ফয়সাল মুবিন পলাশ:
কুমিল্লার আদালতে প্রথমবারের মতো ভার্চুয়ালি সাক্ষির সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়েছে। সোমবার (৩ মে) দুপুরে দু’টি মামলায় প্রথম বারের মতো ভার্চুয়ালী দু’জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ করেন কুমিল্লার ভারপ্রাপ্ত জেলা জজ নাসরিন জাহান।
আদালত সূত্রে জানা যায়- ২০১০ এবং ২০১১সালের দুটি মামলার ভার্চুয়ালী সাক্ষ্য প্রদান করেন বাংলাদেশ সচিবালয়ের আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগের উপসচিব (বাজেট) একেএম কামাল উদ্দিন। তিনি তৎকালীন সময়ে কুমিল্লার বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে কর্মরত থাকা অবস্থায় দুটি মামলার আসামি জিয়াউল হক এবং আসামি মোঃ নুরুল ইসলাম ও মোঃ খোরশেদ আলমের দোষ স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রেকর্ড করেন। মামলা দুটি’র দূরবর্তী প্রন্তের সমন্বয়কারী ছিলেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের (বিচার শাখা-৪) এর সিনিয়র সহকারী সচিব মোঃ মাসুদ-উর রহমান।
একটি মামলার বিবরণে জানাযায়- আসামি মোঃ হাফিজ উদ্দিন, জিয়াউর রহমান ও আজিজুল ফকির ২০০৯ সালের ২১ ডিসেম্বর দিবাগত রাতে চৌদ্দগ্রাম উপজেলার লক্ষীপুর গ্রামের মেসার্স চৌধুরী ফিলিং ষ্টেশনে প্রবেশ করে নগদ টাকা লুণ্ঠনসহ একটি মোবাইল সেট ছিনিয় নেন। এ ব্যাপারে পরদিন ২২ ডিসেম্বর পাম্পের ম্যানেজার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার কুঞ্জুশ্রীপুর গ্রামের তনু মিয়ার পুত্র মোঃ নাছির উদ্দিন বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন। পরে তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে আসামি আসামি জিয়াউর রহমান ও মোঃ হাসিম উদ্দিনকে গ্রেফতারপূর্বক আদালতে সোপর্দ করেন। মামলাটি বর্তমানে কুমিল্লার আদালতে বিচারাধীন রয়েছে।
অপর মামলার বিবরণে জানা যায়- ২০১১ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি দিবাগত-রাত সাড়ে ৯টায় চট্টগ্রাম বন্দর হতে পাকিস্তানি আমদানীকৃত ৬ হাজার ১৩০ কেজি সুতা ভ্যান গাড়ী যোগে বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রি পার্ক গাজীপুরের উদ্দেশ্যে রওয়ানা করে। পথে দাউদকান্দি থানাধীন গৌরীপুর বাজারের পশ্চিম পাশে ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়কের পাশের চন্দ্রবান পেট্রোল পাম্পের উল্টো পাশে গাড়ির মালামাল ডাকাতি করে নিয়ে যায়। এ ব্যাপারে ২০১১ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি দি ভেনাস ট্রান্সপোর্ট এজেন্সির স্বত্বাধিকারী মোঃ কুতুবউদ্দিন বাদী হয়ে দাউদকান্দি মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন। পরবর্তীতে তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে বিভিন্ন সময়ে আসামিদের গ্রেফতার করে আদালতে সোর্পদ করেন। এ মামলাটিও বর্তমানে বিচারাধীন রয়েছে।
সোমবার এ দুটি মামলায় দুটি মামলার ভার্চুয়ালী সাক্ষ্য প্রদান করেন বাংলাদেশ সচিবালয়ের আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগের উপসচিব (বাজেট) একেএম কামাল উদ্দিন। তিনি তৎকালীন সময়ে কুমিল্লার বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে কর্মরত ছিলেন।