1. mail.bizindex@gmail.com : newsroom :
  2. info@www.bhorerawaj.com : দৈনিক ভোরের আওয়াজ :
শুক্রবার, ০২ মে ২০২৫, ০১:১৯ অপরাহ্ন
সর্বশেষ :
“বাঁশখালীতে ৪ হাজার ইয়াবাসহ টেকনাফের মাদক কারবারি আটক: ব্যবহৃত মোটরসাইকেল জব্দ” হোমনায় মহান মে দিবস উপলক্ষে  বিএনপির বর্ণাঢ্য র‍্যালি  ড. মোহাম্মদ ইউনূস এর শুভ আগমনে বোয়ালখালীবাসীর পক্ষ থেকে হাজী মোহাম্মদ আলম ববির শুভেচ্ছা ও কৃতজ্ঞতা পুলিশ পরিচয়ে ঘরে প্রবেশ করে পরিবারের ৮ জনকে বেঁধে ছয়টি দোকান ঘর গুঁড়িয়ে দিয়ে মালামাল লুট করেছে দুর্বৃত্তরা রোদেলা দুপুরে পারকি সৈকতের বালুকাবেলায় কলম যোদ্ধারা,স্মৃতিময় এক মে দিবস! ড. মোহাম্মদ ইউনূসের দক্ষিণ চট্টগ্রাম সফর সিএমপি কমিশনার ও পাঁচ ওসি পেলেন আইজিপি ব্যাজ সাহস, দক্ষতা ও মানবিক পুলিশিংয়ের স্বীকৃতি আইজি পি ব্যাজ পেলেন ওসি আফতাব উদ্দিন চট্টগ্রাম উন্নয়ন আন্দোলনের সূচনালগ্নের সাহসী পুরুষ ব্যারিস্টার মনোয়ার হোসেন! দৃষ্টি আকর্ষণ

অপহরণের নাটকীয় সমাপ্তি: বোয়ালখালী থানার তৎপরতায় শিশুটি উদ্ধার ও মুক্তিপণের অর্থ জব্দ

মোঃ কামাল উদ্দিন
  • প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ২৭ মার্চ, ২০২৫
  • ৯৬ বার পড়া হয়েছে

অপরাধী যতই চতুর হোক, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঠিক পদক্ষেপের কাছে সে ধরা পড়বেই। চট্টগ্রামের বোয়ালখালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এর দক্ষ নেতৃত্বে এক চাঞ্চল্যকর অপহরণ মামলার দ্রুত সমাধান হয়েছে। মাত্র ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে আট বছর বয়সী অপহৃত শিশু মোঃ আফরান নুর আবিরকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে, পাশাপাশি মুক্তিপণের টাকাও জব্দ করা হয়েছে। ঘটনার সংক্ষিপ্ত বিবরণ-
গত ২৫ মার্চ ২০২৫ তারিখে বোয়ালখালীর ৭ নম্বর চরণদ্বীপ ইউনিয়নের চরণদ্বীপ সাকিনের অছিয়র রহমান হেফজখানায় যাওয়ার পথে হঠাৎ নিখোঁজ হয় শিশু আফরান নুর আবির (৮)। তার পিতা মোহাম্মদ নুরুল আজিম উদ্বিগ্ন হয়ে বোয়ালখালী থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি নং- ১১১৮) করেন।


পরদিন রাত অনুমান ৩টায় আফরানের পিতার ইমু আইডিতে অজ্ঞাত ব্যক্তির বার্তা আসে—শিশুটিকে জীবিত ফেরত পেতে হলে ৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দিতে হবে। সাথে সাথে প্রমাণ হিসেবে তার সন্তানের একটি ছবি পাঠানো হয়। শিশুর নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে তার পিতা মুক্তিপণ দিতে সম্মত হন এবং অপরাধীরা একটি মোবাইল ব্যাংকিং নম্বর প্রদান করে। কিন্তু এ বিষয়টি তিনি দ্রুত বোয়ালখালী থানার অফিসার ইনচার্জকে (ওসি) জানান। বোয়ালখালী থানার দক্ষ অভিযান- ওসি বোয়ালখালী থানার নির্দেশনায় ও তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় মুক্তিপণের নম্বর ট্র্যাক করে অপহরণকারীদের অবস্থান শনাক্ত করা হয়। চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ সুপার মোঃ সাইফুল ইসলাম সানতুর সরাসরি তত্ত্বাবধানে পুলিশ অভিযান শুরু করে।
একটি কৌশলগত পরিকল্পনার মাধ্যমে চট্টগ্রাম জেলা ডিবি পুলিশ, বাঁশখালী থানা পুলিশ এবং যশোর জেলার শার্শা থানা পুলিশের যৌথ অভিযানে প্রথমে বাঁশখালীর দক্ষিণ সাধনপুর থেকে অপহরণে ব্যবহৃত সিএনজিচালিত অটোরিকশার চালক নুরুল আলম (৩৬) গ্রেফতার হয়। এরপর যশোরের শার্শা থানার দুর্গাপুর এলাকা থেকে প্রধান অপহরণকারী মোঃ ইকবাল হোসেন (২৭) কে গ্রেফতার করা হয়। ভিকটিম উদ্ধার ও মুক্তিপণের অর্থ জব্দ- চট্টগ্রাম শহরের চান্দগাঁও থানার কাপ্তাই রাস্তার মাথার পাশের বাহিরসিগনাল আল আমিন বাড়িয়া মাদ্রাসা এলাকা থেকে আফরান নুর আবিরকে নিরাপদে উদ্ধার করা হয়। তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান করা হয়েছে এবং পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। অভিযানের সময় মুক্তিপণের টাকা উদ্ধার করা হয় এবং অন্যান্য আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে। পুলিশ ইতোমধ্যে প্রয়োজনীয় আলামত সংগ্রহ করেছে এবং সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণের পাশাপাশি মোবাইল ট্র্যাকিংয়ের মাধ্যমে আরও তথ্য সংগ্রহ করছে। বোয়ালখালী থানার ওসির সাহসী নেতৃত্ব-এই উদ্ধার অভিযানে বোয়ালখালী থানার অফিসার ইনচার্জের ভূমিকা ছিল অত্যন্ত প্রশংসনীয়। তার বুদ্ধিমত্তা, নেতৃত্ব ও পুলিশ বাহিনীর তৎপরতায় এক শিশু ফিরে পেয়েছে তার পরিবারের ভালোবাসা, এবং অপহরণকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির পথ তৈরি হয়েছে। বোয়ালখালী থানার এই সফলতা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি জনগণের আস্থা আরও সুদৃঢ় করবে, এতে কোনো সন্দেহ নেই। অপহৃত শিশুকে দ্রুত উদ্ধার করার ঘটনায় চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি আহাসান হাবিব পলাশ বোয়ালখালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) গোলাম সারোয়ারের নেতৃত্বে পরিচালিত পুলিশের ভূমিকাকে প্রশংসিত করেছেন। এই বিষয়ে আমি আজ ডিআইজি আহাসান হাবিব পলাশের সাথে সাক্ষাৎ করতে গেলে বোয়ালখালী থানার সফল অভিযানের বিষয়ে আলোচনা হয়। আমি যখন অপহৃত শিশুকে দ্রুত উদ্ধার করার প্রসঙ্গ উত্থাপন করি, তখন তিনি অকপটে স্বীকার করেন যে, সত্যিই ওসি গোলাম সারোয়ার প্রশংসনীয় কাজ করেছেন। তবে তিনি দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, “বোয়ালখালী থানার ওসি ভালো কাজ করেছেন, এতে কোনো সন্দেহ নেই। কিন্তু কিছিু কিছু সাংবাদিকরা কি ভালো কাজের প্রশংসা করতে চান না – সত্যটাকে ইতিবাচকভাবে হিসেবে তুলে ধরতে সমস্যা কোথায়?” ওসি গোলাম সারোয়ার এই প্রসঙ্গে বলেন, “আমি ডিআইজি স্যার ও এসপি স্যারের দিকনির্দেশনা অনুযায়ী উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করেছি। আল্লাহর রহমতে সফল হয়েছি।” তিনি আরও বলেন, “বোয়ালখালী থানাকে আমি সকল ধরনের অপরাধ ও অপরাধী মুক্ত করবো, ইনশাআল্লাহ। জনগণের নিরাপত্তা ও শান্তি রক্ষার জন্য নিরলসভাবে কাজ চালিয়ে যাবো।”

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২১৩১৪১৫১৬
১৭১৮১৯২০২১২২২৩
২৪২৫২৬২৭২৮২৯৩০
৩১  
© সমস্ত অধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট