1. mail.bizindex@gmail.com : newsroom :
  2. info@www.bhorerawaj.com : দৈনিক ভোরের আওয়াজ :
শুক্রবার, ০২ মে ২০২৫, ০৭:৪৩ অপরাহ্ন
সর্বশেষ :
শেষ হলো দাওয়াতে ইসলামীর তিনদিনের চট্টগ্রাম বিভাগীয় ইজতেমা বালুকাবেলার আত্মঘোষণা: যেখানে সাংবাদিকতা হয়ে ওঠে প্রতিবাদের কবিতা চট্টগ্রামের সাংবাদিকদের ঐক্য উৎসব পারকি সৈকতে গড়লো অভূতপূর্ব দৃষ্টান্ত পুলিশ হেফাজতে মৃত্যু মাওলানা রইস উদ্দিন হত্যার বিচার দাবিতে আনোয়ারায় বিক্ষোভ ও সড়ক অবরোধ! “বাঁশখালীতে ৪ হাজার ইয়াবাসহ টেকনাফের মাদক কারবারি আটক: ব্যবহৃত মোটরসাইকেল জব্দ” হোমনায় মহান মে দিবস উপলক্ষে  বিএনপির বর্ণাঢ্য র‍্যালি  ড. মোহাম্মদ ইউনূস এর শুভ আগমনে বোয়ালখালীবাসীর পক্ষ থেকে হাজী মোহাম্মদ আলম ববির শুভেচ্ছা ও কৃতজ্ঞতা পুলিশ পরিচয়ে ঘরে প্রবেশ করে পরিবারের ৮ জনকে বেঁধে ছয়টি দোকান ঘর গুঁড়িয়ে দিয়ে মালামাল লুট করেছে দুর্বৃত্তরা রোদেলা দুপুরে পারকি সৈকতের বালুকাবেলায় কলম যোদ্ধারা,স্মৃতিময় এক মে দিবস! ড. মোহাম্মদ ইউনূসের দক্ষিণ চট্টগ্রাম সফর

মনিরুজ্জামান ইসলামাবাদির জীবন ও দর্শন: এক আলোকিত পথপ্রদর্শক

মো. কামাল উদ্দিন
  • প্রকাশিত: রবিবার, ২৭ অক্টোবর, ২০২৪
  • ৮৬ বার পড়া হয়েছে

নিশ্ছিদ্র স্মৃতির আঙিনায় আজ ফিরে তাকাই, আর মনিরুজ্জামান ইসলামাবাদির অবদান নিয়ে গভীর ভাবনায় মগ্ন হই। বন্ধু সোহেল মোহাম্মদ ফখরুদ্দিন ভাইয়ের নিমন্ত্রণে এবং প্রিয় ছোট ভাই ইউসুফের পরিচালিত অনলাইন পোর্টাল “পরিস্থিতি ২৪.কম” পত্রিকার ১২তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর এই মঞ্চে আসতে পেরে আমি যেন এক অমূল্য অভিজ্ঞতায় অংশীদার হলাম। আজকের এই বিশেষ আয়োজন, যা একই সঙ্গে মাওলানা মনিরুজ্জামান ইসলামাবাদির ৭৪তম মৃত্যুবার্ষিকীকেও শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করছে, তা দেশ ও জাতির চেতনাকে আরও গভীরভাবে উপলব্ধি করতে এক দৃষ্টান্ত হয়ে উঠেছে। তাঁর জীবন, কর্ম ও আদর্শের নানা দিক নিয়ে কথা বলার সৌভাগ্য আমি পেয়েছি, যা বর্তমান ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য একান্ত প্রয়োজন।
দেশ এবং জাতির কল্যাণে এই আলোচনা অমূল্য হতে পারে বলে বিশ্বাস করি। আমার বক্তব্যগুলিকে সাহিত্যের পরিশীলিত রূপে পত্রস্থ করছি, যেন এটি আরও বিস্তৃত পাঠকের কাছে পৌঁছতে পারে। ইসলামাবাদী, মওলানা মনিরুজ্জামান- ১৮৭৫-১৯৫০  ইসলামি চিন্তাবিদ, জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের সক্রিয় কর্মী ও সাংবাদিক। তিনি চট্টগ্রাম জেলার পটিয়া থানাধীন আড়ালিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। মওলানা মনিরুজ্জামান ছিলেন বিশ শতকের প্রথম চার দশকে বাংলার মুসলিম রাজনীতিতে এক বৈচিত্র্যময় ব্যক্তিত্ব। আধুনিক শিক্ষায় স্বল্প শিক্ষিত হলেও তিনি ছিলেন প্রবল আত্মোপলব্ধি ও দূরদৃষ্টি সম্পন্ন ব্যক্তি। ইসলামাবাদের অধিবাসী হওয়ায় সমসাময়িকদের অনেকের ন্যায় তিনিও ‘ইসলামাবাদী’ নাম গ্রহণ করেন। ইসলামাবাদ মুসলিম যুগের চট্টগ্রামের সরকারি নাম। তিনি অনেক ঐতিহ্যবাহী মাদ্রাসার শিক্ষক ছিলেন। মুসলিম পুনর্জাগরণবাদী হিসেবে তাঁর কর্মকান্ডের জন্যই তিনি মূলত খ্যাতি লাভ করেন। অভীষ্ট লক্ষ্য অর্জনের জন্য তিনি সাংবাদিকতা এবং জনসাধারণের মধ্যে বক্তৃতা দানকে গণযোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে গ্রহণ করেন। তিনি মুসলিম সংস্কারমূলক সাময়িকী সোলতান (১৯০১), হাবলুল মতিন (১৯১২), মুহাম্মদী (১৯০৩), কোহিনূর (১৯১১), বাসনা (১৯০৪) ও আল-এসলাম (১৯১৩) পত্রিকার সম্পাদনা বা প্রকাশের দায়িত্ব পালন করেন।
একজন জাতীয়তাবাদী হিসেবে ইসলামাবাদী ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস সমর্থন করেন এবং বঙ্গভঙ্গ রদ আন্দোলনে সক্রিয় অংশগ্রহণ করেন। তিনি সক্রিয় ভাবে 
অসহযোগ এবং খিলাফত আন্দোলনেও অংশগ্রহণ করেন। তিনি প্রাদেশিক কংগ্রেস কমিটির সদস্য ছিলেন (১৯০৬)। ইসলামাবাদী ১৯২৩ সালের বেঙ্গল প্যাক্ট এর অন্যতম স্থপতি। বিশ শতকের ত্রিশের দশকে তিনি কংগ্রেসের রাজনীতি ছেড়ে কৃষক প্রজা পাটিতে যোগদান করেন। এই দলের মনোনীত প্রার্থী হিসেবে তিনি ১৯৩৭ সালে বঙ্গীয় আইন পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হন। মওলানা ইসলামাবাদী আঞ্জুমান-ই-উলামা-ই-বাঙ্গালার (১৯১৩) অন্যতম সংগঠক ছিলেন। এটি পরবর্তীকালে ‘জামিয়াত-ই-উলামা-ই-বাঙ্গালাহ’ হিসেবে পরিচিত লাভ করে। আঞ্জুমানের অন্যতম উদ্দেশ্য ছিল মুসলিম মধ্যবিত্ত শ্রেণির মধ্যে বাংলা ভাষাকে জনপ্রিয় করে তোলা। তিনি জামিয়াত-ই-উলামা-ই-হিন্দ এর অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন এবং তিনি ১৯২২ ও ১৯৩০ সালে চট্টগ্রামে জাঁকজমকপূর্ণভাবে সাহিত্য সম্মেলন অনুষ্ঠান করেন। তিনি সংগঠনটির চট্টগ্রাম শাখা প্রতিষ্ঠা করেন এবং এর সভাপতি নিযুক্ত হন। ইসলামাবাদী চট্টগ্রামে একটি ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার জন্য আপ্রাণ চেষ্টাু করেন। কিন্তু পরিস্থিতি তাঁর অনুকূলে না থাকায় তা সম্ভব হয় নি। দর্শন ও দার্শনিকতা
মনিরুজ্জামান ইসলামাবাদির দর্শন ছিল মানবিকতা, নৈতিকতা, এবং সামাজিক ন্যায় প্রতিষ্ঠার উপর। তিনি বিশ্বাস করতেন যে, ধর্মের সত্যিকার অর্থ বোঝার জন্য প্রয়োজন সঠিক শিক্ষা ও জ্ঞানের অন্বেষণ। তাঁর দার্শনিকতা ইসলাম ও আধুনিকতার মধ্যে সেতুবন্ধন স্থাপন করার চেষ্টা করেছিল।
তিনি মুসলিম যুবকদেরকে ধর্মীয় মূল্যবোধের সঙ্গে আধুনিক জ্ঞান অর্জনের প্রতি উৎসাহিত করতেন। ইসলাম ও আধুনিক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির মধ্যে একটি সঠিক সম্পর্ক স্থাপন করতে তাঁর প্রচেষ্টা ছিল। তিনি মনে করতেন, একমাত্র শিক্ষা ও সচেতনতার মাধ্যমে একজন যুবক প্রকৃতভাবে সমাজের উন্নতিতে অবদান রাখতে সক্ষম হবে।শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক উদ্যোগ
মনিরুজ্জামান ইসলামাবাদি চট্টগ্রামের দেয়াঙ পাহাড়ে একটি আরবি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করেছিলেন। এটি ছিল তাঁর শিক্ষা দর্শনের একটি গুরুত্বপূর্ণ উদাহরণ। বিশ্ববিদ্যালয়টি এমন একটি প্রতিষ্ঠান হবে যেখানে ছাত্ররা ইসলামী শিক্ষা অর্জনের পাশাপাশি আধুনিক জ্ঞান লাভ করবে। তিনি শিক্ষার একটি নতুন মডেল গড়ে তোলার জন্য বিভিন্ন শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক কার্যক্রম পরিচালনা করেন। তাঁর উদ্যোগের ফলে অনেক তরুণ শিক্ষিত হয়ে সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে সক্ষম হন। সামাজিক ও রাজনৈতিক অবদান
তাঁর সামাজিক দায়িত্ববোধ তাঁকে বিভিন্ন আন্দোলনে যুক্ত হতে উদ্বুদ্ধ করেছিল। তিনি সমাজের দুর্বল ও অনগ্রসর শ্রেণির মানুষের জন্য কাজ করেছেন, তাদের অধিকার ও মর্যাদা প্রতিষ্ঠার জন্য সংগ্রাম করেছেন। তিনি বিভিন্ন সময়ে ইসলামী সমাজ সংস্কার আন্দোলনের সাথে যুক্ত ছিলেন এবং ইসলামের মৌলিক শিক্ষার প্রচার করেছেন। মনিরুজ্জামান ইসলামাবাদি বিশ্বাস করতেন যে, একটি সুষ্ঠু ও সমৃদ্ধ সমাজ গঠনের জন্য প্রয়োজন ধর্মীয় ও সামাজিক ন্যায়। তিনি বিভিন্ন সামাজিক কার্যক্রম ও আন্দোলনে অংশগ্রহণ করে সমাজের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করেছেন। মৃত্যু ও উত্তরাধিকার
মনিরুজ্জামান ইসলামাবাদি ১৯৮৪ সালের ২৭ অক্টোবর এই পৃথিবী থেকে বিদায় নেন। তবে তাঁর জীবন ও দর্শন আজও আমাদের প্রেরণা দেয়। তিনি যে শিক্ষা ও দার্শনিকতা রেখে গেছেন, তা আজকের প্রজন্মের জন্য একটি মূল্যবান সম্পদ।
মওলানা মনিরুজ্জামান ইসলামাবাদির জীবন ছিল আদর্শ, সংগ্রাম, এবং দৃষ্টান্তমূলক কাজের প্রতীক। তিনি ধর্ম ও সমাজের মধ্যে সেতুবন্ধন স্থাপন করেছেন এবং তাঁর দার্শনিকতা সমাজের উন্নয়নে অমূল্য অবদান রেখেছে। তাঁর জীবনের অভিজ্ঞতা এবং চিন্তা আমাদেরকে মনে করিয়ে দেয় যে, আমাদেরকে কেবল জ্ঞানী হতে হবে না, বরং মানবিক গুণাবলীতে গুণান্বিত নাগরিক হিসেবে গড়ে উঠতে হবে। আজকের সমাজে, যখন অনেকের কাছে ধর্ম ও নৈতিকতা হারিয়ে যাচ্ছে, তখন মনিরুজ্জামান ইসলামাবাদির শিক্ষা ও দর্শন আমাদের জন্য একটি আলোকিত পথপ্রদর্শক হিসেবে কাজ করে।
আমরা যদি তাঁর শিক্ষা ও দর্শনকে নিজের জীবনে গ্রহণ করি, তবে সমাজের উন্নয়নে এবং একটি সুষ্ঠু ও ন্যায়সঙ্গত সমাজ প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারব। তাঁর জীবন ও দর্শনকে স্মরণ করে আমরা একটি উন্নত সমাজ গঠনের জন্য সক্রিয় হতে পারি। মনিরুজ্জামান ইসলামাবাদির দর্শন প্রতিটি ক্ষেত্রেই তাঁর চিন্তার গভীরতা, আদর্শবাদ এবং সৃজন শীলতাকে ফুটিয়ে তুলেছে। তাঁর রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংবাদিকতা, এবং ধর্মীয় দর্শন বিস্তারিতভাবে উপস্থাপন করা হলো।
রাজনৈতিক দর্শন
মনিরুজ্জামান ইসলামাবাদি ছিলেন একজন সাহসী রাজনৈতিক চিন্তাবিদ, যাঁর দর্শন ছিল জনগণের প্রতি নিবেদিত। তিনি বিশ্বাস করতেন যে রাজনীতি হলো একটি পবিত্র কর্তব্য, যার মাধ্যমে রাষ্ট্রের সার্বিক উন্নয়ন এবং জনগণের ন্যায়সঙ্গত অধিকার নিশ্চিত করা যায়। তিনি মনে করতেন, রাজনৈতিক ক্ষমতা ব্যক্তিগত স্বার্থসিদ্ধির জন্য নয়, বরং সমাজে ন্যায়বিচার, সততা এবং মানবিক মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠার জন্য হওয়া উচিত। তাঁর বক্তব্য ছিল, দুর্নীতি এবং অনৈতিকতার বিরুদ্ধে শক্ত অবস্থান নেওয়া এবং রাজনীতির মাধ্যমে সবার জন্য সমান সুযোগ তৈরি করা উচিত। তিনি গণতন্ত্রের একজন প্রবক্তা ছিলেন, এবং তাঁর রাজনৈতিক দর্শনে গণতন্ত্রকে একটি জীবনধারা হিসেবে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। তিনি বিশ্বাস করতেন যে রাজনীতিতে জবাবদিহিতা ও স্বচ্ছতা অত্যন্ত জরুরি। একক ক্ষমতা বা সামরিক শাসনের বিরোধী ছিলেন এবং সাধারণ মানুষের শাসনের পক্ষে কথা বলতেন। তাঁর মতে, জনগণের স্বাধীনতা এবং স্বাধিকার নিশ্চিত করতে হবে, আর এ জন্য দরকার ছিল সুশাসন, ন্যায়বিচার, এবং একজন রাজনৈতিক নেতার সৎ ও আদর্শবান হওয়া। সামাজিক দর্শন মনিরুজ্জামান ইসলামাবাদির সামাজিক দর্শন ছিল সহানুভূতি, সমতা, এবং সামাজিক দায়িত্ববোধের ওপর ভিত্তি করে। তিনি সমাজে সাম্যের প্রসার ঘটাতে চেয়েছিলেন এবং বিশ্বাস করতেন যে, জাতি, ধর্ম, বর্ণ, বা অর্থনৈতিক অবস্থান দ্বারা সমাজের কোনো শ্রেণি বা ব্যক্তিকে অবহেলা করা উচিত নয়। সমাজের দরিদ্র এবং প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর উন্নয়নে বিশেষ মনোযোগ দিয়েছিলেন তিনি। তাঁর মতে, সমাজের উন্নয়নের জন্য দরিদ্রদের পুনর্বাসন, শিক্ষার বিস্তার, এবং স্বাস্থ্যসেবার উন্নতি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নারী অধিকার নিয়ে তাঁর সমর্থন ছিল দৃঢ় এবং তিনি মনে করতেন, নারীসমাজকে সম্মান ও সমান সুযোগ দেওয়া সমাজের দায়িত্ব। এছাড়া, শিশুদের শিক্ষার মাধ্যমে সমাজের ভবিষ্যৎ নির্মাণে জোর দিয়েছেন। তিনি বলতেন, সমাজে শান্তি ও উন্নয়ন নিশ্চিত করতে হলে সবার মাঝে ভ্রাতৃত্ব, সহনশীলতা, এবং পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ থাকতে হবে সাংবাদিকতার দর্শন
সাংবাদিকতার ক্ষেত্রে মনিরুজ্জামান ইসলামাবাদি ছিলেন একজন অগ্রণী চিন্তাবিদ। তাঁর সাংবাদিকতা ছিল সত্য ও ন্যায়ের পক্ষে দাঁড়ানো এবং সঠিক তথ্য দিয়ে জনগণকে সচেতন করা। তাঁর মতে, সাংবাদিকতা হলো দেশের চতুর্থ স্তম্ভ, যা জনগণের কাছে সত্য তুলে ধরতে এবং ক্ষমতার অপব্যবহারের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে সহায়ক। তিনি বিশ্বাস করতেন যে সাংবাদিকদের স্বাধীনতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, এবং তাদের কাজ হওয়া উচিত কোনো রকম পক্ষপাতিত্ব ছাড়া নিরপেক্ষভাবে সংবাদ পরিবেশন করা। সমাজের প্রতি তাঁর সাংবাদিকতার প্রতিশ্রুতি ছিল একনিষ্ঠ, এবং তিনি কখনোই কোনো রাজনৈতিক চাপ বা প্রভাবের কাছে মাথা নত করেননি। সংবাদ পরিবেশনের ক্ষেত্রে মনিরুজ্জামান ইসলামাবাদি সততা এবং স্বচ্ছতার পক্ষে কঠোর অবস্থান নিয়েছিলেন এবং সংবাদ পরিবেশনের মাধ্যমে মানুষের কাছে সত্য পৌঁছে দিতে চেয়েছিলেন। তাঁর মতে, সাংবাদিকতা একাধারে দায়িত্বশীলতা এবং সাহসের মাধ্যমে সমাজে পরিবর্তন আনার অন্যতম উপায়। ধর্মীয় দর্শন
ধর্মীয় চিন্তায় মনিরুজ্জামান ইসলামাবাদি ছিলেন একটি উদার এবং মানবিক ব্যক্তিত্ব। তিনি ধর্মকে শুধুমাত্র আচার-অনুষ্ঠানের মধ্যে সীমাবদ্ধ না রেখে মানবতার মঙ্গলের জন্য কাজে লাগানোর কথা বলতেন। ইসলামের মূল শিক্ষা

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২
১৩১৪১৫১৬১৭১৮১৯
২০২১২২২৩২৪২৫২৬
২৭২৮২৯৩০৩১  
© সমস্ত অধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট