1. mail.bizindex@gmail.com : newsroom :
  2. info@www.bhorerawaj.com : দৈনিক ভোরের আওয়াজ :
মঙ্গলবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৮:২৭ অপরাহ্ন
সর্বশেষ :
শিবগঞ্জে কিশোরীদের স্বাস্থ্য সচেতনতা বাড়াতে প্রগতি সংস্থার স্যানিটারি ন্যাপকিন বিতরণ ক্ষেতলালে তৃতীয় শ্রেণীর শিক্ষার্থী হত্যার প্রতিবাদে মানববন্ধন! লাউগাছের চারা খাওয়া নিয়ে গলাচিপায় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ আহত ১ গৌরবে মির্জাপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবজোন চ্যাম্পিয়ন ধামরাইয়ে অটোরিকশা চালক সায়েদুর রহমান হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটন করেছে ( পিবিআই ) কালাইয়া বাজারের রাস্তাঘাটে করুণ দশা, ব্যবসা-বাণিজ্যে স্থবিরতা ঠাকুরগাঁওয়ে নদীতে গোসল করতে নেমে   দ্বিতীয় শ্রেণীর  শিশুর মৃত্যু বান্দরবানে বাজার চৌধুরীর অপসারণ ও বিচারের দাবীতে মানব বন্ধন ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সরকারি সার বেশি দামে বিক্রির অভিযোগে দুই ব্যবসায়ীকে জরিমানা! শিবচরে মাদক রোধে ইউএনও’র কাছে স্মারকলিপি দিল উপজেলা বিএনপি

কক্সবাজার: রেলের জানালায় দেখা স্বপ্ন, বালুকাবেলায় ছুঁয়ে যাওয়া স্মৃতি

মোঃ কামাল উদ্দিন
  • প্রকাশিত: শনিবার, ১ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫

প্রত্যেক ভোরের সূর্য যেমন প্রতিদিনই নতুন আলো নিয়ে আসে, তেমনি কক্সবাজারও যেন প্রতিবার নতুন রূপে ধরা দেয়। আজ আমার জন্য সেই রূপটি আরও অনন্য, কারণ প্রথমবার চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজারে এলাম রেলপথে। যেন নতুন চোখে দেখা পুরোনো প্রেমিকার মতো।
চট্টগ্রাম রেল স্টেশন থেকে রেল ছাড়ার মুহূর্তটি ছিল দারুণ রোমাঞ্চকর। জানালার পাশে বসে গ্রামবাংলার নিসর্গকে হৃদয়ে ধারণ করছিলাম। চারপাশে সবুজের সমারোহ, কোথাও পাখির কোলাহল, কোথাও ধানের ক্ষেত। রেললাইনের পাশে ছুটে চলা গ্রামের জলপথগুলো যেন স্নিগ্ধ প্রকৃতির আঁকা ছবি। এমন নৈসর্গিক দৃশ্য আগে কখনো এভাবে দেখিনি। রেলপথে যাত্রা আমার কাছে যেন এক নতুন গল্পের সূচনা। স্বপ্নের রেলস্টেশন: কক্সবাজার- যখন কক্সবাজার রেল স্টেশনে পা রাখলাম, মনে হলো যেন কোনো চিত্রকল্পের মাঝে দাঁড়িয়ে আছি। এতটাই উন্নত, এতটাই নিখুঁত স্থাপত্যশৈলী। স্টেশনের বিশালতা, উজ্জ্বলতা, এবং নান্দনিক নকশা দেখে মুগ্ধ হলাম। এটি যেন কক্সবাজারের সৈকতের সৌন্দর্যের মতোই এক মহিমান্বিত প্রবেশদ্বার। তবে কিছু অসঙ্গতি চোখে পড়ল। একমাত্র প্রবেশ ও বহির্গমনের পথ হওয়ায় মানুষের ভিড়ে কিছুটা বিশৃঙ্খলা তৈরি হচ্ছিল।
আমার মনে পড়ে গেল, এই রেললাইনটি চালুর জন্য কত আন্দোলন করেছি। ১৯৮৮ সাল থেকে বৃহত্তর চট্টগ্রাম উন্নয়ন সংগ্রাম কমিটির সঙ্গে যুক্ত থেকে যে স্বপ্ন দেখেছিলাম, আজ তার বাস্তবায়ন দেখে মনটা তৃপ্তিতে ভরে গেল।
“উপল” ও স্মৃতির জানালায় ফিরে দেখা-কক্সবাজার মানেই স্মৃতির এক উষ্ণ ছোঁয়া। আমরা এসে উঠলাম “উপল”-এ। আশির দশকে এই হোটেল ছিল তারকাদের প্রিয় আস্তানা। তখনকার সিনেমার স্যুটিং মানেই কক্সবাজার আর “উপল”। আমার মনে পড়ে গেল ২০০১ সালের ২১শে ফেব্রুয়ারির কথা। তখন “উপল”-এ এসে পূর্ণিমা এবং রুবেলের সঙ্গে দেখা হয়েছিল। পূর্ণিমা, চট্টগ্রামের মেয়ে, তাকে নিয়ে আমার জীবনের প্রথম লেখা প্রকাশিত হয়েছিল দৈনিক পূর্বকোণে। সেই দিনগুলো যেন আমার মনের গভীরে ফিরে এলো। তবে আজকের “উপল” আর আগের মতো নেই। কালের বিবর্তনে তার সেই নস্টালজিক আবেশ কিছুটা ম্লান হয়ে গেছে। আমরা তাই চলে এলাম “কলাতলী উষানী”। এখানকার পরিবেশে আজও স্নিগ্ধতার ছোঁয়া আছে।সমুদ্রের আহ্বান- কক্সবাজারে মানুষ আর মানুষ। হাঁটার জায়গাও যেন নেই। ঢেউয়ের গর্জন, মানুষের কোলাহল, আর আকাশে উড়ন্ত শঙ্খচিলের মেলবন্ধন যেন এক অপার আনন্দের উত্সব।
বালুকাবেলায় পা রাখতেই মনে হলো পৃথিবীর সব ক্লান্তি, সব ভারী ভাব মুছে গেল। সমুদ্রের বিশালতা আমাকে টেনে নিয়ে গেল তার গভীর সুধায়। ঢেউয়ের ছন্দে ছন্দে প্রকৃতি যেন তার নিজস্ব ভাষায় কথা বলছে। কিছুটা এগিয়ে গেলে দেখলাম, ছোট ছোট ছেলেমেয়ে বালু দিয়ে দুর্গ বানাচ্ছে। তাদের আনন্দে যেন পৃথিবীর সব সুখ লুকিয়ে আছে। কোথাও আবার একদল পর্যটক বসে বসে সূর্যাস্তের অপেক্ষা করছে। আকাশে সূর্যের রক্তিম আলো ছড়িয়ে পড়ার মুহূর্তটি যেন এক মোহনীয় দৃশ্য। আমাদের আয়োজন-
দুপুরের খাবারের পর শুরু হলো আমাদের কর্মসূচি। চাটগাঁইয়া নওজোয়ানের ৮ম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আমরা কক্সবাজারের পরিবেশ ও মানুষের মধ্যে আনন্দ ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য নানা আয়োজন করেছি। গান, কবিতা, আড্ডা—সব মিলিয়ে এক অনন্য দিন।
কক্সবাজার: যা দেখার শেষ নেই-
কক্সবাজারে শুধু সমুদ্রই নয়, আছে হিমছড়ি, ইনানী, মহেশখালীর মন্দির, সোনাদিয়া দ্বীপ, রামু বৌদ্ধ বিহার। প্রতিটি জায়গা যেন ভিন্ন ভিন্ন গল্পের জন্ম দেয়।
কক্সবাজারে বারবার আসার কারণ এখানকার প্রকৃতি, মানুষের আন্তরিকতা, এবং সেই অপার বিশালতা, যা কখনো পুরোনো হয় না। প্রতিবার কক্সবাজার আমাকে নতুন করে জীবনকে উপলব্ধি করতে শেখায়।
চলবে—

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

© সমস্ত অধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট