1. mail.bizindex@gmail.com : newsroom :
  2. info@www.bhorerawaj.com : দৈনিক ভোরের আওয়াজ :
সোমবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১১:৪৬ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ :
নিরাপদ সড়ক চাই সফল সামাজিক সংগঠন তারেক রহমান ফিরতে চাইলে একদিনেই ট্রাভেল পাস দেওয়া সম্ভব ঘোড়াঘাটে ব্যাটারি চালিত ইজিবাইক চালক সীমিত গঠন ও বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনা করে দোয়া অনুষ্ঠিত শ্রীমঙ্গলে ১১মাস ধরে ঘরবন্দী এক পরিবার লামায় ট্রাক্টর মোটর সাইকেল মুখোমুখি সংঘর্ষ, নিহত ১ আহত ৪ চট্টগ্রাম কক্সবাজার মহাসড়ক ব্লকেড, ৬ লেনে উন্নীতকরণের দাবি রূপগঞ্জ উপজেলা প্রেসক্লাবের সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা ও  আলোচনা সভা  গৌরনদীতে বিএনপি’র আঞ্চলিক কার্যালয়ে রহস্যজনক অগ্নিকাণ্ড গাইবান্ধা, ক্রয়কৃত জমি জোরপূর্বক দখলের চেষ্টা হত্যার হুমকি থানায় অভিযোগ  ৩২ তম বাৎসরিক ওরশ মোবারক ও গুনীসম্মাননা ২০২৫

স্নেহের বদলে শিকল: সৎ মায়ের নিষ্ঠুরতায় বন্দি শৈশব

মো. কামাল উদ্দিন
  • প্রকাশিত: সোমবার, ১৮ নভেম্বর, ২০২৪

নির্দোষ একটি শিশুকে এভাবে বেঁধে রাখার দৃশ্য মানবতার প্রতি এক তীব্র আঘাত। সমাজ কি এতটাই নিষ্ঠুর হয়ে উঠেছে যে, নিজের ঘরের মানুষকেও এইভাবে বন্দি করতে পারে? যে চাহনিতে মমতা আর আশ্রয়ের আকুতি ফুটে ওঠা উচিত ছিল, সেই চাহনিতে আজ ভয় আর অবমাননার ছাপ। আমাদের কি উচিত নয়, এ ধরনের নৃশংসতাকে প্রতিহত করা? কিসের অপরাধে এই ছোট্ট মেয়েটি এমন শাস্তি পেল? একটি শিশু শুধু তার সুরক্ষার দাবি করে, ভালোবাসার দাবি করে। এই নির্মমতার বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়া আমাদের নৈতিক দায়িত্ব। আমরা কি পারি না, এই শিশুদের জন্য এমন এক সমাজ গড়ে তুলতে, যেখানে তারা নিরাপদ এবং স্নেহের মাঝে বড় হতে পারে? এ লেখা প্রতিটি হৃদয়কে নাড়া দিক, যেন এমন দৃশ্য আর দেখতে না হয়। আপনার লেখার মাধ্যমে সমাজের কাছে এই বার্তাটি পৌঁছে দিন। শতকের পর শতক ধরে সত মায়ের প্রতি অবিচার আর সহিংসতার গল্প আমরা শুনে আসছি। কিন্তু এই গল্পগুলো শুধু কি পুরাণের বা রূপকথার অংশ? নাকি আজও সমাজের কোনো না কোনো কোণে এগুলো আমাদের সামনে ঘটে চলেছে? এই ছবিটি যেন তারই এক বেদনাবিধুর প্রমাণ। এক নিষ্পাপ শিশুকে নিজের ঘরের মধ্যেই শৃঙ্খলে বাঁধা। যে মায়া, স্নেহ আর নিরাপত্তার জায়গা হওয়ার কথা ছিল, সেই ঘরই তার জন্য পরিণত হয়েছে নির্যাতনের কারাগারে। এই নিষ্ঠুর চিত্রটি আমাদের মনে প্রশ্ন তোলে—এক সত মায়ের এতটুকু হৃদয়ও নেই যে, একটি শিশুর প্রতি মানবিক হতে পারে?
আমরা কি কখনো ভেবে দেখেছি, একটি শিশুর ওপর এমন আচরণের প্রভাব কতটা গভীর হতে পারে? তার ছোট্ট হৃদয়ে যে ক্ষত সৃষ্টি হয়, তা কি সহজে ভোলে? এই ধরনের অমানবিক আচরণ শুধু একজন শিশুর জীবন ধ্বংস করে না, আমাদের সমাজের মানবিকতাকেও প্রশ্নবিদ্ধ করে। সত মায়েরা সবসময় এমন নয়, অনেকেই মা শব্দটির প্রকৃত অর্থ তুলে ধরেন। কিন্তু এ ধরনের ঘটনার জন্য তাদের নামের ওপর যে কলঙ্ক লাগে, তা কি সহজে মুছে যায়?
সমাজের প্রতিটি মানুষকে এ ধরনের নির্যাতনের বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে হবে। প্রতিটি শিশুর অধিকার আছে ভালোবাসা আর স্নেহ পাওয়ার। এ লজ্জা আমাদের, এ অপরাধও আমাদের। তাই আসুন, এমন অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াই।

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

© সমস্ত অধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট