সাতকানিয়া উপজেলার ফুলতলা এলাকায় এক প্রবাসী ব্যবসায়ী মোহাম্মদ আফছারের জীবনের নিরাপত্তা হুমকির মুখে। অভিযোগ উঠেছে, দুবাই প্রবাসী আফছারকে তার ব্যবসায়িক শত্রুরা এবং তাদের সহযোগী সন্ত্রাসী গ্রুপ প্রাণনাশের উদ্দেশ্যে অপহরণ করেছে, এবং তার পরিবারের উপর চাপ প্রয়োগ করে টাকা আদায়ের চেষ্টা করেছে। তার ভাষ্য অনুযায়ী, এই চক্রের মধ্যে রয়েছে সাতকানিয়ার চিহ্নিত স্বর্ণ ব্যবসায়ী মহিউদ্দিন, ওসমান, রিয়াদ হোসেন ও আব্দুর রহমান সাদ্দাম। তারা দীর্ঘ বছর ধরে দুবাই থেকে স্বর্ণ চোরাচালান করে এসেছে এবং এখন নানা সন্ত্রাসী কার্যক্রমের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েছে।

মোহাম্মদ আফছার, যিনি দুবাইতে ব্যবসা করেন, অভিযোগ করেন যে, তিনি এবং অভিযুক্ত সন্ত্রাসী গ্রুপের সদস্যদের মধ্যে ৪০ লক্ষ টাকার আর্থিক লেনদেন ছিল। ব্যবসায়িক সম্পর্কের কারণে, তাদের মধ্যে কিছু অর্থ পরিশোধের সমস্যা তৈরি হয়। এরপরই, তারা আফছারের বিরুদ্ধে জোরপূর্বক দাবি জানিয়ে তাকে একটি স্ট্যাম্পে সই করিয়ে নেয়। এটির পর, আফছার দেশে আসার পর, গত ২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ তারিখে একদল সন্ত্রাসী তাকে অস্ত্রের মুখে অপহরণ করে। তারা তার ৬ বছরের শিশুকেও অপহরণ করে এবং প্রায় ৫ ঘণ্টা তাকে বন্দি রাখে।
তবে, আফছার কোনোমতে তার শিশুকে মুক্তি দিতে সক্ষম হন এবং পরে তাকে একটি সিএনজিতে ছেড়ে দেওয়া হয়। আফছারের অভিযোগ, অপহরণকারীরা তাকে বিভিন্ন জায়গায় নিয়ে গিয়ে চাপ প্রয়োগ করে এবং তার কাছে জোরপূর্বক অর্থ, চেক, স্ট্যাম্প ও পাসপোর্ট চাইতে থাকে। তিনি আরো জানান, অপহরণকারীরা তার পরিবারকে হুমকি দেয় যে, যদি তারা তাদের দাবি মেনে না চলেন, তাহলে তাকে হত্যা করা হবে।

এমনকি, তারা ৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ তারিখেও তার পরিবারকে হুমকি দিয়ে তাকে আবারও অপহরণের জন্য প্রস্তুতি নেয়। মোহাম্মদ আফছার পরিস্থিতি বুঝে বাসা থেকে পালিয়ে চট্টগ্রাম শহরে চলে আসেন। তবে, এখনো সন্ত্রাসীরা তাকে খুঁজে বের করার জন্য তার পরিবারকে অত্যাচার করছে এবং তাকে আবারও তুলে নেওয়ার জন্য হুমকি দিচ্ছে।
অফিসিয়াল সূত্রে জানা গেছে, এই সন্ত্রাসী গ্রুপের সদস্যরা দীর্ঘ বছর ধরে দুবাই থেকে স্বর্ণ চোরাচালান করে আসছে এবং তাদের মধ্যে প্রভাবশালী ব্যক্তি রয়েছে। এসব সন্ত্রাসী গতকাল পর্যন্ত স্বর্ণ চোরাচালানী চালান আটক হওয়ার পরেও কার্যক্রম বন্ধ হয়নি। তারা বর্তমানে জামায়াত শিবিরের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তুলে দেশে রাজনৈতিক অস্থিরতা তৈরি করার চেষ্টা করছে। যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তারা সাতকানিয়া এলাকার একটি শক্তিশালী গ্রুপ গঠন করেছে, যাদের হাতে রয়েছে অবৈধ অস্ত্র এবং যারা দেশে ইয়াবা পাচারের সঙ্গে যুক্ত।
এই সন্ত্রাসী চক্রের কর্মকাণ্ড শুধু আফছারের জীবনকেই সংকটে ফেলেনি, তারা পুরো সাতকানিয়া ও আশপাশের এলাকায় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছে। প্রভাবশালী নেতাদের সহায়তায় তারা দীর্ঘ বছর ধরে এই অবৈধ ব্যবসা চালিয়ে আসছে এবং স্থানীয় প্রশাসন, পুলিশকে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বাধ্য করেছে।
এখন, আফছারের জীবন রক্ষা এবং তার পরিবারের নিরাপত্তার জন্য স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি উঠেছে। তিনি সাতকানিয়া থানায় অভিযোগ করতে গেলেও, সন্ত্রাসীদের প্রভাবের কারণে সেই অভিযোগ কার্যকর হয়নি। তার নিরাপত্তার জন্য প্রশাসন থেকে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য তিনি উচ্চতর কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করেছেন।
এদিকে, বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন এবং সাধারণ মানুষ আফছারের নিরাপত্তা এবং সন্ত্রাসী চক্রের বিরুদ্ধে শাস্তির দাবিতে সোচ্চার হয়েছেন। তাদের মতে, যদি দ্রুত পদক্ষেপ না নেওয়া হয়, তাহলে এই সন্ত্রাসী গ্রুপের দ্বারা আরও অনেক প্রবাসী ব্যবসায়ী ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারেন।
এই অবস্থায়, আফছারের দাবি, তার এবং তার পরিবারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে দ্রুত আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের মাধ্যমে সন্ত্রাসী চক্রের বিরুদ্ধে শক্তিশালী পদক্ষেপ নেওয়া উচিত।

চট্টগ্রাম পুলিশ প্রশাসনের কাছে আবেদন: সন্ত্রাসী চক্রের বিরুদ্ধে দ্রুত তদন্ত শুরু করা হোক।
আফছার এবং তার পরিবারের জন্য নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হোক।
স্বর্ণ চোরাচালান এবং ইয়াবা পাচার চক্রের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হোক।
এমনকি, স্থানীয় প্রশাসন থেকে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া না হলে, প্রবাসী ব্যবসায়ী আফছার এবং তার পরিবারের জীবন ঝুঁকির মধ্যে পড়ে থাকবে।

সাতকানিয়ায় প্রবাসী ব্যবসায়ী আফছারের ওপর সন্ত্রাসী হামলা: জোরপূর্বক জমি দখল এবং চাঁদাবাজির অভিযোগ সাতকানিয়া উপজেলার সুইপুরা এলাকায় প্রবাসী ব্যবসায়ী মোহাম্মদ আফছারের বিরুদ্ধে এক সন্ত্রাসী চক্র জোরপূর্বক জমি দখল করার চেষ্টা চালাচ্ছে। তার অভিযোগ, ৩০ থেকে ৪০ জন সন্ত্রাসী মুখ বেঁধে গত মঙ্গলবার রাত আনুমানিক ১০টার দিকে সাতকানিয়া সুইপুরা ৯ নং ওয়ার্ডে অবস্থিত তার শাশুড়ি বাড়িতে ঢুকে, তাকে খুঁজতে থাকে এবং তিন কোটি টাকা চাঁদা দাবি করে। এই ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে।
মোহাম্মদ আফছারের অভিযোগ, দীর্ঘ বছর ধরে তিনি দুবাইতে ব্যবসা করে আসছেন এবং সেই সূত্রে তিনি সাতকানিয়ার কিছু চিহ্নিত সন্ত্রাসী এবং তার সহযোগীদের সঙ্গে আর্থিক লেনদেন করেছেন। তবে, তার ব্যবসায়িক সমস্যার কারণে তারা তাকে ভয় দেখিয়ে জোরপূর্বক জমি দখলের চেষ্টা করছে। তাদের দাবি, তিন কোটি টাকা না দিলে তারা তার পরিবারের সদস্যদের ক্ষতি করবে।
আফছার জানান, “এরা একই সময় আওয়ামী লীগের অর্থের যোগানদাতা ছিল, কিন্তু বর্তমানে রাতারাতি জামায়াতে শীর্ষ সন্ত্রাসী হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে।” তিনি আরো জানান, তাদের অত্যাচারের কারণে তিনি এবং তার পরিবার নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। সন্ত্রাসীরা তাকে এবং তার পরিবারের সদস্যদের নিয়ে চাঁদাবাজির চেষ্টা করছে। এদিকে, আফছার এবং তার পরিবারের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের অভিযোগ এনে স্থানীয় প্রশাসনের কাছে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানানো হয়েছে। এলাকাবাসী এবং সামাজিক সংগঠনগুলো দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য প্রশাসনকে অনুরোধ জানায়, যাতে এই সন্ত্রাসী চক্রের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হয়।
এ ঘটনায় প্রশাসনের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন এলাকাবাসী। তাদের মতে, এই সন্ত্রাসী চক্রের বিরুদ্ধে দ্রুত পদক্ষেপ না নেওয়া হলে, আরও অনেক প্রবাসী ব্যবসায়ী ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারেন। এখন প্রয়োজন দ্রুত আইনি পদক্ষেপ: আফছার এবং তার পরিবারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।
সন্ত্রাসী চক্রের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করা।
সন্ত্রাসী গ্রুপের সদস্যদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা।
এই সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের কারণে এলাকায় এক অস্থির পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে এবং দ্রুত প্রশাসনের হস্তক্ষেপ প্রয়োজন বলে এলাকার মানুষ অভিমত প্রকাশ করেছেন।