“”সত্যের পুনরুদ্ধার ও সৌহার্দ্যের পুনঃপ্রতিষ্ঠা: সাংবাদিক সিরাজুল ইসলাম বিষয়ে বিভ্রান্তি নিরসনে আমার বক্তব্যঃ
সম্প্রতি আমি, মোহাম্মদ কামাল উদ্দিন, লক্ষ্য করেছি যে বোয়ালখালী প্রেসক্লাবের সভাপতি সাংবাদিক সিরাজুল ইসলাম সম্পর্কিত একটি অপ্রীতিকর, মানহানিকর ও কুরুচিপূর্ণ লেখা আমার নামে ছড়িয়ে পড়েছে। এই লেখাটি একাধিক ব্যক্তি হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে পেয়েছেন এবং অনেকের মধ্যেই বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয়েছে। বিষয়টির প্রেক্ষিতে আমি গভীরভাবে মর্মাহত ও বিস্মিত হই, কারণ এতে আমার নাম ব্যবহার করে এমন একটি বার্তা ছড়ানো হয়েছে, যা আমার নীতি, আদর্শ ও মূল্যবোধের সঙ্গে সম্পূর্ণ সাংঘর্ষিক।
ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে আমি ব্যক্তিগতভাবে সাংবাদিক সিরাজুল ইসলাম আমার সঙ্গে সরাসরি ফোনে কথা বলেছেন। তাতে তিনি অত্যন্ত আন্তরিকতা ও বিনয়ের সঙ্গে জানান যে, এই লেখাটি তিনি কখনো লেখেননি, এমনকি লেখার বিষয়বস্তুর সঙ্গে তার কোনো সম্পৃক্ততাও নেই। তিনি জানান, সম্ভবত তার মোবাইল হ্যাক হয়েছে, যার সুযোগ নিয়ে অজ্ঞাত কেউ এই বিভ্রান্তিকর কাজটি ঘটিয়েছে। তিনি এ বিষয়ে দুঃখ প্রকাশ করে বলেন যে, আমার প্রতি তার কোনো ব্যক্তিগত বিরাগ বা শত্রুতা নেই এবং কখনো ছিলও না।
এই সত্য উপলব্ধি করার পর, আমি গভীরভাবে বিষয়টি বিবেচনায় নিই। আজ চট্টগ্রাম নাগরিক ফোরামের সম্মানিত চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার মনোয়ার হোসেন, সাংবাদিক ও অ্যাডভোকেট সেলিম চৌধুরীসহ বিভিন্ন গুণী ব্যক্তি ঘটনাটিকে দূরদৃষ্টিতে পর্যালোচনা করে আমাদের মধ্যে সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখার পরামর্শ দেন। তাদের সেই বিবেচনার আলোকে এবং নিজ বিবেকের তাড়নায় আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি—সিরাজুল ইসলাম সম্পর্কিত আমার পক্ষ থেকে যেসব সংবাদ ও বক্তব্য প্রকাশিত হয়েছিল, তা আমি সম্পূর্ণভাবে প্রত্যাহার করছি এবং গণমাধ্যম বা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তার বিরুদ্ধে দেওয়া সব বক্তব্য ডিলিট করে দিচ্ছি। সাংবাদিক সিরাজুল ইসলাম আমার চেনা একজন সহকর্মী। তাকে আমি ছোট ভাইয়ের মতো স্নেহ করি। পেশাগত জীবনে মতবিরোধ বা ভুল বোঝাবুঝি হতেই পারে, তবে তা ব্যক্তিগত সম্পর্কের বন্ধন ছিন্ন করার কারণ হতে পারে না। আমি বিশ্বাস করি, সুসম্পর্কই আমাদের পেশাকে সমৃদ্ধ করে এবং সমাজে একটি ইতিবাচক বার্তা দেয়। এই উপলব্ধি থেকেই আমি সমস্ত মান-অভিমান ভুলে তাকে আলিঙ্গন করেছি এবং আমাদের সম্পর্ককে পূর্বের মতোই সৌহার্দ্যপূর্ণ করে রাখার অঙ্গীকার করেছি।
তবে আমি এটাও বলি—কে বা কারা এই নিন্দনীয় ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত অপপ্রচার চালিয়েছে, তাদের খোঁজ বের করাই এখন আমাদের নৈতিক দায়িত্ব। সত্যকে আড়াল করে বিভ্রান্তি ছড়ানোর অপচেষ্টা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। আমরা ইনশাআল্লাহ সত্য উদ্ঘাটনে সচেষ্ট থাকব এবং প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করব। শেষকথা, সাংবাদিকতা একটি দায়িত্বশীল ও মর্যাদাপূর্ণ পেশা। এখানে ক্ষুদ্র অভিমান নয়, বৃহত্তর স্বার্থই সবচেয়ে বড়। যারা সত্য, ন্যায়ের পক্ষে কলম ধরে রাখেন—তাদের হৃদয়ে উদারতা, বিবেকে সততা ও আচরণে বিনয় থাকা উচিত। এই চেতনা নিয়ে আমি আজকের এই বক্তব্য দিচ্ছি, যাতে ভবিষ্যতের জন্য একটি সুদৃঢ় বার্তা তৈরি হয়।
যুগ্ম সম্পাদক: দৈনিক ভোরের আওয়াজ। সহ সভাপতি : বাংলাদেশ পেশাজীবী সাংবাদিক কো-আপারেটিভ সোসাইটি লিঃ (বাপেসাস),
মহাসচিব -চট্টগ্রাম নাগরিক ফোরাম।