এলডিপি’র প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ড. কর্ণেল (অব.) অলি আহমদ বীর বিক্রম বলেছেন, লন্ডন আমেরিকায় উচ্চ শিক্ষা লাভ করলে হবে না প্রকৃত শিক্ষায় মানুষ হতে হবে, তাহলে দেশের কল্যাণ বয়ে আনবে। শিক্ষক-শিক্ষার্থী অভিভাবকদের সমন্বয়ে শিক্ষার গুণগত মান ধরে রাখতে হবে। চন্দনাইশে বর্তমানে শিক্ষা ব্যবস্থায় পিঁছিয়ে পড়েছে, সে দিকে নজর দিতে হবে। ব্যাংক বীমা না করে ছেলে মেয়য়েদের পড়ালেখা করিয়ে উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষত করে মানুষের মত মানুষ হিসেবে গড়ে তুলেছেন। এখন মানুষের কল্যালে তারা কাজ করবেন। অন্যথায় শিক্ষার্থীরা বিপদে পরিচালিত হবে। তিনি বলেন, বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে মানুষের অনেক চাওয়া-পাওয়া আছে। দীর্ঘ ১৬ বছর মানুষ রাজনৈতিকভাবে অনেক কষ্টে ছিল। সে কষ্ট থেকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মাধ্যমে পরিত্রাণ পেয়েছে। সে ধারাবাহিকতায় বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে কাজ করার আহবান জানান। চন্দনাইশে কেউ রাজনৈতিক দলের নাম ভাঙ্গিয়ে চাঁদাবাজি করলে তাকে প্রশাসনের হাতে তুলে দেয়ার আহবান জানান। তার দলের কেউ চাঁদাবাজিতে লিপ্ত হলে তাকে কোন রকম সহযোগিতা করবেন না বলে জানিয়েছেন। তিনি বলেন, বিগত ৩ বছর পূর্বে শেখ হাসিনাকে ক্ষমতা থেকে সরে যেত বলেছিলেন। তিনি সরে না যাওয়ায় ৫ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র জনতার আন্দোলনের মূখে পালিয়ে যেতে হয়েছিল।
গতকাল ১১ নভেম্বর চন্দনাইশ বরমা কলেজ মাঠে অভিভাবক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। কলেজ অধ্যক্ষ মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলমের সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান, সাবেক মন্ত্রী ড. কর্নেল (অব.) অলি আহমদ বীর বিক্রম। সহকারী অধ্যাপক মো. খালেদুর রহমান ও প্রভাষক আবুল মনসুরের যৌথ সঞ্চালনায় সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন অধ্যাপক ওমর ফারুক, দাতা সদস্য মাহমুদ বিন কাসেম, সাবেক মেয়র আইয়ুব কুতুবী, সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান আবদুর রহিম বাদশা, এলডিপির সভাপতি মোতাহের মিয়া, এলডিপি নেতা এম. আইনুল কবির, মোছলেম উদ্দীন, সাঈদ বিন খায়ের প্রমুখ।