্ত গল্প। ফেসবুকে পেয়েছি আজ তাদের ছবি,
তাদের হাসি, তাদের স্পর্শ,
সত্যিই যেন কিছু মধুর মুহূর্ত,
যে মুহূর্তের মধ্যে চিরকাল হারিয়ে যায় জীবন।
আমি কৃতজ্ঞ তাদের অস্তিত্বে,
যাঁদের সঙ্গ আমার পথে আলো ছড়ায়,
এমন দাদা-দিদির মতো,
এই পৃথিবী হয় আরো সুন্দর, আরো গৌরবময়।
মানবজীবনের প্রতিটি অধ্যায়ই যেন এক-একটি গল্প, আর কিছু গল্প হয়ে ওঠে নিঃসন্দেহে অনুপ্রেরণার। এমনই এক গল্প বুনেছেন এই দম্পতি, যারা তাঁদের জীবনের প্রতিটি দিন প্রেম, দায়িত্ব আর সুস্থতার এক মেলবন্ধনে সাজিয়ে চলেছেন।
পেশাগত জীবনে ব্যস্ত হলেও তাঁরা কখনো ভুলে যাননি জীবনের ছোট ছোট সুখের মুহূর্তগুলোকে। তাঁদের দুই সন্তান, যাঁদের সুশিক্ষায় শিক্ষিত করে জীবনে প্রতিষ্ঠিত করেছেন, সেই সন্তানদের সাফল্য যেন এই জুটির পরিশ্রম আর ভালোবাসারই ফল। কর্মক্ষেত্রের দায়িত্ব পালন করেও তাঁরা বরাবরই একে অপরের প্রতি ভালোবাসা, শ্রদ্ধা এবং সহমর্মিতার চিরন্তন উদাহরণ হয়ে আছেন।
প্রতিদিন সকালে তাঁরা পা বাড়ান বাটালি হিলের সবুজে মোড়া পথে। প্রকৃতির কোলে হাঁটাহাঁটির সেই সময়টুকু তাঁদের জন্য শুধু শরীরচর্চার নয়, বরং জীবনের গভীরতাকে অনুভব করারও। কুয়াশা ঢাকা ভোরের বাতাস, পাখির ডাক, আর চারপাশের নির্জনতার মাঝে তাঁরা খুঁজে পান মনের প্রশান্তি। শতায়ু অঙ্গনের ছায়ায় তাঁরা শরীরচর্চায় মগ্ন হন, আর সেখান থেকে ফিরে আসেন এক নতুন উদ্যম নিয়ে।
তবে তাঁদের জীবন শুধু নিজেদের মধ্যেই আবদ্ধ নয়। বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠান, মিলনমেলা, কিংবা সাংস্কৃতিক আয়োজনে তাঁদের উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায় নিয়মিত। নিজেদের সুস্থতা এবং পরিবারের প্রতি ভালোবাসার পাশাপাশি সমাজের প্রতি তাঁদের অবদানও অনস্বীকার্য।
তাঁদের দাম্পত্য জীবন যেন প্রেম, দায়িত্ব, আর সৌহার্দ্যের এক মূর্ত প্রতীক। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তাঁদের ভালোবাসা যেন আরও গভীর হয়ে উঠেছে। জীবনের প্রতিটি মুহূর্তে তাঁরা দেখিয়ে দিয়েছেন, কীভাবে একে অপরের প্রতি নিরন্তর ভালোবাসা ও সহমর্মিতা ধরে রাখা যায়।
তাঁদের জীবনকে দেখে সহজেই বোঝা যায়, সুখী জীবনের মূলমন্ত্র লুকিয়ে আছে সুস্থ জীবনযাপন, প্রেম আর দায়িত্ববোধে। তাঁদের গল্প যেন আমাদের শেখায়, ব্যস্ত জীবনের মাঝেও কীভাবে সময় বের করে প্রকৃতির সান্নিধ্যে মনকে শান্ত রাখা যায়।