নীল জলে ভাসমান বোট, সবুজ পাহাড়ের বুক চিরে উড়ে যাওয়া হালকা মেঘ, আর তার মাঝেই এক শিশু-কিশোরের নির্মল হাসি—এ যেন এক স্বপ্নের দৃশ্যপট। শতায়ু অঙ্গনের বনভোজনের সেই রঙিন দিনে, মহামায়া লেকের জলে তরঙ্গ তুলেছিল আমার প্রাণপ্রিয় নাতি কাশিব।
লাইফ জ্যাকেট পরিহিত কাশিব যখন বোটে উঠে বসে, তখন তার চোখে ছিল অদম্য সাহসের দীপ্তি, যেন সে এক অভিযাত্রী, যে জল-স্থল-আকাশ জয় করতে বেরিয়েছে। হাসিমাখা মুখে সে চারপাশের সৌন্দর্য আত্মস্থ করছিল, মাঝে মাঝে উচ্ছ্বাসে হাততালি দিয়ে বলছিল, “দাদু, এই জায়গাটা কত সুন্দর!” প্রকৃতির সঙ্গে তার যেন এক গভীর আত্মীয়তা গড়ে উঠেছিল।
শতায়ু অঙ্গনের প্রাণপুরুষ, প্রিয় জাকের ভাই, যার হাত ধরে এই বনভোজন পেল এক নতুন মাত্রা, তিনিও কাশিবের অসাধারণ উপস্থিতি দেখে বিস্মিত হলেন। কাশিব শুধু পর্যবেক্ষক হয়ে থাকেনি, সে হয়ে উঠেছিল এই আনন্দমেলার অন্যতম প্রাণ।
বিকেলের সোনালি আলোয় যখন সাংস্কৃতিক পর্ব চলছিল, তখন এক আশ্চর্য দৃশ্য দেখা গেল—কাশিব মাইক্রোফোন হাতে নিয়ে সভাপতি জাকের ভাইয়ের পরিবর্তে সাবলীল কণ্ঠে অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করছে! তার কণ্ঠে ছিল শিশুসুলভ সরলতা, কিন্তু বক্তব্যে ছিল এক অদ্ভুত পরিণত বোধ। উপস্থিত সবাই মুগ্ধ হয়ে তাকিয়ে রইল, যেন এক নবীন সুর্যোদয়ের সাক্ষী হলো তারা।
শতায়ু অঙ্গনের এই বনভোজন কেবল এক দিনের আনন্দ ছিল না, এটি ছিল নতুন প্রজন্মের বিকাশের এক অনন্য উদাহরণ। যেখানে কাশিবের মধ্যে ফুটে উঠেছিল নেতৃত্বের ঝলক, আর জাকের ভাইয়ের স্নেহের ছায়ায় সে হয়ে উঠেছিল আরও আত্মবিশ্বাসী।
মহামায়ার জলে যেভাবে ঢেউ ওঠে, ঠিক তেমনি আমার নাতি কাশিবের মধ্যেও প্রতিভার এক অগাধ স্রোত বইছে। সে এগিয়ে যাবে, সে আলো ছড়াবে—এটাই আমার বিশ্বাস।
কাশিবের জন্য রইল অফুরন্ত ভালোবাসা, আর শতায়ু অঙ্গনের এই সফল আয়োজনে সভাপতি জাকের ভাইকে জানাই হৃদয় থেকে শ্রদ্ধা