1. mail.bizindex@gmail.com : newsroom :
  2. info@www.bhorerawaj.com : দৈনিক ভোরের আওয়াজ :
শুক্রবার, ০২ মে ২০২৫, ০৭:৪৩ অপরাহ্ন
সর্বশেষ :
শেষ হলো দাওয়াতে ইসলামীর তিনদিনের চট্টগ্রাম বিভাগীয় ইজতেমা বালুকাবেলার আত্মঘোষণা: যেখানে সাংবাদিকতা হয়ে ওঠে প্রতিবাদের কবিতা চট্টগ্রামের সাংবাদিকদের ঐক্য উৎসব পারকি সৈকতে গড়লো অভূতপূর্ব দৃষ্টান্ত পুলিশ হেফাজতে মৃত্যু মাওলানা রইস উদ্দিন হত্যার বিচার দাবিতে আনোয়ারায় বিক্ষোভ ও সড়ক অবরোধ! “বাঁশখালীতে ৪ হাজার ইয়াবাসহ টেকনাফের মাদক কারবারি আটক: ব্যবহৃত মোটরসাইকেল জব্দ” হোমনায় মহান মে দিবস উপলক্ষে  বিএনপির বর্ণাঢ্য র‍্যালি  ড. মোহাম্মদ ইউনূস এর শুভ আগমনে বোয়ালখালীবাসীর পক্ষ থেকে হাজী মোহাম্মদ আলম ববির শুভেচ্ছা ও কৃতজ্ঞতা পুলিশ পরিচয়ে ঘরে প্রবেশ করে পরিবারের ৮ জনকে বেঁধে ছয়টি দোকান ঘর গুঁড়িয়ে দিয়ে মালামাল লুট করেছে দুর্বৃত্তরা রোদেলা দুপুরে পারকি সৈকতের বালুকাবেলায় কলম যোদ্ধারা,স্মৃতিময় এক মে দিবস! ড. মোহাম্মদ ইউনূসের দক্ষিণ চট্টগ্রাম সফর

বিশ্ব স্ট্রোক দিবস: স্ট্রোক মস্তিষ্কের রোগ”লক্ষণ ও প্রতিকার সম্পর্কে জানুন

ডা.মুহাম্মাদ মাহতাব হোসাইন মাজেদ
  • প্রকাশিত: সোমবার, ২৮ অক্টোবর, ২০২৪
  • ৭৪ বার পড়া হয়েছে

আজ মঙ্গলবার বিশ্ব স্ট্রোক দিবস ২০২৪।বিশ্বব্যাপী স্ট্রোক প্রতিরোধ ও প্রতিকার সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য বিশ্ব স্ট্রোক সংস্থা প্রতি বছর ২৯ অক্টোবর এ দিবসটি পালন করে।বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও বিশ্ব স্ট্রোক দিবস পালন করা হচ্ছে।

মস্তিষ্কে রক্ত সরবরাহ কোনো কারণে বিঘ্নিত হলে স্ট্রোক সংঘটিত হয়। বিশেষ করে রক্তনালী বন্ধ হয়ে কিংবা রক্তনালী ছিঁড়ে মস্তিষ্কে এই রক্ত সরবরাহ বিঘ্নিত হয়। রক্তে থাকে অক্সিজেন আর পুষ্টিগুণ। ফলে অক্সিজেনের অভাবে মস্তিষ্কের টিস্যুগুলো মারা যায়। স্ট্রোকের সবচেয়ে বড় কারণ হলো উচ্চরক্তচাপ। সারাবিশ্বে মৃত্যুর তৃতীয় প্রধান কারণ স্ট্রোক।

বাংলাদেশসহ সারাবিশ্বে প্রতি ২৬ সেকেন্ডে এক জন স্ট্রোকে আক্রান্ত হচ্ছে। বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশে স্ট্রোকে মৃত্যু হার বেশি।
স্ট্রোক প্রতিরোধ করতে হলে লক্ষণও জানা চাই। কারণ, লক্ষণ না জানার কারণে স্ট্রোক হওয়ার পরও চিকিৎসা নিতে দেরি করে অনেকে।লক্ষণগুলোকে সংক্ষপে বলা হয় FAST। এখানে F = Face = মুখ বেঁকে যাওয়া, A = Arm = হাত দুর্বল অথবা অবশ হয়ে আসা, S = Speech = কথা জড়িয়ে যাওয়া বা বন্ধ হয়ে যাওয় এবং T = Time তথা যত দ্রুত সম্ভব হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া। এক্ষেত্রে আগে থেকেই খোঁজ নিয়ে রাখতে হবে কোন হাসপাতালে স্ট্রোকের ভালো চিকিৎসা রয়েছে।সারাবিশ্বে মানুষের মৃত্যুর তৃতীয় প্রধান কারণ ধরা হয় স্ট্রোককে।স্ট্রোক দুই ধরনের। রক্তনালি বন্ধ হয়ে যাওয়া এবং রক্তনালি ফেটে মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ। স্ট্রোকের লক্ষণগুলো হলো শরীরের ভারসাম্য রাখতে সমস্যা হওয়া, কথা জড়িয়ে যাওয়া, হঠাৎ করে চোখে কম দেখা, মাথা ঘোরানো, অচেতন হয়ে পড়া, শরীরের এক দিক অবশ হয়ে যাওয়া ইত্যাদি।স্ট্রোকে আক্রান্ত ৫০ শতাংশ রোগীর পক্ষাঘাত ঘটে আর এত দিন সবার ধারণা ছিল স্ট্রোক শুধু বয়স্ক ব্যক্তিদের হয়। তবে সেই ধারণা এখন পরিবর্তন হয়েছে। একই সঙ্গে এই রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুও বেড়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, বিশ্বব্যাপী যত অসংক্রামক ব্যাধি আছে, সেগুলোর মধ্যে মৃত্যুর দিক থেকে হৃদ্‌রোগের পরেই স্ট্রোকের অবস্থান এবং শারীরিক অক্ষমতার জন্য স্ট্রোক সবচেয়ে বেশি দায়ী। প্রতিবছর প্রায় দেড় কোটি মানুষ স্ট্রোকে আক্রান্ত হন। যাঁদের মধ্যে প্রায় অর্ধকোটি মৃত্যুবরণ করেন এবং প্রায় অর্ধকোটি মানুষ সারা জীবনের জন্য পঙ্গুত্ববরণ করেন। এই তথ্য থেকে বোঝা যাচ্ছে, স্ট্রোক কত ভয়ানক একটি মরণব্যাধি। প্রতি চারজনের মধ্যে একজনের জীবনের যেকোনো সময় স্ট্রোক হতে পারে। উন্নত বিশ্বের তুলনায় নিম্ন আয়ের দেশে স্ট্রোক হওয়ার ঝুঁকি অনেক বেশি। এই ঝুঁকি নিয়মিত বেড়েই যাচ্ছে। আশঙ্কা করা হচ্ছে, ২০৫০ সালের মধ্যে এটা ৮০ ভাগ বাড়তে পারে।স্ট্রোকে আক্রান্ত মোট লোকের প্রায় অর্ধেকই এক বছরের কম সময় বাঁচে।সার্বিকভাবে, প্রায় দুই তৃতীয়াংশ স্ট্রোক রোগীর বয়স ছিল ৬৫ বছরের বেশি।

এক জরিপ অনুযায়ী, দেশে বর্তমানে প্রতি হাজারে স্ট্রোকে আক্রান্ত হচ্ছেন ১১ দশমিক ৩৯ জন মানুষ। প্রায় ২০ লাখ স্ট্রোকের রোগী রয়েছে বাংলাদেশে। স্ট্রোকের ঝুঁকি ৬০ বছরের বেশি মানুষের মধ্যে ৭ গুণ বেশি। নারীর চেয়ে পুরুষের আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি দ্বিগুণ। শহরের চেয়ে গ্রামে কিছুটা বেশি স্ট্রোকের প্রকোপ।দেশে ক্রমাগতই বাড়ছে স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সংখ্যা ফলে সারা জীবনের জন্য পঙ্গুত্ববরণ এমনকি রোগীর মৃত্যুও হতে পারে। এখন পর্যন্ত স্ট্রোকের আধুনিক চিকিৎসা মূলত রাজধানীকেন্দ্রিক হলেও প্রান্তিক জনগণকে চিকিৎসাসেবার আওতায় আনার জন্য প্রয়োজন সমন্বিত উদ্যোগ এবং জনসচেতনতা।

> স্ট্রোকের ইতিহাস:-

খ্রিস্টপূর্ব ২য় সহস্রাব্দ থেকে প্রাচীন মেসোপটেমিয়া ও পারস্য সভ্যতা পর্যন্ত স্ট্রোক ও পারিবারিক স্ট্রোকের বর্ণনা পাওয়া যায়।হিপোক্রেটিস (৪৬০ থেকে ৩৭০ খ্রিস্টপূর্বাব্দ) ছিলেন প্রথম ব্যক্তি যিনি আকস্মিক পক্ষাঘাত।পক্ষাঘাতের বর্ণনা দিয়েছিলেন যা প্রায়শই ইস্কিমিয়া বা রক্তসংরোধের সাথে সম্পর্কিত। এই বিষয়টিকে বর্ণনা করতে হিপোক্রেটিস তাঁর লেখায় গ্রিক ভাষার শব্দ অ্যাপোপ্লেক্সি বা সন্ন্যাস রোগ শব্দ ব্যবহার করেছিলেন যার অর্থ হলো “মস্তিষ্কের রক্তনালিতে আঘাতের ফলে চেতনাশক্তি ও চলার ক্ষমতার লোপ” হিপোক্রেটিসের একটি বাণী হলো “অ্যাপোপ্লেক্সির তীব্র আক্রমণ আরোগ্য করা অসম্ভব এবং হালকা আক্রমণ আরোগ্য করা কঠিন।

– অ্যাপোপ্লেক্টিক সিজার বা সন্ন্যাস রোগজনিত খিঁচুনির প্রতিশব্দ হিসেবে স্ট্রোক প্রথমবারের মতো ব্যবহৃত হয়েছিল ১৫৯৯ সালের দিকে।এবং এটি গ্রিক পরিভাষার আক্ষরিক অনুবাদ। অ্যাপোপ্লেক্টিক স্ট্রোক একটি প্রাচীন, অনির্দিষ্ট শব্দ যা রক্তক্ষরণজনিত স্ট্রোকে ব্যবহৃত হয়।মার্টিন লুথার ১৫৪৬ সালে মৃত্যুর ঠিক পূর্বে অ্যাপোপ্লেক্টিক স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়েছিলেন বলে বর্ণিত হয়েছে যা তাঁর বাচন ক্ষমতা কেড়ে নিয়েছিল। ১৬৫৮ সালে, জোহান জ্যাকব ওয়েপফার (১৬২০-১৬৯৫) তাঁর অ্যাপোপ্লেক্সিয়াতে রক্তক্ষরণজনিত স্ট্রোকের কারণ শনাক্ত করেছিলেন, তখন তিনি বলেছিলেন যে যাদের সন্ন্যাস রোগে মৃত্যু হয় তাদের মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ থাকে।ওয়েপফার মস্তিষ্কে রক্ত সরবরাহকারী প্রধান ধমনিগুলো যেমন ভার্টিব্রাল ও ক্যারোটিড ধমনি চিহ্নিত করেছিলেন, এবং সেরিব্রাল ইনফার্কশন নামে পরিচিত এক ধরনের রক্তসংরোধজনিত স্ট্রোকের কারণ শনাক্ত করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন যে, অ্যাপোপ্লেক্সি বা সন্ন্যাস রোগ ঐ সকল রক্তবাহের অবরোধের ফলেও হতে পারে।রুডল্ফ ফিরখো প্রথমবারের মতো প্রধান ফ্যাক্টর হিসেবে থ্রম্বোএম্বোলিজম গঠিত হওয়ার কৌশল বর্ণনা করেন।

সেরিব্রোভাস্কুলার দুর্ঘটনা শব্দটি ১৯২৭ সালে করা হয়েছিল, এটি যে ধারণার প্রতিফলন করছিল তা হলো “নালি সম্বন্ধীয় তত্ত্বসমূহ সম্পর্কে একটি বর্ধনশীল সচেতনতা ও গ্রহনযোগ্যতা এবং মস্তিষ্কের রক্ত সরবরাহের আকস্মিক বিঘ্ন ঘটার পরিণতির স্বীকৃতি”
অনেক স্নায়ুবিদ্যার পাঠ্যবইয়ে বর্তমানে এই শব্দের ব্যবহার নিরুৎসাহিত করা হয় এই যুক্তিতে যে, দুর্ঘটনা শব্দটি দ্বারা যে আকস্মিকতার গূঢ়ার্থ বুঝায় তা দ্বারা এর ঝুঁকিপূর্ণ ফ্যাক্টরগুলোর পরিবর্তন বা সংশোধনযোগ্যতা কে পর্যাপ্তভাবে গুরুত্বারোপ করে না।এর পরিবর্তে সেরিব্রোভাস্কুলার ইনসাল্ট পরিভাষাটিও ব্যবহার করা যায়।

স্ট্রোকের তীব্র প্রকৃতি বুঝাতে আমেরিকান স্ট্রোক অ্যাসোসিয়েশন ব্রেইন অ্যাটাক বা মস্তিষ্ক আক্রমণ পরিভাষাটির প্রচলন করেছিল,যা ১৯৯০ সাল পর্যন্ত ব্যবহার করা হতোএবং বর্তমানে ইস্কিমিক ও হেমোরেজিক উভয় প্রকার স্ট্রোক বুঝাতেই কথ্যরূপে ব্যবহৃত হয়।

>লক্ষণ

১. হঠাৎ হাসতে গিয়ে মুখের অর্ধেক নাড়াতে না পারা।

২. মুখের অর্ধেক পুরোপুরি অসাড় হয়ে পড়া।

৩. কথা বলার সময় অস্পষ্ট আওয়াজ করতে থাকা।

৪. কোনো একটি বাহুতে দুর্বলতা অনুভব করা।

৫. হঠাৎ ঝিমুনি বোধ করা।

৬. কোনো একটি চোখের দৃষ্টি ঝাপসা হয়ে আসা।

৭. হাঁটতে গিয়ে নিজেকে অক্ষম মনে হওয়া।

৮. তীব্র মাথা ব্যথা।

> স্ট্রোকের প্রধান কারণ ও করণীয়

বিশ্বব্যাপী যত অসংক্রামক ব্যাধি আছে, সেগুলোর মধ্যে মৃত্যুর দিক থেকে হৃদরোগের পরেই স্ট্রোকের অবস্থান।এছাড়া পঙ্গুত্বের অন্যতম বড় কারণ স্ট্রোক। দিন দিন এতে আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে।উন্নত বিশ্বের তুলনায় নিম্ন আয়ের দেশে স্ট্রোক হওয়ার ঝুঁকি অনেক বেশি বলে মত বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার।

সম্প্রতি এক গবেষণায় দেখা গিয়েছে, বাংলাদেশের জনসংখ্যা সাড়ে ১৭ কোটি ধরা হয়, তাহলে প্রতি এক হাজার মানুষের মধ্যে ১১ জনই স্ট্রোকে আক্রান্ত হন।
এবং এতে আক্রান্ত হওয়ার সবচেয়ে বড় কারণ উচ্চ রক্তচাপ।

> কয়েকটি কারণে স্ট্রোক হতে পারে, সেগুলো হল:

– রক্তে কোলেস্টোরেলের পরিমাণ স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি হলে।
– উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস অনিয়ন্ত্রিত অবস্থায় থাকলে। হৃদরোগ থাকলে।
– মানসিক চাপ, অতিরিক্ত টেনশন, অবসাদের মতো মানসিক সমস্যা থাকলে।
– সারাদিন শুয়ে বসে থাকলে, কায়িক পরিশ্রম না করলে, ওজন অস্বাভাবিক বেড়ে গেলে।
– অস্বাস্থ্যকর অনিয়ন্ত্রিত খাদ্যাভ্যাস। বিশেষত অতিরিক্ত তেল ও চিনিযুক্ত, ভাজাপোড়া খাবার ও পানীয় খেলে।
– ধূমপান, তামাক-জর্দা বা অন্যান্য মাদক সেবন, মদপান।
নিয়মিত স্বাস্থ্যকর জীবন যাপনে অভ্যস্ত হয়ে উঠলে স্ট্রোকের ঝুঁকি পুরোপুরি কাটিয়ে ওঠা সম্ভব।

> স্ট্রোকের আক্রান্ত থেকে মুক্ত থাকতে ঘরোয়া কয়েকটি পরামর্শ:-
– উচ্চ রক্তচাপ, ডায়বেটিস ও কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখা।
– অতিরিক্ত তেলচর্বি ও চিনি-লবনযুক্ত খাবার, ভাজাপোড়া, ফাস্টফুড এড়িয়ে পুষ্টিকর ডায়েট মেনে চলা।
– ধূমপান, জর্দা-তামাক, মাদক সেবন, মদপান এড়িয়ে চলা।
– প্রতিদিন ৬-৮ ঘণ্টা নিরবচ্ছিন্ন ঘুম।
শরীরচর্চা বা নিয়মিত কায়িক পরিশ্রম করা। ওজন ঠিক রাখা।
– প্রতি ছয়মাস অন্তর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা।
> হোমিও সমাধান:-স্যামুয়েল হ্যানিম্যানের আবিষ্কৃত চিকিৎসা পদ্ধতির নাম হোমিওপ্যাথি। যেকোনো ওষুধ সুস্থ মানুষের ওপর যে রোগ লক্ষণ সৃষ্টি করে তা সৃদশ লক্ষণের রোগীকে আরোগ্য করতে পারে। অর্থাৎ ওষুধের রোগ সৃষ্টিকারী ক্ষমতার মাধ্যমেই এ রোগ আরোগ্যকারী ক্ষমতা নিহিত। এমনটাই মনে করে স্যামুয়েল হ্যানিম্যান হোমিওপ্যাথি আবিষ্কার করেন। আর স্ট্রোকে হোমিওপ্যাথিক ওষুধের কার্যকারিতা বহু প্রাচীনকাল থেকেই সন্দেহাতীতবাবে দৃঢ়তার সাথে প্রমাণিত হয়ে আসছে।স্ট্রোক যে সব ঔষধ ব্যবহৃত হয়।সে গুলোর মধ্যেই আর্নিকা মন্ট,জেলসিয়াম,কস্টিকাম,এসিড হাইড্রোসিয়ানিক,হায়োসিয়াম,ল্যাকেসিস,লাইকোপোডিয়াম,ওপিয়াম সহ আরো অনেক ঔষধ লক্ষণের উপর আসতে পারে।

> স্ট্রোক প্রতিরোধ

স্ট্রোক প্রতিরোধে উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, কোলেস্টরেল নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। জীবনাচারে পরিবর্তন আনতে হবে, অ্যালকোহল ও ধূমপান পরিহার করতে হবে। কেউ যদি জন্ম নিয়ন্ত্রণ বড়ি খায় সেটি বন্ধ করতে হবে। ভাতের সঙ্গে অতিরিক্ত লবণ খাওয়া যাবে না। প্রতিদিন ২০ থেকে ৩০ মিনিট হাঁটতে হবে এবং ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। এর পাশাপাশি যাদের একবার স্ট্রোক বা ট্রানজিয়েন্ট স্কিমিক অ্যাটাক হয়েছে তাদের পরবর্তী স্ট্রোকের ঝুঁকি অনেক বেশি।
> পরিশেষে বলতে চাই,স্ট্রোক থেকে মুক্ত থাকতে নিয়মিত ব্যায়াম, সকাল-বিকাল হাঁটাচলা করতে হবে এবং অলস জীবনযাপন পরিহার করতে হবে। দুশ্চিন্তা বা টেনশনমুক্ত থাকার চেষ্টা করতে হবে। নিয়মিত ধর্মচর্চা এ ব্যাপারে সহায়ক ভূমিকা পালন করে।আর স্ট্রোক অবশ্যই একটি প্রতিরোধযোগ্য রোগ। একবার আক্রান্ত হয়ে গেলে চিকিৎসা অত্যন্ত জটিল, ব্যয়বহুল ও কষ্টসাধ্য। আক্রান্ত রোগী নিজে মানসিক ও শারীরিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে, পরিবারের জন্য অনেক সময় বোঝা হয়ে দাঁড়ায়। তাই প্রতিরোধ করাই সর্বোত্তম।প্রান্তিক জনগণকে চিকিৎসাসেবার আওতায় আনার জন্য প্রয়োজন সমন্বিত উদ্যোগ এবং জনসচেতনতা।

লেখক, প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান, জাতীয় রোগী কল্যাণ সোসাইটি
ইমেইল, drmazed96@gmail.com

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২
১৩১৪১৫১৬১৭১৮১৯
২০২১২২২৩২৪২৫২৬
২৭২৮২৯৩০৩১  
© সমস্ত অধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট