1. mail.bizindex@gmail.com : newsroom :
  2. info@www.bhorerawaj.com : দৈনিক ভোরের আওয়াজ :
শুক্রবার, ০২ মে ২০২৫, ০২:২৪ অপরাহ্ন
সর্বশেষ :
“বাঁশখালীতে ৪ হাজার ইয়াবাসহ টেকনাফের মাদক কারবারি আটক: ব্যবহৃত মোটরসাইকেল জব্দ” হোমনায় মহান মে দিবস উপলক্ষে  বিএনপির বর্ণাঢ্য র‍্যালি  ড. মোহাম্মদ ইউনূস এর শুভ আগমনে বোয়ালখালীবাসীর পক্ষ থেকে হাজী মোহাম্মদ আলম ববির শুভেচ্ছা ও কৃতজ্ঞতা পুলিশ পরিচয়ে ঘরে প্রবেশ করে পরিবারের ৮ জনকে বেঁধে ছয়টি দোকান ঘর গুঁড়িয়ে দিয়ে মালামাল লুট করেছে দুর্বৃত্তরা রোদেলা দুপুরে পারকি সৈকতের বালুকাবেলায় কলম যোদ্ধারা,স্মৃতিময় এক মে দিবস! ড. মোহাম্মদ ইউনূসের দক্ষিণ চট্টগ্রাম সফর সিএমপি কমিশনার ও পাঁচ ওসি পেলেন আইজিপি ব্যাজ সাহস, দক্ষতা ও মানবিক পুলিশিংয়ের স্বীকৃতি আইজি পি ব্যাজ পেলেন ওসি আফতাব উদ্দিন চট্টগ্রাম উন্নয়ন আন্দোলনের সূচনালগ্নের সাহসী পুরুষ ব্যারিস্টার মনোয়ার হোসেন! দৃষ্টি আকর্ষণ

চমেক হাসপাতালে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল তসলিম উদ্দিনের নেতৃত্ব: উন্নয়ন, দুনীতি দমন ও চিকিৎসা সেবায় নতুন দিগন্ত

মো. কামাল উদ্দিন
  • প্রকাশিত: বুধবার, ২৯ জানুয়ারী, ২০২৫
  • ৭২ বার পড়া হয়েছে

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল (CMCH) বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান। এই হাসপাতালটির গুরুত্ব চট্টগ্রামসহ সারা দেশের মানুষের জন্য অপরিসীম, কারণ এটি দীর্ঘকাল ধরে একটি নীতি নির্ধারণকারী এবং স্বাস্থ্যসেবার মান বজায় রাখার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। তবে, একসময় এই হাসপাতালটির বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ উঠেছিল, যেমন অনিয়ম, ঔষধ পাচার, রোগী হয়রানি এবং দুনীতির সঙ্গতি। এসব সমস্যা দীর্ঘদিন ধরেই চিকিৎসা সেবার মানে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছিল।
ব্রিগেডিয়ার জেনারেল তসলিম উদ্দিন, একজন অভিজ্ঞ এবং দায়িত্বশীল কর্মকর্তা, ২০২৪ সালে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পরিচালক হিসেবে যোগদান করার পর থেকে, এই সমস্ত অনিয়মের বিরুদ্ধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন। তাঁর নেতৃত্বে, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এখন এক নতুন যুগে প্রবেশ করেছে, যেখানে চিকিৎসা সেবা মান বৃদ্ধি, উন্নয়ন প্রকল্পের বাস্তবায়ন, দুনীতির বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ এবং রোগী ভোগান্তি কমানোর জন্য একধাপ এগিয়ে গেছে।চিকিৎসা সেবার মান উন্নয়ন: ব্রিগেডিয়ার জেনারেল তসলিম উদ্দিন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালকের দায়িত্ব গ্রহণের পর, তাঁর প্রথম লক্ষ্য ছিল চিকিৎসা সেবার মান বাড়ানো। তিনি হাসপাতালের সব বিভাগে নতুন প্রযুক্তি, আধুনিক যন্ত্রপাতি, ও পেশাদার চিকিৎসক ও নার্সদের নিয়োগের মাধ্যমে সেবা প্রদানকে আরও উন্নত করেছেন। হাসপাতালের জরুরি বিভাগ থেকে শুরু করে অপারেশন থিয়েটার এবং বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের উপস্থিতি পর্যন্ত, সব কিছুতেই সাফল্য এসেছে। তসলিম উদ্দিন তাঁর নেতৃত্বে হাসপাতালের সেবা প্রক্রিয়া সহজতর করেছেন। রোগীরা এখন দ্রুত সময়ের মধ্যে চিকিৎসা পেয়ে থাকেন। প্রতিটি বিভাগে আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার যেমন এক্স-রে, সিটি স্ক্যান, এমআরআই এবং ল্যাবরেটরি টেস্টিংয়ের উন্নতি, চিকিৎসকদের মধ্যে প্রশিক্ষণ প্রদান, স্বাস্থ্যসেবার সুযোগ আরও বেশি করে তৈরি করেছে। দুনীতির বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ: চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ইতিহাসে এক সময় দুনীতির অভিযোগ উঠেছিল। তবে, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল তসলিম উদ্দিনের নেতৃত্বে এসব অপ্রত্যাশিত ঘটনা নির্মূল করতে সব ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। তিনি রক্তদান থেকে শুরু করে ঔষধ সরবরাহ এবং হাসপাতালের প্রশাসনিক কাজের সবখানে স্বচ্ছতা আনেন। রিয়েল টাইম মনিটরিং সিস্টেমের মাধ্যমে সব কাজের পর্যবেক্ষণ এবং জনগণের জন্য একটি নম্বর হেল্পলাইন চালু করা হয়, যার মাধ্যমে মানুষ সরাসরি অভিযোগ জানাতে পারতেন। এই সময়, হাসপাতালের কোন কর্মকর্তা-কর্মচারী যদি কোন ধরনের অনিয়মে যুক্ত থাকেন, তবে তার বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করা হয়। ফলে, হাসপাতালের অভ্যন্তরে একটি শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, এবং জনসাধারণের আস্থাও ফিরে এসেছে। ঔষধ পাচার এবং রোগী হয়রানি দমন: হাসপাতালের ঔষধ পাচারের সঙ্গে জড়িত একটি বড় সমস্যা ছিল। তসলিম উদ্দিনের নেতৃত্বে এই সমস্যা সমাধানে বড় ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হয়। ঔষধ সরবরাহের প্রতিটি ধাপ মনিটর করা হয় এবং অবৈধ ঔষধ পাচারের বিরুদ্ধে কঠোর অভিযান চালানো হয়। হাসপাতালের মধ্যে বিদ্যমান যেসব অনিয়ম এর ফলে ঔষধ পাচার হচ্ছিল, তা পুরোপুরি বন্ধ হয়েছে। এছাড়া, রোগী হয়রানি এবং চিকিৎসা সেবার জন্য তাদের কাছ থেকে অবৈধ টাকা চাওয়ার বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়। রোগী কিংবা তাদের অভিভাবকদের থেকে অন্যায়ভাবে টাকা নেওয়ার কোনো সুযোগ ছাড়তে হয়নি। এই কঠোর পদক্ষেপের ফলে, রোগীরা এখন হাসপাতালে এসে সেবা পাচ্ছে নির্দ্বিধায় এবং নিরাপদে।
হাসপাতালের অবকাঠামো উন্নয়ন: ব্রিগেডিয়ার জেনারেল তসলিম উদ্দিনের যোগদানের পর, হাসপাতালের অবকাঠামোতে বড় ধরনের পরিবর্তন এসেছে। হাসপাতালের বিল্ডিং সংস্কার, নতুন ভবন নির্মাণ, বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থা, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার মান, সিসিটিভি পর্যবেক্ষণ ব্যবস্থা, এবং রোগীদের জন্য বিশ্রাম কক্ষ ও বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা করা হয়েছে। তাহলে, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এখন একটি আধুনিক হাসপাতালের রূপ নিয়েছে, যেখানে রোগীরা নিরাপত্তা, সেবা এবং মনোযোগ পেয়ে থাকেন। কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ ও পরিসেবার উন্নয়ন: ব্রিগেডিয়ার জেনারেল তসলিম উদ্দিনের অন্যতম প্রধান পদক্ষেপ ছিল হাসপাতালের চিকিৎসক, নার্স ও অন্যান্য কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রশিক্ষণ প্রদান। এই প্রশিক্ষণ শুধু তাদের দক্ষতাকে বাড়িয়েছে, বরং রোগীদের সঠিক চিকিৎসা ও ভালো সেবা দেওয়ার জন্য দক্ষ এবং দায়িত্বশীল করতে সহায়তা করেছে। নিয়মিত সেমিনার, ওয়ার্কশপ ও আন্তর্জাতিক মানের কোর্স আয়োজনের মাধ্যমে তাদের দক্ষতা বৃদ্ধি করা হয়েছে। এর ফলে, হাসপাতালের চিকিৎসা সেবার মান আরও উন্নত হয়েছে এবং জনগণ তা অনুভব করতে পারছে। হাসপাতাল ব্যবস্থাপনায় স্বচ্ছতা এবং জবাবদিহি: ব্রিগেডিয়ার জেনারেল তসলিম উদ্দিন হাসপাতালের ব্যবস্থাপনায় স্বচ্ছতা আনার জন্য নানা উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন। হাসপাতালের প্রতিটি বিভাগে স্বচ্ছভাবে কাজ করা হচ্ছে, আর এজন্য একটি শক্তিশালী মনিটরিং ব্যবস্থা স্থাপন করা হয়েছে। সকল পর্যায়ে জবাবদিহি প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে, যাতে কোন ধরনের দুর্নীতি বা অনিয়মের সুযোগ না থাকে। এসব পদক্ষেপের মাধ্যমে, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এখন জনগণের আস্থার প্রতীক হয়ে উঠেছে। বিশ্বমানের চিকিৎসা সেবা এবং সম্প্রসারণ: তসলিম উদ্দিনের
অধীনে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল বিশ্বমানের চিকিৎসা সেবা প্রদান করতে সক্ষম হয়েছে। রোগীদের জন্য বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের অধীনে গঠন করা হয়েছে উন্নত চিকিৎসা পদ্ধতি, এবং প্রতিটি রোগীকে অত্যাধুনিক স্বাস্থ্যসেবা দেওয়ার জন্য হাসপাতালের আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে।
ভবিষ্যতের পরিকল্পনা:
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এখন উন্নতির পথে। ব্রিগেডিয়ার জেনারেল তসলিম উদ্দিন ভবিষ্যতের জন্য একটি নতুন পরিকল্পনা তৈরি করেছেন, যার মধ্যে হাসপাতালের আরও উন্নতি এবং জনগণের জন্য এক নতুন স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থা তৈরি করা হবে। তাঁর নেতৃত্বে, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল বাংলাদেশের অন্যতম স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে উঠতে চলেছে।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উন্নয়নের জন্য ব্রিগেডিয়ার জেনারেল তসলিম উদ্দিনের অবদান অনস্বীকার্য। তাঁর নেতৃত্বে, এই হাসপাতাল এখন একটি আধুনিক, কার্যকরী এবং রোগী-বান্ধব প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। এই হাসপাতালের উন্নয়ন ও চিকিৎসা সেবার মান বৃদ্ধি পেলে, চট্টগ্রাম অঞ্চলের মানুষের স্বাস্থ্যসেবার সুযোগ অনেক উন্নত হবে এবং দেশের অন্যান্য হাসপাতালগুলোও তাঁর নেতৃত্বের কাছ থেকে অনুপ্রাণিত হবে।
প্রতিটি মানুষের চিকিৎসা পাওয়া মৌলিক অধিকার। তবে, দুঃখজনকভাবে একসময় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, যা দেশের অন্যতম প্রধান চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান, সেখানে কিছু অপ্রত্যাশিত পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছিল। কিছু অসাধু চিকিৎসক, যাদের ভূমিকা ছিল মানবিক দায়বদ্ধতা পালনে, তারা চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বদলে বেসরকারি প্রাইভেট হাসপাতালগুলোর প্রতি উৎসাহ প্রদানে মনোযোগী ছিলেন। এর ফলে, গরীব, অসহায় মানুষ যারা এই হাসপাতালটিতে চিকিৎসা নিতে আসতেন, তারা পর্যাপ্ত পরিমাণে সেবা পেতেন না। হাসপাতালের চিকিৎসা সেবার মান ও সেবাদানকারীদের আন্তরিকতার অভাব তাদের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর হয়ে দাঁড়িয়েছিল। তবে, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নতুন পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল তসলিম উদ্দিনের যোগদানের পর থেকে এই পরিস্থিতি দৃশ্যত পরিবর্তিত হয়েছে। তিনি শুধু প্রতিষ্ঠানটির উন্নতি ও শৃঙ্খলা বজায় রাখেননি, বরং গরীব এবং সুবিধাবঞ্চিত মানুষের চিকিৎসা সেবায় বিশেষ মনোযোগ দিয়েছেন। তাঁর নেতৃত্বে হাসপাতালের চিকিৎসা ব্যবস্থা এখন মানবিক বিবেচনায় আরও সমৃদ্ধ। তাঁর প্রতি আমাদের একান্ত অনুরোধ, যেন তিনি এই উন্নতির ধারাকে আরও ত্বরান্বিত করেন, যাতে প্রতিটি মানুষ তাদের মৌলিক চিকিৎসা অধিকার সঠিকভাবে ও সময়মতো পায়। ব্রিগেডিয়ার জেনারেল তসলিম উদ্দিন, আপনার দায়িত্বশীলতা এবং মানবিক দৃষ্টিকোণের মাধ্যমে এই হাসপাতালটি উন্নতির শিখরে পৌঁছাবে বলে আমাদের প্রত্যাশা

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২
১৩১৪১৫১৬১৭১৮১৯
২০২১২২২৩২৪২৫২৬
২৭২৮২৯৩০৩১  
© সমস্ত অধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট