1. mail.bizindex@gmail.com : newsroom :
  2. info@www.bhorerawaj.com : দৈনিক ভোরের আওয়াজ :
শুক্রবার, ০২ মে ২০২৫, ০৪:১৭ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ :
“বাঁশখালীতে ৪ হাজার ইয়াবাসহ টেকনাফের মাদক কারবারি আটক: ব্যবহৃত মোটরসাইকেল জব্দ” হোমনায় মহান মে দিবস উপলক্ষে  বিএনপির বর্ণাঢ্য র‍্যালি  ড. মোহাম্মদ ইউনূস এর শুভ আগমনে বোয়ালখালীবাসীর পক্ষ থেকে হাজী মোহাম্মদ আলম ববির শুভেচ্ছা ও কৃতজ্ঞতা পুলিশ পরিচয়ে ঘরে প্রবেশ করে পরিবারের ৮ জনকে বেঁধে ছয়টি দোকান ঘর গুঁড়িয়ে দিয়ে মালামাল লুট করেছে দুর্বৃত্তরা রোদেলা দুপুরে পারকি সৈকতের বালুকাবেলায় কলম যোদ্ধারা,স্মৃতিময় এক মে দিবস! ড. মোহাম্মদ ইউনূসের দক্ষিণ চট্টগ্রাম সফর সিএমপি কমিশনার ও পাঁচ ওসি পেলেন আইজিপি ব্যাজ সাহস, দক্ষতা ও মানবিক পুলিশিংয়ের স্বীকৃতি আইজি পি ব্যাজ পেলেন ওসি আফতাব উদ্দিন চট্টগ্রাম উন্নয়ন আন্দোলনের সূচনালগ্নের সাহসী পুরুষ ব্যারিস্টার মনোয়ার হোসেন! দৃষ্টি আকর্ষণ

যমুনা অয়েল কোম্পানির সিবি-এ নির্বাচনে আবুল হোসেন ও ইয়াকুব পরিষদের বিজয়: শ্রমিকবান্ধব নেতৃত্বের জয়যাত্রা

মোঃ কামাল উদ্দিন
  • প্রকাশিত: শনিবার, ১ মার্চ, ২০২৫
  • ৮২ বার পড়া হয়েছে

দুপুরের নরম রোদ তখন আগ্রাবাদের রাজপথে ঝিমিয়ে পড়েছে, কিন্তু যমুনা অয়েল কোম্পানির কার্যালয়ের পরিবেশ একেবারে উল্টো—চাঞ্চল্যে ভরপুর, ব্যস্ততায় মুখর। শ্রমিকদের কোলাহল, প্রার্থীদের ব্যস্ত পদচারণা, আর সাংবাদিকদের ক্যামেরার ঝলকানিতে এক অন্যরকম উদ্দীপনার সৃষ্টি হয়েছে। আমি সেখানে গিয়েছিলাম আমার বন্ধু রিয়াদের অনুরোধে, তবে শুধু আমি নই, গণমাধ্যমের আরও অনেক সহকর্মী এই গুরুত্বপূর্ণ শ্রমিক নির্বাচনের সাক্ষী হতে হাজির হয়েছেন। অফিসে প্রবেশের পরপরই আপ্যায়নের আয়োজন দেখে বুঝলাম, এটি শুধুই নির্বাচন নয়—একটি মিলনমেলা, একটি গণতান্ত্রিক উৎসব। দুপুরের ভোজের পর শ্রমিকদের সঙ্গে গল্পে মেতে উঠলাম। তাদের চোখেমুখে ছিল প্রত্যাশার দীপ্তি—একটি সঠিক নেতৃত্বের সন্ধান, যে নেতৃত্ব তাদের কল্যাণ নিশ্চিত করবে। দীর্ঘ পাঁচ ঘণ্টা নিবিড় পর্যবেক্ষণের পর ভোট গণনা শুরু হলো। ধীরে ধীরে উত্তেজনার মাত্রা বাড়তে লাগল। ফলাফল ঘোষণা হতেই বিজয়ীর উচ্ছ্বাসে চারদিক মুখর হয়ে উঠল। মুহাম্মদ ইয়াকুব আলী বিপুল ভোটে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন। বিজয়ের পর তার মুখে হাসি, কণ্ঠে প্রতিশ্রুতির দৃঢ়তা—শ্রমিকদের অধিকার রক্ষার লড়াই তিনি আগেও করেছেন, ভবিষ্যতেও করবেন।
এই নির্বাচন কেবল একটি প্রক্রিয়া নয়, এটি শ্রমিকদের গণতান্ত্রিক চেতনার প্রতিফলন। যমুনা অয়েল কোম্পানির শ্রমিকরা যে ঐক্যবদ্ধ নেতৃত্বের প্রতি আস্থা রেখেছেন, সেটিই তাদের আগামী দিনের সংগ্রামে শক্তি হয়ে উঠবে। আমি এই গণতান্ত্রিক উৎসবের অংশ হতে পেরে একরকম প্রশান্তি নিয়েই ফিরে এলাম।
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের অন্তর্গত যমুনা অয়েল কোম্পানি লেবার ইউনিয়ন (সিবি-এ) (রেজি নং বি-১৭৩৬)-এর দ্বি-বার্ষিক কার্যকরী পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে চট্টগ্রামের আগ্রাবাদে যমুনা ভবন কার্যালয়ে। শ্রমিকদের অধিকার ও কল্যাণ নিশ্চিত করার এই গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচনে আবুল হোসেন ও ইয়াকুব পরিষদ বিপুল ভোটে জয়ী হয়েছে।
এই নির্বাচনে মোট ভোটার সংখ্যা ছিল ২৫১ জন। সভাপতি পদে এম.এ. আবুল হোসেন বৈদ্যুতিক বাল্ব মার্কায় ২৩০ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন, আর সাধারণ সম্পাদক পদে মুহাম্মদ ইয়াকুব আলী ছাতা মার্কায় ২৩২ ভোট পেয়েছেন। এই পরিষদ মোট ১৯টি পদের মধ্যে ১৭টি পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছে। অপরদিকে, প্রতিদ্বন্দ্বী মুহাম্মদ শরাফত দৌল্লা চৌধুরী সভাপতি পদে মাত্র ৮ ভোট এবং সাধারণ সম্পাদক পদে মুহাম্মদ মোরশেদ হোসেন মাত্র ৫ ভোট পেয়েছেন, যা এবারের নির্বাচনে একতরফা বিজয়ের চিত্র তুলে ধরে।
ইয়াকুব আলী: শ্রমিকদের আস্থার প্রতীক
যমুনা অয়েল কোম্পানি লেবার ইউনিয়নের পুনঃনির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ ইয়াকুব আলী এক অনন্য নেতৃত্বের উদাহরণ। নির্বাচনের পর তিনি সাংবাদিকদের বলেন,
“আমি শ্রমিকদের কল্যাণে কাজ করি, তাদের সমস্যা সমাধানে সবসময় পাশে থাকি। শ্রমিকদের ভালোবাসা ও সমর্থন আমার কাছে সবচেয়ে মূল্যবান। তাদের আস্থার প্রতিদান দিতে আমি প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।”
তিনি আরও বলেন,
“আমার সহকর্মী আবুল হোসেনসহ আমি দীর্ঘদিন ধরে শ্রমিকদের সঙ্গে ছিলাম। তাদের ন্যায্য অধিকার আদায়, কর্মপরিবেশ উন্নয়ন ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আমাদের চেষ্টা অব্যাহত থাকবে।”
মুহাম্মদ ইয়াকুব আলী শুধু জনপ্রিয় নেতা নন, তিনি এক নিবেদিতপ্রাণ সংগঠক। শ্রমিকদের যেকোনো সমস্যায় তিনি সর্বদা এগিয়ে আসেন। তার নেতৃত্বে ইউনিয়ন সুশৃঙ্খলভাবে পরিচালিত হয়েছে, শ্রমিকদের দাবি-দাওয়া বাস্তবায়নে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন।
একজন শ্রমিকনেতা হিসেবে ইয়াকুব আলী তার মেধা, সততা ও কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে প্রমাণ করেছেন যে প্রকৃত নেতৃত্ব কেবল পদ-পদবির বিষয় নয়, বরং এটি শ্রমিকদের সেবা ও তাদের কল্যাণের কাজে নিজেকে আত্মনিয়োগ করার ব্যাপার। শ্রমিকদের দাবি দাওয়া আদায়ের জন্য তিনি নিরলসভাবে কাজ করে গেছেন, যার ফলশ্রুতিতে এবারের নির্বাচনে তিনি অভূতপূর্ব সমর্থন পেয়েছেন।
শ্রমিকদের দাবি: দক্ষ নেতৃত্বের প্রয়োজনঃ
যমুনা অয়েল কোম্পানি বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানগুলোর একটি। এখানে কর্মরত হাজারো শ্রমিকের জীবন-জীবিকা ও ভবিষ্যৎ অনেকাংশে নির্ভর করে ইউনিয়নের নেতৃত্বের উপর। সঠিক নেতৃত্বের অভাবে যদি শ্রমিকদের অধিকার ক্ষুণ্ন হয়, তাহলে পুরো প্রতিষ্ঠান ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারে। তাই দক্ষ, দায়িত্বশীল এবং পরিশ্রমী নেতৃত্বের প্রয়োজন, যা মুহাম্মদ
ইয়াকুব আলী এবং তার পরিষদ নিশ্চিত করতে সক্ষম।
সাধারণ শ্রমিকরা বলেছেন,
“আমরা সবসময় ইয়াকুব ভাই ও আবুল হোসেন ভাইকে পাশে পেয়েছি। তারা আমাদের সুবিধা-অসুবিধার কথা শুনেছেন, আমাদের অধিকার রক্ষায় লড়াই করেছেন। তাদের নেতৃত্বে আমরা কখনও অসহায় বোধ করিনি।” শ্রমিকদের এই অকুণ্ঠ সমর্থনই প্রমাণ করে যে আবুল হোসেন ও ইয়াকুব পরিষদ
শ্রমিকদের স্বার্থরক্ষার লড়াইয়ে সফল হয়েছেন।
ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা ও প্রতিশ্রুতিঃ
নির্বাচনে বিপুল ভোটে জয়ী হওয়ার পর মুহাম্মদ ইয়াকুব আলী তার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা তুলে ধরে বলেন,
“শ্রমিকদের জীবনমান উন্নয়ন, কর্মপরিবেশের উন্নতি এবং ন্যায্য দাবি-দাওয়ার বাস্তবায়নে আমরা আরও কঠোর পরিশ্রম করবো। যেকোনো শ্রমিক নির্যাতন, হয়রানি বা অধিকার লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে আমরা কঠোর অবস্থান নেবো।”
এছাড়া, তিনি শ্রমিকদের বেতন-ভাতা, স্বাস্থ্যসেবা এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
আবুল হোসেন ও ইয়াকুব পরিষদের বিজয়: শ্রমিক ঐক্যের প্রতিফলনঃ যমুনা অয়েল কোম্পানি লেবার ইউনিয়ন (সিবি-এ)-এর এবারের নির্বাচনের ফলাফল স্পষ্ট করেছে যে শ্রমিকরা তাদের প্রকৃত নেতাদের চিনতে ভুল করেননি। শ্রমিকদের স্বার্থ রক্ষা এবং অধিকার আদায়ে আবুল হোসেন ও ইয়াকুব পরিষদ অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে, এবং ভবিষ্যতেও করবে বলে শ্রমিকদের বিশ্বাস।
এই নির্বাচনের মাধ্যমে প্রমাণিত হলো যে, প্রকৃত শ্রমিকবান্ধব নেতারা কখনও পরাজিত হন না। মুহাম্মদ ইয়াকুব আলী ও এম.এ. আবুল হোসেন-এর নেতৃত্বে যমুনা অয়েল কোম্পানি লেবার ইউনিয়ন নতুন যুগে প্রবেশ করছে, যেখানে শ্রমিকদের অধিকার ও উন্নয়নের জন্য নিরলস পরিশ্রম অব্যাহত থাকবে। এই নির্বাচন শুধু একটি ভোটের লড়াই ছিল না, এটি ছিল শ্রমিকদের অধিকার রক্ষার জন্য সঠিক নেতৃত্বের প্রতি তাদের আস্থা পুনঃপ্রতিষ্ঠার এক জ্বলন্ত প্রমাণ। তাই, এই বিজয় শুধু আবুল হোসেন ও ইয়াকুব পরিষদের নয়, এটি প্রতিটি শ্রমিকের, যারা নিজেদের ভবিষ্যৎ নিরাপদ রাখতে যোগ্য নেতাদের নির্বাচিত করেছেন।
শ্রমিকবান্ধব নেতৃত্বের গুরুত্ব কখনও ফিকে হয় না। সঠিক নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠানের উন্নতি ও শ্রমিকদের কল্যাণ নিশ্চিত করতে পারে। মুহাম্মদ ইয়াকুব আলী ও এম.এ. আবুল হোসেন এই দায়িত্ব সফলভাবে পালন করেছেন এবং ভবিষ্যতেও করবেন বলে প্রত্যাশা। যমুনা অয়েল কোম্পানির শ্রমিকরা তাদের প্রতি যে আস্থা রেখেছেন, তা তারা নিষ্ঠার সঙ্গে রক্ষা করবেন—এমনটাই সকলের প্রত্যাশা। এই নির্বাচন আবারও প্রমাণ করলো যে, সত্যিকারের নেতা সেই, যিনি জনগণের জন্য কাজ করেন, শ্রমিকদের জন্য লড়েন এবং তাদের ন্যায্য দাবি আদায়ে আপোষ করেন না। আবুল হোসেন ও মুহাম্মদ ইয়াকুব আলী সেই নেতৃত্বের প্রতীক, যারা শ্রমিকদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় সর্বদা অগ্রণী ভূমিকা পালন করবেন।

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২১৩১৪১৫১৬
১৭১৮১৯২০২১২২২৩
২৪২৫২৬২৭২৮২৯৩০
৩১  
© সমস্ত অধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট