1. mail.bizindex@gmail.com : newsroom :
  2. info@www.bhorerawaj.com : দৈনিক ভোরের আওয়াজ :
বৃহস্পতিবার, ০১ মে ২০২৫, ০৬:০০ অপরাহ্ন
সর্বশেষ :
পুলিশ পরিচয়ে ঘরে প্রবেশ করে পরিবারের ৮ জনকে বেঁধে ছয়টি দোকান ঘর গুঁড়িয়ে দিয়ে মালামাল লুট করেছে দুর্বৃত্তরা রোদেলা দুপুরে পারকি সৈকতের বালুকাবেলায় কলম যোদ্ধারা,স্মৃতিময় এক মে দিবস! ড. মোহাম্মদ ইউনূসের দক্ষিণ চট্টগ্রাম সফর সিএমপি কমিশনার ও পাঁচ ওসি পেলেন আইজিপি ব্যাজ সাহস, দক্ষতা ও মানবিক পুলিশিংয়ের স্বীকৃতি আইজি পি ব্যাজ পেলেন ওসি আফতাব উদ্দিন চট্টগ্রাম উন্নয়ন আন্দোলনের সূচনালগ্নের সাহসী পুরুষ ব্যারিস্টার মনোয়ার হোসেন! দৃষ্টি আকর্ষণ পাকুন্দিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ধরা পড়েছে সংঘবদ্ধ নারী চোরচক্রের ৩ সদস্য মুরাদনগরে চাচার উপর ভাতিজার হামলা; বাড়িঘর ভাংচুর কুষ্টিয়ায় ব্জ্রপাতে কৃষক ও ট্রলি চালকের মৃ’ত্যু

প্রবাসীর জীবন বাঁচানোর শেষ লড়াই: ব্যারিস্টার মনোয়ার হোসেনের মানবিক আইনি অভিযান

চট্টগ্রাম থেকে আব্দুর রহমানঃ
  • প্রকাশিত: রবিবার, ২ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫
  • ৭৩ বার পড়া হয়েছে

ব্যারিস্টার মনোয়ার হোসেন শুধু একজন আইনি পরামর্শদাতা নন; তিনি একজন মানবাধিকার রক্ষক, যিনি তার অসাধারণ দক্ষতা ও অদম্য লড়াইয়ের মাধ্যমে অসংখ্য প্রবাসীর জীবন বদলে দিয়েছেন। অভিবাসন আইন, রাজনৈতিক আশ্রয়, ন্যাশনালিটি, ক্রিমিনাল লিটিগেশন এবং মানবাধিকার সংক্রান্ত মামলায় তিনি এক সুপরিচিত ও বিশ্বস্ত নাম। তাঁর দীর্ঘ অভিজ্ঞতা, পেশাদারিত্ব, এবং মানবিক মূল্যবোধ তাঁকে শুধু একজন সফল আইনজীবীই নয়, বরং অসংখ্য মানুষের জীবনে আশার আলোকবর্তিকা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে। প্রবাসীদের জীবনসংগ্রামের পথ কখনো সহজ নয়।

ব্যারিস্টার মনোয়ার হোসেন

বিশেষ করে, যারা সরকারি অনুমতি ছাড়া বছরের পর বছর বিদেশে কাটিয়ে দেন, তাদের জন্য প্রতিটি দিন এক অনিশ্চয়তার মধ্যে কাটে। কখনো আশ্রয়ের আবেদন খারিজ হয়, কখনো দেশে ফেরত পাঠানোর জন্য আদেশ আসে, আবার কখনো অল্প কিছু সময়ের ব্যবধানে তাদের ভাগ্য নির্ধারিত হয়ে যায়। এই কঠিন বাস্তবতায়, ব্যারিস্টার মনোয়ার হোসেনের মতো দক্ষ ও মানবিক আইনজীবীর ভূমিকা অনস্বীকার্য। তিনি শুধু আইন প্রয়োগ করেন না, বরং প্রতিটি মামলায় সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা দিয়ে বিচারিক ব্যবস্থার সর্বোচ্চ পর্যায়ে গিয়ে ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার চেষ্টা করেন। সম্প্রতি তাঁর এক মামলা ছিল নিঃসন্দেহে ব্যতিক্রমী ও চ্যালেঞ্জিং। সাড়ে উনিশ বছর ধরে ইংল্যান্ডে বসবাসরত এক প্রবাসী, যিনি বেশিরভাগ সময় সরকারি অনুমতি ছাড়া কাটিয়েছেন, তাঁকে দেশে ফেরত পাঠানোর সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়ে গিয়েছিল। দীর্ঘদিন ধরে তিনি পরিবারের ভবিষ্যৎ গড়তে দিনরাত পরিশ্রম করেছেন, কিন্তু এক মুহূর্তেই যেন সবকিছু শেষ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা দেখা দিল। তাঁর সমস্ত আবেদন খারিজ হয়ে গিয়েছিল, এবং হোম অফিসের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, তাঁকে দেশে ফেরত পাঠাতে কোনো আইনি বাধা ছিল না। এই কঠিন মুহূর্তে ব্যারিস্টার মনোয়ার হোসেন এবং তাঁর আইনি দল এক মুহূর্তও দেরি করেননি। অভিবাসন আইনের সর্বোচ্চ ব্যবহারের মাধ্যমে, আপিল, আবেদন, এবং আইনি লড়াইয়ের সব পথ অনুসরণ করে শেষ মুহূর্তে ফ্লাইট বাতিল করতে সক্ষম হন। এটি নিছক একটি মামলার সফলতা নয়; এটি ছিল এক পরিবারের ভবিষ্যৎ বাঁচানোর লড়াই। তাঁর এই অদম্য প্রচেষ্টার ফলে প্রবাসীটি শুধু দেশে ফেরত যাওয়ার হাত থেকে রক্ষা পেলেন না, বরং তাঁর পরিবার ও সন্তানের ভবিষ্যৎও নিশ্চিত হলো। এমন অসংখ্য অভিবাসী ও আশ্রয়প্রার্থী রয়েছেন, যাঁরা ব্যারিস্টার মনোয়ার হোসেনের আইনি সহায়তার মাধ্যমে নতুন জীবন পেয়েছেন। তাঁর সহানুভূতি, নিষ্ঠা ও আইনজীবীসুলভ দক্ষতা তাঁকে এই পেশায় অনন্য করেছে। বহু প্রবাসী যাঁরা একসময় অনিশ্চিত ভবিষ্যতের মুখোমুখি ছিলেন, আজ তাঁরা ইংল্যান্ডসহ বিভিন্ন দেশে স্থায়ীভাবে বসবাস করছেন সাড়ে উনিশ বছর ধরে ইংল্যান্ডে বসবাস করা এক প্রবাসী, যিনি বেশিরভাগ সময় সরকারি অনুমতি ছাড়া কাটিয়েছেন, শেষ পর্যন্ত গ্রেফতার হলেন। কয়েক সপ্তাহ ধরে আটকে থাকার পর তাঁর সব আবেদন খারিজ হয়ে যায়, এবং দেশে ফেরত পাঠানোর জন্য নির্ধারিত ফ্লাইটও ঠিক হয়ে যায়। কিন্তু হঠাৎ করেই, ফ্লাইটের মাত্র কয়েক ঘণ্টা আগে, তাঁর স্বজনরা আমার চেম্বারে এসে উপস্থিত হলেন—একটি শেষ চেষ্টা করার জন্য। বর্তমান লেবার সরকার ব্যর্থ রাজনৈতিক আশ্রয়প্রার্থীদের রোয়ান্ডা পাঠানোর পরিবর্তে নিজ দেশে ফেরত পাঠানোর যে নীতি গ্রহণ করেছে, এটি তারই প্রতিফলন। আমেরিকাতেও এখন এমনটাই হচ্ছে। ফলে, মামলাটি হয়ে উঠল আরও চ্যালেঞ্জিং। আমি আগেও বহু জটিল মামলা লড়েছি—অনেক সময় শেষ মুহূর্তে ফ্লাইটের দরজা বন্ধ হয়ে যাওয়ার পরও লড়াই করে সফল হয়েছি। তবে কখনোই শতভাগ নিশ্চয়তা দিইনি। আমি বরাবরই বলেছি, কারও ভবিষ্যৎ কোথায় গড়ে উঠবে, তাঁর পরিবার ও পরবর্তী প্রজন্ম কোথায় শেকড় গাঁথবে—এসব একমাত্র মহান আল্লাহর ইচ্ছার ওপর নির্ভরশীল। প্রবাসীদের জন্য একটি মামলা মানে শুধু একজন ব্যক্তির জীবন নয়, বরং একটি পরিবারের ভবিষ্যৎও এতে জড়িয়ে থাকে। বহু বছর ধরে আমি বহু বাংলাদেশিসহ অন্যান্য দেশের অভিবাসীদের আইনি সহায়তা দিয়েছি। অনেকে অনেক বছর পর এসে দেখা করেন বা ফোন করেন। তাদের অনেকেই পেশাগত ও অর্থনৈতিকভাবে সফল হয়েছেন, তাঁদের সন্তানরা ইংল্যান্ডের মতো দেশে উচ্চশিক্ষা লাভ করেছে, কেউ কেউ অক্সফোর্ড ও কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডিগ্রি অর্জন করেছেন। আজ তারা ডাক্তার, প্রকৌশলী, আইনজীবী হয়ে সমাজে অবদান রাখছেন। এরাই আবার নতুন প্রজন্মকে সাহায্য করছেন, স্বদেশ ও প্রবাসের মানুষের জন্য কাজ করছেন। এ এক সীমাহীন নেটওয়ার্ক, যা আমাকে পরম তৃপ্তি দেয়। এই প্রবাসীর ক্ষেত্রেও আমি আমার লিগ্যাল টিম নিয়ে সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালালাম। হোম অফিসের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, তিনি মাত্র পাঁচ মাস পরে ২০ বছর পূর্ণ করলেই রেসিডেন্স পারমিটের জন্য যোগ্য হতেন। কিন্তু সেই সময়ের আগেই তাঁকে ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছিল। এটি সত্যিই দুর্ভাগ্যজনক। এর আগে অনেকেই এর চেয়ে কম সময় থাকার পরও রেসিডেন্স পারমিট পেয়েছেন, তবে প্রতিটি মামলাই স্বতন্ত্র এবং আইনি জটিলতা ভিন্ন হয়।
রাজনৈতিক আশ্রয়ের মামলা সফল হলে সাধারণত পাঁচ বছরের রেসিডেন্স পারমিট মিলে যায়। কিন্তু এই প্রবাসীর আশ্রয়ের আবেদন ও আপিল আগেই খারিজ হয়ে গিয়েছিল। হোম অফিসের যুক্তি ছিল—২০ বছর আইনি বা বেআইনি যেভাবেই হোক পূর্ণ করতে হবে, তবেই তিনি আবেদন করতে পারবেন। অর্থাৎ, তাঁকে ফেরত পাঠাতে কোনো আইনগত বাধা নেই।
আমরা এক মুহূর্তও দেরি না করে সর্বোচ্চ চেষ্টা করলাম। অবশেষে, বিকেলের ফ্লাইট বাতিল হলো! এক শ্বাসরুদ্ধকর পরিস্থিতির অবসান ঘটল। তাঁর বৃদ্ধা মা ও দেশে-বিদেশে থাকা পরিবার-পরিজনের মনে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফিরল। এই মানুষটি হয়তো বছরের পর বছর পরিশ্রম করে তাঁর উপার্জিত অর্থ দেশে পাঠিয়ে এসেছেন, পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছেন—যেভাবে অনেক প্রবাসী করে থাকেন। হয়তো তাঁদের দোয়া তাঁকে এই কঠিন পরিস্থিতি থেকে বাঁচিয়ে দিল। এই লেখার মাধ্যমে আমি শুধু একজন অভিবাসীর কাহিনি তুলে ধরতে চাইলাম, যা শত শত প্রবাসীর জীবনের প্রতিচ্ছবি। যাঁরা দেশের বাইরে সংগ্রাম করছেন, তাঁদের প্রতি আমাদের সম্মান ও ভালোবাসা থাকা উচিত, যাতে তাঁরা নিজেদের ভূমিকা নিয়ে গর্ববোধ করতে পারেন।
—মনোয়ার হোসেন, ব্যারিস্টার
ইউকে ইমিগ্রেশন, এসাইলাম, ন্যাশনালিটি, সিভিল ও ক্রিমিনাল লিটিগেশন, মানবাধিকার, এমপ্লয়মেন্ট, ফ্যামিলি, ল্যান্ডলর্ড-টেন্যান্ট, আপিল ও জুডিশিয়াল রিভিউ বিশেষজ্ঞ Monwar Hossain, Barrister Head of MH Barristers, formerly Hossain Law Associates, London E1 1HJ
www.hossainlaw.com
তিনি চট্টগ্রাম উন্নয়ন আন্দোলনের রুপকার এবং চট্টগ্রাম নাগরিক ফোরামের চেয়ারম্যান।

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২১৩১৪১৫১৬
১৭১৮১৯২০২১২২২৩
২৪২৫২৬২৭২৮  
© সমস্ত অধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট