পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলার হরিদেবপুর খেয়াঘাটে প্রতিদিন শত শত মানুষ জীবন-ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হচ্ছেন। ঘাটের দুই পাড়ের রাস্তাঘাটের বেহাল দশা, জোয়ারের পানিতে ডুবে যাওয়া পথ এবং আলোর অভাবে রাতের অন্ধকার—সব মিলিয়ে যাত্রীদের দুর্ভোগ এখন চরমে পৌঁছেছে।
সামান্য জোয়ার হলেই ঘাট এলাকা পানির নিচে তলিয়ে যায়। এতে হোন্ডা, রিকশা, এমনকি পথচারীদের চলাচলও হয়ে পড়ে কঠিন। বিশেষ করে রাতের বেলায় পরিস্থিতি হয়ে ওঠে ভয়াবহ। নেই কোনো বৈদ্যুতিক আলোর ব্যবস্থা, খেয়া নৌকায়ও নেই সিগনাল বাতি। দুর্ঘটনার ঝুঁকি মাথায় নিয়েই প্রতিদিন যাত্রীদের যাতায়াত করতে হয়।
স্থানীয় বাসিন্দা সুলতান মিয়া ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “একটু জোয়ার এলেই ঘাট তলিয়ে যায়। ছেলে-মেয়েরা স্কুলে আসা-যাওয়ার সময় ভয়ে থাকে। বৃষ্টি হলে দুর্ভোগ দ্বিগুণ হয়।”
শিক্ষার্থীরাও অভিযোগ করে জানান, রাতে প্রাইভেট শেষে ফেরার সময় ঘাটে নেমে মনে হয় যেন অন্ধকারে পথ চলছে। নৌকায় আলো না থাকায় দুর্ঘটনার ভয় থেকেই যায় প্রতিনিয়ত।
এলাকার সচেতন মহল জানান, জনপ্রতিনিধিদের কাছে বারবার দাবি জানালেও পরিস্থিতির কোনো উন্নতি হয়নি। তারা দ্রুত ঘাটের দুই পাড়ের রাস্তা সংস্কার ও পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা করার জন্য উপজেলা প্রশাসন ও কর্তৃপক্ষের প্রতি জোর আহ্বান জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে গলাচিপা উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. জাফর রানা বলেন, “ঘাটের সমস্যার কথা আমরা উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। প্রয়োজনীয় বরাদ্দ পাওয়া গেলে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।