1. mail.bizindex@gmail.com : newsroom :
  2. info@www.bhorerawaj.com : দৈনিক ভোরের আওয়াজ :
শুক্রবার, ০২ মে ২০২৫, ১০:১২ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ :
“বাঁশখালীতে ৪ হাজার ইয়াবাসহ টেকনাফের মাদক কারবারি আটক: ব্যবহৃত মোটরসাইকেল জব্দ” হোমনায় মহান মে দিবস উপলক্ষে  বিএনপির বর্ণাঢ্য র‍্যালি  ড. মোহাম্মদ ইউনূস এর শুভ আগমনে বোয়ালখালীবাসীর পক্ষ থেকে হাজী মোহাম্মদ আলম ববির শুভেচ্ছা ও কৃতজ্ঞতা পুলিশ পরিচয়ে ঘরে প্রবেশ করে পরিবারের ৮ জনকে বেঁধে ছয়টি দোকান ঘর গুঁড়িয়ে দিয়ে মালামাল লুট করেছে দুর্বৃত্তরা রোদেলা দুপুরে পারকি সৈকতের বালুকাবেলায় কলম যোদ্ধারা,স্মৃতিময় এক মে দিবস! ড. মোহাম্মদ ইউনূসের দক্ষিণ চট্টগ্রাম সফর সিএমপি কমিশনার ও পাঁচ ওসি পেলেন আইজিপি ব্যাজ সাহস, দক্ষতা ও মানবিক পুলিশিংয়ের স্বীকৃতি আইজি পি ব্যাজ পেলেন ওসি আফতাব উদ্দিন চট্টগ্রাম উন্নয়ন আন্দোলনের সূচনালগ্নের সাহসী পুরুষ ব্যারিস্টার মনোয়ার হোসেন! দৃষ্টি আকর্ষণ

অসহায় নারীদের ছবি প্রকাশ মানবতা ও আইনের চরম লঙ্ঘন”

মোঃ কামাল উদ্দিন
  • প্রকাশিত: শনিবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৫
  • ৩৪ বার পড়া হয়েছে

মানবতার অপমান, ন্যায়বোধের অপচয় এবং আইনের চরম লঙ্ঘন—এই তিন অপরাধ একত্রে সংঘটিত হয় যখন ম্যাসেজ পার্লার বা আবাসিক হোটেল থেকে আটক হওয়া নারীদের ছবি ও পরিচয় সংবাদপত্র কিংবা টেলিভিশনে প্রচার করা হয়। কোনো সুস্থ ও দায়িত্বশীল সাংবাদিক কখনোই এমন নিন্দনীয় কাজ করতে পারেন না। বিশ্বের কোনো সভ্য দেশে এমন ঘটনা ঘটে না।
যেসব নারী সমাজের ঘৃণ্য দৃষ্টির শিকার হয়ে পেটের দায়ে, চরম অসহায়ত্বে এই অনাকাঙ্ক্ষিত পথে পা রাখেন, তাদের জীবনসংগ্রাম কখনো হাস্যরসের বস্তু হতে পারে না। একটি মেয়েও সহজে কিংবা স্বেচ্ছায় এ ধরনের পেশায় আসেন না; দারিদ্র্য, সামাজিক বৈষম্য, নির্যাতন ও অবলম্বনহীনতা তাদের ঠেলে দেয় অন্ধকারের দিকে। এ অবস্থায় তাদের আটক করা হলে ছবি ও পরিচয়সহ প্রচার করা মানে তাদের মানবাধিকারকে মাটিতে মিশিয়ে দেওয়া, সামাজিক মৃত্যুদণ্ড দেওয়া। এটি সরাসরি ‘মানবাধিকার লঙ্ঘন’ বলে গণ্য হয়।
আইনতও এটা অপরাধ। বাংলাদেশের সংবিধান এবং আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সনদ (UDHR) অনুসারে, কারও মর্যাদা ক্ষুণ্ণ করার অধিকার কারো নেই। বাংলাদেশ ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ২০১৮-এর ২৪ ধারা এবং ২৫ ধারায় ব্যক্তিগত সম্মান ও মর্যাদা বিনষ্টকারী ডিজিটাল প্রচার কার্যক্রমকে অপরাধ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। একইভাবে তথ্য অধিকার আইন, ২০০৯ এবং নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন, ২০০০-এর আওতায় নারীর ব্যক্তিগত গোপনীয়তা রক্ষার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। কোনো মামলা বা দণ্ড না হওয়া পর্যন্ত কাউকে অপরাধী হিসেবে প্রচার করাও আইনত নিষিদ্ধ। কিন্তু বাস্তবে দেখা যায়, কিছু তথাকথিত নামসর্বস্ব সাংবাদিক কেবল নারী আটককারীদের ছবি প্রকাশ করে নিজেদের ‘সাহসী সাংবাদিক’ বলে দাবি করে। অথচ পুরুষ আটককারীদের ছবি কখনোই প্রকাশ করা হয় না। এই বৈষম্য একদিকে যেমন নৈতিক স্খলন, তেমনি সাংবাদিকতার নীতিমালার সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের আচরণবিধিতেও বলা হয়েছে, সংবাদ পরিবেশনে মর্যাদা, গোপনীয়তা এবং মানবিকতা বজায় রাখতে হবে।
সুতরাং, এই প্রকার অমানবিক এবং আইনবিরোধী সংবাদ পরিবেশন বন্ধ হওয়া প্রয়োজন। সত্যিকারের নির্ভীক এবং মানবিক সাংবাদিকতা হলো সেই শক্তি, যা অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ায়, তাদের অপমান করে নয়।

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২১৩
১৪১৫১৬১৭১৮১৯২০
২১২২২৩২৪২৫২৬২৭
২৮২৯৩০  
© সমস্ত অধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট