1. mail.bizindex@gmail.com : newsroom :
  2. info@www.bhorerawaj.com : দৈনিক ভোরের আওয়াজ :
শনিবার, ০৩ মে ২০২৫, ০৯:১৯ অপরাহ্ন
সর্বশেষ :
বাংলাদেশ জেলা ও বিভাগীয় ক্রীড়া সংগঠক অ্যাসোসিয়েশন এর এডহক কমিটির আত্মপ্রকাশ আইজিপি ব্যাজপ্রাপ্ত ওসি সোলাইমান: জনবান্ধব পুলিশিংয়ের অনন্য প্রতিচ্ছবি! বিশ্ব সংবাদ পত্রের স্বাধীনতা দিবস ও সংবাদ পত্র নিয়ে কিছু কথা! বাকলিয়া থানার আলোচিত ডাবল মার্ডারের প্রধান আসামি হাসান গ্রেফতার চট্টগ্রামে এনসিপির বিক্ষোভে উত্তাল জনসভার দাবি: আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করুন! আইজিপি ব্যাজে ভূষিত পাহাড়তলী থানার ওসি বাবুল আজাদ: নিষ্ঠা, নেতৃত্ব ও মানবিক পুলিশের উজ্জ্বল প্রতীক! চান্দগাঁও থানার ওসি আফতাব উদ্দিনকে আইজিপি ব্যাজ: নিষ্ঠা, পেশাদারিত্ব ও জনগণের আস্থার প্রতীক! কোতোয়ালি থানায় সাজাপ্রাপ্ত দুই পলাতক আসামী গ্রেফতার শেষ হলো দাওয়াতে ইসলামীর তিনদিনের চট্টগ্রাম বিভাগীয় ইজতেমা বালুকাবেলার আত্মঘোষণা: যেখানে সাংবাদিকতা হয়ে ওঠে প্রতিবাদের কবিতা

বাজারে খাদ্যদ্রব্যের মূল্য বৃদ্ধি: সিন্ডিকেট ও সরকারের ব্যর্থতার বাস্তব চিত্র

মো. কামাল উদ্দিন
  • প্রকাশিত: শনিবার, ১২ অক্টোবর, ২০২৪
  • ১৩৭ বার পড়া হয়েছে

কষ্টের কাহিনি-এবারের বাজার, এ কী অন্ধকারের গলি,খাদ্যের অভাবে কাঁদে সবাই,নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম যেন অসীম,
মুখে ভাত নেই, তবু চলছে জীবন। ভাঁড়ার ভরে আছে, কিন্তু কেন খালি?
মজুদদাররা হাসে, মানবতা হয়ে হা-হা। শহরের মোড়ে মোড়ে কষ্টের আহাজারি, শ্রান্ত মানুষগুলো ছুটছে, তবুও অসহায়, নিরাশা।
সরকারের প্রতিশ্রুতি, কি আজও তা মরীচিকা? শোনো কি, করুণ রসনা? শুধু কথার ফুলঝুরি, বৈষম্যের বেড়াজালে বন্দী যেন আমরা। আশার সুর কি আবার বাজবে, যখন দেখা হবে সুখের পানে?
বাজারের শোরগোল, কষ্টের আবহে, আমরা কি পাবো একদিন হাসির আকাশে?
এই কবিতায় মানুষের কষ্ট এবং সংকটের বাস্তবতা ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করেছি। আপনার যদি কোনো পরিবর্তন বা সংযোজনের প্রয়োজন হয়, জানাবেন।
দেশে প্রতিদিনই সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতা হ্রাস পাচ্ছে, কারণ বাজারে খাদ্যদ্রব্যের মূল্য বেড়ে উঠেছে আকাশচুম্বী উচ্চতায়। আমরা দেখতে পাচ্ছি, সরকারের বাজার নিয়ন্ত্রণ করার অক্ষমতা প্রতিদিন সাধারণ মানুষের জীবনে দুর্বিষহ অবস্থা সৃষ্টি করছে। স্বাধীনতার পর থেকে অনেক সরকার এসেছে, অনেক সরকার গেছে, কিন্তু আমাদের ভাগ্যের পরিবর্তন হয়নি। প্রতিটি সরকার যখন ক্ষমতায় আসে, তখন তারা উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি দেয়। তাদের প্রতিশ্রুতিগুলো এমনভাবে সাজানো থাকে, যেন আমরা মনে করি আমাদের সামনে এক সোনালী ভবিষ্যত অপেক্ষা করছে। কিন্তু সেই স্বপ্ন অনেক সময়েই অধরা থেকে যায়। বাজার নিয়ন্ত্রণের অভাব ও খাদ্যদ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধি
প্রথমেই আসে বাজারের উপর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার প্রশ্ন। আমরা লক্ষ্য করছি, চাল, ডাল, তেল, চিনি, পেঁয়াজ, আলু, এবং আরও অনেক নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য প্রতিনিয়ত বেড়ে চলেছে। উদাহরণস্বরূপ, গত এক বছরে চালের দাম প্রায় ২০-৩০% বৃদ্ধি পেয়েছে। তেলের দাম ১৫% বেড়েছে এবং পেঁয়াজের দাম দ্বিগুণেরও বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে। অথচ বাজারে এই পণ্যগুলির চাহিদা ও যোগান বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, মজুদ এবং সরবরাহ যথেষ্ট থাকলেও সিন্ডিকেটের কারণে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করা হচ্ছে।
সিন্ডিকেটের নীরব শাসন: ক্ষমতাসীনদের নিস্ক্রিয়তা
বাজারে সিন্ডিকেটের প্রভাব নতুন কিছু নয়। শেখ হাসিনার ক্ষমতায় থাকাকালীন আমরা দেখেছি, সরকারের ভেতর থেকেই কিছু মানুষ সিন্ডিকেটের মাধ্যমে বাজার নিয়ন্ত্রণ করতো। মানুষ মনে করেছিল, এই সিন্ডিকেটের কারণে খাদ্যদ্রব্যের মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে। কিন্তু আজ শেখ হাসিনা ক্ষমতায় নেই, তারপরও কেনো এই পরিস্থিতির পরিবর্তন হয়নি? আমাদের প্রশ্ন হচ্ছে, শেখ হাসিনার অপসারণের পরও এই সিন্ডিকেট কিভাবে সচল রয়েছে?এই সিন্ডিকেট মূলত কৌশলে বাজারে একচেটিয়া নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করেছে। সরবরাহ সীমিত রেখে বা কৃত্রিম সংকট তৈরি করে তারা মানুষের প্রয়োজনীয় খাদ্যদ্রব্যগুলির দাম বাড়িয়ে তুলছে। সরকারের পক্ষে কোনো কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণ না করার ফলেই এই পরিস্থিতি আরও তীব্র হচ্ছে। সরকারের উঁচু মহল থেকে মন্ত্রীদের আশ্বাস শোনা গেলেও বাস্তবে বাজারের এই শোষণ বন্ধে তারা কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।
সাধারণ মানুষের দুর্দশা: বাজার পরিস্থিতির তিক্ত ফলাফল আমাদের প্রতিদিনের বাজার করতে গিয়ে এখন সাধারণ মানুষ হিমশিম খাচ্ছে। যেখানে একজন গরিব পরিবার প্রতিদিন সামান্য খাবার জোগাড় করতেই হিমশিম খায়, সেখানে খাদ্যদ্রব্যের এই
মূল্যবৃদ্ধি তাদের অস্তিত্বের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। দিনমজুর, মধ্যবিত্ত ও নিম্নমধ্যবিত্ত মানুষের ওপর এই মূল্যবৃদ্ধির প্রভাব মারাত্মক। আমরা যখন বাজারে যাই, তখন প্রতিটি খাদ্যদ্রব্য কিনতে গিয়ে আমাদের পকেটের অবস্থা দুর্বল হয়ে পড়ে। মানুষ এখন আর আগের মতো খাবার কিনতে পারছে না। যাদের এক সময়ের দুই বেলার খাবার জোগাড় করাই কষ্টের ছিল, তারা এখন এক বেলার খাবারও ঠিকমতো পায় না। এর ফলে প্রতিনিয়ত আমাদের সমাজে দারিদ্র্যের বেড়ে চলেছে। মানুষ আর সরকারের ওপর ভরসা রাখতে পারছে না।
সমাধানের পথে: সরকারি নীতি ও দায়িত্ব
সরকারের এখন দরকার শক্তিশালী মনিটরিং ব্যবস্থা। বাজারে সরাসরি উপস্থিত থেকে এই সিন্ডিকেট ভেঙে ফেলা প্রয়োজন। সরকার যদি বাজারে চাহিদা ও সরবরাহের উপর নির্ভর করে যথাযথ নীতি প্রণয়ন করতে পারে এবং নিয়মিত মূল্য নির্ধারণ করতে পারে, তাহলে হয়তো পরিস্থিতির কিছুটা পরিবর্তন সম্ভব। এছাড়াও স্থানীয় উৎপাদন বৃদ্ধি করা, খাদ্যদ্রব্য আমদানির ক্ষেত্রে অযথা ঝামেলা সৃষ্টি না করা এবং সুষ্ঠু বণ্টন ব্যবস্থা চালু করার প্রয়োজন রয়েছে। বাজার নিয়ন্ত্রণে একমাত্র পথ হচ্ছে সরকারি উদ্যোগে সিন্ডিকেটের একচেটিয়া শাসন ভেঙে দেওয়া এবং স্বাভাবিক সরবরাহ ব্যবস্থা পুনঃপ্রতিষ্ঠা করা। জনগণের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দায়িত্ব সরকারের, আর এই দায়িত্ব পালনে তাদের সচেষ্ট হতে হবে। সাধারণ মানুষকে শোষণ থেকে মুক্তি দিতে হলে সরকারকে অবশ্যই বাজারের প্রতি মনোযোগ দিতে হবে। তাদের উচিত সিন্ডিকেটের অনিয়ন্ত্রিত শাসন ভেঙে দিয়ে, বাজারের ওপর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করা। আমাদের অর্থনীতি যাতে আরো মজবুত ও টেকসই হয়, সেই লক্ষ্যে আমরা সরকার থেকে কার্যকরী পদক্ষেপ আশা করি।
পাশাপাশি আগের সরকারের ব্যর্থতা কি ছিল এখন সরকারের সমস্যা কোথায় তা দেখার প্রয়োজন রয়েছে—
বাংলাদেশের খাদ্যদ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধি,পূর্ব সরকারের ব্যর্থতা ও বর্তমান সরকারের চ্যালেঞ্জ -বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে বিভিন্ন সরকার ক্ষমতায় এসেছে, প্রতিশ্রুতি ও উন্নয়নের অঙ্গীকার করেছে, কিন্তু জনগণের খাদ্য নিরাপত্তা এবং বাজার স্থিতিশীলতার ক্ষেত্রে তাদের কার্যক্রম ব্যর্থতার দৃষ্টান্ত হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই লেখায় আমরা পূর্ব সরকারের ব্যর্থতা, বর্তমান সরকারের চ্যালেঞ্জ এবং সরকারের করণীয় সম্পর্কে বিশ্লেষণ করব।
পূর্ব সরকারের ব্যর্থতা: শিক্ষা ও পরিকল্পনার অভাব
বিগত সরকারগুলোর শাসনামলে দেখা যায়, খাদ্যদ্রব্যের মূল্য বৃদ্ধির কারণগুলোকে গুরুত্ব সহকারে নেওয়া হয়নি। বিশেষ করে, কৃষিতে প্রযুক্তিগত উন্নয়ন ও খাদ্য উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনের জন্য সরকারের পক্ষ থেকে যথেষ্ট পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। পরিকল্পনার অভাবে কৃষকদের সঠিক সহায়তা দেওয়া হয়নি, ফলে উৎপাদন হ্রাস পেয়েছে। উদাহরণস্বরূপ, অনেক সময় দেখা গেছে কৃষকদেরকে মৌসুমি আবহাওয়ার পরিবর্তনের কারণে বিপর্যয়ের শিকার হতে হয়েছে, এবং সরকার যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। ফলে খাদ্যদ্রব্যের সরবরাহে ঘাটতি দেখা দেয়। অধিকন্তু, সিন্ডিকেট এবং মজুদদারদের অপব্যবহারের কারণে বাজারের স্থিতিশীলতা বিনষ্ট হয়েছে। এই সমস্ত কারণ পূর্ব সরকারের দুর্বল নীতির ফলস্বরূপ। বর্তমান সরকারের চ্যালেঞ্জ: সংকট মোকাবিলা
বর্তমান সরকারের জন্য খাদ্যদ্রব্যের মূল্য বৃদ্ধি একটি গুরুতর চ্যালেঞ্জ। আন্তর্জাতিক বাজারের অস্থিরতা, কৃষিতে উৎপাদন খরচ বৃদ্ধির পাশাপাশি, দেশে খাদ্য নিরাপত্তার জন্য প্রয়োজনীয় নীতির অভাব আজ দেশকে সংকটে ফেলেছে। সরকারকে বাজারের দামের ওপর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করতে এবং সিন্ডিকেটের কার্যকলাপ বন্ধ করতে হবে। বর্তমানে খাদ্যদ্রব্যের মূল্য বৃদ্ধির মূল কারণগুলো হলো: সিন্ডিকেট ও কৃত্রিম সংকট: বাজারে সিন্ডিকেটের কার্যকলাপ বেড়ে গেছে, যা খাদ্যদ্রব্যের দাম কৃত্রিমভাবে বাড়াচ্ছে। কিছু ব্যবসায়ী মজুদদারি করে বাজারে সংকট সৃষ্টি করছেন।
সরকারের অকার্যকর মনিটরিং: বাজারের স্থিতিশীলতা রক্ষায় কার্যকরী মনিটরিং ব্যবস্থা না থাকায় সিন্ডিকেটের কর্মকাণ্ড প্রতিরোধ করা যাচ্ছে না। সরকারকে এ বিষয়ে আরও সজাগ থাকতে হবে।
আন্তর্জাতিক প্রেক্ষাপট: বিশ্বব্যাপী খাদ্যদ্রব্যের দাম বৃদ্ধি এবং সংকট বাংলাদেশেও প্রভাব ফেলছে। দেশের কৃষি নীতি এবং আমদানির ওপর নির্ভরতা এ পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলছে। সরকারের করণীয়: বাস্তবসম্মত পদক্ষেপ
বর্তমান পরিস্থিতি মোকাবিলায় সরকারের কিছু কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করা উচিত:সিন্ডিকেট ভাঙার উদ্যোগ: সিন্ডিকেটের একচেটিয়া নিয়ন্ত্রণ ভাঙতে কার্যকরী আইন প্রয়োগ ও দমনমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা প্রয়োজন। খাদ্যদ্রব্যের বাজারে স্বচ্ছতা ও প্রতিযোগিতার পরিবেশ তৈরি করতে হবে। বাজার মনিটরিং শক্তিশালী করা: বাজারে মূল্য নির্ধারণ এবং সরবরাহের পর্যবেক্ষণ করা জরুরি। এ বিষয়ে সরকারকে বাস্তবসম্মত নীতিমালা ও পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। প্রতিটি খাদ্যদ্রব্যের ওপর নিয়মিত নজরদারি এবং অস্বাভাবিক দামের ক্ষেত্রে জরিমানা আরোপ করা উচিত।
কৃষকদের সহায়তা বৃদ্ধি:
কৃষকদের উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য পর্যাপ্ত সহায়তা প্রদান করতে হবে। তাদেরকে আধুনিক কৃষি প্রযুক্তির ব্যবহার, সঠিক নীতিমালা এবং ন্যায্য মূল্য নিশ্চিত করতে হবে। স্থানীয় উৎপাদনকে উৎসাহিত করা: দেশি কৃষি ও খাদ্য উৎপাদন বাড়াতে সরকারের প্রচেষ্টা থাকা উচিত। খাদ্যদ্রব্যের আমদানি নির্ভরতা কমাতে এবং উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনের জন্য সরকারের উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে।
জরুরি পরিষেবা ব্যবস্থা: খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে স্থানীয় পর্যায়ে জরুরি পরিষেবা ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে। সরকারি পর্যায়ে খাদ্য বিতরণ ব্যবস্থা সুষ্ঠু ও স্বচ্ছ করতে হবে যাতে দরিদ্র জনগণের কাছে খাদ্যসামগ্রী সহজলভ্য হয়। বাংলাদেশের খাদ্যদ্রব্যের বাজারে চলমান অস্থিরতা এবং মূল্যবৃদ্ধি শুধুমাত্র সরকারের ব্যর্থতার ফল নয়, এটি একটি বৃহত্তর সামাজিক ও অর্থনৈতিক সমস্যা। পূর্ব সরকারগুলোর ভুল নীতি ও বর্তমান সরকারের অদূরদর্শিতা এ সংকটকে তীব্র করেছে।
সরকারকে এখন কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে, যাতে সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন এবং খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সম্ভব হয়। সরকারের উচিত জনগণের স্বার্থে সঠিক নীতি গ্রহণ করে এই সংকট কাটিয়ে ওঠার জন্য দৃঢ় পদক্ষেপ গ্রহণ করা। কষ্টের কথা- কষ্টের জ্বলন্ত রেখা কষ্টের কালো মেঘে ঢাকা, সারা শহর এক শূন্যতা, ভাতের থালা তবু খালি,
কেন খুঁজছি সুখের আলো?
শিশুরা কাঁদে, মা যেন বিরহিনী, দুধের বাটি অর্ধেক, অঙ্গীকারে ফাঁক। কেউ হারায়, কেউ আবার পাওয়া, কষ্টের জীবন, ভাগ্যের ছায়া। সরকারের কানে পৌঁছায় না আহাজারি, পাউরুটিরও দাম, কত বাড়বে ভারী? শ্রমিকের ঘাম, কৃষকের স্বপ্ন, সবই গেছে ভেসে, কষ্টের গহীন। আসবে কি একদিন, সুখের নতুন সকাল? অশ্রু মুছবে কি, সবাই পাবো প্রভাতের মালা?এই সংকটের মাঝে, একবার হাসি ফিরে আসুক মানুষের জীবন, নতুন আলোর খোঁজে থাকুক।
আহাজারির সুর
বাজারের এই আহাজারি, কেমন করে বলবো, জীবনের কষ্টের গানে, রূপালী ভেঙে যাওয়া। দরিদ্রের মুখে হাসি, এখন স্বপ্নের মতো,অভাবের মাঝে চুরি, সুখের সুরের কষ্ট। শুধু কথা, শুধু প্রতিশ্রুতি, যে হাওয়া吹ছে, তা আমাদের ভাসিয়ে নিয়ে যায়। বিক্রেতা আর ক্রেতা, এক গোলযোগের খেলা, সত্যি কি কেউ শুনছে, আমাদের হৃদয়ের রেলা? আশার সুর যেন ভেসে যায় বাতাসে, দুর্ভিক্ষের ছায়া, কিছুতেই কাটেনা।
শুধু বুকের তলাতেই জমে থাকে যন্ত্রণার জ্বালা, কবে আসবে সেই দিন, যখন হবে সবার খাওয়া।
সংকটের গলি হৃদয়ে হাজার আশার চারা, তবুও কেন কষ্টের গলি,দরিদ্র মানুষের জীবন যেন নিত্য খোঁজে এক সুখের বুলি। বাজারের এ কাঁদা, একটাই মানুষের প্রহসন, কষ্টের যত কথা, শুনবে কে, দেখবে কোন? বৈশাখী হাওয়ার স্রোতে,
কবে ফিরবে হাসির বৃষ্টি? সংকটের মাঝে, একটু শান্তির ছোঁয়া হোক, হৃদয়ে দৃষ্টি।
লেখকঃ সাংবাদিক গবেষক টেলিভিশন উপস্থাপক ও মহাসচিব- চট্টগ্রাম নাগরিক ফোরাম।

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২
১৩১৪১৫১৬১৭১৮১৯
২০২১২২২৩২৪২৫২৬
২৭২৮২৯৩০৩১  
© সমস্ত অধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট