1. mail.bizindex@gmail.com : newsroom :
  2. info@www.bhorerawaj.com : দৈনিক ভোরের আওয়াজ :
শুক্রবার, ২০ জুন ২০২৫, ০৫:৪১ অপরাহ্ন
সর্বশেষ :
কেশবপুরে প্রকাশ্যে যুবদল কর্মীকে পিটিয়ে হত্যা! সবুজসহ তিনজন আটক, এলাকায় উত্তেজনা! শওকত আলম শওকত ও হাজী মোঃ আবু আকতার বোয়ালখালী বিএনপির অগ্রসৈনিক ওসি বাবুল আজাদের নেতৃত্বে থানার লুণ্ঠিত অস্ত্র উদ্ধার চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশে চারবারের সেরা ওসি আফতাব উদ্দিন দিলরুবা খানম : বহুমাত্রিক প্রতিভায় দীপ্ত এক মানবিক শিল্পী সাংবাদিকতা নাকি ব্যবসা? পেশার পবিত্রতা আজ প্রশ্নবিদ্ধ! প্রধান উপদেষ্টার বরাবর চট্টগ্রাম নাগরিক ফোরামের স্মারকলিপি প্রদান সাংবাদিকের বিভ্রান্তিকর পরিচয় ব্যবহার: চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের প্রতিবাদ বক্তা ও বক্তৃতা নিয়ে কিছু অপ্রিয় কথা ঢাকা সাভারের বিরুলিয়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান সুজন কারাগারে আত্মহত্যা

চট্টগ্রাম বাতিঘর লাইব্রেরিঃ জ্ঞানের বাতিঘর ছোট্ট পাঠক আমার নাতি কাশিব

মোঃ কামাল উদ্দিন
  • প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ২৭ মার্চ, ২০২৫

চট্টগ্রামের বাতিঘর লাইব্রেরির নরম আলোয় বসে কাশিব, তার দু’হাতের মাঝে একটি বই। চোখে গভীর মনোযোগ, পাতার পর পাতা উল্টে যাচ্ছে। ‘বাংলার হাসির গল্প’ নামের বইটি তার কচি মনে কী যেন এক অদ্ভুত আলোড়ন তুলেছে! আশেপাশে হাজারো বইয়ের সারি, যেন বিশাল এক জ্ঞানের সমুদ্র—আর তার মাঝে এই ছোট্ট ছেলেটি দাঁড়িয়ে আছে এক কৌতূহলী অভিযাত্রী হয়ে।
বইয়ের প্রতি কাশিবের এই টান দেখে আমি বিস্মিত নই। বইয়ের প্রতি ভালোবাসা তো তার রক্তেই আছে! আমি নিজেও ছিলাম এমনই—একসময় বইয়ের নেশায় মগ্ন হয়ে পড়তাম, ঘন্টার পর ঘন্টা পৃষ্ঠা উল্টাতাম, জ্ঞান আর গল্পের মায়াজালে ডুবে যেতাম। লেখক-সাংবাদিক হওয়ার বহু আগে আমি ছিলাম একনিষ্ঠ পাঠক, একজন বইপোকা। আমার জীবন জুড়েই বই—বই কেনা, বই পড়া, বই সংগ্রহ করা। আমার ঘর এক ছোট্ট বাতিঘর, যেখানে বইয়ের সারি সারি আলোর দীপ্তি ছড়ায়।
এবার কাশিব শুধু ‘বাংলার হাসির গল্প’ নয়, সঙ্গে কিনেছে আরও কয়েকটি মজার গল্পের বই, যার মধ্যে আছে জনপ্রিয় ‘বেসিক আলী’ সিরিজও। কমিক আর রসবোধের মিশেলে তৈরি সেই বই তাকে নতুন এক আনন্দ দিয়েছে। লাইব্রেরি থেকে ফেরার পরও সে যেন বইয়ের জগৎ থেকে বেরোতে পারছিল না। রাতের খাবারের পর যখন সবাই ঘুমাতে গিয়েছে, কাশিব তখনো বই হাতে। চাদরের নিচে লুকিয়ে আলো জ্বেলে পড়তে পড়তে কখন যে ঘুমিয়ে গেছে, কেউ তা টেরও পায়নি। তার ছোট্ট বুকের ওপরে খোলা বইটি রাখা, যেন এক স্বপ্নের সেতু হয়ে গেছে বইয়ের গল্প আর তার কল্পনার মাঝে।
আমি এই দৃশ্য দেখে নিশ্চিন্ত হই, আশাবাদী হই। আমার জীবনের সবচেয়ে বড় সম্পদ, আমার সংগ্রহ করা বইগুলো—সেগুলো হয়তো আমি মৃত্যুর পর ফেলে যাবো না। কাশিব যদি সত্যিকারের পাঠক হয়ে ওঠে, তবে এই বইগুলো তার কাছে নিরাপদ থাকবে। শুধু তা-ই নয়, সে হয়তো একদিন আরও নতুন বই সংগ্রহ করবে, পড়বে, ভাববে, লিখবে! হয়তো আমার মতো সেও একদিন কলম ধরবে, নিজের ভাবনাগুলোকে সাজিয়ে তুলবে গল্পে, লেখায়, ইতিহাসে।
বইয়ের সাথে যার শৈশব জুড়ে থাকে, সে কখনো দিকহারা হয় না। কাশিবের চোখে আমি দেখি সেই সম্ভাবনার আলো। সে হয়তো একদিন হবে নতুন এক বাতিঘর, যে শুধু নিজের নয়, চারপাশের মানুষকেও বইয়ের আলোর পথে টেনে আনবে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২১৩১৪১৫১৬
১৭১৮১৯২০২১২২২৩
২৪২৫২৬২৭২৮২৯৩০
৩১  
© সমস্ত অধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট