আগামীকাল লালমনিরহাটে আসছেন জনপ্রিয় ইসলামি বক্তা ড. মিজানুর রহমান আজহারী। আজহারীর মাহফিলের জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে ৪ টি মাঠ, ১০-১২ লাখ মানুষের সমাগম হতে পারে বলে ধারণা করছেন আয়োজকরা। আগামী শনিবার (১৮ জানুয়ারি) যোহরের নামাজের পর লালমনিরহাটের সোহরাওয়ার্দী মাঠে তিনি বয়ান করবেন।
আজহারীর মাহফিল ঘিরে তৎপর লালমনিরহাটের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বিপুলসংখ্যক আনসার, পুলিশ, র্যাব ও সেনাবাহিনীসহ মোতায়ন থাকবে। রয়েছে আয়োজকদের স্বেচ্ছাসেবকের বিশাল কর্মী বাহিনী।
ইসলামিক সোসাইটি লালমনিরহাটের আয়োজনে ১০-১২ লাখ মানুষের জন্য চারটি মাঠ প্রস্তুত করছেন। জেলার সবচেয়ে বড় সোহরাওয়ার্দী মাঠে করা হচ্ছে মূল মঞ্চ। এ ছাড়াও কালেক্টরেট মাঠ, সিপি স্কুল মাঠ এবং নারীদের জন্য প্রস্তুত করা হচ্ছে জেলা স্টেডিয়াম মাঠ। সোহরাওয়ার্দীসহ সকল মাঠে থাকবে প্রজেক্টরের ব্যবস্থা।ঐতিহাসিক এ মাহফিল সফল করতে ইতোমধ্যে মঞ্চ প্রস্তুত সহ আনুষাঙ্গিক কাজ শেষ করা করা হয়েছে। মাহফিলে চুরি-ছিনতাইসহ অপ্রীতিকর যেকোন ঘটনা এড়াতে প্রস্তুত রয়েছে জেলা আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে দেয়া হবে মাহফিল ও তার আশপাশের এলাকা।
মাহফিলের নিরাপত্তায় থাকবে বিপুল সংখ্যক আনসার ও পুলিশ সদস্য। থাকবে র্যাব ও সেনাবাহিনীর টহল। এ ছাড়াও সাদা পোশাকে থাকবে গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা। আয়োজকদের নিজস্ব স্বেচ্ছাসেবক থাকবেন প্রায় ৫ হাজার। সব মিলিয়ে নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে রাখা হবে পুরো লালমনিরহাট শহর।
ইসলামিক একাডেমি লালমনিরহাটের প্রতিষ্ঠাতা বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আব্দুল হাকিমের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক উপমন্ত্রী অধ্যক্ষ আসাদুল হাবিব দুলু উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে।
মাহফিলের সভাপতি আব্দুল হাকিম বলেন, মাহফিল সফল করতে সকল ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে।মাহফিলের মাঠগুলোতে পর্যাপ্ত নিরাপত্তাব্যবস্থা রাখা হয়েছে,পুরো শহরে সাউন্ড সিস্টেমের মাধ্যমে বক্তা ও অতিথিগণের বক্তব্য শুনতে পারবেন।
এ ব্যাপারে লালমনিরহাট পুলিশ সুপার তরিকুল ইসলাম জানান, ড. মিজানুর রহমান আজহারীর মাহফিলে জননিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আমরা প্রস্তুত । মাহফিলকে ঘিরে লালমনিরহাট শহরে বিপুল সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা দায়িত্ব পালন করবেন।