1. mail.bizindex@gmail.com : newsroom :
  2. info@www.bhorerawaj.com : দৈনিক ভোরের আওয়াজ :
শনিবার, ০৩ মে ২০২৫, ০৭:৫২ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ :
শেষ হলো দাওয়াতে ইসলামীর তিনদিনের চট্টগ্রাম বিভাগীয় ইজতেমা বালুকাবেলার আত্মঘোষণা: যেখানে সাংবাদিকতা হয়ে ওঠে প্রতিবাদের কবিতা চট্টগ্রামের সাংবাদিকদের ঐক্য উৎসব পারকি সৈকতে গড়লো অভূতপূর্ব দৃষ্টান্ত পুলিশ হেফাজতে মৃত্যু মাওলানা রইস উদ্দিন হত্যার বিচার দাবিতে আনোয়ারায় বিক্ষোভ ও সড়ক অবরোধ! “বাঁশখালীতে ৪ হাজার ইয়াবাসহ টেকনাফের মাদক কারবারি আটক: ব্যবহৃত মোটরসাইকেল জব্দ” হোমনায় মহান মে দিবস উপলক্ষে  বিএনপির বর্ণাঢ্য র‍্যালি  ড. মোহাম্মদ ইউনূস এর শুভ আগমনে বোয়ালখালীবাসীর পক্ষ থেকে হাজী মোহাম্মদ আলম ববির শুভেচ্ছা ও কৃতজ্ঞতা পুলিশ পরিচয়ে ঘরে প্রবেশ করে পরিবারের ৮ জনকে বেঁধে ছয়টি দোকান ঘর গুঁড়িয়ে দিয়ে মালামাল লুট করেছে দুর্বৃত্তরা রোদেলা দুপুরে পারকি সৈকতের বালুকাবেলায় কলম যোদ্ধারা,স্মৃতিময় এক মে দিবস! ড. মোহাম্মদ ইউনূসের দক্ষিণ চট্টগ্রাম সফর

ছাত্রলীগ নিষিদ্ধ: ঐতিহ্য, ভুল এবং ভবিষ্যতের প্রাসঙ্গিকতা

মো. কামাল উদ্দিন
  • প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ২৪ অক্টোবর, ২০২৪
  • ৯৩ বার পড়া হয়েছে

বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, যা ১৯৪৮ সালে প্রতিষ্ঠিত, দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছাত্র সংগঠন হিসেবে প্রতিষ্ঠা পেয়েছে। এটি প্রতিষ্ঠার সূচনা থেকেই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে স্বাধীনতা সংগ্রামে এবং বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে অনন্য ভূমিকা পালন করেছে। ছাত্রলীগের আদর্শ ও লক্ষ্য ছিল গণমানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা, শিক্ষা এবং রাজনৈতিক সচেতনতা বৃদ্ধি, এবং জাতীয় মুক্তি সংগ্রামের পথ প্রশস্ত করা। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে ছাত্রলীগের অসামান্য ত্যাগ ও অবদান ইতিহাসের পাতায় স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে।

তবে, ছাত্রলীগের এই গৌরবোজ্জ্বল ঐতিহ্য ধীরে ধীরে ম্লান হয়েছে সংগঠনের ভেতরে ক্ষমতার অপব্যবহার, দুর্নীতি, এবং সহিংসতার কারণে। বিগত কয়েক দশকে আমরা দেখেছি, ছাত্রলীগের বহু নেতা-কর্মী বিশ্ববিদ্যালয় এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে, টেন্ডারবাজি থেকে শুরু করে, নির্যাতন ও দখলবাজির মতো কাজের সঙ্গে যুক্ত থেকেছে। এই কারণে অনেক শিক্ষার্থীই তাদের সঠিক শিক্ষার পরিবেশ থেকে বঞ্চিত হয়েছে। এমনকি গণমাধ্যমে ছাত্রলীগের ভেতরে অন্তর্কলহ ও দলীয় কোন্দল, খুনোখুনি প্রায়শই শিরোনাম হয়েছে। আজকের প্রেক্ষাপটে প্রশ্ন ওঠে: এই সংগঠনটি কি নিষিদ্ধ হওয়া উচিত? এই সিদ্ধান্তের পক্ষে-বিপক্ষে যুক্তি রয়েছে। একদিকে, ছাত্রলীগের ইতিহাসের গৌরবময় অধ্যায়কে অস্বীকার করা যায় না; কিন্তু অন্যদিকে, বর্তমান প্রেক্ষাপটে ছাত্রলীগের মধ্যে যে অপরাধমূলক কার্যক্রম চলছে, তা দেশের ছাত্রসমাজ ও শিক্ষা ব্যবস্থার ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলছে। ছাত্রলীগের পুরোপুরি নিষিদ্ধ করা এক ধরনের চূড়ান্ত পদক্ষেপ হতে পারে, কিন্তু সেই সঙ্গে সংগঠনটির সংস্কারের দিকেও নজর দেয়া প্রয়োজন। ছাত্ররাজনীতি দেশের ভবিষ্যৎ নেতৃত্ব গড়ে তোলার একটি গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্র, এবং এই নেতৃত্ব যদি সঠিকভাবে পরিচালিত হয়, তবে তা দেশের উন্নতিতে সহায়তা করতে পারে। নিষিদ্ধ না করে ছাত্রলীগকে তার মূল আদর্শের পথে ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ গ্রহণ করাই হতে পারে সময়ের দাবি। বাংলাদেশ ছাত্রলীগ ১৯৪৮ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে প্রতিষ্ঠিত ছাত্র সংগঠন দেশের ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। স্বাধীনতা সংগ্রাম, ভাষা আন্দোলন, মুক্তিযুদ্ধসহ বাংলাদেশের প্রতিটি রাজনৈতিক আন্দোলনে ছাত্রলীগের ভূমিকা ছিল অনস্বীকার্য। এই সংগঠন গড়ে তুলেছিল এমন এক প্রজন্ম, যারা দেশপ্রেম, নীতি, আদর্শ ও ত্যাগের মহিমায় উজ্জ্বল ছিলেন। ছাত্রলীগের সেই গৌরবময় ইতিহাস এবং তার সাংগঠনিক শক্তি দেশের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ রূপায়ণে অগ্রণী ভূমিকা রেখেছে। তবে, সময়ের পরিক্রমায় এই সংগঠনের চরিত্রে এক ধরনের নেতিবাচক পরিবর্তন এসেছে। যেই ছাত্রলীগ একসময় মেধাবী, চৌকস ছাত্রদের আশ্রয়স্থল ছিল, সেই সংগঠন আজ নানা অপকর্ম, চাঁদাবাজি, রাহাজানি এবং হত্যা সহ অপরাধমূলক কার্যক্রমের জন্য কুখ্যাত হয়ে উঠেছে। ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব থেকে ইউনিয়ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা পর্যন্ত এইসব কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েছে। এদের মধ্যে নীতি ও আদর্শের কোনো ছাপ আর দেখা যায় না। শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ নষ্ট করে দিয়ে, তারা সাধারণ ছাত্রদের জন্য আতঙ্কের নাম হয়ে উঠেছে। দেশের নানা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার পরিবেশ বিনষ্ট করার দায়ভারও বহন করছে এই সংগঠন। সম্প্রতি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার যখন ছাত্রলীগ নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নেয়, তখন সাধারণ জনগণের একাংশের মধ্যে কিছুটা স্বস্তি দেখা গেলেও এটি একটি স্থায়ী সমাধান বলে মনে হচ্ছে না। কারণ শুধু ছাত্রলীগ নয়, বাংলাদেশের প্রায় সব ছাত্র সংগঠনই এখন কোনো না কোনোভাবে সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি, এবং অন্যান্য অপরাধমূলক কাজের সঙ্গে জড়িত। এই সমস্যার মূল সমাধান ছাত্র সংগঠনগুলোকে নিষিদ্ধ করার মধ্য দিয়ে নয়, বরং তাদের পুনর্গঠন এবং সংস্কারের মাধ্যমে হতে পারে। মেধা, নীতি এবং আদর্শকে ভিত্তি করে ছাত্র সংগঠনগুলোকে ঢেলে সাজানোই হবে সময়ের দাবি।
তবে ছাত্রলীগের কিছু বিপথগামী নেতাকর্মীর জন্য এই সংগঠনের ঐতিহ্যকে ভুলে যাওয়া উচিত নয়। বাংলাদেশের ইতিহাস ছাত্রলীগ ছাড়া সম্পূর্ণ হতে পারে না। ইতিহাসের পাতা উল্টালে আমরা দেখতে পাই, ছাত্রলীগের অবদান ছাড়া আমাদের ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে স্বাধীনতার অর্জন, এমনকি গণতান্ত্রিক আন্দোলনের সাফল্যও অসম্ভব ছিল। এই দীর্ঘ রাজনৈতিক সংগ্রামের ঐতিহ্য কোনো একক বা বিচ্ছিন্ন অপরাধ দিয়ে ম্লান করা যাবে না। ছাত্রলীগের গৌরবময় অতীতকে সম্মান জানিয়ে এবং বর্তমান অপকর্মগুলোকে ঠেকিয়ে, আমরা যদি সঠিক পথে পদক্ষেপ নেই, তাহলে সংগঠনটির পুনর্জাগরণ সম্ভব। শেখ হাসিনা যেমন ভুল করে জামাত-শিবিরের রাজনীতি নিষিদ্ধ করেছিলেন, তেমনি ছাত্রলীগ নিষিদ্ধ করাটাও একটি ভুল সিদ্ধান্ত বলে মনে করা যায়। সংগঠন নিষিদ্ধ না করে যদি তাদের সংস্কার করা যেতো, তাহলে দেশের ছাত্রসমাজ এবং শিক্ষাঙ্গনে আরো স্থিতিশীলতা এবং উন্নয়ন আনা সম্ভব হতো।
সবকিছু মিলিয়ে, এই সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করা দরকার। ছাত্রলীগ নিষিদ্ধ করা নয়, বরং এটি পুনর্গঠন ও সংস্কারের মাধ্যমে দেশ ও জাতির উন্নতির পথে নিয়ে যাওয়া উচিত। ছাত্রলীগ নিষিদ্ধ-ঐতিহ্য বনাম বর্তমান প্রেক্ষাপট নিয়প যদি কথা বলি তাহলে বিস্তারিত তথ্য ভিত্তিক কথা লিখতে হবে,আপাতত আজকে কিছু কথা বলছি–বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, যা ১৯৪৮ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকে দেশের ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। স্বাধীনতা সংগ্রাম, ভাষা আন্দোলন, মুক্তিযুদ্ধসহ বাংলাদেশের প্রতিটি রাজনৈতিক আন্দোলনে ছাত্রলীগের ভূমিকা ছিল অনস্বীকার্য। এই সংগঠন গড়ে তুলেছিল এমন এক প্রজন্ম, যারা দেশপ্রেম, নীতি, আদর্শ ও ত্যাগের মহিমায় উজ্জ্বল ছিলেন। ছাত্রলীগের সেই গৌরবময় ইতিহাস এবং তার সাংগঠনিক শক্তি দেশের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ রূপায়ণে অগ্রণী ভূমিকা রেখেছে। তবে, সময়ের পরিক্রমায় এই সংগঠনের চরিত্রে এক ধরনের নেতিবাচক পরিবর্তন এসেছে। যেই ছাত্রলীগ একসময় মেধাবী, চৌকস ছাত্রদের আশ্রয়স্থল ছিল, সেই সংগঠন আজ নানা অপকর্ম, চাঁদাবাজি, রাহাজানি এবং হত্যা সহ অপরাধমূলক কার্যক্রমের জন্য কুখ্যাত হয়ে উঠেছে। ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব থেকে ইউনিয়ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা পর্যন্ত এইসব কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েছে। এদের মধ্যে নীতি ও আদর্শের কোনো ছাপ আর দেখা যায় না। শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ নষ্ট করে দিয়ে, তারা সাধারণ ছাত্রদের জন্য আতঙ্কের নাম হয়ে উঠেছে। দেশের নানা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার পরিবেশ বিনষ্ট করার দায়ভারও বহন করছে এই সংগঠন। সম্প্রতি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার যখন ছাত্রলীগ নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নেয়, তখন সাধারণ জনগণের একাংশের মধ্যে কিছুটা স্বস্তি দেখা গেলেও এটি একটি স্থায়ী সমাধান বলে মনে হচ্ছে না। কারণ শুধু ছাত্রলীগ নয়, বাংলাদেশের প্রায় সব ছাত্র সংগঠনই এখন কোনো না কোনোভাবে সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি, এবং অন্যান্য অপরাধমূলক কাজের সঙ্গে জড়িত। এই সমস্যার মূল সমাধান ছাত্র সংগঠনগুলোকে নিষিদ্ধ করার মধ্য দিয়ে নয়, বরং তাদের পুনর্গঠন এবং সংস্কারের মাধ্যমে হতে পারে। মেধা, নীতি এবং আদর্শকে ভিত্তি করে ছাত্র সংগঠনগুলোকে ঢেলে সাজানোই হবে সময়ের দাবি।
তবে ছাত্রলীগের কিছু বিপথগামী নেতাকর্মীর জন্য এই সংগঠনের ঐতিহ্যকে ভুলে যাওয়া উচিত নয়। বাংলাদেশের ইতিহাস ছাত্রলীগ ছাড়া সম্পূর্ণ হতে পারে না। ইতিহাসের পাতা উল্টালে আমরা দেখতে পাই, ছাত্রলীগের অবদান ছাড়া আমাদের ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে স্বাধীনতার অর্জন, এমনকি গণতান্ত্রিক আন্দোলনের সাফল্যও অসম্ভব ছিল। এই দীর্ঘ রাজনৈতিক সংগ্রামের ঐতিহ্য কোনো একক বা বিচ্ছিন্ন অপরাধ দিয়ে ম্লান করা যাবে না। ছাত্রলীগের গৌরবময় অতীতকে সম্মান জানিয়ে এবং বর্তমান অপকর্মগুলোকে ঠেকিয়ে, আমরা যদি সঠিক পথে পদক্ষেপ নেই, তাহলে সংগঠনটির পুনর্জাগরণ সম্ভব। শেখ হাসিনা যেমন ভুল করে জামাত-শিবিরের রাজনীতি নিষিদ্ধ করেছিলেন, তেমনি ছাত্রলীগ নিষিদ্ধ করাটাও একটি ভুল সিদ্ধান্ত বলে মনে করা যায়। সংগঠন নিষিদ্ধ না করে যদি তাদের সংস্কার করা যেতো, তাহলে দেশের ছাত্রসমাজ এবং শিক্ষাঙ্গনে আরো স্থিতিশীলতা এবং উন্নয়ন আনা সম্ভব হতো। সবকিছু মিলিয়ে, এই সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করা দরকার। ছাত্রলীগ নিষিদ্ধ করা নয়, বরং এটি পুনর্গঠন ও সংস্কারের মাধ্যমে দেশ ও জাতির উন্নতির পথে নিয়ে যাওয়া উচিত।
ছাত্র জনতা আন্দোলনে রাজপথে অরাজকতা সৃষ্টি করেছে যারা হত্যার সাথে জড়িত ছিলো তাদেরকে আইনগত ভাবে শাস্তির আওয়াতায় আন্তে পারে সরকার, যদি তারা দোষ করে অবশ্যই তাদের শাস্তি হবে- হওয়া উচিৎবলে মনে করি কিন্তু একটি প্রতিষ্ঠিত ছাত্র সংগঠনকে নিষিদ্ধ করে নয়।

লেখকঃ সাংবাদিক গবেষক টেলিভিশন উপস্থাপক।

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২
১৩১৪১৫১৬১৭১৮১৯
২০২১২২২৩২৪২৫২৬
২৭২৮২৯৩০৩১  
© সমস্ত অধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট